মন যা চাই, তাই নিয়ে লেখা ভারী দায়। জীবনের সব আশা পূর্ন হওয়ার না -কিন্ত কে আর তা বোঝে, না আমিই ছাই বুঝি সব সময়। কত কিছুইত চাইলেই হয় না । তার থেকেও যঘন্য এই যে গোটা পরিবার, সমাজ, বন্ধু, রাষ্ট্র বসে আছে সুযোগ পেলেই আপনাকে ভিলেন বানাবে।
এই সব আশাহত বেদনা থেকে যাতে মনোবৈকল্য না হয়, তার জন্যে আজ শোনাই পারভাইল বাবার কথা।
ইনি ছিলেন উত্তর ভারতের এক সাধু। সেকালে ভারতে সন্ন্যাসচর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ভারত্মার উপলদ্ধি -যার জন্য সব সন্ন্যাসীরাই ভারত ভ্রুমনে বেড়োতেন। এমন এক উত্তর ভারতের সাধু এলেন তামিল নাডুতে। তামিল ভাষা কিছুই জানেন না তিনি। জানেন শুধু একটাই শব্দ-পারভাইল। মানে কুছ বাত নেহি !
তামিল নাডুর এক গ্রাম তার ভাল লেগে গেল। তিনি গ্রামের বাইরে এক বৃহৎ বৃক্ষে ঘাঁটি বাঁধলেন। লোকে ভিক্ষা নিয়ে এসে নিজের ধান্দার কথা জিজ্ঞেস করে- বাবা, আমি মামলায় জিতব ত? ফসল এবার হবে ত ! সেই সাধু শুধুই উত্তর দেয় পারভাইল! পারভাইল!!
গ্রামের মোড়লের মামলা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে-লোকটা কাজির কাছে যাবার আগে সেই সাধুর কাছে এল। বাবা, আজ মামলায় জয় হবে ত? আবার সেই উত্তর পারভাইল!!
মোড়ল মামলায় জেতে। তার ধারনা সে সাধুবাবার আশীর্বাদেই জিতেছে। ব্যাস, সে সাধুর নাম দিল পারভাইল স্বামী। তার নামে গড়া হল মন্দির। দিক দিগান্ত থেকে লোকে আশীর্বাদ চাইতে আসত তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য-সাধুজীর শুধু একটাই উত্তর-পারভাইল। জ্বর থেকে আমাশায় উপশম, বিয়ে থেকে বিচ্ছেদ-উপদেশ চাইলে-বাবা শুধু একটাই কথা বলতেন , পারভাইল! কুছ পরোয়া নেহি!!! যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে থ্রি ইডিয়টেস নেমেছিল -আল ইজ ওয়েল!
ত একদিন হল কি --মোড়লের মেয়ে অন্তঃসত্বা -তা প্রকাশ পায়। বাপ মা ত এই মারে ত সেইমারে-বাচ্চার বাপের নাম জানার জন্য। মেয়েটা ফস করে বলে দিল-পারভাইল বাবা!
গ্রামের লোকসুদ্ধ ডান্ডা, লাঠি নিয়ে পারভাইল বাবার আশ্রমে এসে বাবাকে এইস্যা পেটানো শুরু করল। শালা ভন্ড! যাইহোক দুই বুদ্ধিমান লোক বললো একে মেরে কি হবে। তোমার মেয়েকে, পারভাইল বাবার সাথে অন্য দূর গ্রামে নির্বাসন দাও!
পারভাইল বাবা-কিছুই বলেন না। এখানেও জিজ্ঞেস করলে বলেন পারভাইল!
একদিন সেই মেয়ের প্রেমিক হাজির। বলে এবার বিয়ে করবে-আগে আসলে বাপের অত্যাচারে নাকি প্রমিকাকে স্বীকার করতে পারছিল না। সেই মেয়েত রেগে লাল-বললো আগে পারভাইল বাবার কাছে ক্ষমা চাও। ছেলেটি ক্ষমা চাইতে গেল- সেই সাধু বলে -পারভাইল!
ছেলেটি এবার গ্রামে ফিরে সবার সামনে স্বীকার করে সেই বাচ্চার বাবা-পারভাইল স্বামীকে বিনা কারনে হেনস্থা করা হয়েছে। সবদোষ তার।
গ্রামের সবাই মিলে পারভাইল স্বামীর কাছে ক্ষমা চাইতে গেল। সবাই বললো-স্বামীজি আপনি একরবার ও প্রতিবাদ করলেন না আপনার বিরুদ্ধে ওঠা এত বড় মিথ্যের?
স্বামীজি এবার ও বললেন -পারভাইল!!!
সত্যিই ত! আমাকে কে কি অপবাদ বা পুরস্কার দিল-তাতে আমার কিই বা যায় আসে? আমি আমার নিজের কাছে সৎ আর স্বচ্ছ থাকলেই যথেষ্ট!
এই সব আশাহত বেদনা থেকে যাতে মনোবৈকল্য না হয়, তার জন্যে আজ শোনাই পারভাইল বাবার কথা।
ইনি ছিলেন উত্তর ভারতের এক সাধু। সেকালে ভারতে সন্ন্যাসচর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ভারত্মার উপলদ্ধি -যার জন্য সব সন্ন্যাসীরাই ভারত ভ্রুমনে বেড়োতেন। এমন এক উত্তর ভারতের সাধু এলেন তামিল নাডুতে। তামিল ভাষা কিছুই জানেন না তিনি। জানেন শুধু একটাই শব্দ-পারভাইল। মানে কুছ বাত নেহি !
তামিল নাডুর এক গ্রাম তার ভাল লেগে গেল। তিনি গ্রামের বাইরে এক বৃহৎ বৃক্ষে ঘাঁটি বাঁধলেন। লোকে ভিক্ষা নিয়ে এসে নিজের ধান্দার কথা জিজ্ঞেস করে- বাবা, আমি মামলায় জিতব ত? ফসল এবার হবে ত ! সেই সাধু শুধুই উত্তর দেয় পারভাইল! পারভাইল!!
গ্রামের মোড়লের মামলা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে-লোকটা কাজির কাছে যাবার আগে সেই সাধুর কাছে এল। বাবা, আজ মামলায় জয় হবে ত? আবার সেই উত্তর পারভাইল!!
মোড়ল মামলায় জেতে। তার ধারনা সে সাধুবাবার আশীর্বাদেই জিতেছে। ব্যাস, সে সাধুর নাম দিল পারভাইল স্বামী। তার নামে গড়া হল মন্দির। দিক দিগান্ত থেকে লোকে আশীর্বাদ চাইতে আসত তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য-সাধুজীর শুধু একটাই উত্তর-পারভাইল। জ্বর থেকে আমাশায় উপশম, বিয়ে থেকে বিচ্ছেদ-উপদেশ চাইলে-বাবা শুধু একটাই কথা বলতেন , পারভাইল! কুছ পরোয়া নেহি!!! যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে থ্রি ইডিয়টেস নেমেছিল -আল ইজ ওয়েল!
ত একদিন হল কি --মোড়লের মেয়ে অন্তঃসত্বা -তা প্রকাশ পায়। বাপ মা ত এই মারে ত সেইমারে-বাচ্চার বাপের নাম জানার জন্য। মেয়েটা ফস করে বলে দিল-পারভাইল বাবা!
গ্রামের লোকসুদ্ধ ডান্ডা, লাঠি নিয়ে পারভাইল বাবার আশ্রমে এসে বাবাকে এইস্যা পেটানো শুরু করল। শালা ভন্ড! যাইহোক দুই বুদ্ধিমান লোক বললো একে মেরে কি হবে। তোমার মেয়েকে, পারভাইল বাবার সাথে অন্য দূর গ্রামে নির্বাসন দাও!
পারভাইল বাবা-কিছুই বলেন না। এখানেও জিজ্ঞেস করলে বলেন পারভাইল!
একদিন সেই মেয়ের প্রেমিক হাজির। বলে এবার বিয়ে করবে-আগে আসলে বাপের অত্যাচারে নাকি প্রমিকাকে স্বীকার করতে পারছিল না। সেই মেয়েত রেগে লাল-বললো আগে পারভাইল বাবার কাছে ক্ষমা চাও। ছেলেটি ক্ষমা চাইতে গেল- সেই সাধু বলে -পারভাইল!
ছেলেটি এবার গ্রামে ফিরে সবার সামনে স্বীকার করে সেই বাচ্চার বাবা-পারভাইল স্বামীকে বিনা কারনে হেনস্থা করা হয়েছে। সবদোষ তার।
গ্রামের সবাই মিলে পারভাইল স্বামীর কাছে ক্ষমা চাইতে গেল। সবাই বললো-স্বামীজি আপনি একরবার ও প্রতিবাদ করলেন না আপনার বিরুদ্ধে ওঠা এত বড় মিথ্যের?
স্বামীজি এবার ও বললেন -পারভাইল!!!
সত্যিই ত! আমাকে কে কি অপবাদ বা পুরস্কার দিল-তাতে আমার কিই বা যায় আসে? আমি আমার নিজের কাছে সৎ আর স্বচ্ছ থাকলেই যথেষ্ট!
No comments:
Post a Comment