চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য এড়াতে নাম পদবী পালটানো আমেরিকা সহ সবদেশেই চলে। আমেরিকাতে এর প্রাদুর্ভাব বেশী-যেহেতু ইহা বহু ভাষাভাষীর দেশ। এখানে আসার পর প্রতীক হয় পিটার, শান্তনু হবে স্যান। আসলে কেওই চায় না শুধু পৈতৃক নামটার কারনে হায়ারিং ম্যানেজার সিভিটা ড্রপ করুক।
তবে ভারতের ক্ষেত্রে এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমেরিকাতে মুসলিমরা আছে বড়জোর অর্ধশতাব্দি। কিন্ত ভারতের লোকেরাত মুসলিম নামের সাথে পরিচিত এক হাজার বছর ধরে! কোলকাতার বাড়িগুলোতে যেসব মেয়েরা হিন্দু নামে কাজ করে, তাদের একটা বড় অংশই মুসলমান। তবে শিক্ষিত মুসলমান যুবকদের নাম ভাঁড়ানোর সুযোগ নেই -যেহেতু শিক্ষা সার্টিফিকেটটা লাগে। ভারত সহ সব দেশেই প্রাইভেট সেক্টরে শিক্ষিত মুসলমানেরা কিছুটা হলেও বৈষম্যের স্বীকার। আমি নিজেই দেখেছি অনেক ক্ষেত্রে আমি কোন মুসলমান ক্যান্ডিডেট পছন্দ করলেও প্যানেলের বাকী কলীগরা বাতিল করে দিয়েছে। একটা বড় কারন, তাদের ধারনা মুসলমানরা ধর্মের কারনে, টিমের সাথে ভাল ভাবে "জেল" করতে পারে না । কারন এখানে টিম স্পিরিট বাড়াতে প্রায় গ্রুপ পার্টি হয়-যেখানে খানা পিনা চলে-সেখানে, ধর্মীয় কারনে, তাদেরকে পাওয়া নাও যেতে পারে। তাছারা প্রতিটা গ্রুপেই কিছু হোয়াইট সুপ্রিম্যাস্ট বা এক্সট্রিমিস্ট থাকে, তারা মুসলিম কর্মীটিকে উত্তক্ত করলে, কোম্পানীর লিগ্যাল লায়াবিলিটি বাড়ে। আমি নিজেই একটি ইহুদি বনাম মুসলীম কর্মীর বিবাদের সাক্ষী হয়েছি যে কেস কোর্টে গেছিল। সুতরাং তাদের আশঙ্কা অমূলক তা নয়। দাড়ি ওয়ালা মুসলিম বা হিজাব পরিহিত মুসলিম মহিলা হোয়াইট কলার চাকরি খুঁজতে গেলে, আগেই আউট হয়ে যাবে।
পরস্থিতি কিছুটা হলেও আমেরিকাতে বদলাচ্ছে। দ্বিতীয় জেনারেশনের মুসলিম ছেলে মেয়েরা ধর্মীয় নয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশেষত তারা যদি একটু লিব্যারাল ফ্যামিলি থেকে আসে। তাদের মধ্যে মদ্যপান বা পর্ক নিয়ে ছুঁচিবাই নেই । নামাজি মুসলমানও খুব কম। এরা স্মার্ট কিডস। ইন্টারনেট ঘেঁটে কোরান কি বালের ছাল, তা জানার পর ওসব ধর্ম থেকে অনেক দূরে থাকে। ইংল্যান্ডে আবার উলটো। দ্বিতীয় জেনারেশন মুসলমানদের বড় অংশই জেহাদি মুসলিম। আমেরিকাতে সে সমস্যা নেই-যেহেতু মুসলিমরা ইংল্যান্ডের মতন অতটা বড় বৈষম্যের শিকার না ।
ধর্মীয় কারনে চাকরি স্থলে বৈষম্য খারাপ এবং বেয়াইনি। তবে এক্ষেত্রে কোম্পানী এবং মুসলিম পদপার্থী দুজনেরই সমান দ্বায়িত্ব আছে। মুসলমানরা যদি চাকরি স্থলে নামাজ তথা ধর্মীয় বিচার বেশী চালু রাখে, অবশ্যই তারা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আমি নিজেই দেখেছি এই ধরনের ধার্মিক মুসলমানদের নিয়ে কাজ করা সুখের হয় নি। কিন্ত উলটো দিকটাও আছে। এদের বাইরে একটা বড় অংশ মুসলিম আছে, যারা আমাদের মতন ধর্ম নির্লিপ্ত। তাদের নিয়ে কোন সমস্যা নেই । যারা সেকুলার মুসলিম, এসব থেকে দূরে, তারা যদি বৈষম্যের শিকার হয়, তাহলে, সেকুলার মুসলিম ও র্যাডিক্যাল মুসলিম হয়ে উঠতে পারে।
এক্ষেত্রে অবশ্য দক্ষিন ভারতীয়দের কথাও বলা দরকার। এরাও সেই দক্ষিনী কালচার, মসলার গন্ধোয়ালা টিশার্ট ওয়ার্ক প্লেসেও চাড়বে না । তারপরে লবি করবে। সিভি ফ্রড করবে। এই জন্যে আজকাল আমেরিকাতে দক্ষিনীদের কেও হায়ার করতে চাইছে না ।
ব্যালান্সটা ডেলিকেট। একটা মাল্টিকালচারাল ওয়ার্ক প্লেসে নিজের সংস্কৃতি বা ধর্মকে টানা অনেকটা অফিসে বসে পাদের গন্ধ ছাড়ার মতন । আমেরিকাতে এই ব্যপারে দক্ষিনীরা ধর্মীয় মুসলিমদের চেয়েও কুখ্যাত। তবে আশার কথা এই যে- সব আল্লার বড় আল্লা হচ্ছে মার্কেট। মার্কেট ঈশ্বরের চাপে কিন্ত সবাই বদলাচ্ছে। কারন পেটের টান বড় টান। পেটের টানেই একজন মুসলিম বধু সিঁদুর চাপিয়ে হিন্দু হয়ে কাজে আসে, একজন মুসলিম যুবক তার নামটা খ্রীষ্ঠান বানায় আর ডজন শব্দাঙ্কিত নামের সাউথ ইন্ডিয়ানগুলোও কোন না কোন আমেরিকান নাম নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করে।
সেই মার্কেট দেবতাকে শতকোটী প্রনাম।
তবে ভারতের ক্ষেত্রে এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমেরিকাতে মুসলিমরা আছে বড়জোর অর্ধশতাব্দি। কিন্ত ভারতের লোকেরাত মুসলিম নামের সাথে পরিচিত এক হাজার বছর ধরে! কোলকাতার বাড়িগুলোতে যেসব মেয়েরা হিন্দু নামে কাজ করে, তাদের একটা বড় অংশই মুসলমান। তবে শিক্ষিত মুসলমান যুবকদের নাম ভাঁড়ানোর সুযোগ নেই -যেহেতু শিক্ষা সার্টিফিকেটটা লাগে। ভারত সহ সব দেশেই প্রাইভেট সেক্টরে শিক্ষিত মুসলমানেরা কিছুটা হলেও বৈষম্যের স্বীকার। আমি নিজেই দেখেছি অনেক ক্ষেত্রে আমি কোন মুসলমান ক্যান্ডিডেট পছন্দ করলেও প্যানেলের বাকী কলীগরা বাতিল করে দিয়েছে। একটা বড় কারন, তাদের ধারনা মুসলমানরা ধর্মের কারনে, টিমের সাথে ভাল ভাবে "জেল" করতে পারে না । কারন এখানে টিম স্পিরিট বাড়াতে প্রায় গ্রুপ পার্টি হয়-যেখানে খানা পিনা চলে-সেখানে, ধর্মীয় কারনে, তাদেরকে পাওয়া নাও যেতে পারে। তাছারা প্রতিটা গ্রুপেই কিছু হোয়াইট সুপ্রিম্যাস্ট বা এক্সট্রিমিস্ট থাকে, তারা মুসলিম কর্মীটিকে উত্তক্ত করলে, কোম্পানীর লিগ্যাল লায়াবিলিটি বাড়ে। আমি নিজেই একটি ইহুদি বনাম মুসলীম কর্মীর বিবাদের সাক্ষী হয়েছি যে কেস কোর্টে গেছিল। সুতরাং তাদের আশঙ্কা অমূলক তা নয়। দাড়ি ওয়ালা মুসলিম বা হিজাব পরিহিত মুসলিম মহিলা হোয়াইট কলার চাকরি খুঁজতে গেলে, আগেই আউট হয়ে যাবে।
পরস্থিতি কিছুটা হলেও আমেরিকাতে বদলাচ্ছে। দ্বিতীয় জেনারেশনের মুসলিম ছেলে মেয়েরা ধর্মীয় নয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিশেষত তারা যদি একটু লিব্যারাল ফ্যামিলি থেকে আসে। তাদের মধ্যে মদ্যপান বা পর্ক নিয়ে ছুঁচিবাই নেই । নামাজি মুসলমানও খুব কম। এরা স্মার্ট কিডস। ইন্টারনেট ঘেঁটে কোরান কি বালের ছাল, তা জানার পর ওসব ধর্ম থেকে অনেক দূরে থাকে। ইংল্যান্ডে আবার উলটো। দ্বিতীয় জেনারেশন মুসলমানদের বড় অংশই জেহাদি মুসলিম। আমেরিকাতে সে সমস্যা নেই-যেহেতু মুসলিমরা ইংল্যান্ডের মতন অতটা বড় বৈষম্যের শিকার না ।
ধর্মীয় কারনে চাকরি স্থলে বৈষম্য খারাপ এবং বেয়াইনি। তবে এক্ষেত্রে কোম্পানী এবং মুসলিম পদপার্থী দুজনেরই সমান দ্বায়িত্ব আছে। মুসলমানরা যদি চাকরি স্থলে নামাজ তথা ধর্মীয় বিচার বেশী চালু রাখে, অবশ্যই তারা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আমি নিজেই দেখেছি এই ধরনের ধার্মিক মুসলমানদের নিয়ে কাজ করা সুখের হয় নি। কিন্ত উলটো দিকটাও আছে। এদের বাইরে একটা বড় অংশ মুসলিম আছে, যারা আমাদের মতন ধর্ম নির্লিপ্ত। তাদের নিয়ে কোন সমস্যা নেই । যারা সেকুলার মুসলিম, এসব থেকে দূরে, তারা যদি বৈষম্যের শিকার হয়, তাহলে, সেকুলার মুসলিম ও র্যাডিক্যাল মুসলিম হয়ে উঠতে পারে।
এক্ষেত্রে অবশ্য দক্ষিন ভারতীয়দের কথাও বলা দরকার। এরাও সেই দক্ষিনী কালচার, মসলার গন্ধোয়ালা টিশার্ট ওয়ার্ক প্লেসেও চাড়বে না । তারপরে লবি করবে। সিভি ফ্রড করবে। এই জন্যে আজকাল আমেরিকাতে দক্ষিনীদের কেও হায়ার করতে চাইছে না ।
ব্যালান্সটা ডেলিকেট। একটা মাল্টিকালচারাল ওয়ার্ক প্লেসে নিজের সংস্কৃতি বা ধর্মকে টানা অনেকটা অফিসে বসে পাদের গন্ধ ছাড়ার মতন । আমেরিকাতে এই ব্যপারে দক্ষিনীরা ধর্মীয় মুসলিমদের চেয়েও কুখ্যাত। তবে আশার কথা এই যে- সব আল্লার বড় আল্লা হচ্ছে মার্কেট। মার্কেট ঈশ্বরের চাপে কিন্ত সবাই বদলাচ্ছে। কারন পেটের টান বড় টান। পেটের টানেই একজন মুসলিম বধু সিঁদুর চাপিয়ে হিন্দু হয়ে কাজে আসে, একজন মুসলিম যুবক তার নামটা খ্রীষ্ঠান বানায় আর ডজন শব্দাঙ্কিত নামের সাউথ ইন্ডিয়ানগুলোও কোন না কোন আমেরিকান নাম নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করে।
সেই মার্কেট দেবতাকে শতকোটী প্রনাম।
No comments:
Post a Comment