মানুষ আঁকতে শুরু করেছে সম্ভবত কুড়ি হাজার বছর আগে। দশহাজার বছর আগে কৃষিকাজের শুরু। ভাষার উৎপত্তি পাঁচ হাজার বছর। স্টিম ইঞ্জিন, যন্ত্র সভ্যতা -আড়াইশো বছর। ইলেক্ট্রিসিটি টেলিকম, জাস্ট একশো বছর। কম্পিউটার, সিলিকন চিপ- পঞ্চাশ বছর। ইন্টারনেট পঁচিশ বছর। স্মার্টফোন, স্যোশাল মিডিয়া , দশ বছর!
প্রযুক্তিই, প্রযুক্তির গতিকে ত্বরান্বিত করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সস্তার সিলিকন চিপের যুগলবন্দি যেসব প্রযুক্তির জন্ম দিতে পারে-যে ভাবে বদলে দিতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবন-তার সম্ভাবনা কল্পবিজ্ঞান কে হার মানাবে!
ইনফ্যাক্ট আজকাল অবস্থা এমন-কেউ যদি ২০৫০ সালের জন্য কোন কল্পবিজ্ঞান লেখে, ২০৫০ সালের সভ্যতা আজকের কল্পবিজ্ঞানের থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে!
স্মার্টফোন, স্যোশাল মিডিয়া আমদের জীবনযাত্রা যেটুকু বদলেছে-তা বলতে গেলে কিছুই না! ধরুন কৃত্রিম গর্ভ প্রায় চলেই এল ( হয়ত, আর কুড়ি বছর! )- সেক্ষেত্রে বিবাহ, সংসার এগুলো কি টিকবে? সমাজ বিজ্ঞানের নিয়মেই উচিত না। কারন প্রতিটা মানুষ সেক্ষেত্রে প্রজননের ক্ষেত্রে স্বয়ংভূ। ভাবুন একশো বছর বাদে বাবা মা -সন্তান এই সব কিছুই অবান্তর ঐতিহাসিক শব্দ! ভাবা যায়?
এই বছরের শেষে সার্গেও ক্যানেভারো প্রথম মানুষের মাথার ট্রান্সপ্ল্যান্ট অপারেশন করবেন। অর্থাৎ একজনের মাথা কেটে অন্যের দেহে বসিয়ে দেবেন! সফল কদ্দুর হবেন জানা নেই-কিন্ত এটা বোঝা যাচ্ছে, সেদিন আর দেরী নেই মানুষ অমরত্বের কাছাকাছি। বয়স বাড়লে মাথাটা কেটে অন্যের যুবক যুবতীর দেহে বসিয়ে দিলেই হল!
অন্যদিকে ডিন এন এতে এজিং জিন বা যা বয়স বাড়ায়, তা ধরে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই জীনটাকে টুক করে বাদ দিলে, অনন্ত যৌবন হাতের মুঠোয়। শুধু তাই না-সাথে সাথে ধর্মের ও ইতি। কারন মানুষের ধর্মকর্মের পেছনে সব থেকে বড় কারন অমরত্বের আশা-যে মরিলেও আত্মা বাঁচিবে। হয় পুনঃজন্ম বা স্বর্গে ভাসিবে! এই সব গাঁজাখুরি মানুষে বিশ্বাস করে কারন পৃথিবীর এই সত্তর আশি বছরের জীবনটা বড্ড ছোট। ফলে ধর্মে বিশ্বাস করে, মানুষ একটু শান্তি পায়। এখন অনন্ত যৌবন যদি হাতের মুঠোয় চলে আসে-কে আর অলীক অমরত্ব, আত্মা বা স্বর্গের সন্ধানে ধর্মকম্মো করবে?
মোদ্দা কথা-পৃথিবীর পরিবর্তন হতে চলেছে দ্রুত। এত দ্রুত, আমরা তৈরী না।
No comments:
Post a Comment