সন্ত্রাসবাদ যুদ্ধের ভিন্ন রূপ।
একপক্ষ যখন অন্যপক্ষের সাথে সম্মুখ সমরে অসমর্থ, তখন দুর্বল পক্ষ সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করে। যবে থেকে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে ইতিহাসে, তবে থেকেই কেন্দ্রীয় রাজশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং সন্ত্রাসবাদ আছে। হ্যা বিংশ শতাব্দি থেকে, সন্ত্রাসবাদ অন্যরূপে। কারন তলোয়ার বর্শার যুগে, সেনাদের হাতে অস্ত্র থাকলে, মানুষের হাতেও অস্ত্র থাকত। তাই তখন হত "বিদ্রোহ"। বারো ভুঁইয়ারা বিদ্রোহ করেছিলেন। প্রবল মুঘল শক্তির বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা তাদের ছিল। চোরাগোপ্তা সন্ত্রাসবাদের দরকার হত না তখন।
উনবিংশ শতাব্দির মধ্যে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র হয়ে উঠল মারাত্মক। বিংশ শতাব্দির শুরু থেকে, বিধ্বংসী কামান আর মেশিনগানের যুগে সম্মুখ সমরে যুদ্ধে জেতা সম্ভব ছিল না রাষ্ট্রের বিদ্রোহি অংশের। ফলে আমরা দেখব কি ভারত, কি ইউরোপে, যেসব জাতিসত্ত্বারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন একশো বছর আগে বিদ্রোহ করে, তারা সন্ত্রাসবাদের সাহায্যে স্বাধীনতার যুদ্ধে নামলেন।
আমি গত তিন দিনে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রচুর পোষ্টদেখলাম। মুশকিল হচ্ছে সবাই তিনটে ক্যাম্পে বিভক্ত- হিন্দুত্ববাদি ( বিজেপি), সেকুলার জাতিয়তাবাদি ( কংগ্রেস, তৃনমূল) এবং বাম লিব্যারাল। এরা সবাই নিজেদের আদর্শবাদের ভিত্তিতে ঘটনার বিশ্লেষন করছেন। কেও অভিজ্ঞতাবাদ বা এম্পিরিসিজমের ভিত্তিতে পুরো জিনিসটা দেখছেন না।
হিন্দুত্ববাদি বিশ্লেষন বলে "ইসলাম", মুসলমান দায়ী। এগুলো বিপজ্জ্বনক চিন্তা। জৈইশই মহম্মদ মানে মহম্মদের অনুগত। যেহেতু সকল মুসলমান সন্ত্রাসীই "ইসলামের শিক্ষায়" জিহাদি, সেহেতু, এটা ২+২=৪ করে দেওয়া হয়, ইসলামই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী। এই অতিসরলীকরন চিন্তার সমস্যা দুটো - এক, হিন্দু এবং খ্রীষ্টান ধর্মে উদবুদ্ধ সন্ত্রাসীও ত পৃথিবী দেখেছে। ধর্ম, একটা মানুষকে "সন্ত্রাসীতে" পরিণত করতে পারে। এটা ১০০% সত্য । কিন্ত সেই ধর্মটা হিন্দু, ইসলাম, খ্রীষ্ঠান হতে পারে। কমিউনিস্ট আইডিওজিও হতে পারে। "অস্তিত্ববাদি" যেকোন চিন্তা ( যা মানুষকে তার নশ্বর অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা না করতে বলে, বৃহত্তর "উদ্দেশ্যে" জন্য প্রান উৎসর্গ করতে শেখায় ) সন্ত্রাসবাদের "অনুঘটক"। কিন্ত মূল মিথক্রিয়া বা রিয়াকশন এর কারন কিন্ত "ক্ষমতার" খেলা। দ্বিতীয় কারনটা এই যে, আমি বা আপনি খুব ভাল ভদ্র মুসলমান ও দেখেছেন। আবার খারাপ মুসলমান ও দেখেছেন। এটা হিন্দুদের নিয়েও সত্য। কে কিভাবে ধর্মকে দেখছেন সেটা ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। কিন্ত কাশ্মীর ভ্যালি, বা ইংল্যান্ডের মুসলিমদের মধ্যে জিহাদি বেশী। কেন? কারন ওখানে মুসলমান কমিউনিটি নিজেদের "ভিক্টিম" ভাবে। সুতরাং ধর্ম দায়ী না। ধর্মকে কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারা কি ভাবে ক্ষমতার খেলায়, ধর্মকে দাবার বোর্ড বানিয়েছে- সেই গভীরে না গেলে, হিতে বিপরীত হবে।
সেকুলার জাতিয়তাবাদিরা কনফিউজড। একদিকে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচানোর দায়, অন্যদিক ফুটন্ত হিন্দু আবেগ। ভোট বড় বালাই। ইনারা সেফ সাইডে খেলেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পাকিস্তানকে মেপে গালাগাল দেন ( পাছে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক রুষ্ট হয়)। অনেকটাই জালানিবদ্ধ রুহিত- জালে আটকানো রুইমাছ। কিভাবে সন্ত্রাসবাদ আটকানো যাবে, সেই ব্যপারে কোন "কনস্ট্রাক্টিভ" কিছু শুনছি না। মোদি দোভালকে ফেলে দিলেই কাশ্মিরে শান্তি আসবে না। তবে হ্যা মমতা ব্যানার্জি দোভালকে যে দুহাত নিয়েছেন, তাতে আমি একমত। এই দোভাল লোকটা বকে বেশী, কাজে কম। যারা নিরাপত্তার আসল লোক হয়, তারা বকে কম, কাজ করে বেশী।
এবার থাকল বামপন্থীরা- "আমাদের মুল্যবান কথা কেউ বুঝতে চায় না"। ইনারা ব্রহ্ম ( পড়ুন ইনাদের বাম আদর্শ ) সত্য, জগৎ মিথ্যা তত্ত্বে বিশ্বাসী। ইনাদের কাছে জাতিয়তাবাদ, সেনাবাহিনী-সব কিছুই "চক্রান্ত" এর ফসল। ভারতীয় রাজনীতিতে বামের অবস্থা অনেকটা হাওড়ার ব্রীজের তলায় বসা কেসিপালের মতন - সবাইকে ডেক ডেকে শোনাচ্ছে সূর্য্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।
মুশকিল হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ থামাতে গেলে অভিজ্ঞতাবাদের ভিত্তিতেই একমাত্র সাফল্য আসবে। অর্থাৎ দেখতে হবে কোথায় কোথায় "কিভাবে" "কি দাবার চালে" রাষ্ট্র শক্তি সন্ত্রাসবাদকে শুইয়ে দিতে পেরেছে।
জাস্ট একটু ভাবুন। মাত্র এক লাখ বৃটিশ ভারতে সেই কালে কুড়িকোটি লোকের ওপর শাসন চালিয়েছে। এবং এখনো ভারতীয়রা বৃটিশ বলতে গদগদ! আর একশো দশ কোটি ভারতীয়, দশকোটি কাশ্মিরীকে বাগে আনতে পারছে না ! যদ্দিন তারা আদর্শের ভিত্তিতে ভাববে, পারবেও না।
রোমান সম্রাটেরা কি ভাবে উত্তরের জার্মানিক, গল উপজাতিতেদের অনুগত করেছিল? জানেন সেই ইতিহাস?
কি জাদুতে পুতিন চেচেনে সন্ত্রাসবাদ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হাপিস করে দিলেন? কেন প্রথমে মিলিটারি নামিয়ে হল না ( প্রথম এবং দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ) - এবং এই চল্লিশ জনের মৃত্যুত কিছু না। চেচেন সন্ত্রাসবাদে প্রায় ২২ হাজার রাশিয়ান সেনা প্রান হারিয়েছিল। কিন্ত কিভাবে চেচেনে শান্তি ফেরালেন পুতিন?
এই তিনটে অভিজ্ঞতাকে এক করলে যেসব জিনিস পরিস্কার হয় -
(১) কাশ্মীরে ভারতের অনুগত "কাশ্মীরি" ডিক্টেটর দরকার। গণতন্ত্র এলে সেখানে ফারুকি, ওমর বা মেহেবুবা-এরা সবাই ভারত বিরোধি শক্তিকেই শক্ত করবে। বিসমিল্লায় গলদ। গণতন্ত্র কাশ্মীরে আসুক। কিন্ত আগে সন্ত্রাসবাদের দমন দরকার। তদ্দিন সেখানে ভারত অনুগত কাশ্মীরি স্বৈরতন্ত্র দরকার।
(২) কাশ্মীরে ডিক্টেটরশিপের সাহায্যে (১) এর ন্যায়, পুলিশ এবং প্রাশাসনে, শিক্ষাক্ষেত্রে শুধু তাদেরই নেওয়া হবে, যারা ভারতের অনুগত এবং এই ভাবে একটা "প্রো ইন্ডিয়া" এলিট কাশ্মীরি শ্রেনী তৈরী করা দরকার। গণতন্ত্র থাকলে এটা হবে না। হাসিনার মতন স্ট্রং ম্যান দরকার।
(৩) এই ডিক্টেটরের হাতে এক্সট্রা জুডিশিয়াল ভারত অনুগত কাশ্মীরি প্যারামিলিটারি দিতে হবে । যারা সন্ত্রাসবাদি দমনের আনঅফিশিয়াল ফোর্স হবে। ভারতের মিলিটারী দিয়ে কাশ্মীরি দমন করলে, সেটা ঘোষিত যুদ্ধ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে। ভারত অনুগত কাশ্মীরী প্যারামিলিটারি না থাকলে, সন্ত্রাস চলতেই থাকবে।
প্রথম এবং দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধে রাশিয়ান সৈন্যদের দিয়ে চেচেন দমন করতে গিয়ে বাইশ হাজার সৈন্য হারিয়েছিলেন পুতিন। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, আর রাশিয়ান দিয়ে চেচেন দমনের কথা ভাবেন নি। চেচেন দিয়েই চেচেনদের দমন করেছেন। নিজের অনুগত রামজান কাদিরভকে বসিয়েছিলেন। তাকে তৈরী করে দিয়েছিলেন এক চেচেন প্যারামিলিটারি যারা শায়মিল বাসায়েভের সন্ত্রাসবাদি শক্তিকে তিন বছরে খতম করে।
যেমন করেছিল বৃটিশরা। বা রোমানরা। এটাই অভিজ্ঞতাবাদের শিক্ষা।
ফলো দ্যা সাক্সেস! আমি গণতন্ত্র প্রেমী লোক। যা নিদান দিলাম, তা আমার নিজের আদর্শের বিরোধি। কিন্ত অভিজ্ঞতাবাদ মানতে গেলে-ফলো দ্যা সাক্সেস। ডাউন ইউথ ইয়োর আইডিওলজি।
একপক্ষ যখন অন্যপক্ষের সাথে সম্মুখ সমরে অসমর্থ, তখন দুর্বল পক্ষ সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করে। যবে থেকে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে ইতিহাসে, তবে থেকেই কেন্দ্রীয় রাজশক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং সন্ত্রাসবাদ আছে। হ্যা বিংশ শতাব্দি থেকে, সন্ত্রাসবাদ অন্যরূপে। কারন তলোয়ার বর্শার যুগে, সেনাদের হাতে অস্ত্র থাকলে, মানুষের হাতেও অস্ত্র থাকত। তাই তখন হত "বিদ্রোহ"। বারো ভুঁইয়ারা বিদ্রোহ করেছিলেন। প্রবল মুঘল শক্তির বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা তাদের ছিল। চোরাগোপ্তা সন্ত্রাসবাদের দরকার হত না তখন।
উনবিংশ শতাব্দির মধ্যে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র হয়ে উঠল মারাত্মক। বিংশ শতাব্দির শুরু থেকে, বিধ্বংসী কামান আর মেশিনগানের যুগে সম্মুখ সমরে যুদ্ধে জেতা সম্ভব ছিল না রাষ্ট্রের বিদ্রোহি অংশের। ফলে আমরা দেখব কি ভারত, কি ইউরোপে, যেসব জাতিসত্ত্বারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন একশো বছর আগে বিদ্রোহ করে, তারা সন্ত্রাসবাদের সাহায্যে স্বাধীনতার যুদ্ধে নামলেন।
আমি গত তিন দিনে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রচুর পোষ্টদেখলাম। মুশকিল হচ্ছে সবাই তিনটে ক্যাম্পে বিভক্ত- হিন্দুত্ববাদি ( বিজেপি), সেকুলার জাতিয়তাবাদি ( কংগ্রেস, তৃনমূল) এবং বাম লিব্যারাল। এরা সবাই নিজেদের আদর্শবাদের ভিত্তিতে ঘটনার বিশ্লেষন করছেন। কেও অভিজ্ঞতাবাদ বা এম্পিরিসিজমের ভিত্তিতে পুরো জিনিসটা দেখছেন না।
হিন্দুত্ববাদি বিশ্লেষন বলে "ইসলাম", মুসলমান দায়ী। এগুলো বিপজ্জ্বনক চিন্তা। জৈইশই মহম্মদ মানে মহম্মদের অনুগত। যেহেতু সকল মুসলমান সন্ত্রাসীই "ইসলামের শিক্ষায়" জিহাদি, সেহেতু, এটা ২+২=৪ করে দেওয়া হয়, ইসলামই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী। এই অতিসরলীকরন চিন্তার সমস্যা দুটো - এক, হিন্দু এবং খ্রীষ্টান ধর্মে উদবুদ্ধ সন্ত্রাসীও ত পৃথিবী দেখেছে। ধর্ম, একটা মানুষকে "সন্ত্রাসীতে" পরিণত করতে পারে। এটা ১০০% সত্য । কিন্ত সেই ধর্মটা হিন্দু, ইসলাম, খ্রীষ্ঠান হতে পারে। কমিউনিস্ট আইডিওজিও হতে পারে। "অস্তিত্ববাদি" যেকোন চিন্তা ( যা মানুষকে তার নশ্বর অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা না করতে বলে, বৃহত্তর "উদ্দেশ্যে" জন্য প্রান উৎসর্গ করতে শেখায় ) সন্ত্রাসবাদের "অনুঘটক"। কিন্ত মূল মিথক্রিয়া বা রিয়াকশন এর কারন কিন্ত "ক্ষমতার" খেলা। দ্বিতীয় কারনটা এই যে, আমি বা আপনি খুব ভাল ভদ্র মুসলমান ও দেখেছেন। আবার খারাপ মুসলমান ও দেখেছেন। এটা হিন্দুদের নিয়েও সত্য। কে কিভাবে ধর্মকে দেখছেন সেটা ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। কিন্ত কাশ্মীর ভ্যালি, বা ইংল্যান্ডের মুসলিমদের মধ্যে জিহাদি বেশী। কেন? কারন ওখানে মুসলমান কমিউনিটি নিজেদের "ভিক্টিম" ভাবে। সুতরাং ধর্ম দায়ী না। ধর্মকে কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারা কি ভাবে ক্ষমতার খেলায়, ধর্মকে দাবার বোর্ড বানিয়েছে- সেই গভীরে না গেলে, হিতে বিপরীত হবে।
সেকুলার জাতিয়তাবাদিরা কনফিউজড। একদিকে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচানোর দায়, অন্যদিক ফুটন্ত হিন্দু আবেগ। ভোট বড় বালাই। ইনারা সেফ সাইডে খেলেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পাকিস্তানকে মেপে গালাগাল দেন ( পাছে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক রুষ্ট হয়)। অনেকটাই জালানিবদ্ধ রুহিত- জালে আটকানো রুইমাছ। কিভাবে সন্ত্রাসবাদ আটকানো যাবে, সেই ব্যপারে কোন "কনস্ট্রাক্টিভ" কিছু শুনছি না। মোদি দোভালকে ফেলে দিলেই কাশ্মিরে শান্তি আসবে না। তবে হ্যা মমতা ব্যানার্জি দোভালকে যে দুহাত নিয়েছেন, তাতে আমি একমত। এই দোভাল লোকটা বকে বেশী, কাজে কম। যারা নিরাপত্তার আসল লোক হয়, তারা বকে কম, কাজ করে বেশী।
এবার থাকল বামপন্থীরা- "আমাদের মুল্যবান কথা কেউ বুঝতে চায় না"। ইনারা ব্রহ্ম ( পড়ুন ইনাদের বাম আদর্শ ) সত্য, জগৎ মিথ্যা তত্ত্বে বিশ্বাসী। ইনাদের কাছে জাতিয়তাবাদ, সেনাবাহিনী-সব কিছুই "চক্রান্ত" এর ফসল। ভারতীয় রাজনীতিতে বামের অবস্থা অনেকটা হাওড়ার ব্রীজের তলায় বসা কেসিপালের মতন - সবাইকে ডেক ডেকে শোনাচ্ছে সূর্য্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।
মুশকিল হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ থামাতে গেলে অভিজ্ঞতাবাদের ভিত্তিতেই একমাত্র সাফল্য আসবে। অর্থাৎ দেখতে হবে কোথায় কোথায় "কিভাবে" "কি দাবার চালে" রাষ্ট্র শক্তি সন্ত্রাসবাদকে শুইয়ে দিতে পেরেছে।
জাস্ট একটু ভাবুন। মাত্র এক লাখ বৃটিশ ভারতে সেই কালে কুড়িকোটি লোকের ওপর শাসন চালিয়েছে। এবং এখনো ভারতীয়রা বৃটিশ বলতে গদগদ! আর একশো দশ কোটি ভারতীয়, দশকোটি কাশ্মিরীকে বাগে আনতে পারছে না ! যদ্দিন তারা আদর্শের ভিত্তিতে ভাববে, পারবেও না।
রোমান সম্রাটেরা কি ভাবে উত্তরের জার্মানিক, গল উপজাতিতেদের অনুগত করেছিল? জানেন সেই ইতিহাস?
কি জাদুতে পুতিন চেচেনে সন্ত্রাসবাদ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হাপিস করে দিলেন? কেন প্রথমে মিলিটারি নামিয়ে হল না ( প্রথম এবং দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ) - এবং এই চল্লিশ জনের মৃত্যুত কিছু না। চেচেন সন্ত্রাসবাদে প্রায় ২২ হাজার রাশিয়ান সেনা প্রান হারিয়েছিল। কিন্ত কিভাবে চেচেনে শান্তি ফেরালেন পুতিন?
এই তিনটে অভিজ্ঞতাকে এক করলে যেসব জিনিস পরিস্কার হয় -
(১) কাশ্মীরে ভারতের অনুগত "কাশ্মীরি" ডিক্টেটর দরকার। গণতন্ত্র এলে সেখানে ফারুকি, ওমর বা মেহেবুবা-এরা সবাই ভারত বিরোধি শক্তিকেই শক্ত করবে। বিসমিল্লায় গলদ। গণতন্ত্র কাশ্মীরে আসুক। কিন্ত আগে সন্ত্রাসবাদের দমন দরকার। তদ্দিন সেখানে ভারত অনুগত কাশ্মীরি স্বৈরতন্ত্র দরকার।
(২) কাশ্মীরে ডিক্টেটরশিপের সাহায্যে (১) এর ন্যায়, পুলিশ এবং প্রাশাসনে, শিক্ষাক্ষেত্রে শুধু তাদেরই নেওয়া হবে, যারা ভারতের অনুগত এবং এই ভাবে একটা "প্রো ইন্ডিয়া" এলিট কাশ্মীরি শ্রেনী তৈরী করা দরকার। গণতন্ত্র থাকলে এটা হবে না। হাসিনার মতন স্ট্রং ম্যান দরকার।
(৩) এই ডিক্টেটরের হাতে এক্সট্রা জুডিশিয়াল ভারত অনুগত কাশ্মীরি প্যারামিলিটারি দিতে হবে । যারা সন্ত্রাসবাদি দমনের আনঅফিশিয়াল ফোর্স হবে। ভারতের মিলিটারী দিয়ে কাশ্মীরি দমন করলে, সেটা ঘোষিত যুদ্ধ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে। ভারত অনুগত কাশ্মীরী প্যারামিলিটারি না থাকলে, সন্ত্রাস চলতেই থাকবে।
প্রথম এবং দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধে রাশিয়ান সৈন্যদের দিয়ে চেচেন দমন করতে গিয়ে বাইশ হাজার সৈন্য হারিয়েছিলেন পুতিন। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, আর রাশিয়ান দিয়ে চেচেন দমনের কথা ভাবেন নি। চেচেন দিয়েই চেচেনদের দমন করেছেন। নিজের অনুগত রামজান কাদিরভকে বসিয়েছিলেন। তাকে তৈরী করে দিয়েছিলেন এক চেচেন প্যারামিলিটারি যারা শায়মিল বাসায়েভের সন্ত্রাসবাদি শক্তিকে তিন বছরে খতম করে।
যেমন করেছিল বৃটিশরা। বা রোমানরা। এটাই অভিজ্ঞতাবাদের শিক্ষা।
ফলো দ্যা সাক্সেস! আমি গণতন্ত্র প্রেমী লোক। যা নিদান দিলাম, তা আমার নিজের আদর্শের বিরোধি। কিন্ত অভিজ্ঞতাবাদ মানতে গেলে-ফলো দ্যা সাক্সেস। ডাউন ইউথ ইয়োর আইডিওলজি।
No comments:
Post a Comment