সমস্যার শুরু বেশ কয়েক বছর আগে, স্বাধীনতা বনাম অধীনতা (1) নামে পনেরো আগষ্টের এক ফরমাইশি লেখা লিখতে গিয়ে। লেখাটা শুরু করেছিলাম পাশ্চাত্য দর্শনে স্বাধীনতার সাধারন ধারনা থেকে। শেষে প্রাচ্য দর্শনের একটা ফিনিশিং টাচ দিতে গিয়ে নিজেই ঘেঁট ঘ হই। সেই যাত্রায় স্বাধীনতাকে প্রাচ্য দর্শন থেকে মুক্ত করে, প্রবন্ধটা শেষ করে দিই।
মুশকিল হচ্ছে আমাদের ভারতীয় দর্শনের ভিত্তিই হচ্ছে সালভেশন -মুক্তি। স্বাধীনতা। কিসের থেকে? মায়া থেকে। এই দৃশ্যমান বাস্তবতার পুরোটাই মায়া। "আমি" কয়েদি- আমার অস্তিত্ব নানান বন্ধনে বাঁধা। চারিদিকে মোহজালের তিহার জেল।
ঘুম থেকে উঠলাম-গরম চা না হলে ইমেলে চোখ রাখা দায়। চা পান থেকে স্বাধীনতা নেই মনের।
ধরুন সেই চাপানের মোহ বা মায়ার বন্ধনে ধরা দিয়ে সবে ইমেলে বা লেটেস্ট ফেসবুক পেজে চোখ রাখছি। এখানেও জীবিকা, পেটের দায়- বড় দায়। পেশা সংক্রান্ত ইমেল গুলো পড়ে রিপ্লাই করতেই হবে আগে। এদিকে আগের রাতে ফেসবুকে যে লেখা ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম -সেটা নিয়ে বাওয়াল হচ্ছে-অসংখ্য নোটি পাচ্ছি। হাত নিশপিশ। কিন্ত নাহ। পেশা আগে। সব ইমেলের রিপ্লাই না দেওয়া পর্যন্ত সেই পেশার বন্ধনে বাঁধা!
যদিও বা কোন ক্রমে ইমেল শেষ করে ভাবছি, ফেসবুকে উত্তরগুলো দেওয়া শুরু করি- ইন্ডিয়া থেকে স্কাইপে ফোন আসতে থাকে। না হলে বৌ মেয়েকে ধরিয়ে দিয়ে চলে যাবে। এগুলো সব কর্তব্য। পেশার । না হলে সংসারের। মুক্তি কোথায়? কোথাও নেই!!
তারপরে নাকেমুখে গুঁজে ক্লায়েন্ট লোকেশনে গিয়ে ফায়ার ফাইটিং। এটা কাজ করছে না-ওটা কাজ করছে না। এটা করতে হবে। ওটা করতে হবে। কাস্টমার হচ্ছে ভগবান। আমরা সেই মার্কেট ঈশ্বরের দাশানুদাস। সব ক্লায়েন্টের ইচ্ছার অধীন! আর সেই ইচ্ছাটাও স্বাধীন কিছু না-বৃহত্তর মার্কেটের দুফুট ব্যাসের পাইপ। ওর মধ্যে নিজেকে ঢোকাতে পারলে ভাল - There is light at the end of the tunnel. না হলে ডারুইন সাহেবের অভিশাপে কম্পিটিশন থেকে ছিটকে ছ!
বাড়ি ফিরে হয় ছেলে সকারে টানবে-নইলে বৌ লিস্ট ধরিয়ে দেবে। পেন্ডিং কাজের ফর্দ। বাজার, বাগান, বাথরুম! সবই কর্তব্য- কখনো বাবা , স্বামী বা কর্মী।
সব শেষ করে এই রাত এগারোটার সময় একটু মুক্তি পাই লেখালেখি করার জন্য! তাও কি কোন স্বাধীনতা আছে? এমনিতেই ঘুম জড়ানো চোখে ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর প্রভু ভজনা করতে করতে জীবনের ৯০% লেখা নামিয়েছি-তাতে বানান, বক্তব্য, বর্ণ ঠিক রাখাই মুশকিল। নেহাৎ প্রাক্টিসের হাত, তাই দুকলম নেমেই যায়। কিন্ত কোথায় মুক্তি? কিছু লিখলেই গ্রামার নাজি বর্নহিন্দুরা বাংলা বানান নিয়ে ইঁটপাটকেল ছুড়বে! ফেমিনিস্টরা দল বেঁধে মেয়েলিপনা শুরু করে দেবে! সাথে হনুমান আর হার্মাদদের হারমোনিক সিম্ফনি হচ্ছে উপরি পাওনা!!
ফ্রাঙ্কলি স্বাধীনতাটা ঠিক কোথায়? না আছে জীবনে, না খাদ্যে, না ডাক্তারে, না উকিলে, না সংসারে, না পেশাতে। এমন কি ফেসবুকেও নেই! সবই ত মায়া আর মায়ার বন্ধন! কখনো বৌএর অধীন, কখনো মার্কেটের, কখনো ক্ষুদার, কখনো নেশার।
আমার দাঁতের ডাক্তারটার ওপর এত রাগ, কাল ভোররাতে স্বপ্ন দেখছিলাম মদন মিত্র সাঁড়াসি হাতে আমার দাঁত তুলতে আসছে! এমনিতে আমার সাদা দাঁতের ডাক্তারটার ওপরে খুব রাগ-কিন্ত মদন মিত্রত মাইরি-যেই সাঁড়াসি হা্তে এগিয়েছে, আতঙ্কে ঘাম ছুটে ঘুম ভেঙেছে আজকে! খেয়াল ছিল না দিনটা পনেরোই আগষ্টের প্রাক্কাল-রাজনৈতিক স্বাধীনতার উৎসব!
মুশকিল হচ্ছে আমাদের ভারতীয় দর্শনের ভিত্তিই হচ্ছে সালভেশন -মুক্তি। স্বাধীনতা। কিসের থেকে? মায়া থেকে। এই দৃশ্যমান বাস্তবতার পুরোটাই মায়া। "আমি" কয়েদি- আমার অস্তিত্ব নানান বন্ধনে বাঁধা। চারিদিকে মোহজালের তিহার জেল।
ঘুম থেকে উঠলাম-গরম চা না হলে ইমেলে চোখ রাখা দায়। চা পান থেকে স্বাধীনতা নেই মনের।
ধরুন সেই চাপানের মোহ বা মায়ার বন্ধনে ধরা দিয়ে সবে ইমেলে বা লেটেস্ট ফেসবুক পেজে চোখ রাখছি। এখানেও জীবিকা, পেটের দায়- বড় দায়। পেশা সংক্রান্ত ইমেল গুলো পড়ে রিপ্লাই করতেই হবে আগে। এদিকে আগের রাতে ফেসবুকে যে লেখা ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম -সেটা নিয়ে বাওয়াল হচ্ছে-অসংখ্য নোটি পাচ্ছি। হাত নিশপিশ। কিন্ত নাহ। পেশা আগে। সব ইমেলের রিপ্লাই না দেওয়া পর্যন্ত সেই পেশার বন্ধনে বাঁধা!
যদিও বা কোন ক্রমে ইমেল শেষ করে ভাবছি, ফেসবুকে উত্তরগুলো দেওয়া শুরু করি- ইন্ডিয়া থেকে স্কাইপে ফোন আসতে থাকে। না হলে বৌ মেয়েকে ধরিয়ে দিয়ে চলে যাবে। এগুলো সব কর্তব্য। পেশার । না হলে সংসারের। মুক্তি কোথায়? কোথাও নেই!!
তারপরে নাকেমুখে গুঁজে ক্লায়েন্ট লোকেশনে গিয়ে ফায়ার ফাইটিং। এটা কাজ করছে না-ওটা কাজ করছে না। এটা করতে হবে। ওটা করতে হবে। কাস্টমার হচ্ছে ভগবান। আমরা সেই মার্কেট ঈশ্বরের দাশানুদাস। সব ক্লায়েন্টের ইচ্ছার অধীন! আর সেই ইচ্ছাটাও স্বাধীন কিছু না-বৃহত্তর মার্কেটের দুফুট ব্যাসের পাইপ। ওর মধ্যে নিজেকে ঢোকাতে পারলে ভাল - There is light at the end of the tunnel. না হলে ডারুইন সাহেবের অভিশাপে কম্পিটিশন থেকে ছিটকে ছ!
বাড়ি ফিরে হয় ছেলে সকারে টানবে-নইলে বৌ লিস্ট ধরিয়ে দেবে। পেন্ডিং কাজের ফর্দ। বাজার, বাগান, বাথরুম! সবই কর্তব্য- কখনো বাবা , স্বামী বা কর্মী।
সব শেষ করে এই রাত এগারোটার সময় একটু মুক্তি পাই লেখালেখি করার জন্য! তাও কি কোন স্বাধীনতা আছে? এমনিতেই ঘুম জড়ানো চোখে ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর প্রভু ভজনা করতে করতে জীবনের ৯০% লেখা নামিয়েছি-তাতে বানান, বক্তব্য, বর্ণ ঠিক রাখাই মুশকিল। নেহাৎ প্রাক্টিসের হাত, তাই দুকলম নেমেই যায়। কিন্ত কোথায় মুক্তি? কিছু লিখলেই গ্রামার নাজি বর্নহিন্দুরা বাংলা বানান নিয়ে ইঁটপাটকেল ছুড়বে! ফেমিনিস্টরা দল বেঁধে মেয়েলিপনা শুরু করে দেবে! সাথে হনুমান আর হার্মাদদের হারমোনিক সিম্ফনি হচ্ছে উপরি পাওনা!!
ফ্রাঙ্কলি স্বাধীনতাটা ঠিক কোথায়? না আছে জীবনে, না খাদ্যে, না ডাক্তারে, না উকিলে, না সংসারে, না পেশাতে। এমন কি ফেসবুকেও নেই! সবই ত মায়া আর মায়ার বন্ধন! কখনো বৌএর অধীন, কখনো মার্কেটের, কখনো ক্ষুদার, কখনো নেশার।
আমার দাঁতের ডাক্তারটার ওপর এত রাগ, কাল ভোররাতে স্বপ্ন দেখছিলাম মদন মিত্র সাঁড়াসি হাতে আমার দাঁত তুলতে আসছে! এমনিতে আমার সাদা দাঁতের ডাক্তারটার ওপরে খুব রাগ-কিন্ত মদন মিত্রত মাইরি-যেই সাঁড়াসি হা্তে এগিয়েছে, আতঙ্কে ঘাম ছুটে ঘুম ভেঙেছে আজকে! খেয়াল ছিল না দিনটা পনেরোই আগষ্টের প্রাক্কাল-রাজনৈতিক স্বাধীনতার উৎসব!
No comments:
Post a Comment