আমাদের পশ্চিম বঙ্গের দিকে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে আদানপ্রদান মেলামেশা একদম নেই । যদিও হিন্দুদের নিয়ে মুসলিমদের অভিজ্ঞতা বেশ তিক্ত-কারন অধিকাংশ হিন্দুই কোন না কোন সময় মুসলিমদের বাড়ি ভাড়া দিতে বা গাড়ি ভাড়া দিতে অস্বীকার করেন। অনেকে ঘৃণার কারনে মেলামেশা করতে চান না । মোদ্দা কথা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি হিন্দুদের ঘৃণা অতিরিক্ত রকমের বেশী এবং তা মানুষত্বের, সভ্যতার অপমান।
পাশাপাশি এই না মেলামেশার ফলে, সব থেকে বড়ক্ষতি মুসলমান মানসের সাথে হিন্দুএর একদম কোন পরিচয় নেই । মুসলমান মানসের সব থেকে দুর্বল দিক, নিজেদের ধর্মের ব্যপারে তাদের অযৌত্বিক অবস্থান। ইসলাম কেন- ধর্ম নিয়েই চর্চা করলে, যেকোন সুস্থ যুক্তিবাদি লোক অসুস্থ বোধ করবে। সুতরাং ধর্ম এবং নবীদের কঠোর সমালোচনা ছাড়া সুস্থ সমাজ বা রাষ্ট্র কোন কিছুই সম্ভব না । ইসলাম সহ সব ধর্মের ধর্মানুভূতির ওপর হাগামোতা নাকরতে পারলে সামনে আরো অনেক কালো সন্ত্রাসবাদি দিনের অপেক্ষা। কালোদিন এই জন্যেই আসবে যে মুসলমানদের ধর্মানুভূতির সুযোগ নিয়ে কিছু সুবিধাবাদি রাজনীতিবিদ দাঙ্গা লাগাবে-যাতে দাঙ্গার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে তাদের কোষাগার লুন্ঠন করা সহজ হয়। যাতে আরো সহজে আদিবাসিদের অধিকার লঙ্ঘন করে দেশের সম্পদ লুঠ তরাজ করা যায়। উন্নয়নের রাজনীতি যারা করতেন, তারা ক্রমশ ব্যাকসিটে চলে যাচ্ছেন।
মুসলিম মানসিকতা বুঝতে, মার্ক জুকারবাগের সাম্প্রতিক স্টাটাসে মুসলিমদের কমেন্ট দেখুন। এরা নাকি "মডারেট" মুসলিম!! মার্ক খুব পরিস্কারভাবে বলেছেন ফেসবুক বাক স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। থাকবে। এক্সিট্রিমিস্টদের কোন দাবীর কাছে ফেসবুক মাথা নোয়াবে না । ইসলাম নিয়ে কোন কটূ কথা বলেনি মার্ক। কিন্ত দেখুন ১০০% মুসলিম-যারা শিক্ষিত মডারেট, তারা মার্ককে খিস্তি মারছেন। তারা পরিস্কার জানিয়েছেন, তারা ইসলামের পক্ষে- বাক স্বাধীনতার পক্ষে না ।
হিন্দুদের মধ্যেও অনেকেই আছেন যারা বাক স্বাধীনতার পক্ষে না । হিন্দুত্বের পক্ষে। কিন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে যেখানে সংখ্যাটা ৯৫% এর কাছাকাছি, হিন্দুদের ক্ষেত্রে সেটা ৫০-৬০% হবে। সুতরাং হিন্দু সমাজের মধ্যে থেকে লিব্যারাল লড়াইটা যাও বা করা চলে, ইসলামের বিরুদ্ধে করাটা অসম্ভব। কারন খুব মুস্টিমেয় কিছু মুসলিম আছেন, যারা তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছেন। বা চান। ফলে সন্ত্রাসবাদি আর মৌলবাদিরাই আজ ইসলামের মুখ। আগা খানের দানশীলতা বা জালালুদ্দিন রুমির মানবিকতা ইসলামের মুখ না ।
মোদি ক্ষমতায় আসার পর এটা আর কোন তাত্ত্বিক লড়াই নেই । আচ্ছাদিন আসা ত দূরে কথা, লুঠেরাদের আচ্ছেদিন করার জন্য সব বিল অর্ডিন্যান্স আসছে। সব জায়গায় জিতছে বিজেপি। কারন ইসলামের ভয়টা বাস্তব। এই জন্যেই বাস্তব যে সোকলড এই মডারেট মুসলিমদের সাথে জঙ্গী বা মৌলবাদি মুসলিমদের মানসিকতায় কোন পার্থক্য নেই । সুতরাং স্বধর্মে নিধন শ্রেয় সেই মানসিকতায় ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়, লোকে বিজেপিকেই ভোট দিচ্ছে। বামেদের কেও পাত্তা দিচ্ছে না ।
সুতরাং বাম লিব্যারাল শক্তি যদি বাঁচতে চায়, ইসলামের কঠোর এবং সামনাসামনি সমালোচনা করা ছাড়া কোন উপায় নেই । ইসলামিক মৌলবাদ না ঠেকাতে পারলে, কারুর সাধ্যি নেই মোদিকে ঠেকানোর। এটা বুঝতে হবে।
আর ইসলামের বিরুদ্ধে এই লড়াইএর অনুপ্রেরনা যদি কেও হতে পারেন-তিনি হজরত মহম্মদ নিজে ( যদিও তার জীবনীর প্রায় সবটাই কাল্পনিক) । ওই সময় মক্কাতে যারা শাসক দল ছিল, তারা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে মক্কা-সিরিয়া ব্যবসার ওপর সম্পূর্ন কব্জা রেখেছিল। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর কর এবং সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল। যার প্রতিবাদে এক আর্থসামাজিক আন্দোলন হিসাবে ইসলামের জন্ম হয়। হজরত মহম্মদ নিজে প্রানের ভয়কে উপেক্ষা করে মক্কার স্বার্থান্বেশী গোষ্ঠি এবং তাদের ধর্মের ভ্রান্তির বিরুদ্ধে বলেছিলেন। শেষে লড়েছিলেন। সমসায়মিক ধর্ম যে মিথ্যা, তা যে শাসক গোষ্টির লুন্ঠন এবং লাম্পট্যের সহায় যেটা বলতে কি তিনি ভয় পেয়েছিলেন? তাহলে ইসলাম সহ সব ধর্মই যে আজ শাসক শ্রেনীর লুন্ঠনের হাতিয়ার এবং সম্পূর্ন কাল্পনিক গল্প-এটা বলতে আমরাই বা ভয় পাব কেন?
আজ ইসলামের মধ্যে দ্বিতীয় এক হজরত মহম্মদ দরকার যিনি দেখতে পাবেন ইসলাম এবং মুসলিমদের ধর্মানুভূতি কাজে লাগিয়ে সবাই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে লুঠতরাজ করছে । সুতরাং ইসলামের অচলায়তনে আঘাত না করলে, মহম্মদের জীবনের এসেন্সটাই নষ্ট হবে।
পাশাপাশি এই না মেলামেশার ফলে, সব থেকে বড়ক্ষতি মুসলমান মানসের সাথে হিন্দুএর একদম কোন পরিচয় নেই । মুসলমান মানসের সব থেকে দুর্বল দিক, নিজেদের ধর্মের ব্যপারে তাদের অযৌত্বিক অবস্থান। ইসলাম কেন- ধর্ম নিয়েই চর্চা করলে, যেকোন সুস্থ যুক্তিবাদি লোক অসুস্থ বোধ করবে। সুতরাং ধর্ম এবং নবীদের কঠোর সমালোচনা ছাড়া সুস্থ সমাজ বা রাষ্ট্র কোন কিছুই সম্ভব না । ইসলাম সহ সব ধর্মের ধর্মানুভূতির ওপর হাগামোতা নাকরতে পারলে সামনে আরো অনেক কালো সন্ত্রাসবাদি দিনের অপেক্ষা। কালোদিন এই জন্যেই আসবে যে মুসলমানদের ধর্মানুভূতির সুযোগ নিয়ে কিছু সুবিধাবাদি রাজনীতিবিদ দাঙ্গা লাগাবে-যাতে দাঙ্গার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে তাদের কোষাগার লুন্ঠন করা সহজ হয়। যাতে আরো সহজে আদিবাসিদের অধিকার লঙ্ঘন করে দেশের সম্পদ লুঠ তরাজ করা যায়। উন্নয়নের রাজনীতি যারা করতেন, তারা ক্রমশ ব্যাকসিটে চলে যাচ্ছেন।
মুসলিম মানসিকতা বুঝতে, মার্ক জুকারবাগের সাম্প্রতিক স্টাটাসে মুসলিমদের কমেন্ট দেখুন। এরা নাকি "মডারেট" মুসলিম!! মার্ক খুব পরিস্কারভাবে বলেছেন ফেসবুক বাক স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। থাকবে। এক্সিট্রিমিস্টদের কোন দাবীর কাছে ফেসবুক মাথা নোয়াবে না । ইসলাম নিয়ে কোন কটূ কথা বলেনি মার্ক। কিন্ত দেখুন ১০০% মুসলিম-যারা শিক্ষিত মডারেট, তারা মার্ককে খিস্তি মারছেন। তারা পরিস্কার জানিয়েছেন, তারা ইসলামের পক্ষে- বাক স্বাধীনতার পক্ষে না ।
হিন্দুদের মধ্যেও অনেকেই আছেন যারা বাক স্বাধীনতার পক্ষে না । হিন্দুত্বের পক্ষে। কিন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে যেখানে সংখ্যাটা ৯৫% এর কাছাকাছি, হিন্দুদের ক্ষেত্রে সেটা ৫০-৬০% হবে। সুতরাং হিন্দু সমাজের মধ্যে থেকে লিব্যারাল লড়াইটা যাও বা করা চলে, ইসলামের বিরুদ্ধে করাটা অসম্ভব। কারন খুব মুস্টিমেয় কিছু মুসলিম আছেন, যারা তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছেন। বা চান। ফলে সন্ত্রাসবাদি আর মৌলবাদিরাই আজ ইসলামের মুখ। আগা খানের দানশীলতা বা জালালুদ্দিন রুমির মানবিকতা ইসলামের মুখ না ।
মোদি ক্ষমতায় আসার পর এটা আর কোন তাত্ত্বিক লড়াই নেই । আচ্ছাদিন আসা ত দূরে কথা, লুঠেরাদের আচ্ছেদিন করার জন্য সব বিল অর্ডিন্যান্স আসছে। সব জায়গায় জিতছে বিজেপি। কারন ইসলামের ভয়টা বাস্তব। এই জন্যেই বাস্তব যে সোকলড এই মডারেট মুসলিমদের সাথে জঙ্গী বা মৌলবাদি মুসলিমদের মানসিকতায় কোন পার্থক্য নেই । সুতরাং স্বধর্মে নিধন শ্রেয় সেই মানসিকতায় ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়, লোকে বিজেপিকেই ভোট দিচ্ছে। বামেদের কেও পাত্তা দিচ্ছে না ।
সুতরাং বাম লিব্যারাল শক্তি যদি বাঁচতে চায়, ইসলামের কঠোর এবং সামনাসামনি সমালোচনা করা ছাড়া কোন উপায় নেই । ইসলামিক মৌলবাদ না ঠেকাতে পারলে, কারুর সাধ্যি নেই মোদিকে ঠেকানোর। এটা বুঝতে হবে।
আর ইসলামের বিরুদ্ধে এই লড়াইএর অনুপ্রেরনা যদি কেও হতে পারেন-তিনি হজরত মহম্মদ নিজে ( যদিও তার জীবনীর প্রায় সবটাই কাল্পনিক) । ওই সময় মক্কাতে যারা শাসক দল ছিল, তারা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে মক্কা-সিরিয়া ব্যবসার ওপর সম্পূর্ন কব্জা রেখেছিল। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর কর এবং সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল। যার প্রতিবাদে এক আর্থসামাজিক আন্দোলন হিসাবে ইসলামের জন্ম হয়। হজরত মহম্মদ নিজে প্রানের ভয়কে উপেক্ষা করে মক্কার স্বার্থান্বেশী গোষ্ঠি এবং তাদের ধর্মের ভ্রান্তির বিরুদ্ধে বলেছিলেন। শেষে লড়েছিলেন। সমসায়মিক ধর্ম যে মিথ্যা, তা যে শাসক গোষ্টির লুন্ঠন এবং লাম্পট্যের সহায় যেটা বলতে কি তিনি ভয় পেয়েছিলেন? তাহলে ইসলাম সহ সব ধর্মই যে আজ শাসক শ্রেনীর লুন্ঠনের হাতিয়ার এবং সম্পূর্ন কাল্পনিক গল্প-এটা বলতে আমরাই বা ভয় পাব কেন?
আজ ইসলামের মধ্যে দ্বিতীয় এক হজরত মহম্মদ দরকার যিনি দেখতে পাবেন ইসলাম এবং মুসলিমদের ধর্মানুভূতি কাজে লাগিয়ে সবাই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে লুঠতরাজ করছে । সুতরাং ইসলামের অচলায়তনে আঘাত না করলে, মহম্মদের জীবনের এসেন্সটাই নষ্ট হবে।
No comments:
Post a Comment