প্রাত্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডাব্লু বুশ প্রয়াত। আমেরিকাতে তিনি "ড্যাডি বুশ" নামেই বেশী পরিচিত।
পৃথিবী তাকে চেনে সাদ্দাম বিরোধি প্রথম গলফ ওয়ারের জন্য। বাঙালীকে জর্জ বুশের সাথে পরিচয় করিয়েছিল সিপিএম- যুদ্ধবাজ বুশ হিসাবে যিনি নাকি "ঋষিতুল্য" সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন!!!! ১৯৯০ সালে পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে শহরে পোষ্টারে ছয়লাপ করেদিয়েছিল সিপিএম- যুদ্ধবাজ বুশ!
আমেরিকা তাকে চেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দেশপ্রেমিক বীর সেনানী হিসাবে। ১৯৪৩ সালে তিনি নেভি পাইলট হিসাবে যোগ দেন। প্রাশান্ত মহাসাগরে তখন জাপানের সাথে ঘোর যুদ্ধ। ৪৩-৪৫, মোট ৫৩ বার উড়েছেন জাপানের বিরুদ্ধে। ১৯৪৪ সালে ইচো জিমা দ্বীপে আক্রমন চালাতে গিয়ে, তার বিমান এন্টি এয়ারক্রাফট গানের গুলিতে ধ্বংস হয়। তার দুজন সাগরেদ প্লেনেই মারা যায়। উনি কোন রকমে আহত অবস্থায় প্যারাড্রপিং এ সক্ষম হৌন। প্রায় তিনদিন অবচেতন অবস্থায় প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে থাকার পরে আমেরিকান সাবমেরিন তাকে উদ্ধার করে। ভাগ্য যে হাঙরের পেটে তিনি যান নি। কিন্ত তাতেও তাকে দমানো যায় নি। একটু সুস্থ হয়েই আবার জাপানের বিরুদ্ধে বিমান হানায় নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন। সেনেটর বাপ, প্রেমিকা বারবারা কেউই তাকে দ্বিতীয়বার আটকাতে পারেন নি। তার কাছে দেশপ্রেম ছিল ব্যক্তিগত প্রেমের ওপরে ।
যুদ্ধে যোগ দেওয়ার তার কোন দরকার ছিল না। বাবা এবং শশুর দুজনেই ধণকুবের। বাবা প্রেসকট বুশ আবার রিপাবলিকান সেনেটর ও বটে। কিন্ত আমেরিকার জন্য তিনি প্রাণ হাতে নিয়েই লড়েছেন। মৃত্যু অভিজ্ঞতাও তাকে থামাতে পারে নি। তার দেশপ্রেম ছিল নিখাদ এবং অটুট।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি উনাইটেড নেশনে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সিয়ার দ্বায়িত্ব ও সামলেছেন। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন। রেগান জমানায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন। সব লেভেলের আমেরিকান রাজনীতিই তিনি সামলেছেন। তাকে বলা হয় বিংশ শতাব্দির আমেরিকান রক্ষনশীল রাজনীতির পোষ্টার চাইল্ড। রিপাবলিকান পার্টিই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান।
তার সব থেকে বড় কৃতিত্ব সাদ্দামকে দমানো না। কমিনিউমের পতনকে সুদৃঢ় করেছেন ম্যাজিক্যাল মেথডে। বার্লিন ওয়াল ভাংল, সোভিয়েতের পতন হল, কিন্ত বাবা বুশ আবেগহীন -কোন উল্লাস নেই। কেন নেই? কারন ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, লোকে দুদিন কমিউনিজমের পতনে উচ্ছাস করবে। কিন্ত যদিন পেটে টান পড়বে, আবার কোন না কোন চতুর নেতা কমিউনিজমের নামে একনায়কতন্ত্র জাহির করবে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন ওয়ালের পতনের পর ইস্টার্ন ইউরোপে সিয়া ছিল ভীষন সতর্ক। তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ ছিল, কমিউনিস্ট নেতারা যাতে আর ক্ষমতায় ফিরতে না পারে। এবং সেই জন্য খাদ্য ঔষধ সহ নানান সাহায্যে দিয়ে প্রাক গণতান্ত্রিক সরকার গুলোকে টিকিয়ে রাখছিল আমেরিকা। ১৯৯০ সালে সাদ্দামকে দুদিনে হারিয়ে অনায়াসেই ইরাক দখল করতে পারত আমেরিকা। কিন্ত সেই দিকে যান নি বুশ। কারন সেটা করলে, "প্রোকমিউস্ট" রাশিয়ান ন্যাশানালিস্টদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হত। তখন তার প্রধান চিন্তা কি ভাবে পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের রিএন্ট্রি আটকানো যায়।
উনি উনার রাজনৈতিক লাইনের কাছে সৎ ছিলেন। রাজনীতিতে লোকের বিভিন্ন চিন্তাধারা থাকবে। বিরুদ্ধ চিন্তার কেউ হলেই, তিনি খুব বাজে লোক- এই ধরনের চিন্তা বালখিল্যতা। তিনি তার রাজনৈতিক লাইনের প্রতি কতটা নিষ্ঠাবান ছিলেন, সেটাই মুখ্য বিবেচ্য।
আমেরিকানরা অবশ্যই তাকে মনে রাখবে বীর দেশপ্রেমিক যোদ্ধা হিসাবেই।
পৃথিবী তাকে চেনে সাদ্দাম বিরোধি প্রথম গলফ ওয়ারের জন্য। বাঙালীকে জর্জ বুশের সাথে পরিচয় করিয়েছিল সিপিএম- যুদ্ধবাজ বুশ হিসাবে যিনি নাকি "ঋষিতুল্য" সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন!!!! ১৯৯০ সালে পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে শহরে পোষ্টারে ছয়লাপ করেদিয়েছিল সিপিএম- যুদ্ধবাজ বুশ!
আমেরিকা তাকে চেনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দেশপ্রেমিক বীর সেনানী হিসাবে। ১৯৪৩ সালে তিনি নেভি পাইলট হিসাবে যোগ দেন। প্রাশান্ত মহাসাগরে তখন জাপানের সাথে ঘোর যুদ্ধ। ৪৩-৪৫, মোট ৫৩ বার উড়েছেন জাপানের বিরুদ্ধে। ১৯৪৪ সালে ইচো জিমা দ্বীপে আক্রমন চালাতে গিয়ে, তার বিমান এন্টি এয়ারক্রাফট গানের গুলিতে ধ্বংস হয়। তার দুজন সাগরেদ প্লেনেই মারা যায়। উনি কোন রকমে আহত অবস্থায় প্যারাড্রপিং এ সক্ষম হৌন। প্রায় তিনদিন অবচেতন অবস্থায় প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে থাকার পরে আমেরিকান সাবমেরিন তাকে উদ্ধার করে। ভাগ্য যে হাঙরের পেটে তিনি যান নি। কিন্ত তাতেও তাকে দমানো যায় নি। একটু সুস্থ হয়েই আবার জাপানের বিরুদ্ধে বিমান হানায় নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন। সেনেটর বাপ, প্রেমিকা বারবারা কেউই তাকে দ্বিতীয়বার আটকাতে পারেন নি। তার কাছে দেশপ্রেম ছিল ব্যক্তিগত প্রেমের ওপরে ।
যুদ্ধে যোগ দেওয়ার তার কোন দরকার ছিল না। বাবা এবং শশুর দুজনেই ধণকুবের। বাবা প্রেসকট বুশ আবার রিপাবলিকান সেনেটর ও বটে। কিন্ত আমেরিকার জন্য তিনি প্রাণ হাতে নিয়েই লড়েছেন। মৃত্যু অভিজ্ঞতাও তাকে থামাতে পারে নি। তার দেশপ্রেম ছিল নিখাদ এবং অটুট।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি উনাইটেড নেশনে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সিয়ার দ্বায়িত্ব ও সামলেছেন। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন। রেগান জমানায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ছিলেন। সব লেভেলের আমেরিকান রাজনীতিই তিনি সামলেছেন। তাকে বলা হয় বিংশ শতাব্দির আমেরিকান রক্ষনশীল রাজনীতির পোষ্টার চাইল্ড। রিপাবলিকান পার্টিই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান।
তার সব থেকে বড় কৃতিত্ব সাদ্দামকে দমানো না। কমিনিউমের পতনকে সুদৃঢ় করেছেন ম্যাজিক্যাল মেথডে। বার্লিন ওয়াল ভাংল, সোভিয়েতের পতন হল, কিন্ত বাবা বুশ আবেগহীন -কোন উল্লাস নেই। কেন নেই? কারন ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, লোকে দুদিন কমিউনিজমের পতনে উচ্ছাস করবে। কিন্ত যদিন পেটে টান পড়বে, আবার কোন না কোন চতুর নেতা কমিউনিজমের নামে একনায়কতন্ত্র জাহির করবে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন ওয়ালের পতনের পর ইস্টার্ন ইউরোপে সিয়া ছিল ভীষন সতর্ক। তাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ ছিল, কমিউনিস্ট নেতারা যাতে আর ক্ষমতায় ফিরতে না পারে। এবং সেই জন্য খাদ্য ঔষধ সহ নানান সাহায্যে দিয়ে প্রাক গণতান্ত্রিক সরকার গুলোকে টিকিয়ে রাখছিল আমেরিকা। ১৯৯০ সালে সাদ্দামকে দুদিনে হারিয়ে অনায়াসেই ইরাক দখল করতে পারত আমেরিকা। কিন্ত সেই দিকে যান নি বুশ। কারন সেটা করলে, "প্রোকমিউস্ট" রাশিয়ান ন্যাশানালিস্টদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হত। তখন তার প্রধান চিন্তা কি ভাবে পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের রিএন্ট্রি আটকানো যায়।
উনি উনার রাজনৈতিক লাইনের কাছে সৎ ছিলেন। রাজনীতিতে লোকের বিভিন্ন চিন্তাধারা থাকবে। বিরুদ্ধ চিন্তার কেউ হলেই, তিনি খুব বাজে লোক- এই ধরনের চিন্তা বালখিল্যতা। তিনি তার রাজনৈতিক লাইনের প্রতি কতটা নিষ্ঠাবান ছিলেন, সেটাই মুখ্য বিবেচ্য।
আমেরিকানরা অবশ্যই তাকে মনে রাখবে বীর দেশপ্রেমিক যোদ্ধা হিসাবেই।