আমেরিকাতে এসে একটা বড় জিনিস ছাড়তে হয়েছে-সেটা ক্রিকেট দেখা। স্ট্রিমিং এ খেলা দেখা অসুবিধা না -কিন্ত খেলার সময়টা বড় অসময়ে হয়। আমি এখনো বিশ্বকাপ দেখা শুরু করি নি-শুধু হাইলাইট দেখছি ।
ভারত-বাংলাদেশের খেলাতে স্যোশাল মিডিয়াতে এত উত্তেজনা দেখে বুঝলাম-মূল সমস্যা এরা কোন দিন ক্রিকেট খেলে নি। আসলে দুই দেশেই মাঠ ফাট আর নেই । সব স্ক্রাইস্ক্রাপার এখন। খেলবে কোথায়?
সেই কারনে, খেলার থেকে জাতীয়তা প্রদেশিকতাকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে লোকে। আমাদের সময় এসব ভাবতে পারতাম না । আমরা যারা ছোটবেলায় খেলতাম -কি কলেজ লেভেলেও খেলেছি- ভারতকে সমর্থন করতাম ঠিকই -কিন্ত আমরা যারা বোলার-আক্রামের বোলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ১৯৮৩ সালে ভারত বিশ্বকাপ জিতল ত বটে। কিন্ত পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এসে ৮-০ তে হারাল ভারতকে। ভারতের মাটিতে। মনে আছে ইডেন টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম বলেই গাভাসকার আউট। গাভাসকার ক দুজো বো মার্শাল ০। তখন আমরা ক্লাস ফাইভের বাচ্চা। মার্শাল হোল্ডিং রবার্টস গার্নারের জবাবে এক কপিল দেব। ভারতকে ইস্ত্রি করে দিয়েছিল ক্লাইভের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দেখে আমার এক বন্ধু-বেশ হৃষ্টপুষ্ট ছিল-তার কি দুঃখ। সে প্রতিদিন ত্রিশ পা দৌঁড়ে বল করতে শুরু করে দিল-ফাস্ট বোলার হতেই হবে!! কারন ভারতে ফাস্ট বোলার নেই !! আমরা যারা খেলতাম -প্রায় ধর্মোন্মাদের মতন ছোটবেলায় ভারতের প্রতিটা খেলায় দেখতাম-কিন্ত ইমরান খান বা আক্রামের বোলিং যে কপিলের থেকে অনেক বেশী সুক্ষ এবং বিধ্বংসী ছিল, সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিমত ছিল না । জাতীয়তাবোধ সেখানে আসত না । আজো আসে না ।
ক্রিকেট শুরু হয় বোলিং দিয়ে। একটা সাধারন বল যদি ব্যাটসম্যান পেটায়-সেটা মোটেও ভালো ক্রিকেটের উদাহরন না । একটা অসাধরন বলই একমাত্র উচ্চতর ক্রিকেটের সূচনা করে। কারন ভালো বোলিং এর বিরুদ্ধে ডিফেন্স বা অফেন্স দুটোই উপভোগ্য। কিন্ত সাধারন ম্যারমেরে বোলিং ব্যাটসম্যানরা মেরে ফাটাচ্ছে-সেটা বেসবল হয়ে যায়। ক্রিকেটের সূক্ষতা থাকে না । উন্নত ক্রিকেট, উন্নত বোলিং ছাড়া লজিক্যালি অসম্ভব।
১৯ তারিখে আমি অবশ্যই খেলা দেখব। আমার লক্ষ্য থাকবে শামি, উমেশ যাদব, মোর্তাজা, রুবেল এরা কেমন বোলিং করছে। নিজে পেস বোলার ছিলাম বলে, ক্রিকেটে আমি পেসারদের দলে। বিরাট কোহলির ব্যাটিং আধিপত্যের চেয়ে সামি বা রুবেলদের আগুন ঝড়ানো বোলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকব। ইনফ্যাক্ট কোন ম্যাচে ম্যারেমেরে বোলিং হলে, আমি আর দেখি না । ওটাকে ক্রিকেট বলে মনে হয় না । ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রুবেলের শেষ দুটো উইকেট দেখলাম-ছেলেটা একদম শেষ ওভারে ওই পুরানো বলে যা রিভার্স সুইং করালো-আমার ওয়াকার ইউনুসের কথা মনে পরে যাচ্ছিল। পুরাতন বলে ওই ধরনের রিভার্স সুইং শিল্প। এগুলো দেখার জন্যই ক্রিকেট। ভারত জিতলে বোনাস। সেটা না জেতার কোন কারন দেখতে পাচ্ছি না । কারন ভারতের প্রথম ছজন ব্যাটসম্যানের সবাই একা হাতে ম্যাচ ঘোরাতে পারে-ফলে হারাতে গেলে অন্তত পাঁচটা উইকেট ১০০ রানের মধ্যে ফেলতে হবে-যেটা প্রায় অসম্ভব।
ভারত-বাংলাদেশের খেলাতে স্যোশাল মিডিয়াতে এত উত্তেজনা দেখে বুঝলাম-মূল সমস্যা এরা কোন দিন ক্রিকেট খেলে নি। আসলে দুই দেশেই মাঠ ফাট আর নেই । সব স্ক্রাইস্ক্রাপার এখন। খেলবে কোথায়?
সেই কারনে, খেলার থেকে জাতীয়তা প্রদেশিকতাকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে লোকে। আমাদের সময় এসব ভাবতে পারতাম না । আমরা যারা ছোটবেলায় খেলতাম -কি কলেজ লেভেলেও খেলেছি- ভারতকে সমর্থন করতাম ঠিকই -কিন্ত আমরা যারা বোলার-আক্রামের বোলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ১৯৮৩ সালে ভারত বিশ্বকাপ জিতল ত বটে। কিন্ত পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এসে ৮-০ তে হারাল ভারতকে। ভারতের মাটিতে। মনে আছে ইডেন টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম বলেই গাভাসকার আউট। গাভাসকার ক দুজো বো মার্শাল ০। তখন আমরা ক্লাস ফাইভের বাচ্চা। মার্শাল হোল্ডিং রবার্টস গার্নারের জবাবে এক কপিল দেব। ভারতকে ইস্ত্রি করে দিয়েছিল ক্লাইভের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দেখে আমার এক বন্ধু-বেশ হৃষ্টপুষ্ট ছিল-তার কি দুঃখ। সে প্রতিদিন ত্রিশ পা দৌঁড়ে বল করতে শুরু করে দিল-ফাস্ট বোলার হতেই হবে!! কারন ভারতে ফাস্ট বোলার নেই !! আমরা যারা খেলতাম -প্রায় ধর্মোন্মাদের মতন ছোটবেলায় ভারতের প্রতিটা খেলায় দেখতাম-কিন্ত ইমরান খান বা আক্রামের বোলিং যে কপিলের থেকে অনেক বেশী সুক্ষ এবং বিধ্বংসী ছিল, সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিমত ছিল না । জাতীয়তাবোধ সেখানে আসত না । আজো আসে না ।
ক্রিকেট শুরু হয় বোলিং দিয়ে। একটা সাধারন বল যদি ব্যাটসম্যান পেটায়-সেটা মোটেও ভালো ক্রিকেটের উদাহরন না । একটা অসাধরন বলই একমাত্র উচ্চতর ক্রিকেটের সূচনা করে। কারন ভালো বোলিং এর বিরুদ্ধে ডিফেন্স বা অফেন্স দুটোই উপভোগ্য। কিন্ত সাধারন ম্যারমেরে বোলিং ব্যাটসম্যানরা মেরে ফাটাচ্ছে-সেটা বেসবল হয়ে যায়। ক্রিকেটের সূক্ষতা থাকে না । উন্নত ক্রিকেট, উন্নত বোলিং ছাড়া লজিক্যালি অসম্ভব।
১৯ তারিখে আমি অবশ্যই খেলা দেখব। আমার লক্ষ্য থাকবে শামি, উমেশ যাদব, মোর্তাজা, রুবেল এরা কেমন বোলিং করছে। নিজে পেস বোলার ছিলাম বলে, ক্রিকেটে আমি পেসারদের দলে। বিরাট কোহলির ব্যাটিং আধিপত্যের চেয়ে সামি বা রুবেলদের আগুন ঝড়ানো বোলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকব। ইনফ্যাক্ট কোন ম্যাচে ম্যারেমেরে বোলিং হলে, আমি আর দেখি না । ওটাকে ক্রিকেট বলে মনে হয় না । ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রুবেলের শেষ দুটো উইকেট দেখলাম-ছেলেটা একদম শেষ ওভারে ওই পুরানো বলে যা রিভার্স সুইং করালো-আমার ওয়াকার ইউনুসের কথা মনে পরে যাচ্ছিল। পুরাতন বলে ওই ধরনের রিভার্স সুইং শিল্প। এগুলো দেখার জন্যই ক্রিকেট। ভারত জিতলে বোনাস। সেটা না জেতার কোন কারন দেখতে পাচ্ছি না । কারন ভারতের প্রথম ছজন ব্যাটসম্যানের সবাই একা হাতে ম্যাচ ঘোরাতে পারে-ফলে হারাতে গেলে অন্তত পাঁচটা উইকেট ১০০ রানের মধ্যে ফেলতে হবে-যেটা প্রায় অসম্ভব।
No comments:
Post a Comment