সিপিএম শীতঘুম ছেড়ে পথে নেমে, পাটকেল ছুঁড়ে, পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছে। তাতে দেখলাম ফেবুকের সিপিএমেরা উত্তেজিত-মানে বেঁচে আছে তাদের সাধের পার্টিটা এটা জেনেই তারা খুশী।
কিন্ত মৌলিক প্রশ্নটা থেকে গেল। কিসের জন্য এই মিছিল? মমতা-পুলিশ-তিনো স্বৈরতান্ত্রিক নেক্সাস? তা সিপিএমের দাবীটা কি? তিনোদের সরিয়ে তাদের ভোট দিলে পুলিশ নিরেপেক্ষ ভাবে কাজ করবে? যারা সিপিএম জমানার ৩৪ বছর দেখেছে, তারা সিপিএমের এই দাবীর সাথে সহমত হবে? হ্যা, ২০১২ সালের পর যেসব বাচ্চারা জন্মেছে তারা সিপিএমের এই দাবীর সাথে একমত হবে!
আমি বহুদিন থেকেই লিখছি পুলিশকে রুলিং পার্টির গুন্ডা বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করার মূল কারন ভারতে সাংবিধানিক দুর্বলতা। পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আবার একটা পার্টির শীর্ষ নেতাও বটে। আমেরিকাতে থেকে বুঝেছি, ভারতের পুলিশের সমস্যা দুটো। প্রথম হচ্ছে তাদের মাথার ওপরে আছেন মুখ্যমন্ত্রী-যিনি পার্টির ও শীর্ষ নেতা। আমেরিকাতে গভর্নর বা প্রেসিডেন্ট পার্টীর শীর্ষ নেতা হন না । এখানে প্রাইমারীর কারনে প্রত্যেককেই নিজেকে লড়তে হয় পার্টির নমিনেশন পেতে। পার্টির মধ্যে গণতন্ত্র থাকার কারনে কোন নেতাই স্বৈরাচারী হতে পারেন না। আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফাদাররা যখন সংবিধান তৈরী করেছিলেন, তার প্রতিপদে তাদের চিন্তা ছিল-কোন এক ব্যক্তির হাতে যেন সব ক্ষমতা না যায়। ভারতের সংবিধানে এই চেক এন্ড ব্যালান্সটা খুব কম। ফলে ভারতে ক্ষুদ্র ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী ।
দ্বিতীয়ত, আমেরিকাতে পুলিশ জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে কংগ্রেস বা সেনেট যেকোন সময় ইম্পিচ করতে পারে। ভারতে ওই স্ট্রাকচারটাই নেই যে লোয়ার বা আপার হাউস সরাসরি জাস্টিসদের ইম্পিচ করতে পারে।
মোদ্দা কথা ভারতের ইতিহাসে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অনেক মিটিং মিছিল হয়েছে-কিন্ত কেওই এই ক্ষেত্রে সাংবিধানিক দুর্বলতার ইস্যুটা সামনে আনে নি। বরং বিরোধি পার্টি থেকে যখন তারা রুলিং পার্টিতে গেছে, তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী শাসক বনে গেছে। এই মমতাই না সিপিএম-পুলিশ দলদাসদের বিরুদ্ধে এককালে লড়ে গেছেন? সেটাই তার ঐতিহাসিক লেগাসি।
সুতরাং মমতার বিরুদ্ধে এই ঘেরাও মিছিল-জাস্ট রিয়াল টাইম ড্রামাবাজি। লোকে খাবে না। লোকে ভালোই জানে সিপিএমের হাতে ক্ষমতা দিলেও পুলিশের দলদাস হওয়ার ট্রাডিশন চলতেই থাকবে। কারন গলদ সংবিধানের বিসমিল্লায়। লোকে আর কদ্দিন এই সব নাটক সহ্য করবে?
কিন্ত মৌলিক প্রশ্নটা থেকে গেল। কিসের জন্য এই মিছিল? মমতা-পুলিশ-তিনো স্বৈরতান্ত্রিক নেক্সাস? তা সিপিএমের দাবীটা কি? তিনোদের সরিয়ে তাদের ভোট দিলে পুলিশ নিরেপেক্ষ ভাবে কাজ করবে? যারা সিপিএম জমানার ৩৪ বছর দেখেছে, তারা সিপিএমের এই দাবীর সাথে সহমত হবে? হ্যা, ২০১২ সালের পর যেসব বাচ্চারা জন্মেছে তারা সিপিএমের এই দাবীর সাথে একমত হবে!
আমি বহুদিন থেকেই লিখছি পুলিশকে রুলিং পার্টির গুন্ডা বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করার মূল কারন ভারতে সাংবিধানিক দুর্বলতা। পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আবার একটা পার্টির শীর্ষ নেতাও বটে। আমেরিকাতে থেকে বুঝেছি, ভারতের পুলিশের সমস্যা দুটো। প্রথম হচ্ছে তাদের মাথার ওপরে আছেন মুখ্যমন্ত্রী-যিনি পার্টির ও শীর্ষ নেতা। আমেরিকাতে গভর্নর বা প্রেসিডেন্ট পার্টীর শীর্ষ নেতা হন না । এখানে প্রাইমারীর কারনে প্রত্যেককেই নিজেকে লড়তে হয় পার্টির নমিনেশন পেতে। পার্টির মধ্যে গণতন্ত্র থাকার কারনে কোন নেতাই স্বৈরাচারী হতে পারেন না। আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফাদাররা যখন সংবিধান তৈরী করেছিলেন, তার প্রতিপদে তাদের চিন্তা ছিল-কোন এক ব্যক্তির হাতে যেন সব ক্ষমতা না যায়। ভারতের সংবিধানে এই চেক এন্ড ব্যালান্সটা খুব কম। ফলে ভারতে ক্ষুদ্র ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী ।
দ্বিতীয়ত, আমেরিকাতে পুলিশ জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে কংগ্রেস বা সেনেট যেকোন সময় ইম্পিচ করতে পারে। ভারতে ওই স্ট্রাকচারটাই নেই যে লোয়ার বা আপার হাউস সরাসরি জাস্টিসদের ইম্পিচ করতে পারে।
মোদ্দা কথা ভারতের ইতিহাসে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অনেক মিটিং মিছিল হয়েছে-কিন্ত কেওই এই ক্ষেত্রে সাংবিধানিক দুর্বলতার ইস্যুটা সামনে আনে নি। বরং বিরোধি পার্টি থেকে যখন তারা রুলিং পার্টিতে গেছে, তারা নিজেরাই স্বৈরাচারী শাসক বনে গেছে। এই মমতাই না সিপিএম-পুলিশ দলদাসদের বিরুদ্ধে এককালে লড়ে গেছেন? সেটাই তার ঐতিহাসিক লেগাসি।
সুতরাং মমতার বিরুদ্ধে এই ঘেরাও মিছিল-জাস্ট রিয়াল টাইম ড্রামাবাজি। লোকে খাবে না। লোকে ভালোই জানে সিপিএমের হাতে ক্ষমতা দিলেও পুলিশের দলদাস হওয়ার ট্রাডিশন চলতেই থাকবে। কারন গলদ সংবিধানের বিসমিল্লায়। লোকে আর কদ্দিন এই সব নাটক সহ্য করবে?
No comments:
Post a Comment