ইতিহাস কি?
বেসিক্যালি কিছুটা সত্য নির্ভর উপন্যাস-যা শাসক শ্রেনী নিজেদের মতন করে লেখে। এই ব্যপারে কেউ ব্যতিক্রম না। যেমন কংগ্রেস ভারতের শাসক শ্রেণী ছিল বলে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস কংগ্রেসের চোখে লেখা।
আমি ভারতে থেকেছি-জীবনের প্রথম আঠাশটি বছর। ইতিহাসে যথেষ্ঠ উৎসাহ ছিল। কিন্ত কখনো শুনি নি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে রুজভেল্ট এবং আটলান্টিক চার্টারের ভূমিকা। আমেরিকাতে এসে যখন আমেরিকান লেখকদের লেখা ইতিহাস পড়তে শুরু করলাম-তখন অন্তত এটা জলের মতন পরিস্কার হয় ভারতের স্বাধীনতার জন্য সহিংস বিপ্লবী বা গান্ধীর থেকেও সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল আটলান্টিক চার্টারের।
কি এই আটলান্টিক চার্টার ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই হিটলারের হাতে একের পর এক যুদ্ধে হেরে চার্চিল তখন কোনঠাসা। হিটলার লন্ডনে বোমা বর্ষন করেই যাচ্ছেন। না আছে অর্থ-না অস্ত্র। জার্মান ইউবোট আটলান্টিকে আমেরিকান জাহাজ ডোবাচ্ছে। বৃটেনে কিছু আনাই দায়। আমেরিকার সাহায্য না পেলে বৃটেনের ভরাডুবি সময়ের অপেক্ষা।
উইনস্টন চার্চিল , আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে বারবার তাগদা দিচ্ছিলেন যুদ্ধে নামার জন্য। রুজভেল্ট শুধু কিছু প্লেইন আর ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে খান্ত ছিলেন। আমেরিকান পাবলিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। পাশাপাশি রুজভেল্ট এটাও জানতেন যুদ্ধে নামতেই হবে। যাইহোক যুদ্ধের জন্য বৃটেনকে যে সাহায্য দিচ্ছিলেন তা ত এমনি দিতে পারেন না। রুজভেল্ট দেখলেন এই হচ্ছে মওকা। তখন বৃটেনের সমস্ত কলোনীতে ৭৫ কোটি লোকের বাস ( পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ )।
রুজভেল্ট বল্লেন দেখ বাপু চার্চিল-আমরা আমেরিকানরা গণতন্ত্র আর স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তোমার ওই বাপের জমিদারি টেকানোর জন্যত আমার ট্যাক্স পেয়ারের টাকা খরচ করতে পারি না। পার্ল হারবার তখনো হয় নি। আমেরিকা যুদ্ধে নামেনি। ফলে রুজভেল্ট বল্লেন যুদ্ধে সাহায্য করতে পারি-কিন্ত সেক্ষেত্রে আমাদের শর্ত মানতে হবে।
সেটা হচ্ছে তোমাদের ওই কলোনী গুলো ছাড়তে হবে। কারন তোমার ওই কলোনী টেকাতে গাঁটের টাকা আর অস্ত্র আমরা খরচ করবো না। এই বলে রুজভেল্ট সাতটি পয়েন্ট দিলেনঃ
অর্থাৎ চার্চিলকে বল্লেন মশাই -ভারতে বৃটিশ রাজের অবসান ঘটাতেই হবে। চার্চিল কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। এদিকে গান্ধী দুটি পত্র লিখলেন চার্চিল এবং রুজভেল্টকে । রুজভেল্ট চার্চিলকে বোঝালেন যে ভারতের সাহায্য দরকার। চার্চিল কিছুতেই রাজী
হচ্ছিলেন না। গান্ধী রাজনীতি বুঝতেন কম। যখন দেখলেন তিন নাম্বার পয়েন্ট নিয়ে কারুর আগ্রহ নেই-
উনি বল্লেন ধুস-
তোরা ভারত থেকে বের হ।
চার্চিল টেলিগ্রাম করলেন রুজভেল্টকে-বলেছিলাম না, বুড়োটাকে বিশ্বাস করো না।
এদিকে রুজভেল্ট ত হাঁ। উনি চার্চিলের সাথে যতবার দেখা হয়েছে, ভারতের স্বাধীনতার জন্যে চাপ দিয়েছেন। লজিক, ভারত বিশ্বযুদ্ধে সাহায্য করবে। গান্ধী বেঁকে বসায়, উনি পড়লেন বিপাকে। যাইহোক, রুজভেল্ট বল্লেন আগে সাইন ত করো-পরে দেখা যাবে।
এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ান তখন গোটা পূর্ব ইউরোপের দিকে চোখ রেখেছে। এটা ইউ এন রিজোল্যুউশন হলে মুশকিল হয়ে যাবে।
নিজের স্বার্থে সোভিয়েত ইউনিয়ান তিন নাম্বার পয়েন্টের বিরোধিতা করেছিল।
অর্থাৎ ইতিহাস সাক্ষী, সোভিয়েত ইউনিয়ান ছিল ভারতের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আর আমেরিকা ছিল ভারতের স্বাধীনতার জন্য সব থেকে বেশী ভোকাল এবং চার্চিলকে চাপ দিচ্ছিল।
বেসিক্যালি কিছুটা সত্য নির্ভর উপন্যাস-যা শাসক শ্রেনী নিজেদের মতন করে লেখে। এই ব্যপারে কেউ ব্যতিক্রম না। যেমন কংগ্রেস ভারতের শাসক শ্রেণী ছিল বলে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস কংগ্রেসের চোখে লেখা।
আমি ভারতে থেকেছি-জীবনের প্রথম আঠাশটি বছর। ইতিহাসে যথেষ্ঠ উৎসাহ ছিল। কিন্ত কখনো শুনি নি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে রুজভেল্ট এবং আটলান্টিক চার্টারের ভূমিকা। আমেরিকাতে এসে যখন আমেরিকান লেখকদের লেখা ইতিহাস পড়তে শুরু করলাম-তখন অন্তত এটা জলের মতন পরিস্কার হয় ভারতের স্বাধীনতার জন্য সহিংস বিপ্লবী বা গান্ধীর থেকেও সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল আটলান্টিক চার্টারের।
কি এই আটলান্টিক চার্টার ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই হিটলারের হাতে একের পর এক যুদ্ধে হেরে চার্চিল তখন কোনঠাসা। হিটলার লন্ডনে বোমা বর্ষন করেই যাচ্ছেন। না আছে অর্থ-না অস্ত্র। জার্মান ইউবোট আটলান্টিকে আমেরিকান জাহাজ ডোবাচ্ছে। বৃটেনে কিছু আনাই দায়। আমেরিকার সাহায্য না পেলে বৃটেনের ভরাডুবি সময়ের অপেক্ষা।
উইনস্টন চার্চিল , আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে বারবার তাগদা দিচ্ছিলেন যুদ্ধে নামার জন্য। রুজভেল্ট শুধু কিছু প্লেইন আর ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে খান্ত ছিলেন। আমেরিকান পাবলিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। পাশাপাশি রুজভেল্ট এটাও জানতেন যুদ্ধে নামতেই হবে। যাইহোক যুদ্ধের জন্য বৃটেনকে যে সাহায্য দিচ্ছিলেন তা ত এমনি দিতে পারেন না। রুজভেল্ট দেখলেন এই হচ্ছে মওকা। তখন বৃটেনের সমস্ত কলোনীতে ৭৫ কোটি লোকের বাস ( পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ )।
রুজভেল্ট বল্লেন দেখ বাপু চার্চিল-আমরা আমেরিকানরা গণতন্ত্র আর স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তোমার ওই বাপের জমিদারি টেকানোর জন্যত আমার ট্যাক্স পেয়ারের টাকা খরচ করতে পারি না। পার্ল হারবার তখনো হয় নি। আমেরিকা যুদ্ধে নামেনি। ফলে রুজভেল্ট বল্লেন যুদ্ধে সাহায্য করতে পারি-কিন্ত সেক্ষেত্রে আমাদের শর্ত মানতে হবে।
সেটা হচ্ছে তোমাদের ওই কলোনী গুলো ছাড়তে হবে। কারন তোমার ওই কলোনী টেকাতে গাঁটের টাকা আর অস্ত্র আমরা খরচ করবো না। এই বলে রুজভেল্ট সাতটি পয়েন্ট দিলেনঃ
- No territorial gains were to be sought by the United States or the United Kingdom;
- territorial adjustments must be in accord with the wishes of the peoples concerned;
- all people had a right to self-determination;
- trade barriers were to be lowered;
- there was to be global economic cooperation and advancement of social welfare;
- the participants would work for a world free of want and fear;
- the participants would work for freedom of the seas;
- there was to be disarmament of aggressor nations, and a post-war common disarmament.
অর্থাৎ চার্চিলকে বল্লেন মশাই -ভারতে বৃটিশ রাজের অবসান ঘটাতেই হবে। চার্চিল কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। এদিকে গান্ধী দুটি পত্র লিখলেন চার্চিল এবং রুজভেল্টকে । রুজভেল্ট চার্চিলকে বোঝালেন যে ভারতের সাহায্য দরকার। চার্চিল কিছুতেই রাজী
হচ্ছিলেন না। গান্ধী রাজনীতি বুঝতেন কম। যখন দেখলেন তিন নাম্বার পয়েন্ট নিয়ে কারুর আগ্রহ নেই-
উনি বল্লেন ধুস-
তোরা ভারত থেকে বের হ।
চার্চিল টেলিগ্রাম করলেন রুজভেল্টকে-বলেছিলাম না, বুড়োটাকে বিশ্বাস করো না।
এদিকে রুজভেল্ট ত হাঁ। উনি চার্চিলের সাথে যতবার দেখা হয়েছে, ভারতের স্বাধীনতার জন্যে চাপ দিয়েছেন। লজিক, ভারত বিশ্বযুদ্ধে সাহায্য করবে। গান্ধী বেঁকে বসায়, উনি পড়লেন বিপাকে। যাইহোক, রুজভেল্ট বল্লেন আগে সাইন ত করো-পরে দেখা যাবে।
এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ান তখন গোটা পূর্ব ইউরোপের দিকে চোখ রেখেছে। এটা ইউ এন রিজোল্যুউশন হলে মুশকিল হয়ে যাবে।
নিজের স্বার্থে সোভিয়েত ইউনিয়ান তিন নাম্বার পয়েন্টের বিরোধিতা করেছিল।
অর্থাৎ ইতিহাস সাক্ষী, সোভিয়েত ইউনিয়ান ছিল ভারতের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আর আমেরিকা ছিল ভারতের স্বাধীনতার জন্য সব থেকে বেশী ভোকাল এবং চার্চিলকে চাপ দিচ্ছিল।
- অবশ্য নেহেরুর কমিউনিস্ট প্রীতির জন্য স্বাধীনতার পরে ভারত রাশিয়ার বন্ধু এবং আমেরিকার শত্রু হিসাবেই উদয় হবে। এবং সেটার কারন আমেরিকা ও ভারতের ভুল বিদেশ নীতি।
No comments:
Post a Comment