ছোটবেলায় মনে আছে সারা বিশ্বে কোন কিছু ঘটলেই "মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক" বলে মিছিলে ভাসত বাংলার পথঘাট। ৯৯% বাঙালী গ্লোবে আমেরিকাটা কোন দিকে দেখাতে পারবে না-কিন্ত লাল মিছিলে নেমে যেত লাল চোখ রাঙানির ভয়ে।
বহুদিন বাদে ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর বিরুদ্ধে গুইডোকে সাপোর্ট করছে আমেরিকা। তাতেই সঙ্গে সঙ্গে কৌটো এবং পতাকা নিয়ে নেমেছেন কমরেডরা। শুধু উনারা ব্যখ্যা করতে পারছেন না কেন ল্যাটিন আমেরিকার সমস্ত দেশই এক্ষেত্রে আমেরিকার অনেক আগেই গুইডোকে বৈধ প্রেসিডেন্ট মেনেছেন। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলি-যাদের নাকি বিরাট আমেরিকা বিরোধি বাম ঐতিহ্য-তারাও দেখা যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে আমেরিকার দলে! মাদুরো তাদের কাছে এতই অসহ্য তারা আমেরিকার সাথে মিলিটারি ইন্টারভেনশনেও রাজী!
বিশ্ব বিপ্লব রক্ষার করার গুরু দ্বায়িত্ব "শুধুই" বাঙালী বামছাগলদের (!)
ল্যাটিন আমেরিকার প্রতিটা দেশে যে ভাবে ভেনেজুয়েলা স্বরনার্থীদের ঢল নেমেছে-এবং তার জন্য ড্রাগ ট্রাফিকিং ও গণিকাবৃত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে-ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলির অন্য কোন অপশন নেই। তারা ট্রাম্পের অনেকদিন আগে থেকেই চাইছেন মাদুরো সরকারের অপসারন।
ল্যাটিন আমেরিকার বৈপ্লবিক ঐতিহ্য প্রায় দুশো বছরের। সাইমন বলিভারের নেতৃত্বে যে ইউরোপিয়ান কলোনি বিরোধি, সামন্ত প্রভু বিরোধি আন্দোলনের বীজ ল্যাটিন আমেরিকাতে দুশো বছর আগে পোঁতা হয়েছিল-তা থেকে আজও ছাড়া গাছ দেয়। যার জন্য ল্যাটিন আমেরিকার সব বাম নেতাই মার্ক্স লেনিনের থেকেও সাইমন বলিভারের ঐতিহ্যের প্রতি বেশী যত্নবান।
শুধু তাই না ভেনেজুয়েলার সেকন্ড রিপাবলিকের শুরুও ১৮৩০ সাল থেকে। এবং তার পর থেকেই ভেনেজুয়েলাতে গণতন্ত্র এবং মিলিটারিতন্ত্র একের পর এসেছে। বলিভারের সুযোগ্য উত্তরাসূরী দাবী করে শাভেজ ১৯৯৯ সালে তার সরকারকে পঞ্চম রিপাবলিক বলে ঘোষনা দিয়ে ছিলেন।
২০১৫ সালের ন্যাশানাল কাউন্সিলের ইলেকশনে শাভেজের /মাদুরোর পার্টি পি এস ইউ ভির ভরাডুবি হয়। সেই রেজাল্ট অবৈধ করার জন্য মাদুরো সুপ্রীম কোর্টে যান- যেখান কার জাজেরা অধিকাংশই মাদুরো লইয়ালিস্ট। ২০১৭ সালের মধ্যে ডিমোক্রাটি আলায়ান্সের অনেক নেতাকেই কোরাপশনের অভিযোগে জেলে পোরেন মাদুরো। তার লক্ষ্য ছিল বাকী জীবনের জন্য ডিক্টেটর শিপ। যা বর্তমান সংবিধান সমর্থন করে না। কিন্ত সংবিধান পরিবর্তন করে সেটা করার তালে ছিলেন মাদুরো। ২০১৫ সাল থেকে যে সংবিধানিক ক্রাইসিস চলছে- আজকে তারই বিস্ফোরন। এবং পুরো ঘটনা বিশ্লেষন করলে দেখা যাচ্ছে
(১) মাদুরো অবৈধ প্রেসিডেন্ট- ২০১৫ সালের ইলেকশনে তার পার্টির ভরাডুবি হয়
(২) ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সুপ্রীম কোর্টকে হাতে নিয়ে বিরোধি নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন ( ভারতে এটা কি ভাবে হয় নিশ্চয় বলে দিতে হবে না)
(৩) তার অতিবাম বিপ্লব- যার জন্য সরকার ছোট খাট মুদির দোকান, পোল্ট্রি ইত্যাদি নিজেরা দখল করেছে- আজকের দুর্দশার জন্য দায়ী। নানান ব্যবসার ওপর এত "বৈপ্লবিক" ট্যাক্স বসিয়েছেন শাভেজ থেকে মাদুরোরা- ভেনেজুয়েলার মার্কেট ইকনমি সম্পূর্ন ভেঙে গেছে। ফলে উৎপাদন নেই। আর উৎপাদন না থাকলে বিরাট ইনফ্লেশন হবেই।
এই অবস্থায়, ল্যাটিন আমেরিকার সব দেশ, আমেরিকা, এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান মাদুরোকে সরেযেতে বলবেই। কারন তা নাহলে ভেনেজুয়েলার এই ক্রাইসিস আটকানো সম্ভব না।
যেটা কমিনিউস্ট বাম হিন্দুত্ববাদি ইসলামিস্টরা অহরহ ভুল করেন- তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে মানুষের ওপর চাপান। আদর্শ মানুষের জন্য। মানুষ আদর্শের জন্য না। অথচ এই ভুলটাই অহরহ করেন বামেরা, হিন্দুত্ববাদিরা, ইসলামিস্টরা।
মানুষের বিরুদ্ধে যেতে নেই। সবার ওপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
আমেরিকা ইরান, ভিয়েতনাম থেকে অনেক দেশেই মানুষের বিরুদ্ধে গেছে-তার ফল তারা পেয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ান মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা সরকার তৈরী করেছিল। সেটাও মায়ের ভোগে গেছে।
পশ্চিম বঙ্গে বামফ্রন্ট ৩৪ বছরে গণতান্ত্রিক থেকে গণশত্রু সরকার তৈরি করছিল। তাদের মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে জনগন। বিজেপি , তৃনমূল- এরাও যদি জনবিরোধি অপ্রিয় সরকার বেশী দিন টানতে চায় ছলে বলে- তার ফল হবে আরো খারাপ।
পৃথিবীর সব জনগন বিরোধি সরকারই ধ্বংস হবে। এটাই ইতিহাস। মানুষের বিরুদ্ধে যেতে নেই। এই সামান্য সত্যটা বাঙালী বামেরা বোঝে না বলেই তারা আজ প্রাগৈতিহাসিক মিউজিয়ামে।
বহুদিন বাদে ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর বিরুদ্ধে গুইডোকে সাপোর্ট করছে আমেরিকা। তাতেই সঙ্গে সঙ্গে কৌটো এবং পতাকা নিয়ে নেমেছেন কমরেডরা। শুধু উনারা ব্যখ্যা করতে পারছেন না কেন ল্যাটিন আমেরিকার সমস্ত দেশই এক্ষেত্রে আমেরিকার অনেক আগেই গুইডোকে বৈধ প্রেসিডেন্ট মেনেছেন। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলি-যাদের নাকি বিরাট আমেরিকা বিরোধি বাম ঐতিহ্য-তারাও দেখা যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে আমেরিকার দলে! মাদুরো তাদের কাছে এতই অসহ্য তারা আমেরিকার সাথে মিলিটারি ইন্টারভেনশনেও রাজী!
বিশ্ব বিপ্লব রক্ষার করার গুরু দ্বায়িত্ব "শুধুই" বাঙালী বামছাগলদের (!)
ল্যাটিন আমেরিকার প্রতিটা দেশে যে ভাবে ভেনেজুয়েলা স্বরনার্থীদের ঢল নেমেছে-এবং তার জন্য ড্রাগ ট্রাফিকিং ও গণিকাবৃত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে-ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলির অন্য কোন অপশন নেই। তারা ট্রাম্পের অনেকদিন আগে থেকেই চাইছেন মাদুরো সরকারের অপসারন।
ল্যাটিন আমেরিকার বৈপ্লবিক ঐতিহ্য প্রায় দুশো বছরের। সাইমন বলিভারের নেতৃত্বে যে ইউরোপিয়ান কলোনি বিরোধি, সামন্ত প্রভু বিরোধি আন্দোলনের বীজ ল্যাটিন আমেরিকাতে দুশো বছর আগে পোঁতা হয়েছিল-তা থেকে আজও ছাড়া গাছ দেয়। যার জন্য ল্যাটিন আমেরিকার সব বাম নেতাই মার্ক্স লেনিনের থেকেও সাইমন বলিভারের ঐতিহ্যের প্রতি বেশী যত্নবান।
শুধু তাই না ভেনেজুয়েলার সেকন্ড রিপাবলিকের শুরুও ১৮৩০ সাল থেকে। এবং তার পর থেকেই ভেনেজুয়েলাতে গণতন্ত্র এবং মিলিটারিতন্ত্র একের পর এসেছে। বলিভারের সুযোগ্য উত্তরাসূরী দাবী করে শাভেজ ১৯৯৯ সালে তার সরকারকে পঞ্চম রিপাবলিক বলে ঘোষনা দিয়ে ছিলেন।
২০১৫ সালের ন্যাশানাল কাউন্সিলের ইলেকশনে শাভেজের /মাদুরোর পার্টি পি এস ইউ ভির ভরাডুবি হয়। সেই রেজাল্ট অবৈধ করার জন্য মাদুরো সুপ্রীম কোর্টে যান- যেখান কার জাজেরা অধিকাংশই মাদুরো লইয়ালিস্ট। ২০১৭ সালের মধ্যে ডিমোক্রাটি আলায়ান্সের অনেক নেতাকেই কোরাপশনের অভিযোগে জেলে পোরেন মাদুরো। তার লক্ষ্য ছিল বাকী জীবনের জন্য ডিক্টেটর শিপ। যা বর্তমান সংবিধান সমর্থন করে না। কিন্ত সংবিধান পরিবর্তন করে সেটা করার তালে ছিলেন মাদুরো। ২০১৫ সাল থেকে যে সংবিধানিক ক্রাইসিস চলছে- আজকে তারই বিস্ফোরন। এবং পুরো ঘটনা বিশ্লেষন করলে দেখা যাচ্ছে
(১) মাদুরো অবৈধ প্রেসিডেন্ট- ২০১৫ সালের ইলেকশনে তার পার্টির ভরাডুবি হয়
(২) ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সুপ্রীম কোর্টকে হাতে নিয়ে বিরোধি নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন ( ভারতে এটা কি ভাবে হয় নিশ্চয় বলে দিতে হবে না)
(৩) তার অতিবাম বিপ্লব- যার জন্য সরকার ছোট খাট মুদির দোকান, পোল্ট্রি ইত্যাদি নিজেরা দখল করেছে- আজকের দুর্দশার জন্য দায়ী। নানান ব্যবসার ওপর এত "বৈপ্লবিক" ট্যাক্স বসিয়েছেন শাভেজ থেকে মাদুরোরা- ভেনেজুয়েলার মার্কেট ইকনমি সম্পূর্ন ভেঙে গেছে। ফলে উৎপাদন নেই। আর উৎপাদন না থাকলে বিরাট ইনফ্লেশন হবেই।
এই অবস্থায়, ল্যাটিন আমেরিকার সব দেশ, আমেরিকা, এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান মাদুরোকে সরেযেতে বলবেই। কারন তা নাহলে ভেনেজুয়েলার এই ক্রাইসিস আটকানো সম্ভব না।
যেটা কমিনিউস্ট বাম হিন্দুত্ববাদি ইসলামিস্টরা অহরহ ভুল করেন- তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে মানুষের ওপর চাপান। আদর্শ মানুষের জন্য। মানুষ আদর্শের জন্য না। অথচ এই ভুলটাই অহরহ করেন বামেরা, হিন্দুত্ববাদিরা, ইসলামিস্টরা।
মানুষের বিরুদ্ধে যেতে নেই। সবার ওপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
আমেরিকা ইরান, ভিয়েতনাম থেকে অনেক দেশেই মানুষের বিরুদ্ধে গেছে-তার ফল তারা পেয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ান মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা সরকার তৈরী করেছিল। সেটাও মায়ের ভোগে গেছে।
পশ্চিম বঙ্গে বামফ্রন্ট ৩৪ বছরে গণতান্ত্রিক থেকে গণশত্রু সরকার তৈরি করছিল। তাদের মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে জনগন। বিজেপি , তৃনমূল- এরাও যদি জনবিরোধি অপ্রিয় সরকার বেশী দিন টানতে চায় ছলে বলে- তার ফল হবে আরো খারাপ।
পৃথিবীর সব জনগন বিরোধি সরকারই ধ্বংস হবে। এটাই ইতিহাস। মানুষের বিরুদ্ধে যেতে নেই। এই সামান্য সত্যটা বাঙালী বামেরা বোঝে না বলেই তারা আজ প্রাগৈতিহাসিক মিউজিয়ামে।
No comments:
Post a Comment