স্মৃতির গহ্বরে হানা দিতেই, এক ভয়ংকর সত্যের সম্মুখীন আমি। কোনদিন ভাবিই নি হয়ত। আচ্ছা ভারতে এই যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বুলি কপচানো হচ্ছে-এই প্রশ্নটা কেও করেছে?
হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে পারিবারিক, সামাজিক আদানপ্রদান কতটা ভারতে?
আমার নিজের তথ্যটা দিই আগে। আমি ভারতে ছিলাম জীবনের প্রথম সাতাশ বছর । এই সাতাশ বছরে কোনদিন কোন মুসলিম গৃহে খানাপিনা করার সৌভাগ্য হয় নি। তবে বাবার বন্ধুদের অনেকেই মুসলিম ছিলেন। তাদের আমাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কিন্ত আমার ঘনিষ্ঠ সার্কলে কোন মুসলিম ছিল না । কারন এই নয় যে আমি মুসলিমদের এড়িয়ে চলতাম। আসলে আমাদের করিমপুরের হাইস্কুলে বা নরেন্দ্রপুরে বা আই আই টি খরগপুরে মুসলিমদের মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হত। আই আই টিতে মুসলিমদের অধিকাংশই আবার বাংলাদেশ না হলে মধ্য প্রাচ্যের।
অথচ আমেরিকাতে যদ্দিন আছি-আমার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাছের বন্ধুরা বাংলাদেশের মুসলিম। আমাদের প্রায় প্রতি সপ্তাহে একসাথে খানাপিনা, পার্টি চলতে থাকে।
কিন্ত আমার এখন ভাবতে অদ্ভুত লাগে। করিমপুরের আশে পাশের গ্রামগুলোতে প্রায় ১০০% মুসলিম। আমার বাবাও একটি মুসলিম অধ্যুষিত স্কুলেই শিক্ষক ছিলেন । কিন্ত মুসলিমরা পারিবারিক বা সোশাল সার্কেলে আসবে কি করে? আমাদের ওই গঞ্জ শহরেও কেও মুসলিমদের ঘর ভাড়া দিত না । দিত এক বিধবা মহিলা-যার দিন চলত ঘর ভাড়া থেকে। সে দিত। কারন মুসলিমদের ঘর ভাড়া দিলে ২৫% বেশী ভাড়া পেত। এত করুন অবস্থা, ভাবতেই খারাপ লাগে।
আজকে মুসলমানদের যখন চারিদিকে দেশদ্রোহি বলা হচ্ছে, হিন্দুরা কি কেও একবার ও ভেবেছেন-তারা দেশের মুসলমানদের কিভাবে "ট্রিট" করেন? এই ট্রিটমেন্টের পর সামাজিক সম্প্রীতি বা দেশভক্তি কি করে কেও আশা করে সেটাও আমার মাথায় ঢোকে না । এসব যখন ভাবি তখন মনে হয় দেশভাগ হয়ে ভালো হয়েছে। কারন অধিকাংশ হিন্দু মুসলমানদের প্রাপ্য মানুষের সন্মান দেয় নি। যেসব হিন্দু ফ্যামিলি নিজেদের উঠোনে নমঃশুদ্র দেখলেই ফিস্ফাস করে, তারা মুসলমানদের কি সন্মান দিত সেসব ভাবলেও আঁতকে উঠি।
ইসলাম নিয়ে আমার কোন ইল্যুশন নেই । কোন ধর্ম নিয়েই নেই। একবিংশ শতাব্দিতে এসবের কোন দরকার আছে বলে মনে করি না । আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জন্য, যদি লাগে, গীতা কোরান বাইবেল ত্রিপিটক আধুনিক দর্শন রবীন্দ্রনাথ নজরুল, কার্ল মার্ক্স- সব আছে-প্রানখুলে পড়লেই হল। তার জন্য হিন্দু মুসলমান হওয়াটা অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর । ক্ষতি অনেক হইয়েই গেছে-এখন মানুষ তার এই অপ্রয়োজনীয় ধর্মীয় লেবাসটা যত তারাতাড়ি খুলতে পারবে, ততই মঙ্গল।
হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে পারিবারিক, সামাজিক আদানপ্রদান কতটা ভারতে?
আমার নিজের তথ্যটা দিই আগে। আমি ভারতে ছিলাম জীবনের প্রথম সাতাশ বছর । এই সাতাশ বছরে কোনদিন কোন মুসলিম গৃহে খানাপিনা করার সৌভাগ্য হয় নি। তবে বাবার বন্ধুদের অনেকেই মুসলিম ছিলেন। তাদের আমাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কিন্ত আমার ঘনিষ্ঠ সার্কলে কোন মুসলিম ছিল না । কারন এই নয় যে আমি মুসলিমদের এড়িয়ে চলতাম। আসলে আমাদের করিমপুরের হাইস্কুলে বা নরেন্দ্রপুরে বা আই আই টি খরগপুরে মুসলিমদের মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হত। আই আই টিতে মুসলিমদের অধিকাংশই আবার বাংলাদেশ না হলে মধ্য প্রাচ্যের।
অথচ আমেরিকাতে যদ্দিন আছি-আমার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাছের বন্ধুরা বাংলাদেশের মুসলিম। আমাদের প্রায় প্রতি সপ্তাহে একসাথে খানাপিনা, পার্টি চলতে থাকে।
কিন্ত আমার এখন ভাবতে অদ্ভুত লাগে। করিমপুরের আশে পাশের গ্রামগুলোতে প্রায় ১০০% মুসলিম। আমার বাবাও একটি মুসলিম অধ্যুষিত স্কুলেই শিক্ষক ছিলেন । কিন্ত মুসলিমরা পারিবারিক বা সোশাল সার্কেলে আসবে কি করে? আমাদের ওই গঞ্জ শহরেও কেও মুসলিমদের ঘর ভাড়া দিত না । দিত এক বিধবা মহিলা-যার দিন চলত ঘর ভাড়া থেকে। সে দিত। কারন মুসলিমদের ঘর ভাড়া দিলে ২৫% বেশী ভাড়া পেত। এত করুন অবস্থা, ভাবতেই খারাপ লাগে।
আজকে মুসলমানদের যখন চারিদিকে দেশদ্রোহি বলা হচ্ছে, হিন্দুরা কি কেও একবার ও ভেবেছেন-তারা দেশের মুসলমানদের কিভাবে "ট্রিট" করেন? এই ট্রিটমেন্টের পর সামাজিক সম্প্রীতি বা দেশভক্তি কি করে কেও আশা করে সেটাও আমার মাথায় ঢোকে না । এসব যখন ভাবি তখন মনে হয় দেশভাগ হয়ে ভালো হয়েছে। কারন অধিকাংশ হিন্দু মুসলমানদের প্রাপ্য মানুষের সন্মান দেয় নি। যেসব হিন্দু ফ্যামিলি নিজেদের উঠোনে নমঃশুদ্র দেখলেই ফিস্ফাস করে, তারা মুসলমানদের কি সন্মান দিত সেসব ভাবলেও আঁতকে উঠি।
ইসলাম নিয়ে আমার কোন ইল্যুশন নেই । কোন ধর্ম নিয়েই নেই। একবিংশ শতাব্দিতে এসবের কোন দরকার আছে বলে মনে করি না । আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জন্য, যদি লাগে, গীতা কোরান বাইবেল ত্রিপিটক আধুনিক দর্শন রবীন্দ্রনাথ নজরুল, কার্ল মার্ক্স- সব আছে-প্রানখুলে পড়লেই হল। তার জন্য হিন্দু মুসলমান হওয়াটা অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর । ক্ষতি অনেক হইয়েই গেছে-এখন মানুষ তার এই অপ্রয়োজনীয় ধর্মীয় লেবাসটা যত তারাতাড়ি খুলতে পারবে, ততই মঙ্গল।
No comments:
Post a Comment