আন্দোলনের রাজধানী কোলকাতার ছাত্রদের আন্দোলন বিমূখ হতে বলাটা বোধ হয় মূর্খামো। যদি ধরেই নিই তিনো ভাইরা এসে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানী করেছে-এটা ক্রিমিন্যাল কেস এবং ছাত্রীদের পরিবার থেকে থানায় গিয়ে এফ আই আর করা উচিত। কিন্ত এর জন্যে ভিসি ঘেরাও, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নষ্ট করার কি দরকার আমার মাথায় ঢুকলো না।
আই আই টিতে প্রফেসার তিওয়ারী আমাদের ম্যানেজমেন্টের একটা বেসিক কোর্স নিতেন। উনার একটা বক্তব্যে হোঁচট খেয়েছিলাম-কিন্ত বয়সকালে বুঝেছি-সেটাই নিদারুন বাস্তব। উনি বলেছিলেন "ম্যানেজারের" এর রোলটা অনেকক্ষেত্রেই অস্তিত্বের সংকটে থাকতে পারে-সেক্ষেত্রে বাঁচার তাগিদে একজন ম্যানেজারকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ইস্যু তৈরী করতে হয়। তাতে কোম্পানীর ক্ষতি হলেও নিজের অস্তিত্বের তাগিদে একজন ম্যানেজারকে ওইটুকু পলিটিক্স করতেই হয়। কোলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক্টিভিস্টদের এই খুঁচিয়ে ইস্যু করা দেখে তিওয়ারীজির ক্লাস খুব মনে আসে। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের সংকট থেকে খোঁচানো শুরু করে।
আমার প্রথম বস ছিল এক চাইনিজ মহিলা-সু জং। সে ছিল সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী-যা চীনের সেরা টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় । সিনহুয়া থেকেই চীনের কমিনিউস্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা উঠে আসে। অন্যদিকে চীনে হিউম্যানিটি, বিজ্ঞানে সেরা হচ্ছে পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয়। ধরুন পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্সি কলেজ। পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীরকালের এন্টি এস্টাব্লিশমেন্ট। সু আমাকে বলেছিল-পেইকিং থেকে ক্যাডার তুলতে ভরসা পায় না চীনের কমিনিউস্ট পার্টি। সিনহুয়ার ইঞ্জিনিয়ার থেকেই পার্টির সাপ্লাইলাইন তৈরী করত যাতে প্রোএস্টাব্লিশমেন্ট কমরেড তৈরী হয়।
কোলকাতায় যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ-দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ই এন্টিএস্টাব্লিশমেন্ট মটোতে চলে। অনেকটা পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন। এর মূলকারন এখানকার আর্টস ফ্যাকাল্টি। আসলে পেশাদারী সাবজেক্ট নিয়ে যারা পড়াশোনা করে-তারা থাকে জীবিকার ধান্দায়। মূলত কেরিয়ারিস্ট। অন্যদিকে আর্টস নিয়ে যারা পড়ছে-তাদের সামনে নিশ্চিত কোন ভবিষ্যত নেই-উল্টে একটা বোহেমিয়ান ভাব ও যৌবনে আসে। আমি একটা সময় রাশিয়ান সাহিত্য নিয়ে এত ডুবে ছিলাম-ডিগ্রী, কেরিয়ার এসব বেকার মনে হত বহুদিন। ওগুলো একটা ঘোর। স্বপ্নাচ্ছন্ন ছাত্রজগৎ। সেই মোহচ্ছন্নতা থেকেই সম্ভবত আর্টস ফ্যাকাল্টির ছেলে মেয়েরা "কলরবী" হয়ে ওঠে।
অন্যায় হলে অবশ্যই প্রতিবাদ দরকার। কিন্ত কিছু এক্টিভিস্টদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করার দরকার আছে বলে মনে হয় না।
আই আই টিতে প্রফেসার তিওয়ারী আমাদের ম্যানেজমেন্টের একটা বেসিক কোর্স নিতেন। উনার একটা বক্তব্যে হোঁচট খেয়েছিলাম-কিন্ত বয়সকালে বুঝেছি-সেটাই নিদারুন বাস্তব। উনি বলেছিলেন "ম্যানেজারের" এর রোলটা অনেকক্ষেত্রেই অস্তিত্বের সংকটে থাকতে পারে-সেক্ষেত্রে বাঁচার তাগিদে একজন ম্যানেজারকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ইস্যু তৈরী করতে হয়। তাতে কোম্পানীর ক্ষতি হলেও নিজের অস্তিত্বের তাগিদে একজন ম্যানেজারকে ওইটুকু পলিটিক্স করতেই হয়। কোলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক্টিভিস্টদের এই খুঁচিয়ে ইস্যু করা দেখে তিওয়ারীজির ক্লাস খুব মনে আসে। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের সংকট থেকে খোঁচানো শুরু করে।
আমার প্রথম বস ছিল এক চাইনিজ মহিলা-সু জং। সে ছিল সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী-যা চীনের সেরা টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় । সিনহুয়া থেকেই চীনের কমিনিউস্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা উঠে আসে। অন্যদিকে চীনে হিউম্যানিটি, বিজ্ঞানে সেরা হচ্ছে পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয়। ধরুন পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্সি কলেজ। পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীরকালের এন্টি এস্টাব্লিশমেন্ট। সু আমাকে বলেছিল-পেইকিং থেকে ক্যাডার তুলতে ভরসা পায় না চীনের কমিনিউস্ট পার্টি। সিনহুয়ার ইঞ্জিনিয়ার থেকেই পার্টির সাপ্লাইলাইন তৈরী করত যাতে প্রোএস্টাব্লিশমেন্ট কমরেড তৈরী হয়।
কোলকাতায় যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ-দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ই এন্টিএস্টাব্লিশমেন্ট মটোতে চলে। অনেকটা পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন। এর মূলকারন এখানকার আর্টস ফ্যাকাল্টি। আসলে পেশাদারী সাবজেক্ট নিয়ে যারা পড়াশোনা করে-তারা থাকে জীবিকার ধান্দায়। মূলত কেরিয়ারিস্ট। অন্যদিকে আর্টস নিয়ে যারা পড়ছে-তাদের সামনে নিশ্চিত কোন ভবিষ্যত নেই-উল্টে একটা বোহেমিয়ান ভাব ও যৌবনে আসে। আমি একটা সময় রাশিয়ান সাহিত্য নিয়ে এত ডুবে ছিলাম-ডিগ্রী, কেরিয়ার এসব বেকার মনে হত বহুদিন। ওগুলো একটা ঘোর। স্বপ্নাচ্ছন্ন ছাত্রজগৎ। সেই মোহচ্ছন্নতা থেকেই সম্ভবত আর্টস ফ্যাকাল্টির ছেলে মেয়েরা "কলরবী" হয়ে ওঠে।
অন্যায় হলে অবশ্যই প্রতিবাদ দরকার। কিন্ত কিছু এক্টিভিস্টদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করার দরকার আছে বলে মনে হয় না।
No comments:
Post a Comment