আজ বিবেকানন্দের জন্মদিন। বিবেকানন্দ রচনাসমগ্র যখন আমার হাতে আসে, তখন চোদ্দ বছর বয়স। ক্লাস এইটে পড়ি। জন্মদিনে কোন বন্ধু উপহার দিয়েছিল।
বিবেকানন্দের রচনাসমগ্র আমার জীবনের একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট। যদিও পরবর্তীকালে বিবেকানন্দের স্ববিরোধিতার, রাজনৈতিক চিন্তার সমালোচনা করে অনেক লেখা লিখেছি -বিবেকানন্দই আমার জীবনে প্রথম শিক্ষক যার লেখা থেকে শিখি জীবনে প্রকৃত আনন্দের উৎস অন্যর জন্য স্বার্থশুন্য কাজ করা। অথবা পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে চেয়ে দেখলে দেখা যাবে অনেক ক্ষমতাশীল রাজা মহারাজা এসেছেন, এসেছেন ধনীব্যবসায়ীর দল-কিন্ত হাজার হাজার বছর বাদে পৃথিবী নিয়েছে তাদের যারা চিন্তার দুনিয়াতে পৃথিবীকে কিছু দিয়ে গেছেন। অথবা শিক্ষার মূল হচ্ছে এসিমিলেশনে-শেখা তখনই হয় যখন শিক্ষার নির্যাস রক্তের সাথে মেশে। বা কেও কাউকে শেখাতে পারে না -নিজের উপলদ্ধি বা রিয়ালাইজেশনের মাধ্যমেই আমরা শিখি।
প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে অনন্ত সম্ভাবনা আছে তার বিকাশ সাধনার রহস্যসূত্র তার রচনায়।
ক্লাস ইলেভেনে যখন নরেন্দ্রপুরে ভর্তি হই, মহারাজসঙ্গে তার রচনাবলী এবং দর্শন জানার সুযোগ হয়েছিল। রাত দশটার পরে, আমাদের প্রিন্সিপাল মহারাজ স্বামী সূপর্নানন্দ ( যিনি এখন গোলপার্কে ইন্সটিউট অব কালচারের অধিকর্তা) নিজের ঘরে উৎসাহী ছাত্রদের নিয়ে বিবেকানন্দ দর্শন বোঝাতেন। ভারতীয় দর্শনে তখন গভীর আগ্রহ জন্মায়। ওই দুই বছর ভারতীয় দর্শনে একটা গদ গদ ভক্তিভাবে ছিলাম আচ্ছন্ন। বেশ কিছু শিখি, যা আজও সংসার এবং পেশাদার জীবনে কাজে আসে।
আই আই টিতে ঢোকার পরে, বিবেকানন্দের স্ববিরোধিতা এবং ভারতীয় দর্শনের দুর্বলদিক গুলি আস্তে আস্তে মাথায় ঢোকে। দর্শন শাস্ত্রে অতি উৎসাহী আমাদের একটা গ্রুপ ছিল-ভেজিস বলে একটা রেস্টুরেন্টে, স্টেডিযামের ধারে খোলা আকাশের নিচে তর্ক বিতর্ক চলত। আমার বন্ধুরা ছিল ন্যাচারালিস্ট- অর্থাৎ বিজ্ঞানের বাইরে দর্শনের প্রয়োজন নেই - বিজ্ঞান দিয়ে সব ব্যখ্যা সম্ভব এই প্রতিপাদ্যে বিশ্বাসী। পরবর্তীকালে ভারতীয় দর্শনের মোহ কাটিয়ে আমি নিজেও ন্যাচারালিস্ট হয়ে উঠি।
শুধু তাই না -পরিনত বয়সে বিবেকানন্দ পড়ে অনেক স্ববিরোধিতা চোখে পড়েছে। উনার রাজনৈতিক মতাদর্শও ছিল অপরিণত। ব্যক্তি জীবনে বিবেকানন্দের শিক্ষা উপকারী হলেও সমাজ বা রাষ্ট্রজীবন নিয়ে উনার চিন্তা দক্ষিনপন্থী, ফ্যাসিস্ট এবং অপরিনত। এছারা তিনি যেভাবে ধর্মীয় পরিচিতিতে গর্বিত হতে বলেছেন সেটা সভ্যতার অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর ।
তবে উনার কাছে আমার ব্যক্তিগত ঋণ শেষ হবার না । আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে হায়ার সেকেন্ডারি সব থেকে গুরুত্বপূর্ন। গ্রাম থেকে উঠে এসে উচ্চমাধ্যমিকে নরেন্দ্রপুরে ওই ঠাঁইটুকু না হলে, আজ কোথায় থাকতাম জানি না । তাই রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাকার্যের পাশে আছি-কিন্ত তাদের ধর্মকর্মে আমার মতি নেই ।
বিবেকানন্দের রচনাসমগ্র আমার জীবনের একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট। যদিও পরবর্তীকালে বিবেকানন্দের স্ববিরোধিতার, রাজনৈতিক চিন্তার সমালোচনা করে অনেক লেখা লিখেছি -বিবেকানন্দই আমার জীবনে প্রথম শিক্ষক যার লেখা থেকে শিখি জীবনে প্রকৃত আনন্দের উৎস অন্যর জন্য স্বার্থশুন্য কাজ করা। অথবা পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে চেয়ে দেখলে দেখা যাবে অনেক ক্ষমতাশীল রাজা মহারাজা এসেছেন, এসেছেন ধনীব্যবসায়ীর দল-কিন্ত হাজার হাজার বছর বাদে পৃথিবী নিয়েছে তাদের যারা চিন্তার দুনিয়াতে পৃথিবীকে কিছু দিয়ে গেছেন। অথবা শিক্ষার মূল হচ্ছে এসিমিলেশনে-শেখা তখনই হয় যখন শিক্ষার নির্যাস রক্তের সাথে মেশে। বা কেও কাউকে শেখাতে পারে না -নিজের উপলদ্ধি বা রিয়ালাইজেশনের মাধ্যমেই আমরা শিখি।
প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে অনন্ত সম্ভাবনা আছে তার বিকাশ সাধনার রহস্যসূত্র তার রচনায়।
ক্লাস ইলেভেনে যখন নরেন্দ্রপুরে ভর্তি হই, মহারাজসঙ্গে তার রচনাবলী এবং দর্শন জানার সুযোগ হয়েছিল। রাত দশটার পরে, আমাদের প্রিন্সিপাল মহারাজ স্বামী সূপর্নানন্দ ( যিনি এখন গোলপার্কে ইন্সটিউট অব কালচারের অধিকর্তা) নিজের ঘরে উৎসাহী ছাত্রদের নিয়ে বিবেকানন্দ দর্শন বোঝাতেন। ভারতীয় দর্শনে তখন গভীর আগ্রহ জন্মায়। ওই দুই বছর ভারতীয় দর্শনে একটা গদ গদ ভক্তিভাবে ছিলাম আচ্ছন্ন। বেশ কিছু শিখি, যা আজও সংসার এবং পেশাদার জীবনে কাজে আসে।
আই আই টিতে ঢোকার পরে, বিবেকানন্দের স্ববিরোধিতা এবং ভারতীয় দর্শনের দুর্বলদিক গুলি আস্তে আস্তে মাথায় ঢোকে। দর্শন শাস্ত্রে অতি উৎসাহী আমাদের একটা গ্রুপ ছিল-ভেজিস বলে একটা রেস্টুরেন্টে, স্টেডিযামের ধারে খোলা আকাশের নিচে তর্ক বিতর্ক চলত। আমার বন্ধুরা ছিল ন্যাচারালিস্ট- অর্থাৎ বিজ্ঞানের বাইরে দর্শনের প্রয়োজন নেই - বিজ্ঞান দিয়ে সব ব্যখ্যা সম্ভব এই প্রতিপাদ্যে বিশ্বাসী। পরবর্তীকালে ভারতীয় দর্শনের মোহ কাটিয়ে আমি নিজেও ন্যাচারালিস্ট হয়ে উঠি।
শুধু তাই না -পরিনত বয়সে বিবেকানন্দ পড়ে অনেক স্ববিরোধিতা চোখে পড়েছে। উনার রাজনৈতিক মতাদর্শও ছিল অপরিণত। ব্যক্তি জীবনে বিবেকানন্দের শিক্ষা উপকারী হলেও সমাজ বা রাষ্ট্রজীবন নিয়ে উনার চিন্তা দক্ষিনপন্থী, ফ্যাসিস্ট এবং অপরিনত। এছারা তিনি যেভাবে ধর্মীয় পরিচিতিতে গর্বিত হতে বলেছেন সেটা সভ্যতার অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর ।
তবে উনার কাছে আমার ব্যক্তিগত ঋণ শেষ হবার না । আমাদের এডুকেশন সিস্টেমে হায়ার সেকেন্ডারি সব থেকে গুরুত্বপূর্ন। গ্রাম থেকে উঠে এসে উচ্চমাধ্যমিকে নরেন্দ্রপুরে ওই ঠাঁইটুকু না হলে, আজ কোথায় থাকতাম জানি না । তাই রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাকার্যের পাশে আছি-কিন্ত তাদের ধর্মকর্মে আমার মতি নেই ।
No comments:
Post a Comment