Friday, June 26, 2009

পশ্চিম বঙ্গে আরো ৩০০ টি নতুন মাদ্রাসা? এই নির্লজ্জ সংখ্যালঘু তোষন আর কত দিন?


ভারত বর্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার একটি ইতিহাস আছে। একমাত্র ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্থান ছাড়া, বাকি কোন দেশে এই মাদ্রাসা বস্তুটির 'ব্যাপক' প্রচলন নেই। মেকলের আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা মুসললানরা গ্রহন করে নি। ফলে বিংশ শতাব্দির শুরুর দিক থেকেই 'ইসলামি' শিক্ষা ব্যাবস্থার পুনঃজীবনে সরকার কতৃক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা স্বীকৃত হয়। স্বাধীনতার পরে পাকিস্থান ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে আত্মঃপ্রকাশ করলে-ভারত এবং পাকিস্থান উভয় রাষ্ট্রেই মুসলিমদের জন্যে অলটারনেটিভ শিক্ষাব্যাবস্থা হিসাবে মাদ্রাসাতে প্রচুর সরকারি অনুদান আসতে থাকে। তবুও ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে মাদ্রাসার ব্যাপক কোন রমরমা ছিল না। ১৯৭৮ সালে জেনারেল জিয়াউল হক, সেকুলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে, মাদ্রাসার মাশরুম চাষ শুরু করেন। যার ফল আজকের তালিবানরা। ভারতে মাদ্রাসার বাড়ন্ত এই ভাবে ছিল না। ১৯৮০ সাল থেকে তেলের দাম বাড়তে থাকায় সৌদি আরব থেকে হানিফি মাদ্রাসাগুলির জন্যে ব্যাপক অর্থ সাহায্য আসতে থাকে। মধ্য প্রাচ্য থেকে অনুদান লাভের আশায় গোটা দেশেই বেয়াইনি মাদ্রাসা খুলতে থাকে প্রায় প্রতিটি গ্রামে। এর ফল হয়েছে মারাত্মক। আমি নিজেই দেখেছি আমাদের নদীয়া মুর্শিদাবাদ জেলাগুলিতে আগে মুসলমানদের মধ্যে আলাদা সংস্কৃতি বা নামাজ পড়া, রোজা রাখার চল খুব বেশী ছিল না। এই সব মাদ্রসার গুলি প্রবল ইসলামিক সংস্কৃতি ( যা আসলে মধ্যযুগীয় আরব সংস্কৃতি) প্রান্তিক গ্রাম গুলিতে চাপানোর চেষ্টা করছে। পঞ্চায়েত বসিয়ে পরকীয়ার জন্যে ফাইন, বিয়ে শাদি ভাঙা-ইত্যাদি তালিবানি যাতীয় কাজ মুর্শিবাদা জেলায় অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে গত দশ বছরে। এর পেছনে এই সব নতুন মাদ্রাসাগুলির ভুমিকা অনস্বীকার্য্য। সোজা কথায় মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবানিকরন চলছে এবং এর পেছনে মাদ্রাসা গুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য্য।

এই পটভূমিকায় সরকার বাহাদুর কি করছেন? ৪২০ টি সরকারি মাদ্রাসা আছে, তার ওপর আরো ৩০০ টি মাদ্রাসা খোলা হবে বলে আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে-পশ্চিম বঙ্গে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ২৬০০ এর মতন। আরো অন্তত ১০০০ স্কুল এখনি দরকার-কারন প্রত্যেক স্কুলেই কাঠামো বা যথেষ্ঠ শিক্ষকের অভাব আছে। কিন্ত গত ১০ বছরে রাজ্যসরকার কটা নতুন স্কুল খুলেছেন? সংখ্যাটা ৫০ ও ছাড়াবে না। অথচ ৩০০ টি মাদ্রসা খোলার মচ্ছব উনারা শুরু করলেন। কারন অবশ্যি আমরা জানি। মুসলিম ভোট মমতার দিকে চলে গেছে। এতেব
সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার জন্যে সাধারন ট্যাক্স পেয়ারদের সবটাকা উনারা শেষ করবেন। কারন ট্যাক্স পেয়ারদের টাকা কিভাবে খরচ হবে, সেটাত উনাদের হাতে!
মুসলিমরা শিক্ষায় পিছিয়ে আছে। একথা অস্বীকার করা যায় না। সুতরাং মুসলিম অধ্যুশিত এলাকা গুলিতে সরকারি স্কুল খুলুক সরকার। কেও ত আপত্তি করছে না। কিন্ত আমারই ট্যাক্সের টাকায় ইসলামিক শিক্ষা কেন? যেখন একথা খুব ভাল ভাবেই প্রমানিত এই মাদ্রাসা শিক্ষা ইসলামি মৌলবাদের ব্রিডিং গ্রাইন্ড!ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে তাহলে? আমাদের ট্যাক্সের টাকাই আমাদের ( এবং মুসলমানদেরও-কারন মানুষত কেও আলাদা নয়) সর্বনাশের পথ চওড়া করে খুলে দিচ্ছে সরকার।

মুসলিমদের দরকার আধুনিক শিক্ষা। অথচ মাদ্রাসা বানিয়ে তাদেরকে খোঁড়া করে দেওয়া হচ্ছে। নানান সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে তারা হয় রিক্সা টানে বা বিড়ি বাঁধে। তাহলে ট্যাক্সের টাকা খরচ করে মুসলিমদের মধ্যে কেন সরকারী স্কুল খোলা হবে না? এতে ত মুসলিম সমাজেরই সব থেকে বড় সর্বনাশ করা হচ্ছে!

আর আদর্শের কথা মুখে আনলাম না। গত বত্রিশ বছরের সিপিএমের কীর্তি-কান্ড বিচার করতে হলে, এদেরকে সার্কাস পার্টি অব ইন্ডিয়া বলে ডাকতে হয়। এরা নিজেদের ধর্ম নিরেপেক্ষ বলে দাবী করে। সরকারি স্কুল স্থাপন না করে ধর্মীয় স্কুল স্থাপন করা 'ধর্ম নিরেপেক্ষ' পার্টির কাজ? কাকে বোকা বানাতে চাই সিপিএম? এর পরের বিধান সভায় ১৫টা সিট ও পাবে না, বোকা বানানোর পুতুল নাচ এখুনি না থামালে।

সিপিএম আসলেই একটা ১০০% সাম্প্রদায়িক পার্টি। অসাম্প্রদায়িকতা মানে হল প্রতিটা সিদ্ধান্তে লোকের ধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধে উঠে কাজ করা। ভারতে মুসলমানদের জন্যে আলাদা মধ্যযুগীয় শরিয়া আইন-একটা আধুনিক রাষ্ট্রের ধর্ম নিরেপেক্ষতার ওপর সব থেকে বড় কলঙ্ক। মাদ্রাসা শিক্ষাও ধর্ম নিরেপক্ষতার ওপর আরেকটা থাপ্পর। সিপিএমের অবস্থান পরিস্কার ভাবেই শরিয়া এবং মাদ্রসার পক্ষে।

ধর্ম নিরেপেক্ষতার নামে এই ধরনের জোকারগিরি থামালে হয় না? ভোটে যা হারার সিপিএম এমনিতেও এবার হারবে-সাথে সাথে নিজেদের মান সন্মান টুকুও এরা খোয়াবে। ৩০০ মাদ্রসা স্থাপনের সিদ্ধান্ত সিপিএমকে কমিনিউস্ট পার্টি না-আরেকটি সার্কাস পার্টি হিসাবেই ইতিহাসে প্রতিষ্ঠা দেবে।

ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

Wednesday, June 24, 2009

গৌর চক্রবর্ত্তীর গ্রেফতার এবং কিছু বামপন্থী 'গণতন্ত্র প্রেমী'র কুম্ভীরাশ্রু


মাওবাদিদের কোলকাতার মুখপাত্র শ্রী গৌর চক্কোত্তি মহাশয় গ্রেফতার হইলেন।

এতদিন কেন লাগিল এই প্রশ্ন যেমন জনসাধারন করিতেছে-ঠিক ইহার উলটোদিকে কিছু বামপন্থী গণতন্ত্রপ্রেমী গৌর চক্কোত্তির গ্রেফতারে গণতন্ত্রের অবমাননা, আপমান এবং বিপর্যয় দেখিতে পাইতেছেন। ইহারা ইরানের গণতন্ত্রপ্রেমীদের আন্দোলনে সিয়ার স্ট্যাম্প দেখিতে পান। ইরানের শত শত তরুণ তরুণী গণতন্ত্রের দাবিতে সেই দেশের কুখ্যাত মোল্লাতন্ত্রের মিলিটারীর হাতে প্রাণ হারাইতেছে-তাহাতেও ইনাদের বিবেক 'রক সলিড' রহিয়াছে। হুগো শাভেজ গত এক দশকে ভেনেজুয়েলার বিরোধি মিডিয়াকে শুলে চড়াইয়াছেন-ইহাতেও তাহাদের আপত্তি নাই কারন, তাহারা সিয়ার ডলার ফুয়েলে শাভেজের বিরোধিতা করিতেছিল, তাই শাভেজের ক্রাকডাউনে সাতখুন মাপ।
লেনিন ইহাদের পূজনীয় দেবতা-কারন তিনি রাশিয়ার প্রথম নির্বাচনে হারিয়া বিরোধি খুন করিয়া ক্ষমতা দখলের বিপ্লব ঘটাইয়াছিলেন।

কাজেই ইহারা যখন গণতন্ত্রের দোহাই পারিয়া গৌর চক্রবর্ত্তীর ন্যায় খুনে রাজনীতির হোতাদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করিবার ডাক দেন, ভিরমি খাইতে থাকি! ফ্ল্যাশবাকে দেখিতে ইচ্ছা করে, ইহারা গণতন্ত্র বলিতে নিশ্চিত ভাবেই স্ট্যালিনের মৃত্যুপরীর কবরখানার কঙ্কালগুলিকে বিদ্রুপ করিতেছেন।

(১) প্রথমেই তাত্ত্বিক প্রশ্নটি করিতে হইব। পরম স্বাধীনতা বস্তুটি অলীক-তাহা হইলে গণতন্ত্রে ব্যাক্তিস্বাধীনতার লিমিটটি কি হইবে? জন স্টুয়ার্ট মিল, যার দর্শন আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আইনের ভিত্তিভূমি, তাহার বক্তব্য (On Liberty ) অনুযায়ী ব্যাক্তি স্বাধীনতা রাষ্ট্র কখনোই খর্ব করিতে পারে না। শুধু একটি শর্তেই রাষ্ট্র ব্যাক্তিস্বাধীনতা খর্ব করিয়া ব্যাক্তির ওপর 'পুলিশগিরি' করিতে পারে। সেই শর্তটি হইতেছে, সেই ব্যাক্তি যখন রাষ্ট্রের অন্য নাগরিকের জন্যে 'বিপজ্জনক'-অর্থাৎ খুনী বা গুন্ডাদের এই স্বাধীনতা থাকিতে পারে না।

প্রশ্ন উঠিবে ইহাতে নতুনত্ব কিছু নাই। সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যে, দরিদ্রের মুখে খাদ্য জোগাইবার বিপ্লবের জন্যে খুনী বা গুন্ডা হইলে, গণতন্ত্র কেন তাহাকে মাফ করিবে না?

আপাত দৃষ্টিতে ইতিহাস না জানিলে এই বক্তব্যের মোহ এবং আবেদন দুর্দম। দরিদ্রনারায়ণের সেবা করিবার নাম করিয়া, গত বিংশ শতাব্দীতে কমিনিউস্টরা যত খুন করিয়াছে, চেঙ্গিস খান, বৃটিশ, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ সব একত্রিত করিলেও, তাহার সমগোত্রে আসিতে পারিবে না। এই জন্যেই স্যার কার্ল পপার বলিতেন এই পৃথিবীতে স্বর্গ স্থাপন করিবার নামেই যাবতীয় নারকীয় কান্ডগুলি সংগঠিত হইয়াছে।

এ কথা ভুলিলে চলিবে না হিটলারের নাজি পার্টির উত্থানের পশ্চাতেও সেই একই গরীব দরদী কান্না। হিটলার মেইন ক্যাম্পের অধিকাংশ স্থলে জার্মানীর দরিদ্রসাধারন কেমন দুঃখ কষ্টে কাটাইতেছে এবং জাতীয়তাবাদি সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে কেমন করিয়া তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে জার্মানীর সবাইকে সাম্যবাদে দিক্ষিত করিবেন, তাহা প্রচার করিয়াছিলেন। মুশোলিনীও সেই একই প্রতিশ্রুতি শুনাইয়াছিলেন। তাহার ব্যার্থ হইয়াছিলেন তাহা বলিব কি? বস্তুত ১৯৩৩-১৯৪৩ এই দশ বছরে জার্মানী যত বস্তুবাদি উন্নতি করিয়াছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে আর কেহ দেখাইতে পারে নাই।

গরীবের বস্তুবাদি উন্নতিই যদি শেষ গন্তব্যস্থল হইবে, তাহা হইলে আমরা হিটলার বা মুসোলিনীর পথ লইতেছি না কেন? ইতিহাস অনুযায়ী গরীবদের বস্তবাদি উন্নয়নে হিটলারের সাফল্য স্ট্যালিনের শতগুন। হিটলারের জার্মানীতে খাদ্যাভাব হইত না-কিন্ত স্ট্যালিনের সোভিয়েত [১৯২৩-৫৩] সাংঘাতিক ভাবেই দুর্ভিক্ষ পীড়িত ছিল যাহাতে নূন্যতম ছকোটি লোক প্রান বিসর্জন দিতে বাধ্য হইয়াছে।

তাহা হইলে দেখা যাইতেছে গরীবের বস্তুবাদি উন্নয়ন আমাদের আশু কার্য্য বটে-কিন্ত তাহা অমানবিক পথে, রক্তের পথে কাম্য না। কেন না তাহা হইলে হিটলার কি দোষ করিল? এই কারনেই স্যার পপার ইতিহাসকে সাক্ষ্য করিয়া বলিতেন, লোক মারিয়া, রক্তপাত ঘটাইয়া, লাখে লাখে জনসাধারনকে দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলিয়া বিপ্লবী স্বর্গরাজ্যের প্রতিশ্রুতি একধরনের নরক যাত্রা। জনসাধারনের সাম্য এবং বস্তবাদি উন্নতি আমাদের সবার কাম্য এবং তাহা গণতন্ত্রের পথে ধাপে ধাপেই করিতে হইবে।

ইহা না করিয়া সাম্যবাদের নামে রক্তাত্ব বিপ্লব ঘটাইবার চেষ্টা করিলে মাওবাদিদের দশা হইবে। যাহারা তোলাবাজি হইতে লস্কর-ই-তৈবা, আই এস আই হইতে হুজি, জাল নোট হইতে আফিঙের ব্যাবসা, যাবতীয় রাষ্ট্রবিরোধি, জনবিরোধি কুর্কম করিয়া জন সাধারনের চক্ষে সন্ত্রাসবাদি এবং ঘৃণ্য।

[২] জন বিপ্লব আসলেই এক ধরনের রোম্যান্টিক গল্প। ইতিহাস খুব গভীরে ঘাঁটিলে দেখা যাইবে ফরাসী বিপ্লবের ফলে ফরাসী জনগণের বিশেষ কিছু পরিবর্ত্তন হয় নাই। ষোড়শ লুই এর বদলের আরো স্বৈরাচারী সম্রাট নেপোলিয়ান সিংহাসনে বসিয়া ছিল। বলশেভিক বিপ্লবের ফলে জারের পরিবর্ত্তে শতগুন স্বৈরাচারী শাসক স্ট্যালিনের এক নায়কতন্ত্র আসিয়াছিল। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের ফলে বৃটেনে যে গণতান্ত্রিক পরিবর্ত্তন সুচীত হয়, তাহার ফল গোটা পৃথিবী আজও ভোগ করিতেছে। ওবামা যে গণবিপ্লব ঘটাইলেন, তাহাতে বন্দুকের প্রয়োজন হয় নাই। ফেসবুক, মাইস্পেসের আধুনিক প্রযুক্তিই তাহাকে জনবিপ্লবের চাবিকাঠি প্রদান করিয়াছে। ওবামা ইহা মুক্ত চিত্তে স্বীকার করিয়াছেন।

ইতিহাসের ধোঁয়াশা সরাইলে দেখা যাইবে জন বিপ্লবের ইতিহাস আসলেই অতি রঞ্জিত। প্রযুক্তি বিপ্লব ব্যাতিত - অর্থাৎ উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্ত্তন না হইলে সমাজের বিবর্তন -তাহা রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক যাহাই হৌক না কেন-সম্পূর্ন ভাবেই অসম্ভব। সুতরাং সেই জনবিপ্লবের আফিঙ খাইয়া যাহারা মানুষ খুন করিতে চাহিতেছেন, তাহাদের কোন সুস্থ সমাজেই স্থান হইতে পারে না। তাহাদের নির্দিষ্ট স্থান কারাগারে। কেবল, স্যালেটাইট মিডিয়া আসিয়া গত ১০ বছরে ভারতে যে গণতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটাইয়াছে, -- নক্সালরা ১০০ বছর বন্দুক লইয়া গেছো মাওবাদি অবতারে ত্রিশঙ্কুর ন্যায় ঝুলিয়া থাকিয়া, তাহার ১% বিপ্লব ঘটাইতে অক্ষম। ইহাই ইতিহাসের প্রকৃত শিক্ষা, এবং প্রকৃত মার্ক্সবাদি বিশ্লেষন।

[৩] গণতন্ত্রকে ফ্যাসিজমে বিশ্বাসী যাবতীয় শক্তি হইতে রক্ষা করিতে হইবে। ফ্যসিজমের রঙ লাল ( কমিউনিউজম ), সবুজ (ইসলাম) বা গেরুয়া ( হিন্দু) যাহাই হোক না কেন ইহাদের কার্যকলাপে পার্থক্য নাই। রাজ ঠাকরের সাথে কিশানজির পার্থক্য কোথায়? ইহারা সবাই ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণু এবং নিজের মত অন্যের ওপরে চাপাইবার জন্যে বিরোধিদের খুন করিতে পিছপা হন না। গরীব মারাঠাদের জীবিকার জন্যে আন্দোলন শিবসেনাও অনেকদিন হইতেই করিতেছে। বরং শিব সেনা জালনোট, আফিঙ পাচার বা লস্করের সাথে জড়াইয়া ভারত বিরোধি কার্যকলাপ করিবে না। তাহাদের দেশদ্রোহী কার্যকলাপ বিহারী বিতড়নেই সীমাবদ্ধ। লস্করের সাথেই বা মাওবাদিদের পার্থক্য কোথায়?? আফিঙের ব্যাবসা আর আই এস আই এর সাথে মৌতাত-দরিদ্র নারায়নের তরে একবাটি কাঁটিলে স্থলন হইবে কি?

লস্কর হইতে মাওবাদি-সর্বত্র এই কুকর্ম দরিদ্র নারায়নের সেবার নামেই চালনা করা হয় ( মনে রাখিবেন, ইসলামের অপর নাম দ্বীন-অর্থাৎ গরীবের ধর্ম)। লস্করের যাবতীয় কর্ম এবং কুর্কম- পাকিস্থানের প্রান্তিক দরিদ্র লোকদের জন্যেই পরিচালিত।

অর্থাৎ একজন লস্করের জঙ্গী যতটা ভারত বিরোধি, এই গৌরও ঠিক দেশের জন্যে ততটাই বিপজ্জনক। নিজেদের রাষ্ট্রদোহী লোকজন বিদেশী জঙ্গীদের থেকে আরো বেশী ভয়ঙ্কর। সুতরাং কঠোর শাস্তিই তার প্রাপ্য।

গরীব বন্ধু এমন ধোঁয়াশা মনে না থাকাই ভাল। কারন ফ্যাসিজম ( লাল, সবুজ বা গেরুয়া) গরীবের বন্ধু সেজেই আসে। ইতিহাসের কঠোর এবং বাস্তব শিক্ষা সেটাই।

Tuesday, June 16, 2009

ইরাণের গণতান্ত্রিক বিপ্লব স্বাগত


মীর হোসেন মৌসাবী। আহমেদাঞ্জীর বিরুদ্ধে ৬৫ বছরের এই ভদ্রলোক এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। না ইরানের মোল্লাতন্ত্রকে শেষ করতে না-কট্ট্রর পন্থীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। তাকে ভোটে হারানো হল বা সত্যি সত্যিই তিনি হয়ত হেরেছেন-কিন্ত আহমেদাঞ্জির বিরুদ্ধে ফেটে পরেছে গোটা ইরান। মৌসাবী যেসব দাবীগুলি নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছেন, সেগুলি ইরানিয়ানদের মনের কথা-ফলে ইরানের অত্যাচারি মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রকৃত গণতন্ত্রের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে ইরানের আপামর জনগণ।

মৌসাবীর দাবিতে কেন ফেটে পরেছে ইরান? কারনটা খুব সহজ। প্রথমটা তেলের দাম। তেলের দাম যদ্দিন খুব বেশী ছিল, ইরানের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর চালানো সমস্যা হয় নি আহমেদিঞ্জার। তেলের অর্থেই চাপা পরে যাচ্ছিল ইরানে শিক্ষিত যুবকদের ২৫% বেকার। ইনফ্লেশন সাংঘাতিক বেশী-সেটাও সমস্যা হয় নি-তেলের বর্ধিত অর্থেই শ্রমিকদের মাইনে বাড়িয়েছেন আহমেদাঞ্জি। কিন্ত তেলের দাম ক্রাশ করতেই সেই ম্যাজিক শেষ। ইরান প্রায় দুর্ভিক্ষের সামনে। তেলের বর্ধিত অর্থে অর্থনীতিকে না বাড়িয়ে মিলিটারী আর সমর সজ্জাকে বাড়িয়ে চলেছিলেন আহমেদাঞ্জি। আমেরিকার সাথে টেক্কা নিতে হবে। ভাল কথা। ওই টেক্কা নিতে গিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ানও উলটেছে। এবং সেই একই কারন। মানুষের খাদ্য, স্বাস্থ্য বাসস্থান এবং শিক্ষার দাবীগুলী না মিটিয়ে জঙ্গীপনা করতে গেলে, তা বেশীদিন টেকে না। অভুক্ত জনগনের গনবিপ্লবেই সেই ফ্যাসিস্ট জমানা ধ্বংশ হতে বাধ্য। এই কারনেই ধ্বংশ হয়ে গেছে যাবতীয় অত্যাচারী কমিনিউস্ট সরকার-এবার মোল্লাদের পালা।

মৌসাবীর দাবীগুলি ইরানের জনগনের অনেক দিনের দাবী
(১) নর-নারী সমানাধিকার। শাহ পল্লবির আমলে ইরানের নারীরা ছেলেদের সমান অধিকার ভোগ করত। কিন্ত ১৯৮০ সাল থেকে তাদের অধিকার কমতে কমতে আজ এমন জায়গায় এসেছে, যেকোন পুরুষ তিন তালাকে বিনা খোরপোশে বৌ তাড়াতে পারে। শুধু তাই না-নিজের ছেলেমেয়েদের ওপর ইরানের মেয়েদের কোন অধিকার নেই। যেকোন পুরুষ তার বৌকে ছেলে মেয়ের কাছ থেকে যেকোন দিন তাড়াতে পারে-কোন খরপোশ ছারাই।

এইসব ড্রাকোনিয়ান শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে ইরানের মেয়েরা রাস্তায় নেমেছে-কিন্ত ২০০৭ সালে ৬৪ জন নারীনেত্রীকে কারাগারে পাঠিয়ে মেয়েদেরকে আদিম পুরুষতন্ত্রের দাসী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আহমেদাঞ্জি। ফলে দেখা যাচ্ছে বর্তমান বিক্ষোভে, একদম প্রথম সারিতে আছে ইরানিয়ান মেয়েরা।

(২) অর্থনৈতিক সংস্কার-আগেই লিখলাম। তেলেরা দাম যদ্দিন বেশী ছিল-কেও ভাবে নি। তেলের দাম কমাতে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ ইরান-কারন আহমেদাঞ্জী সব কিছুই প্রায় জাতীয়করন করেছেন। অর্থাৎ ইরাণে প্রায় সবকিছুই পাবলিক কোম্পানী চালায়-সেটা এমনিতে খারাপ না। কিন্ত সব পাব্লিক কোম্পানীই লসে চলে। সেই লস পুরন হত তেলের টাকায়। এবার তেলের কোম্পানীগুলো লস করা শুরু করলে, তখন সমাজতন্ত্র কোথায় পালাবে? ফ্রি লাঞ্চত দীর্ঘদীন চলে না। এর ওপর সবার মাইনে বাড়িয়েছেন আহমেদাঞ্জি। কিন্ত টাকাটাত আসে তেলের লাভ থেকে। ফলে বর্তমানে ইরানে ভয়াবহ ইনফ্লেশন। বেকারত্ব।

(৩) নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের হাতে মিলিটারী এবং পুলিশঃ ইরানের গণতন্ত্র আজব বস্তু। এখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা পার্লামেন্টের হাতে মিলিটারী ক্ষমতা নেই। তা আছে মোল্লাদের নির্বাচিত অভিভাবক কাউন্সিলের হাতে। অর্থাৎ তারাই দন্ডমুন্ডের কর্তা।যেকোন মুহুর্তে ফেলে দিতে পারে নির্বাচিত সরকারকে। কারন মিলিটারী তাদের হাতে। অর্থাৎ দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এখানে মোল্লাদের পুতুল হয়ে কাজ করতে হয়। এই জন্যেই ইরানের গণতন্রকে বর্হিবিশ্ব ঠাট্টা করে মোল্লাতন্ত্র বলে।

(৪) দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই-খাটামি আহমেদিঞ্জার কাছে হেরেছিলেন এই ইস্যুতেই। খাটামি বিদেশীদের চোখে সংস্কারপন্থী বটে -কিন্ত ইরানীদের চোখে চোর। আহমেদিঞ্জা কাটমোল্লা হলেও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অসৎ না। কিন্ত সমাজতান্ত্রিক কোন রাজনৈতিক সিস্টেমকে সৎ রাখা অসম্ভব। ইরানেও তাই হয়েছে। আমি যদ্দুর জানি ওখানে সরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া থেকে শুরু করে-স্কুলে ভর্ত্তি-সর্বত্রই ঘুঁশ চালু আছে। ফলে আহমেদাঞ্জি নিজে দুর্নীতি বিরুদ্ধে লড়াই করে এলেও এই ইস্যুতে, এবার সবাই তার বিরুদ্ধে।

যাইহোক যেভাবে কমিনিউজম ভেঙে পড়েছিল-সেই ভাবেই আরেকটি সেমি ফ্যাসিস্ট সিস্টেম ইরানের মোল্লাতন্ত্রের ও পতন হবে। কারন হুবহু এক। মানুষের মৌলিক দাবী-খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, শক্তি-এসব নিশ্চিত না করতে পারলে, সব পলিটিক্যাল সিস্টেমই ব্যার্থ হবে। আর ঠিক এই কারনেই গণতন্ত্র এবং ধণতন্ত্র জিতে যায়। কারন যখনই কোন ফ্যাসিস্ট সিস্টেম মৌলিক দাবীগুলি পূরণ করার সমস্যায় ভোগে- অর্তাৎ ক্রাইসিস ফেস করে-তারা মানুষকে টুটি চেপে রেখে তাকে অভুক্ত রাখে। কিন্ত গণতন্ত্রে মানুষ ভোটবাক্সের মাধ্যমে, সিস্টেমকে তাও একটু হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

সেই কারনে ইরাণের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষকে জানায় সংগামী অভিনন্দন। গনতন্ত্রের জোয়ারে পৃথিবীর সব ফ্যাসিস্ট সিস্টেমের পতন হৌক।

Tuesday, June 9, 2009

অপদার্থ বিদেশ মন্ত্রক এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ছাত্রদের ওপর রেসিস্ট আক্রমন


আধুনিক জৈব বিজ্ঞানীরা বলছেন বর্ণবৈষম্য মানব সমাজবিবর্তনের বহিঃপ্রকাশ। সমাজবিজ্ঞানীরা অনেকেই এই দাবী নস্যাৎ করে দেখিয়েছেন, বর্নবৈষ্যমের মূল উৎস পারিবারিক শিক্ষা। আমেরিকার কয়েকটি শহরে, একই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির ( সাদা ককেশিয়ান) ওপর সমীক্ষা চালিয়ে, বিজ্ঞানীরা প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ -



  • উচ্চশিক্ষিত পরিবারের ছেলেদের মধ্যে বর্ণ বৈষ্যমের হার কম।

  • বাবা/মা দুজনেই বৈষম্যবাদি হলে, ছেলে মেয়েদের ৯০% বাবা-মায়ের মতন ঘৃণা করবে অন্য জাতিকে

  • সাধারণত ১৪ বছর বয়সের মধ্যেই ছেলে/মেয়েদের চেতনাবুদ্ধি আসে-তারা বৈষম্যবাদের পথে যাবে, না উদারপন্থী হবে।

অর্থাৎ বর্ণবৈষম্যে শিক্ষা এবং পারিবারিক অবস্থান ভীষন গুরুত্বপূর্ন। একটি জাতি বা দেশকে হঠাৎ করে রেশিস্ট বলারা আগে পটভূমি জানা বিশেষ প্রয়োজন। ইদানিং প্রায় সব পেপারেই অসিদের বর্ণ বৈষম্য নিয়ে ঢালাও করে লেখা হচ্ছে-কিন্ত ডামাডোলে চাপা পরে যাচ্ছে আমাদের বিদেশ মন্ত্রকের ব্যার্থতা।


গত এক বছরে শুধু ভিক্টরিয়া প্রদেশেই ভারতীয় ছাত্রদের ওপর ১০০০ টির ও বেশী আক্রমন হয়েছে। মেলবোর্নে ভারতীয় ছাত্ররা অসি বর্ণ বিদ্বেশী গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচতে কাঊন্টার একশন টিম তৈরী করেছে, কারন তারা বুঝে গেছে পুলিশ তাদের প্রতিরক্ষা দেবে না। বা ইচ্ছাটাই নেই। তা সে প্রধান মন্ত্রী কেভিন রুড বা উপপ্রধান মন্ত্রী জুলিয়া গুলার্ড যতই দুঃখ প্রকাশ করে নিজেদের হাত ধুয়ে ফেলুন না কেন। এদিকে অসি পেপারগুলো অহরাত্র প্রচার চালাচ্ছে এগুলো শ্রেফ গুন্ডামো-এর সাথে বৈষম্যের সম্পর্ক নেই! ১০০০টা আক্রমনের প্রতিটিই কাকতলীয়!


সমস্যাটা এখানেই। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ছাত্র ছিল ৭০০০, আজ তা বেড়ে ৬০,০০০। এই ছাত্রদের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়ার আয় ১৩ বিলিয়ান ডলার। অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় ছাত্ররা সাধারনত মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির। অধিকাংশই মধ্যমমেধার-অস্ট্রেলিয়াতেই থেকে যেতে এসেছে। উচ্চবিত্ত বা ভারতীয় মেধাবী ছাত্রদের প্রথম পছন্দ আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়। আজকাল ভারতও উচ্চশিক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার ওপরেই আছে। সুতরাং যেসব ভারতীয় যাচ্ছে, তাদের সবাই আসলে অস্ট্রেলিয়াতে কিছু ডলার উপায় করার জন্যেই আসে। এই কারনে এরা খুব সস্তার শহরতলিতে থাকতে বাধ্য হয়। কখনো একটা ঘরে ১২ জন থাকে। আর গোটা বিশ্বেই, এইসব গরীব শহরতলিগুলিতে মার-দাঙ্গা রাহাজানি বেশী। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে, এই সব মার-দাঙ্গা-রাহাজানি, ভারতীয় ছাত্রদের ওপর কেন?


কারনটা অবশ্যই সহজ। ইজি টারগেট। নতুন এসেছে। রাস্তাঘাট ভাল করে জানে না। তারপরে অসিদের তুলনায় ভারতীয়দের শরীরও খুব দুর্বল। ফলে রাহাজানি, গুন্ডামো করার জন্যে এর থেকে ভাল টার্গেট গ্রুপ কোথায় পাবে? ফলে প্রতি মাসেই শয়ে শয়ে ভারতীয় ছাত্ররা গুন্ডা দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রমনের সাথে রেশিয়াল গালাগালি, যা অসিদের ট্রেডমার্ক, তাই বা বাদ যায় কেন?


রেশিস্ট গালাগাল দিয়ে ছিনতাই, রাহাজানি করছে বলেই, অসিদের রেশিস্ট বলছি না। বা ভারতীয় ছাত্ররাও দাবি করছে না। তার বলছে অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং পরোক্ষে এতে মদত দেওয়াতে স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে তাদের দেশে ভারতীয় ছাত্ররা স্বাগতম না। মার খাওয়া অবস্থায় পুলিশের কাছে গেলে, পুলিশ বলছে পকেটে ডলার রাখুন। বুঝুন অবস্থা। এত সরাসরি ছিনতাইবাজ গুন্ডাদের মদত দেওয়া হচ্ছে।


প্রশ্ন হচ্ছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কি করছে? ভাইলার রবিকে এই দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে-প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেভিন রুডের সাথে কথা বলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারকে কয়েকবার ডেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। কৃষ্ণা আজই দেখলাম বলেছেন, পালটা মারের দিকে না গিয়ে, ছাত্ররা পড়াশোনাতে মন দিক। কি বিপদ! ছাত্রদের কাজ করে পেটের ভাত যোগার করতে হয়।নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থে টিউশন ফি ভর্ত্তি করে তারা। সব আক্রমন গুলো হয়েছে রাতের দিকে-যখন তারা কাজ করে ফেরে। দিনে এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়-রাতে রেষ্টুরেন্টে কাজ করে বা গাড়ী চালিয়ে পয়সা রোজগার করে। মহামান্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি একবার ও ভেবেছেন বা জানেন, তাদের কেওই আজকাল রাতে কাজ করার সাহস পাচ্ছে না? ফলে পড়াশোনাও শিকেই উঠেছে।


আমাদের একটি পোষাকি প্রবাসী ভারতীয় মন্ত্রক আছে- মন্ত্রীটির নাম ভাইলার রবি। আমি গতবার দিল্লীতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, প্রবাসীরা দেশে এত টাকা পাঠায়-আর বিদেশে মার খেলে, এম্বাসীগুলোর টিকি দেখা যায় না। উনি বল্লেন, এসব মিথ্যে অপপ্রচার।


অস্ট্রেলিয়ায় আমরা কি দেখছি? পুলিশ কিছু সাহায্য করলো না, ওরা ভারতীয় এম্বাসীতে জানালো। ব্যাস সেখানেই ইতি। তারপরে এম্বাসী দায়ছাড়া ভাবে হিস হাইনেসের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েই খালাস-একবারও স্থানীয় পুলিশ কর্ত্তা বা রাজনীতিবিদদের সাথে বসে, ছাত্রদের নিরাপত্তার দাবীটা ঠিক ঠাক করে তোলেই নি। খানা-পিনা-আর পার্টি করতে করতে প্রায় সব ভারতীয় দূতাবাসই তাদের আসল দ্বায়িত্ব ভুলে যায়। আর ভাইলার রবি বলবেন আমি আছি-আমাকে ফোন করলেই হবে! যতসব সার্কাস।


আর ভদ্র অস্ট্রেলিয়ানরা ? বাইরে অস্ট্রেলিয়ার ইমেজ নিয়ে তারাও চিন্তিতও। এবং কেও কেও ধামাচাপা দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করছেন। ঘটনা ঘটছে হাজারে হাজারে-আর দুয়েকটা ভিডিও তুলে দেখানো হচ্ছে আসলে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা এই কাজ করছে।


পচা মাছ কি আর এইভাবে শাক দিয়ে ঢাকা যায়?








Wednesday, June 3, 2009

তিয়ানানমেন গণঅভ্যুত্থানের ২০ বছর



পিপল লিবারেশন আর্মির ট্যাঙ্কের সারির সামনে যে অকুতোভয় ছেলেটি দাঁড়িয়ে সে ১৯ বছরের এক ছাত্র-ওয়াং ওয়েলিং।