আমি আগেও বলেছি হিন্দুত্ববাদের হিন্দু ধর্মটা আসলে "এন্টি-ইসলামিক" ইসলাম। এই হজপট কথাটার অর্থ হিন্দুত্ববাদিরা চাইছে -
মুসলমানদের ঠেকাতে হিন্দুরা মুসলিমদের মতন অসহিষ্ণু দাঙ্গাবাজ গোষ্টিবাজ হৌক -কিন্ত ধর্মের অবস্থানগুলো হবে ইসলাম বিরোধি।
মহারাষ্ট্রে গোনিধন ব্যানিং এর উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দু ধর্ম বলতে যদি বৈদিক ধর্ম বোঝায়, ভুরি ভুরি উদাহরন আছে আর্য্যরা গরুর
মাংস খেত। মহাভারতে রাজা রন্তিদেবের কিচেনে প্রতিদিন দুহাজার গরু বধ হত। সুতরাং এই গোবধ বন্ধে কোন ঐতিহাসিক হিন্দুত্ব
নেই । যেটা আছে সেটা নব্য রাজনৈতিক হিন্দুত্ব-যার উদ্দেশ্য ইসলামের বিরোধিতা করা।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ন দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইছি। দ্বাবিংশ শতাব্দিতে লোকে যখন একবিংশ শতাব্দির ইতিহাসের দিকে তাকাবে -
তখন যেসব জিনিস গুলো নিষ্ঠুর , অমানবিক বলে মানা হবে, তার মধ্যে সবার ওপরে থাকবে খাদ্যের জন্য পশুহত্যা। যেমন ধরুন
আজ থেকে ১০০০ বছর আগে দাশপ্রথা ছিল-মানুষকে পন্য করা হত-বেচাকেনা হত-এটা ভাবলেই আমাদের কেমন গা ঘিন ঘিন করে
এখন। তাহলে কি দ্বাবিংশ শতাব্দিতে লোকে মাংস খাবে না ? অবশ্যই খাবে। তবে পশুহত্যা করে নয়। কৃত্রিম মাংস খাবে যা তৈরী হবে
বায়োফ্যাক্টরিতে। পোষাকি নাম ইন-ভিট্রো মিট। ল্যাবে সেল কালচার করে তৈরী হয়। ২০১৩ সালে হল্যান্ডে তৈরী হয়েছে পৃথিবীর
প্রথম কৃত্রিম হ্যামবার্গার। তবে স্বাদে, গুনে, দামে এখনো প্রথাগত গরুর মাংসের কাছে আসে নি। কিন্ত আস্তে আস্তে আসবে। ত্রিশটি
ল্যাব এ ব্যাপারে কাজ করছে এই মুহুর্তে। পেটাও এই ব্যাপারে আগ্রহী।
১৯৩১ সালে চার্চিল লিখেছিলেন গরুর, চিকেনের মাংসের জন্য এই সব পশুদের বড় করা খুব নিষ্ঠুর প্রথা।
[We shall escape the absurdity of growing a whole chicken in order to eat the breast or wing, by growing
these parts separately under a suitable medium.]
আশা করব ইনভিট্রো মিট খুব দ্রুত সফল হবে এবং গরুর মাংস খাওয়ার রাজনীতি বিজ্ঞানের অগ্রগতির সামনে ইস্যুলেস বলে প্রতিপন্ন হবে।
No comments:
Post a Comment