Sunday, November 2, 2014

প্রগতিশীলতার সংজ্ঞা," চুমু" খাওয়া আন্দোলন

প্রগতিশীলতার সংজ্ঞা নির্নয় কঠিন। জীবনের যেহেতু কোন পরম উদ্দেশ্য নেই, কে কার সাথে শুচ্ছে, উঠছে, কি পড়ছে এই নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন যদ্দিন না তা "নতুন" নাগরিক গড়ার কাজে অন্তরায় হয়।  এমনিতে পরকীয়া নৈতিক ভাবে দোষের না-কিন্ত তা করতে গিয়ে যদি পিতা মাতার সন্তান সন্ততির দেখভালের কাজের ক্ষতি হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই কাম্য না । এখন পরকীয়া করার অধিকার প্রগতিশীলতা না অধোগতি?  পরকীয় সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই আছে। তাহলে নতুন কি হইল? কিন্ত এর উত্তর পোষ্ট মর্ডান ফিলোসফি-স্থান, কাল পাত্র বুঝে তাহা ভাল বা খারাপ কর্ম। ওই ভাবে কোন সহজ উত্তর নেই ।

 ইদানিং চাড্ডিগিরির বিরুদ্ধে যে " চুমু" খাওয়া আন্দোলন ভারতে শুরু হয়েছে-সেটা তাহলে কি? এটা ঠিক, প্রকাশ্যে চুমু খেলে সমাজ পরিবর্তন হয় না । একমাত্র নতুন প্রযুক্তিই সমাজ পরিবর্তন করে উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে। এই জন্য স্টিম ইঞ্জিন এবং ফরাসী বিপ্লবের জন্ম প্রায় একই সাথে হলেও , স্টিম ইঞ্জিনের মাধ্যমে যে শিল্প বিপ্লব এবং তার থেকে সমাজ পরিবর্তন সাধিত  হয়েছিল, তা ফরাসী বিপ্লবের সাম্যের স্লোগানে কনামাত্রও কিছু হয় নি। স্যোশাল মিডিয়া বা  ইন্টারনেট যে সমাজ বিপ্লবের জন্ম দিচ্ছে, তার ভগ্নাংশও বলশেভিক বিপ্লবের দ্বারা সাধিত হয় নি। বলশেভিক বিপ্লব ঘড়ির কাঁটা বরং উল্টোদিকে ঘুরিয়েছে।

সুতরাং ভারতে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াটা একটি "জন বিপ্লব"।  এর দ্বারা সমাজ পরিবর্তন কিছু হবে না তা নিশ্চিত। কিন্ত সেভাবে এটিকে ভাবলে ভুল হবে।

 বরং এটিকে দেখতে হবে ভারতের চাড্ডিগিরি মার্কা যেসব আইন আছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এটিকে প্রতিবাদি আন্দোলন হিসাবে দেখলে তবেই এর মধ্যে কিছু সারাংশ পাওয়া যাবে।  Unjust laws are not laws. সুতরাং আইনের উন্নতির জন্যই সর্বদা আইন অমান্য আন্দোলনের দরকার আছে এবং হবে।

সুতরাং ভারতের চুমু খাওয়া আন্দোলনের প্রতি আমার সমর্থন রইল যাতে ভারতের প্রাগৈতিহাসিক আইনগুলির পরিবর্তন হয়।

No comments: