সেটা ১৯৮৫। হেমবতী নন্দন বহুগুনা খুব দুঃখ করছেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর কাছে। সদ্য হেরেছেন অমিতাভ বচ্চনের কাছে এলাহাবাদ সিটে। শুধু হারা? যাকে বলে গোহারা- এক লাখ, সত্তর হাজার ভোটে!
বহুগুনা স্বাধীনতা সংগ্রামী, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে চার বছর জেল খেটেছিলেন। উত্তর প্রদেশের প্রাত্তন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রেও অনেক দিন মন্ত্রী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর এমার্জেন্সির বিরুদ্ধেও লড়েছেন। সব মিলিয়ে, ভারতের রাজনীতিতে বিরাট মুখ।
তিনি শুধু হারলেন না, গোহারা হারলেন, রাজনীতিতে নবাগত অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধে!
উনি বাজপেয়ীকে বলেচলেছেন- দেখ অটল। জনগণকে দেখ। এরা আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার কিছুই মনে রাখল না! শুধু গ্ল্যামার দেখে ভোট দিল! ছি ছি এদের জন্যেই আমি বৃটিশ আর ইন্দিরা গান্ধীর জেল খাটলাম? তাহলে আমরা এদ্দিন করছিটা কি? আমাদের গ্রহনযোগ্যতা এতই নীচে যে লোকে রং সং মাখা কাউকে পেলে আমাদের ছেড়ে পালাবে?
বাজপেয়ী রসিক মানুষ। বল্লেন বহুগুনাজী- নিজেকে ভাগ্যবান মনে করুন!
- কেন?
-কারন এই যে আপনাকে জিনাত আমনের বিরুদ্ধে লড়তে হয় নি। জিনাত আমন বিকিনি পড়ে ভোট চাইলে, আপনার জামানত জব্দ হত। আপনি অন্তত সেই লজ্জা থেকে বেঁচেছেন!
মিমি আর নুরসতের তৃনমূল পার্থী হওয়া নিয়ে, অনেক কথাই ঘুরছে। কিন্ত কংগ্রেস এবং তৃনমূল যে কেন্দ্রীকতার রাজনীতি করে , তাতে দাবার চালে ঠিকই আছে। কারন পশ্চিম বঙ্গের ৪২ টা কেন্দ্রে মমতাই পার্থী। এটা তৃনমূলের রাজনৈতিক পথ। কারন শুধু মাত্র এই ভাবেই তৃনমূল দলের মধ্যে ফ্যাকশনালিজম আটকাতে পারে। তৃনমূলের রাজনীতির প্রধান বাধা বিজেপি বা সিপিএম না। তাদের দলের নেতাদের কলহ। সেটা রুখতে বাইরের গ্ল্যামারাস পার্থী, তৃনমূলের জন্য ভাল। কারন জনগণ জানে সব নেতাই অভিনেতা। শুধু মমতা ব্যানার্জিকে দেখেই লোকে তৃনমূলকে ভোট দেয়। স্থানীয় তৃনমূলের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে তৃনমূলের রাজনীতি চলে না। এটাই তৃনমূলের রাজনীতি। কারুর সেটা ভাল না লাগলে, তারা তৃনমূলকে ভোট দেবে না। মিটে গেল।
ঠিক সেই জন্যে ডিরেক্ট অভিনেতা তৃনমূলে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য যা অটলজী বহুগুনাকে শুনিয়েছিলেন। কারন এরা মমতা বিরোধি পাওয়ার সেন্টার তৈরী করে তৃনমূলের ক্ষতি করবে না ভবিষ্যতে। যা মুকুল রায় সহ অনেকেই করে দেখিয়েছেন। সুতরাং মমতা ব্যানার্জির চালে কোন ভুল নেই।
কে জিতবে তা ঠিক করার মালিক জনগণ। প্রতিটা পার্টি তাদের নিজের মতন করে গুটি সাজাক। ভারতের রাজনীতি জটিল। যে যার মতন ঠিক বুঝে ভোট দিলেই হল।
বহুগুনা স্বাধীনতা সংগ্রামী, কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে চার বছর জেল খেটেছিলেন। উত্তর প্রদেশের প্রাত্তন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রেও অনেক দিন মন্ত্রী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর এমার্জেন্সির বিরুদ্ধেও লড়েছেন। সব মিলিয়ে, ভারতের রাজনীতিতে বিরাট মুখ।
তিনি শুধু হারলেন না, গোহারা হারলেন, রাজনীতিতে নবাগত অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধে!
উনি বাজপেয়ীকে বলেচলেছেন- দেখ অটল। জনগণকে দেখ। এরা আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার কিছুই মনে রাখল না! শুধু গ্ল্যামার দেখে ভোট দিল! ছি ছি এদের জন্যেই আমি বৃটিশ আর ইন্দিরা গান্ধীর জেল খাটলাম? তাহলে আমরা এদ্দিন করছিটা কি? আমাদের গ্রহনযোগ্যতা এতই নীচে যে লোকে রং সং মাখা কাউকে পেলে আমাদের ছেড়ে পালাবে?
বাজপেয়ী রসিক মানুষ। বল্লেন বহুগুনাজী- নিজেকে ভাগ্যবান মনে করুন!
- কেন?
-কারন এই যে আপনাকে জিনাত আমনের বিরুদ্ধে লড়তে হয় নি। জিনাত আমন বিকিনি পড়ে ভোট চাইলে, আপনার জামানত জব্দ হত। আপনি অন্তত সেই লজ্জা থেকে বেঁচেছেন!
মিমি আর নুরসতের তৃনমূল পার্থী হওয়া নিয়ে, অনেক কথাই ঘুরছে। কিন্ত কংগ্রেস এবং তৃনমূল যে কেন্দ্রীকতার রাজনীতি করে , তাতে দাবার চালে ঠিকই আছে। কারন পশ্চিম বঙ্গের ৪২ টা কেন্দ্রে মমতাই পার্থী। এটা তৃনমূলের রাজনৈতিক পথ। কারন শুধু মাত্র এই ভাবেই তৃনমূল দলের মধ্যে ফ্যাকশনালিজম আটকাতে পারে। তৃনমূলের রাজনীতির প্রধান বাধা বিজেপি বা সিপিএম না। তাদের দলের নেতাদের কলহ। সেটা রুখতে বাইরের গ্ল্যামারাস পার্থী, তৃনমূলের জন্য ভাল। কারন জনগণ জানে সব নেতাই অভিনেতা। শুধু মমতা ব্যানার্জিকে দেখেই লোকে তৃনমূলকে ভোট দেয়। স্থানীয় তৃনমূলের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে তৃনমূলের রাজনীতি চলে না। এটাই তৃনমূলের রাজনীতি। কারুর সেটা ভাল না লাগলে, তারা তৃনমূলকে ভোট দেবে না। মিটে গেল।
ঠিক সেই জন্যে ডিরেক্ট অভিনেতা তৃনমূলে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য যা অটলজী বহুগুনাকে শুনিয়েছিলেন। কারন এরা মমতা বিরোধি পাওয়ার সেন্টার তৈরী করে তৃনমূলের ক্ষতি করবে না ভবিষ্যতে। যা মুকুল রায় সহ অনেকেই করে দেখিয়েছেন। সুতরাং মমতা ব্যানার্জির চালে কোন ভুল নেই।
কে জিতবে তা ঠিক করার মালিক জনগণ। প্রতিটা পার্টি তাদের নিজের মতন করে গুটি সাজাক। ভারতের রাজনীতি জটিল। যে যার মতন ঠিক বুঝে ভোট দিলেই হল।
No comments:
Post a Comment