Sunday, August 23, 2015

তমশীলতা

তমোঘ্নকে নিয়ে ফেসবুকে শীৎকার বেশ বিরক্তিকর লাগছে এখন। ছেলেটার এলেম আছে। আই এস আই এর একাডেমিক চাপ তুচ্ছ করে এক্টিভিজিম চালিয়ে যাওয়া মুখের কথা না।  আই এস আই এর ছাত্রছাত্রীরা কোর্সওয়ার্কের চাপে ঠিক করে ইন্টার্নশিপও করে উঠতে পারে না।  সেরকম একটা পরিবেশ থেকে এসে সে এখনো প্রতিবাদমুখর, বৃহত্তর সমাজের কথা ভাবছে-এর জন্য সমস্ত ধন্যবাদ তার প্রাপ্য।   প্যান্টি-ব্রা পরে বিক্ষোভ দেখানোকে আমি কখনোই অশ্লীল বলে মনে করি না- কারন তার এই ড্রেসটা ছিল মূলত  গজেন্দ্র চৌহান বিরোধি পথনাটিকার জন্য। সব থেকে বড় কথা মানব দেহ কখনোই অশ্লীল না- দেহ প্রদর্শন ও না। দেহই দেব এবং দৈত্যের আধার।  নগ্নতাকে অশ্লীল ভাবাটাই সবথেকে বড় অশ্লীলতা।

  তবে পুরো ঘটনায়-আমার দুটো পয়েন্ট আছে বলার

 প্রথম চাড্ডি, ভাম থেকে বাঙালী মাত্রই পরম অসহিষ্ণু বিরোধি মতাদর্শের লোকেদের প্রতি। আমি বহুদিন থেকে লিখছি মতাদর্শের অনেক ওপরে উঠে মানুষকে বিচার করতে হয়। তমোঘ্নকে যদি বিচারের কাঠগড়ায় নামাতেই হয়-প্রথমেই এই প্রশ্নটা সবার করা উচিত এই প্রবল ভোগবাদি আত্মসুখী অন্তর্মুখী সমাজে কজনের এলেম আছে একটা এলিট ইন্সটিউটের ছাত্র হওয়া সত্বেও কেরিয়ার সন্মানের কথা না ভেবে পথে নামার ? অন্যের সমালোচনা করার আগে, নিজেরটাও দেখা উচিত।  আমি অবশই আদর্শবাদি গ্রাউন্ডে তমোঘ্নর বিরুদ্ধেই আছি। কিন্ত তার জন্য, মানুষ তমোঘ্নকে চিনতে ভুল করবো কেন?

 দ্বিতীয়টা অবশ্য তমোঘ্নের মত বাম এক্টিভিস্টদের প্রতি।  যদি আমেরিকাতেই আসার ছিল, ত এত পথ নাটিকা, এক্টিভিজমের কি দরকার ছিল লাইফে?  আমেরিকান সমাজ ক্যাপিটালিস্ট ব্ল্যাকহোল।  কত শত ভাম এখানে শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হয়েছে চোখের সামনে। এখন আমেরিকাতে ক্যাপিটালিস্ট, মানে কোম্পানীর মালিক-এককালের দুর্দান্তপ্রতাপ নক্সাল ছাত্র নেতা -এই প্রফাইলের চারজন আমার ফেসবুকেই আছে। এরা আমার ভাল পারিবারিক বন্ধুও বটে এই মেরীল্যান্ড এলাকায় ।  মতাদর্শে ইনারা এখনো বাম।  হুইস্কি পেটে গেলে মোদির সাতপুরুষ উদ্ধার করেন।  কিন্ত ওই কাঁঠালের আমসত্ত্ব আর কি। কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানোর জন্য মালদাহের আম না খুঁজলেও চলে।

No comments: