তসলিমাকে কেন্দ্র করে একটা বিতর্ক সামনে এল-ধর্ম এবং পুরুষতন্ত্র বিরোধি আন্দোলনের রূপরেখা কেমন হওয়া উচিত? বেগম
রোকেয়ার মতন পুরুষতন্ত্রের সাথে আপোস করে চলা নাকি তসলিমার মতন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও নারীবাদি জিহাদ ? কিসে ভাল
ফল হবে ? ইন্সিডেন্টালি আমি মনে করি না চেতনা উন্মেষের আন্দোলনে কিছু হয় বলে বা এগুলোর কোন প্রভাব আছে। সমাজ
বদলায়, নারী অধিকার বদলায় উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে নারী এগোলে তার পেছনে ভূমিকা থাকবে গার্মেন্টস
শ্রমিকদের যারা নিজেদের রুজি বাঁচাতে নিজেদের অধিকারের লড়াই লড়বে। পাশ্চাত্যে নারীবাদিদের লেখালেখি থেকে নারীর
অধিকার আসে নি। অধিকার এসেছে যখন শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজন হয়েছে নারীকে ফ্যাক্টরী শ্রমিক বানাতে। আমেরিকাতেও নারী
স্বাধীনতার সব থেকে গুরুত্বপূর্ন ধাপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যখন যুদ্ধের প্রয়োজনে নারীকে ফ্যাক্টরীতে যেতে হল। পশ্চিম বাংলাতেও নারী
ক্ষমতায়ন যেটুকু হয়েছে তার মূলে আছে উদবাস্ত সমস্যা। প্রতিটা বাঙাল ফ্যামিলিতে এতই অর্থাভাব ছিল, ফ্যামিলিতে পুরুষরা বাধ্য
হলেন মেয়েদের চাকরী করা মেনে নিতে। মেঘে ঢাকা তারার নীরারা পর্দায় না -বাস্তবেই বাঙালী নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন
অবস্থান নিয়েছেন। আমার দাদু ছিলেন খুব রক্ষণশীল লোক-কিন্ত সংসারে অর্থাভাবে বাধ্য হয়েছিলেন মেনে নিতে যাতে আমার মা বা
মাসীরা চাকরি করে। সেই নিয়ে তার আফশোস ও ছিল। তার সব সময় মনে হত হয়ত মেয়েদের চাকরী ছেড়ে ছেলে মেয়ে মানুষ
করাটাই উচিত ছিল আগে। আমি এই অবস্থা দেখেছি আরো অনেক বাঙাল ফ্যামিলিতে-যেখানে মেয়েটিই চাকরী করে সংসার
বাঁচিয়েছেন। বাবা অনেক কষ্টে মেয়ের চাকরি করা মানতে বাধ্য হয়েছে। এরা কেও বোভায়া বা রোকেয়ার নাম জানে না ।
অর্থানৈতিক প্রগতি, উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তন নারীবাদের আসল চাবিকাঠি। যেমন হাজার নারীবাদি ডায়ালোগ সত্ত্বেও বাস্তব হচ্ছে
অধিকাংশ চাকরীজীবি মায়েরা ক্যারিয়ার ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কি আমেরিকাতে, কি ভারতে। স্বেচ্ছায়। সুতরাং ছেলে মেয়ে মানুষ
করার হিউমানয়েড বা কমিউনিটি সিস্টেম না আসা পর্যন্ত, মেয়েদের জন্য চাকরি করা এখনো সম্পূর্ন লেভেল ফিল্ড হবে না । কিন্ত
প্রযুক্তির উন্নতিতে আস্তে আস্তে এমনিতেই নারীর অধিকার গুলি প্রতিষ্ঠিত হবে।
রোকেয়ার মতন পুরুষতন্ত্রের সাথে আপোস করে চলা নাকি তসলিমার মতন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও নারীবাদি জিহাদ ? কিসে ভাল
ফল হবে ? ইন্সিডেন্টালি আমি মনে করি না চেতনা উন্মেষের আন্দোলনে কিছু হয় বলে বা এগুলোর কোন প্রভাব আছে। সমাজ
বদলায়, নারী অধিকার বদলায় উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে নারী এগোলে তার পেছনে ভূমিকা থাকবে গার্মেন্টস
শ্রমিকদের যারা নিজেদের রুজি বাঁচাতে নিজেদের অধিকারের লড়াই লড়বে। পাশ্চাত্যে নারীবাদিদের লেখালেখি থেকে নারীর
অধিকার আসে নি। অধিকার এসেছে যখন শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজন হয়েছে নারীকে ফ্যাক্টরী শ্রমিক বানাতে। আমেরিকাতেও নারী
স্বাধীনতার সব থেকে গুরুত্বপূর্ন ধাপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যখন যুদ্ধের প্রয়োজনে নারীকে ফ্যাক্টরীতে যেতে হল। পশ্চিম বাংলাতেও নারী
ক্ষমতায়ন যেটুকু হয়েছে তার মূলে আছে উদবাস্ত সমস্যা। প্রতিটা বাঙাল ফ্যামিলিতে এতই অর্থাভাব ছিল, ফ্যামিলিতে পুরুষরা বাধ্য
হলেন মেয়েদের চাকরী করা মেনে নিতে। মেঘে ঢাকা তারার নীরারা পর্দায় না -বাস্তবেই বাঙালী নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন
অবস্থান নিয়েছেন। আমার দাদু ছিলেন খুব রক্ষণশীল লোক-কিন্ত সংসারে অর্থাভাবে বাধ্য হয়েছিলেন মেনে নিতে যাতে আমার মা বা
মাসীরা চাকরি করে। সেই নিয়ে তার আফশোস ও ছিল। তার সব সময় মনে হত হয়ত মেয়েদের চাকরী ছেড়ে ছেলে মেয়ে মানুষ
করাটাই উচিত ছিল আগে। আমি এই অবস্থা দেখেছি আরো অনেক বাঙাল ফ্যামিলিতে-যেখানে মেয়েটিই চাকরী করে সংসার
বাঁচিয়েছেন। বাবা অনেক কষ্টে মেয়ের চাকরি করা মানতে বাধ্য হয়েছে। এরা কেও বোভায়া বা রোকেয়ার নাম জানে না ।
অর্থানৈতিক প্রগতি, উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তন নারীবাদের আসল চাবিকাঠি। যেমন হাজার নারীবাদি ডায়ালোগ সত্ত্বেও বাস্তব হচ্ছে
অধিকাংশ চাকরীজীবি মায়েরা ক্যারিয়ার ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কি আমেরিকাতে, কি ভারতে। স্বেচ্ছায়। সুতরাং ছেলে মেয়ে মানুষ
করার হিউমানয়েড বা কমিউনিটি সিস্টেম না আসা পর্যন্ত, মেয়েদের জন্য চাকরি করা এখনো সম্পূর্ন লেভেল ফিল্ড হবে না । কিন্ত
প্রযুক্তির উন্নতিতে আস্তে আস্তে এমনিতেই নারীর অধিকার গুলি প্রতিষ্ঠিত হবে।
No comments:
Post a Comment