Monday, March 13, 2017

বামজনতা কহিলা বিষাদে!

(১)

বলছিলাম–
না, থাক্ গে!
কী আসে যায় হাতে নাতে
প্রমাণ এবং সাক্ষ্যে।

মোড়লেরা ব্যস্ত বেজায়
যে যার কোলে ঝোল টানতে।
সারটা দেশ হাপিত্যেশে,
পান্তা ফুরোয় নুন আনতে। ( সুভাষ মুখোপাধ্যায়)


 আমেরিকাতে ট্রাম্প, ভারতে মোদি। লিব্যারালদের এবড় কঠিন সময়, গভীর দুঃখের দিন। 

 বামজনতা, লিব্যারাল জনতার এমন করুণ অবস্থা কেন-সেটা বিশ্লেষন করা জরুরী।

 উদাহরন দিয়ে শুরু করি। 

 দুদিন আগে মোদি কোন একটা জনসভায় বলেছিলেন, হার্ভাডের ডিগ্রির থেকে হার্ড ওয়ার্ক জরুরী। ভারতের অর্থনীতির দিক ঘোরাতে, বুঝতে। যথারীতি এলিট শ্রেনী কটাক্ষ শুরু করে।  মোদির উদ্দেশ্য ছিল অমর্ত্যসেনের বক্তব্যর বিরুদ্ধে।  অমর্ত্য সেন সহ অনেক অর্থনীতিবিদই মন্তব্য করেছিলেন ডিমনেটাইজেশনের ফলে ভারতের অর্থনীতির ক্ষতি হবে।

 অমর্ত্যসেন তার বক্তব্য রাখতেই পারেন। সমস্যা হচ্ছে এই যে অর্থনীতি গণিতের দৃষ্টিতে একটি জটিল সিস্টেম-এবং অর্থনীতির ভবিষ্যতবানী হাজারটা নোবেল লরিয়েট একসাথে বসে অঙ্ক করলেও বলতে পারবে না।  ভারতের মতন এমন জটিল একটা অর্থনীতির দেশে ওই ভাবে কোন ভবিষ্যতবানী কি করে উনি করলেন, কেন করলেন জানি না। উনি বলতেই পারতেন এই এই কারনে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে-কিন্ত এই এই কারনে উলটে লাভ ও হতে পারে।  আমি এই জন্যেই এটা লিখছি যে একটা জটিল সিস্টেম কি ভাবে এগোবে-তার একটা না অনেক পথ থাকতে পারে। উনার মতন একজন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ যখন ক্রিটিক্যাল দৃষ্টীভঙ্গী বাদ দিয়ে, সরাসরি ডিমনেটাইজেশনকে দুশলেন -সেটা মোটেও একাডেমিক সুল্ভ কোন বক্তব্য ছিল না। সেটা রাজনৈতিক দৃষ্টীভঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়।

 কারন ব্ল্যাকমানি ভারতের প্রগতির জন্য বিরাট সমস্যা। কোলকাতা সহ সব মেট্রোতেই হাজারে হাজারে ফ্ল্যাট উঠছে - ফ্ল্যাটের দাম একটা শহরের মধ্যবিত্তদের মিডিয়ান ইনকামের ত্রিশ গুন ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে হওয়া উচিত পাঁচ গুনের কাছাকাছি।  একটা ফ্ল্যাট ভাড়া দিলে যা পাওয়া যায়, তা ফ্ল্যাটের দা্মের দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ। ভারতের যা ইন্টারেস্ট রেট, তাতে এটা হওয়া উচিত বারো শতাংশের ওপরে ( আমেরিকাতে আট )।  অর্থাৎ সবটাই ফাটকা মার্কেট।  ভারতের রিয়াল এস্টেট অন্তত চার থেকে পাঁচগুন বেশী ইনফ্লেটেড। জমির দাম ও তাই। পশ্চিম বঙ্গে বড় রাস্তার কাছে জমি চোদ্দ থেকে কুড়ি লাখ টাকা বিঘে যাচ্ছে। সেই টাকার সুদ দুলাখ ত হবেই। এদিকে বছরে তিনবার ধান চাষ করলে সেই জমি থেকে হার্ডলি ষাট হাজার টাকার ফসল আসে। নীট লাভ কুড়ি।  সব্জি কলা চাষ হলে সেটা চল্লিশ পঞ্চাশ হয়। দু লাখ হয় না। তাহলে এই ফাটকা দাম আসে কোত্থেকে?

 ইনফ্যাক্ট মোদি ডিমনেটাইজেশন করে বেলুনটা ডিফ্লেট না করলে ভারতের অর্থনীতি বিরাট ক্রাশ করতে পারত।  নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শুধু কোলকাতার রাজারহাটেই জমির দাম কমেছে ৪০%। আরো অনেক কমবে।  মহারাষ্ট্রের ফ্ল্যাট বিক্রি কমেছে ৫০%। 

ব্ল্যাকমানির কুফল অনেক-সেসব কূটকাচালিতে যাচ্ছি না। শুধু দুটো পয়েন্ট বলি কি ভাবে এই ব্ল্যাক মানি ভিত্তিক রিয়াল এস্টেটের জন্য ভারতের ব্যবসা বাণিজ্যর সাংঘাতিক ক্ষতি হচ্ছিল। যার ফলে লং টার্মে ভারতের ব্যবসার বিশাল ক্ষতি হত। 

 কোলকাতায় রাস্তার ধারে মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ স্কোয়ারফুট দোকান কিনতে লাগে প্রায় আশি থেকে নব্বই লাখ টাকার সেলামী ( ভদ্র জায়গায়)।  সুতরাং মালিককে প্রায় মাসে ষাট হাজারটাকা লাভ রাখতে হবে রিয়াল এস্টেটের দাম মেটাতে। ফলে কোলকাতা ব্যঙ্গালোর সর্বত্রই ভদ্র ভাবে বসে খাওয়ার রেস্টূরেন্টগুলোর সাংঘাতিক দাম। যে দামের ৭০% যাচ্ছে রিয়াল এস্টেটের দায় মেটাতে। ফলে দাম এখন আমেরিকার  থেকে বেশী। সেক্টর ফাইভে বালীগঞ্জ প্লেসে থালির দাম প্রায় ছশোটাকা বা নয় ডলার।  এদিকে আমি আমেরিকাতে আমার বাল্টীমোর অফিসের কাছে মাত্র ছ ডলারে ওর থেকে ভাল চাইনিজ খাই।  এর ফলে যেখানে ১০০ টা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে পারত -করছে হয়ত মোটে পাঁচটা।

 ভারতের সব ব্যবসাতেই জমি বা রিয়াল এস্টেট একটা বড় সমস্যা। ওপারেটিং ইনকামের একটা বড় অংশ শুষে নিচ্ছে রিয়াল এস্টেট। 

 দ্বিতীয় সমস্যাটা আরো গভীরে।  ভারতের সব পুঁজি ছুটছে জমির পেছনে।  আমি ডিসেম্বর মাসে পুনের এক ফ্যাক্টরি মালিকের সাথে বসে কথা বলছিলাম। সেকন্ড জেনারেশন মারোয়াড়ি, আমেরিকাতে শিক্ষিত।  নতুন টেকনোলজিতে প্রচুর উৎসাহ।  এদিকে ফ্যাক্টরিটার দিকে তাকালে বোঝা যায় ফ্যাক্টরিটা জীর্ন-কিন্ত প্রচুর উৎপাদন দিচ্ছে। আমি বলেই ফেললাম, আপনি ফ্যাক্টরিতে যথেষ্ঠ রিইনভেস্ট করেন?

 উনি বল্লেন, ইচ্ছা ত থাকে কিন্ত কেন করবো বলুনত ?  ফ্যাক্টরি থেকে যে ইনকাম হয়, তা জমিতে ঢালা অনেক বেশী লাভজনক। ফ্যাক্টরিতে দুকোটি টাকা ইনভেস্ট করলে মার্কেটে বিক্রি হলে তবে পাঁচ বছরে হয়ত চারকোটি  উঠবে।  যদি ভাগ্যভাল থাকে। সেখানে ঠিক ঠাক জমিতে ইনভেস্ট করলে দুকোটি থেকে দশকোটি হবেই কয়েক বছরে। গ্যারান্টিড!    

ইনফ্যাক্ট গোটা ভারত জুরে এক অবস্থা। ব্যবসা, ম্যানুফাকচারিং এর সব লাভের  টাকা শুষে নিচ্ছিল রিয়াল এস্টেট। এমনিতেই চীনের উৎপাদিত পন্যের সামনে ত্রাহি ত্রাহি রব-সেখানে ম্যানুফাকচারিং এ ইনভেস্ট না করে ভারতীয় মালিকরা জমি বাড়ি কিনে গেছে। এটা বন্ধ করতে না পারলে, ভারতের অর্থনীতি লাটে উঠত। নেহাত ১৫০ বিলিয়ানের আই টি আউটসোর্সিং আছে বলে এই দৈন্যদশা বোঝা যায় না। কিন্ত আউটসোর্সিং এ বাঁশ দিলে, যা ট্রাম্প সবে দেওয়া শুরু করেছেন, কঙ্কালের ওপরে যে রাজার আলখাল্লা আছে, তা খসে একদিনে কঙ্কালটা বেড়িয়ে যাবে!

 মোদি এই অবস্থা ঠেকাতে দুটো জিনিস করলেন। এক কালো টাকার ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইক। দুই মেইড ইন ইন্ডিয়া।  ডিমনেটাইজেশনের ফলে কোলকাতায় ফ্ল্যাটের দাম জমির দাম এত দ্রুত কমছে এদের মারোয়ারী মালিকরা প্রচুর সস্থায় বিক্রি করতে  এখন বাধ্য হচ্ছেন। যাতে লস ঠেকাতে পারেন। আর যাইহোক আগামী দশ বছরে ফ্যাক্টরি মালিকরা জমি বাড়ির ওপর ইনভেস্ট করবেন না এটা নিশ্চিত।  এর সাথে মেইড ইন্ডিয়া ক্যাম্পেনের জন্য ভারতের মিলিটারি থেকে অনেক জায়গাতেই দেশী  যন্ত্রাংশ চাওয়া হচ্ছে। ফলে ম্যানুফাকচারিং শিল্পে যদিও ভাঁটার টান ( এবং এখনো ডিক্লাইনিং), কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। 

 প্রশ্ন হচ্ছে, অমর্ত্য সেন ডিমনেটাইজেশনের খারাপ দিকগুলোই বলে গেলেন। ভালদিকটা ত বল্লেন না।  না কি অর্থনীতি সাবজেক্টটাই এমন জালি, তার নোবেল লরিয়েট ও জালিই হবে?  আমার ত বরাবরই মনে হয় পানের দোকানের মালিকের মাথায় যেটুক কমন সেন্স আছে, অধিকাংশ অর্থনীতির অধ্যাপকের মাথায় সেটুকুও নেই।  অমর্ত্য সেন জালি লোক নন।  তার পান্ডিত্য প্রশ্নতীত। কিন্ত  ডিমনেটাইজেশন নিয়ে তার বক্তব্য ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রানোদিত, একাডেমিক না। 

     আমার বরাবরই মনে হয় বাম রাজনীতির সব থেকে দুর্বল দিক এই সব জালি সাবজেক্টের অধ্যাপকগুলোকে বেশী পাত্তা দেওয়া।  একজন রাস্তার ব্যবসায়ীও ভারতের অর্থনীতি নিয়ে যেটুকু বোঝে এই সব বোদ্ধা অর্থনীতির পাবলিকগুলো সেটুকুও বোঝে না। 

 (২)
  ধর্ম নিয়েও লিব্যারাল সেকু মাকুদের রিএসেমেন্ট দরকার।

 ল্যাটিন আমেরিকার বাম নেতারা কেউ মার্ক্স লেনিনের নাম মুখে আনে না। হুগো শাভেজ থেকে ইভো মরালেস-তার বামপন্থাকে যীশুর পদর্শিত বামপন্থা বলেন।  তাদের প্রো পুওর রাজনীতিকেই যীশুর পথ বলে দাবী করেন বাইবেল থেকে।  ইভো মরালেস একটা ইন্টারভিঊতে পরিস্কার বলে ছিলেন, লেনিন স্টালিনের যে বামপন্থা তা আমাদের না-কারন তা হিংস্র, খুনে। কোটি কোটি মানুষ সেই কাল্টে খুন হয়েছে। আমাদের পথ যীশুর দেখানো ভালোবাসার বামপন্থা। অথচ আমাদের বামপন্থীরা শ্রী চৈতন্যের মধ্যে সেই ভালোবাসার বামপন্থা খুঁজে পেলেন না! 

 ভারতের বামপন্থিরা গণবিচ্ছিন্ন। শাক্যজিত দেখলাম মোদির জয়ে কান্ডজ্ঞান হা্রিয়ে লিখেছে,  প্রতিষ্ঠানিক হিন্দু ধর্ম নাকি কোনদিন প্রতিষ্ঠান বিরোধি না। 

      প্রথমত কোন "প্রতিষ্ঠানিক" ধর্ম বা রাজনীতি কখনো প্রতিষ্ঠান বিরোধি হয়? এগুলো গাঁজা খেয়ে লেখা না?

     দ্বিতীয়ত সমস্ত প্রতষ্ঠান বিরোধি আন্দোলন সে ধর্ম বা রাজনীতি যাইহোক না কেন, ক্ষমতা পেলে তা প্রতিক্রিয়াশীল হয়। ইসলাম, বৌদ্ধ খীষ্ঠান সব ধর্মের শুরু প্রতিবাদি হিসাবে-কিন্ত আস্তে আস্তে তা সাম্রাজ্যবাদি প্রতিক্রিয়াশীল হয়েছে।

  তৃতীয়ত শাক্য কি শ্রীচৈতন্যের নাম শোনে নি? উনি জাতপাতের বেড়া ভাঙেন নি? গরীব ধনীর পার্থক্য ঘোচান নি?  ট্যাক্স কালেক্টরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন নি? 
   
 মহাভারতের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠানিক, প্রতিবাদি দুই চরিত্রই আছে।  বিদুর যুধিষ্ঠীরকে রাজ্য চালনার প্রথম ধাপ হিসাবে কি বলেছিলেন?

   "ধনের অসাম্যেই মূলত রাজনৈতিক অশোন্তোষ তৈরী হয়। এতেব এ রাজন, তোমার প্রথম কর্তব্য ধনীদের থেকে বেশী ট্যাক্স কালেক্ট করে, সেই টাকায় জনকল্যান মূলক কাজ কর "

  এই স্যোশ্যালিস্ট রাষ্ট্রের ধারনা ত মহাভারত বহুদিন আগেই দিয়েছে। অথচ ভারতের বামেরা ভারতের সংস্কৃতি এবং দর্শনকে বামপন্থার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে! 

  কারন শাক্যজিত ভারতীয় বামপন্থার কোন বিচ্ছিন্ন ব্যামো না-এদের বাপ ঠাকুর্দারাও আসলেই কোনদিন ভারতীয় দর্শনকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করে নি। ফলে গুন্ডাগর্দি করে পশ্চিম বঙ্গের অলস বাঙালীর মধ্যে ৩৪ বছর টিকেছিল বটে-কিন্ত জনগণের মধ্যে এদের ভিত যে কত দুর্বল ছিল, সেটা ক্ষমতা থেকে সরার পরে বোঝা যাচ্ছে। 

 ইভো মরালেস এবং হুগো শাভেজ থেকে আরো দুটো জিনিস শেখার আছে। এরা ওইসব জালি অর্থনীতিবিদদের হেগো পোঁদ চেটে আঁতলামো করে নি।  ইভো মরালেস বিকল্প অর্থনীতি, কোয়াপরেটিভ অর্থনীতির ওপরে জোর দিয়েছিলেন বেশী। তার পার্টির সবাই কোয়াপরোটিভের সাথে জড়িত। কেরালায় বামপন্থীদের সাফল্যের পেছনে মূলত কোয়াপরেটিভ।  সেখানে সিপিএম, কংগ্রেস আপ -এদের ত কোন বিকল্প অর্থনীতি নেই । শুধু  সামাজিক প্রকল্পর মাধ্যমে লোককে ঘুঁশ দেওয়ার ধান্দা। তাতে আমার আপত্তি নেই। ওটা ধনের বন্টন। কিন্ত লোকেদের ব্যবসা বানিজ্যর সুবিধা করে দেওয়ার কোন রূপরেখা সেখানে নেই।      বিকল্প উৎপাদন ব্যবস্থার দিশা না থাকলে লোকে এদের বিশ্বাস করবে কেন?

      (৩)

  তৃতীয় সমস্যা ইসলাম নিয়ে অবস্থানে।  আজকে চীন, জাপান, রাশিয়া, আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স-সবাই জিহাদিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে যেখানে গোটা বিশ্ব অবস্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে সেখানে ভারতের সেকু মাকুরা ইসলামের বিরুদ্ধে বলতে ভয় পাচ্ছে। ভোট হারানোর ভয়।   ইসলাম কোন ধর্ম না। ইসলাম আধ্যাত্মিক-রাজনৈতিক মতবাদ।  তাতে আলাদা রাষ্ট্রনীতি, আইন সব কিছুই রয়েছে। যা আধুনিক রাষ্ট্রের পরিপন্থী।  সুতরাং ইসলাম আধুনিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় হুমকি। এগুলো কি চাপা সম্ভব? সুতরাং আমি ইসলামি তামাকু সেবন ও করব, আবার মোদিকে লিব্যারালিজম শেখাতে যাব, সেটাত জনগন মানবে না।  ইসলাম নিয়ে সঠিক অবস্থান না নিতে পারলে হিন্দু ভোট একত্রিত হবেই।  আজ উত্তর প্রদেশে যা হয়েছে, কাল পশ্চিম বঙ্গেও হবে। শুধু নেতার অপেক্ষা।  এবং ধর্মীয় আবেগে এটা হচ্ছে না। শ্রেফ নিজেদের জমি জায়গা ব্যবসা বাঁচানোর জন্য এটা হবে। কারন সামনে রয়েছে বাংলাদেশ। কোন দেশে বা রাজ্যে মুসলিমরা সংখ্যাগুরু হলে কি হয় তার জন্য পাকিস্তানে যেতে হবে না, কাশ্মিরে যেতে হবে না, হাতের সামনে রয়েছে বাংলাদেশ।  যেখানে হিন্দুদের জমি ব্যবসা সব থেকে বেশী লুঠপাট করে কোন ইসলামিস্ট পার্টি না-তাদের মধ্যেকার তথাকথিত মডারেট পার্টি।  এটুকু বোঝার ক্ষমতা সাধারন হিন্দুর রয়েছে। বাম-সেকু বিগ্রেডের নেই। এরা যদি ইসলামিক মৌলবাদ আটকাতে মাঠে না নামে, হিন্দু ভোট কনসলিডেশনের সামনে শ্রেফ ভ্যানিশ হয়ে যাবে । যা হয়েছে আসামে এবং উত্তর প্রদেশে।