আমি প্রতিষ্ঠিত বাঙালীদের মধ্যে দু সেট স্যাম্পল দেখি। একটা সেট নাটক, ব্যান্ডের গান, সিনেমা নিয়ে মত্ত। একদম ডিরেক্ট পার্টিসিপেশন। অন্য একটা সেট মাল খাবে, শেয়ার মার্কেটে একটু খুচরো খেলবে, লেটেস্ট হিন্দি কালচারে আপডেট রাখবে- পশ্চিম বঙ্গের কিছু হবে না বলে গাল দেবে। আমি তাদের কথাই লিখছি, বাঙালীদের মধ্যে যারা ভালো মাইনের চাকরি করে-দেশে বিদেশে কাজের সূত্রে যাতায়াত আছে।
আমেরিকাতে বাঙালীদের ৬৫ টা নাটকের দল ( আমার কাছে ২০১২ সালের লিস্ট অনুযায়ী), ব্যান্ডের গানের দল আছে গোটা কুড়ি।
মুশকিল হচ্ছে বাঙালীর অর্থনৈতিক পুনঃজীবন আজকে সব থেকে বেশী দরকার। সেই কাজটা খুব কষ্ট করে হলেও করছে মফঃশহরের কিছু বাঙালী যুবক। যাদের শিক্ষা খুব বেশী নেই - চাকরির অভাবে পিঠ এখন দেওয়ালে। তারাই হয়ত কষ্ট করে একটা ব্যাটারী ফ্যাক্টরী- লোক্যাল আলমারী তৈরীর ছোট কারখানা করে দু একজন কর্মচারী রাখার সামর্থ্য হয়েছে । বা ছোট হোসিয়ারি ফ্যাক্টরী খুলে টি শার্ট বানাচ্ছে।
অথচ এরা আমাদের সমাজে ব্রাত্য। কবি, নাট্যকার, ব্যর্থ সিনেমাকাররা বাঙালীর ডেমিগড। বাঙালীর উচ্চ ইন্টেলিজেন্সিয়া কোনদিন বাঙালীর অর্থনৈতিক পুনঃজীবনে কোন ভূমিকা রাখে নি। ব্যাতিক্রম আচার্য্য প্রফুল্ল রায়-যিনি বেঙ্গল কেমিক্যাল খুলে পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্ত সেটাও বাঙালীরা রাখতে পারল না। বন্ধ হয়ে গেছে যদ্দুর জানি।
দেখেশুনে মাঝে মাঝে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর যা পেছন মেরেছেন, তার স্বপ্নাবেশ থেকে বাঙালী আর কোনদিন বেড়োতে পারল না। অথচ আবাহমান কাল থেকে বাঙালী ওমন ছিল না- বঙ্গেই জন্মে ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ। ভারতের প্রথম আধুনিক আন্তারপ্রেনার। অথচ তার প্রতিষ্ঠিত ঠাকুর বাড়ি থেকে বাংলা ব্যবসার কালচারটা পেলো না। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ চেষ্টা করেছিলেন-কিন্ত ঠাকুর্দার বুদ্ধি তার মাথায় ছিল না। ঠাকুরেরা বাঙালীকে ভাসালেন কবিতা, গান, নাটকে। ব্যাবসার পথ প্রদর্শক হতে পারলেন না তারা। বাঙালীর ব্যবসা সূর্য্য ঠাকুর বাড়িতেই অস্তমিত হয় রবীন্দ্রনাথের উত্থানের সাথে সাথে।
আমেরিকাতে বাঙালীদের ৬৫ টা নাটকের দল ( আমার কাছে ২০১২ সালের লিস্ট অনুযায়ী), ব্যান্ডের গানের দল আছে গোটা কুড়ি।
মুশকিল হচ্ছে বাঙালীর অর্থনৈতিক পুনঃজীবন আজকে সব থেকে বেশী দরকার। সেই কাজটা খুব কষ্ট করে হলেও করছে মফঃশহরের কিছু বাঙালী যুবক। যাদের শিক্ষা খুব বেশী নেই - চাকরির অভাবে পিঠ এখন দেওয়ালে। তারাই হয়ত কষ্ট করে একটা ব্যাটারী ফ্যাক্টরী- লোক্যাল আলমারী তৈরীর ছোট কারখানা করে দু একজন কর্মচারী রাখার সামর্থ্য হয়েছে । বা ছোট হোসিয়ারি ফ্যাক্টরী খুলে টি শার্ট বানাচ্ছে।
অথচ এরা আমাদের সমাজে ব্রাত্য। কবি, নাট্যকার, ব্যর্থ সিনেমাকাররা বাঙালীর ডেমিগড। বাঙালীর উচ্চ ইন্টেলিজেন্সিয়া কোনদিন বাঙালীর অর্থনৈতিক পুনঃজীবনে কোন ভূমিকা রাখে নি। ব্যাতিক্রম আচার্য্য প্রফুল্ল রায়-যিনি বেঙ্গল কেমিক্যাল খুলে পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্ত সেটাও বাঙালীরা রাখতে পারল না। বন্ধ হয়ে গেছে যদ্দুর জানি।
দেখেশুনে মাঝে মাঝে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর যা পেছন মেরেছেন, তার স্বপ্নাবেশ থেকে বাঙালী আর কোনদিন বেড়োতে পারল না। অথচ আবাহমান কাল থেকে বাঙালী ওমন ছিল না- বঙ্গেই জন্মে ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ। ভারতের প্রথম আধুনিক আন্তারপ্রেনার। অথচ তার প্রতিষ্ঠিত ঠাকুর বাড়ি থেকে বাংলা ব্যবসার কালচারটা পেলো না। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ চেষ্টা করেছিলেন-কিন্ত ঠাকুর্দার বুদ্ধি তার মাথায় ছিল না। ঠাকুরেরা বাঙালীকে ভাসালেন কবিতা, গান, নাটকে। ব্যাবসার পথ প্রদর্শক হতে পারলেন না তারা। বাঙালীর ব্যবসা সূর্য্য ঠাকুর বাড়িতেই অস্তমিত হয় রবীন্দ্রনাথের উত্থানের সাথে সাথে।
No comments:
Post a Comment