বিবিসিতে বন্যা আহমেদের ইন্টারভিউ ইন্টারভিউ শুনলাম। কিছুক্ষন আগে চ্যাটে কথাও হল। মাথায় চারটে বড় ক্ষত। সারা দেহে চাপাতির দাগ। হাতে বেঁচে থাকা বাকী নটা আঙুলে অনেক স্টিচ। বিবিসির ইন্টারভিঊ এবং ব্যক্তিগত ভাবেও সে জানিয়েছে, সে অভিজিতের মুক্তমনা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
https://soundcloud.com/bbc-world-service/rafida-bonya-ahmed-murdered-blogger-avijit-roys-wife-i-will-not-be-quiet
বন্যাকে নিয়ে অন্য কোনদিন অন্য কোন কারনে অনেক লেখার ইচ্ছা রইল। আসলে ও এত প্রচার বিমুখ, ওকে নিয়ে লেখালেখি, মিডিয়া একদম পছন্দ করে না । গত চার বছর ধরে ও লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছিল। কেন জানি না । অভিজিতের এটা নিয়ে বিরাট খেদ ছিল। আমি একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম। বললো-ধুস আর ভাল্লাগছে না । লিখে কি হয়? আমি স্বীকার করলাম লিখে কিছু হয় না -শুধুই নিজের কথা অন্যকে বলে মানসিক শান্তি। ওই টুকুই!!
এত বিশাল পান্ডিত্য এবং সুগভীর সংবেদনশীলতা সত্ত্বেও নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিল এতদিন।
আমার , অভিজিতের এবং মুক্তমনার বাকী সদস্যদের খেদ ছিল অন্য যায়গায়। বন্যা রাজনীতি এবং দর্শন নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছে। আমরা যারা ওর সাথে ব্যক্তিগত ভাবে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি, তারাই শুধু সেই সুবিশাল উচ্চতাকে কাছ থেকে দেখেছে। কিন্ত কোনদিন রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করে নি। নব্য ধারার বামপন্থী আন্দোলন কেমন হওয়া উচিত, সেই নিয়ে আমাদের প্রচুর আলোচনা হত এক সময়। আমি কমিনিউজিমকে খিস্তি মেরে লিখলে, প্রকাশ্যে কিছু লিখত না -তবে ফোনে লেখাটার দুর্বলতা নিয়ে বলে দিত। ওকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সময় ক্যান্সার সত্ত্বেও ও মিছিলে হেঁটেছিল। ল্যাটিন আমেরিকাতে কার্যসূত্রে থাকার সুবাধে বোধ হয় ল্যাটিন ঘরানার বামপন্থা নিয়ে ওর উৎসাহ ছিল বেশ। আমি এগুলো নিয়ে ওকে লিখতে বলেছি অনেকদিন-কিন্ত কেন জানি না -ও এসব নিয়ে লেখে নি। নতুন ঘরানার বামপন্থা নিয়ে বাংলাতে লেখালেখি হয় না বললেই চলে।
মুক্তমনা আন্দোলন নেতৃত্ববিহীন, সংগঠকবিহীন হবে না -এটাই বড় আশা ভরসার স্থল।
https://soundcloud.com/bbc-world-service/rafida-bonya-ahmed-murdered-blogger-avijit-roys-wife-i-will-not-be-quiet
বন্যাকে নিয়ে অন্য কোনদিন অন্য কোন কারনে অনেক লেখার ইচ্ছা রইল। আসলে ও এত প্রচার বিমুখ, ওকে নিয়ে লেখালেখি, মিডিয়া একদম পছন্দ করে না । গত চার বছর ধরে ও লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছিল। কেন জানি না । অভিজিতের এটা নিয়ে বিরাট খেদ ছিল। আমি একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম। বললো-ধুস আর ভাল্লাগছে না । লিখে কি হয়? আমি স্বীকার করলাম লিখে কিছু হয় না -শুধুই নিজের কথা অন্যকে বলে মানসিক শান্তি। ওই টুকুই!!
এত বিশাল পান্ডিত্য এবং সুগভীর সংবেদনশীলতা সত্ত্বেও নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিল এতদিন।
আমার , অভিজিতের এবং মুক্তমনার বাকী সদস্যদের খেদ ছিল অন্য যায়গায়। বন্যা রাজনীতি এবং দর্শন নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছে। আমরা যারা ওর সাথে ব্যক্তিগত ভাবে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছি, তারাই শুধু সেই সুবিশাল উচ্চতাকে কাছ থেকে দেখেছে। কিন্ত কোনদিন রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করে নি। নব্য ধারার বামপন্থী আন্দোলন কেমন হওয়া উচিত, সেই নিয়ে আমাদের প্রচুর আলোচনা হত এক সময়। আমি কমিনিউজিমকে খিস্তি মেরে লিখলে, প্রকাশ্যে কিছু লিখত না -তবে ফোনে লেখাটার দুর্বলতা নিয়ে বলে দিত। ওকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সময় ক্যান্সার সত্ত্বেও ও মিছিলে হেঁটেছিল। ল্যাটিন আমেরিকাতে কার্যসূত্রে থাকার সুবাধে বোধ হয় ল্যাটিন ঘরানার বামপন্থা নিয়ে ওর উৎসাহ ছিল বেশ। আমি এগুলো নিয়ে ওকে লিখতে বলেছি অনেকদিন-কিন্ত কেন জানি না -ও এসব নিয়ে লেখে নি। নতুন ঘরানার বামপন্থা নিয়ে বাংলাতে লেখালেখি হয় না বললেই চলে।
মুক্তমনা আন্দোলন নেতৃত্ববিহীন, সংগঠকবিহীন হবে না -এটাই বড় আশা ভরসার স্থল।
No comments:
Post a Comment