Sunday, March 17, 2019

যুদ্ধ যুদ্ধ কাবাডি

এটা যুদ্ধ না, যুদ্ধ যুদ্ধ কাবাডি!

 সন্ত্রাসী এক্সপোর্টার হিসাবে বিশ্বের কোন সভ্যদেশই পাকিস্তানকে পছন্দ করে না। কিন্ত গত দুদিনের  ভারতীয় ন্যারেটিভগুলি - যথা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ৩০০ জন সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে, ইত্যাদি কিন্ত আন্তর্জাতিক মিডিয়া খাচ্ছে না। কারন ভারত, ৩০০ মৃত জঙ্গীর কোন প্রমান দিতে পারে নি। বরং আপাতত যা গ্রাউন্ড লেভেলে আসছে, খুব সম্ভবত জঙ্গী ঘাঁটির এক কিলোমিটার দূরে বোমটা পড়েছে। সন্ত্রাসীরা বহাল তবিয়তেই আছে। মধ্যে খান থেকে পাকিস্তান ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দনকে যুদ্ধবন্দী বানাতে সক্ষম হয়েছে।

বরং এত কিছুর মধ্যে যেটা পরিস্কার, ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। পাকিস্তান ইস্যু না। ওদের দুদিন যুদ্ধ করার ও টাকা নেই। মিলিটারী প্রযুক্তিতে ভারত এই মুহুর্তে চীনের থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে গেছে। যেটা চিন্তার আসল কারন হওয়া উচিত।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মাত্র দু বছরের পুরাতন প্রযুক্তি বাতিল করতে হত। তার উদাহরন অসংখ্য।  সেখানে ভারতের বিমান বাহিনীর বর্তমান অবস্থা -

   মিগ-২১ বাইসন ( পঞ্চাশ বছরের পুরাতন প্রযুক্তি)
   মিরাজ ( ২৫ বছর )
   মিগ -২৯ ( ৩০ বছর)
   সুখোই - ২০ বছর

 এই যে এত রাফাল রাফাল করে সবাই চিল্লাচ্ছে, সেই রাফাল ও এখন ১০ বছরের পুরাতন প্রযুক্তি।

 যুদ্ধ বিমান কিনে ভারত প্রযুক্তিগত ভাবে কোন দিনই এগিয়ে থাকতে পারবে না। সম্ভব না। নিজেদের তৈরী করতে হবে।

 তেজাস যুদ্ধ বিমান তৈরী করতে পারে নি ঠিক ঠাক। প্রচুর  ডিলে!

 অর্জুন ট্যাঙ্ক, প্রায় ৩০ বছরের হতে চললো- এখনো ঠিক ঠাক না।

 এসাল্ট রাইফেল ও এখনো ঠিক ঠাক তৈরী করতে পারে না।

 এত ব্রহ্ম মিসাইল মিসাইল করে চিল্লাচ্ছে, কিন্ত তাহলে টেরোরিস্ট ক্যাম্পে আঘাত হানতে ব্রহ্ম মিশাইল কেন ছাড়া হল না?  টার্গেট ত ভারতের সীমানা থেকে মোটে পাঁচ মাইল দূরে।  ব্রহ্মের রেঞ্জ নাকি তিনশো ?   ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোবে?

 অর্থাৎ যেকোন ধরনের  সামরিক প্রযুক্তি তৈরী করতে ভারত অক্ষম। কারন সরকারি আর এন্ডি ডি আর ডি ও শুধুই সাদা হাতি। শুধু মিডিয়া প্রচার করে লাভ নেই। সত্যিকারের যুদ্ধে গেলে ভারতীয় সামরিক প্রযুক্তির  হার কঙ্কাল বেড়িয়ে যাবে।

 মিলিটারি আর এন্ডির খুব দ্রুত প্রাইভেটাইজেশন করা উচিত। না হলে ভারত আরো পেছবে। সোভিয়েত ইউনিয়ানে একমাত্র সরকারি আরন্ডিতে ভাল অস্ত্র তৈরি হত। কারন সেখানে বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ হলে, তাদের কঠোর শাস্তি হত।  গণতান্ত্রিক দেশে সেসব সম্ভব না। ফলে ভারতের মিলিটারি আএন্ডি, ডি আর ডি ও নামক সাদা হাতিটি পুষে লাভ নেই। ভারত মিলিটারি প্রযুক্তিতে আরো পিছিয়ে যাবে।

চিন্তা করবেন না। যুদ্ধ হবে না। কারন ভারতের সেনানায়করাও ভালো করেই জানেন, যুদ্ধে গেলে যুদ্ধাস্ত্রের কঙ্কালসার অবস্থা, প্রযুক্তিতে কয়েক দশক পিছিয়ে থাকা, সব কিছুই সামনে চলে আসবে। আর পাকিস্তান ও যাবে না। কারন এক সপ্তাহ মতন যুদ্ধ চালানোর খরচ ও তাদের নেই।  বরং একটু কাবাডি খেলা হবে সীমান্তে। যদি তাতে মোদির ভোটব্যঙ্কে লাভ হয়। তবে, ব্যকফায়ারের সম্ভাবনাই বেশী দেখছি।

No comments: