এথিক্স দুই প্রকৃতির। কান্টিয়ান এবং ইউলেটারিয়ান। কান্টিয়ান ন্যায় এবসল্যুউট। খুন করা বাজে মানে সব ক্ষেত্রেই খুন করা বাজে কাজ। রাষ্ট্র কতৃক মেননের খুন, অভিজিত রায়ের খুন, ধাবালকরের খুন, কুলবার্গির খুন-সব খুনেই খুনের কারন এবং খুনীরা ঘৃণার যোগ্য। ইউলেটেরিয়ান এথিক্সে উচ্চতর ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য খুন করা সঠিক বা এথিক্যাল হতে পারে ক্ষেত্র বিশেষে।
ভিন্নমতের লোকেরা খুন হলেই আপোলজিস্টরা মাঠে নেমে পড়েন। খুনের পক্ষে তাদের লজিক ইউলেটারিয়ান। হিন্দুত্ববাদিরা কুলবার্গির খুনের সমর্থনে আদতেই যেটা বলছেন, ভদ্রলোক শুধু হিন্দুধর্মের সমালোচনা করতেন!! আসলে উনারা যেটা বলতে চাইছেন, সেটা ইউলেটারিয়ান লজিক। হিন্দুত্ববাদিদের ক্ষেত্রে বৃহত্তর ন্যায় হচ্ছে হিন্দুরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। সেই ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, উনারা খুন করাটা অনৈতিক বলে মনে করেন না। কমিনিউস্ট বা ইসলামিষ্টরাও ওদের স্বপ্নরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুন করাকে অনৈতিক বলে মনে করে না। নিজের স্বপ্নরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য কমিনিউস্ট এবং ইসলামের প্রফেটরা অসংখ্য খুন করেছেন। ফলে খুন করা এইসব আদর্শবাদে বিশ্বাসী লোকেদের জন্য মোটেও ঘৃন্য নয়। উনারা সম্পূর্ন ভাবে ইউলেটারিয়ান লজিকে চালিত।
আরো হাস্যকর হচ্ছে এই ইস্যুতে মাকুরা আপোলোজিস্ট হিন্দুত্ববাদিদের চেপে ধরার চেষ্টা করছে!! তৃনমূল সমর্থক ষষ্টি দলুই এর চোখ উপড়ে ওর ছেলের সামনে যেদিন ছজন হার্মাদ ওকে খুন করেছিল-সেদিন অর্কুটে (২০০৯) সিপিএমের পোষাকুত্তাগুলোর প্রতিক্রিয়াও একছিল। ষষ্টীদলুই শ্রেনীশত্রু-খুন বাজে কিন্ত ওই তুমি জানো ও জোতদারদের পক্ষে ছিল ? আজ হিন্দুবাদিরাও সেই প্রশ্ন তুলছে-তুমি কি জান কুলবার্গি বেছে বেশে হিন্দু ধর্মেরই সমালোচনা করত?
এই জন্যে আমি কমিনিউস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট -সব এক্সট্রিম আদর্শবাদের লোকদেরই এক গোয়ালের গরু বলে মনে করি। কাউকে অন্যদের থেকে বেশী সেফ মনে করার কারন নেই।
No comments:
Post a Comment