যাদবপুরের অনশণরত ছেলেমেয়ে গুলোর জন্য দুঃখ হচ্ছে। ক্ষমতার বিন্যাস এবং স্থিতঅবস্থার ক্ষীরভোগী মাছির দল যখন চারদিকে ভনভন করছে, সেই অসহনীয় অবক্ষয়ের মাটিয়ে জন্মেও, ছাত্রদের মধ্যে কিছু বিশুদ্ধ আত্মার অস্তিত্বটাই অন্ধকার টানেলের শেষে আশার আলো। বাংলা সহ ভারতের রাজনীতি বেসিক্যলি রাজনীতিবিদ, পুলিশ, উকিল, ব্যবসায়ী এদের লুঠেপুটে খাওয়ার ডেমোক্রাটিক সিস্টেম। ভারতে মিডিয়ার ভূমিকা উচ্ছিষ্টভোগীর। ওই লুঠপাট আড়াল করতে সাংবাদিকদের কাজ কখনো সততার প্রতীক মমতা , কখনো আচ্ছে দিনের মিথ তৈরী করা। একাডেমিক্সে যেহেতু টাকা নেই -তাই দীর্ঘদিন শিক্ষার জগতটা অন্তত এই নেক্সাসের বাইরে ছিল। অনিল বিশ্বাস সেটাও ধ্বংস করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও এই কদর্য্য রাজনীতির রিঙে সামিল করেন । দিদির সুযোগ্য ভাই অভিজিত চক্কোত্তি অনিলায়নের শ্রেষ্ট গন্ডার অবতার। শাসকদের ধাক্কা দিতে অভিজিত চক্কোত্তির মতন গন্ডার প্রতিভাকে যদি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তাড়ানো যেত, সেটা নিঃসন্দেহে একটা বড় নাগরিক অর্জন হত। কিন্ত দুর্ভাগ্য ছাত্রদের । মেইন স্ট্রিম মিডিয়া এদের খবর গুরুত্ব দিয়ে ছাপাবে না -সেটাতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই -কারন মিডিয়ার একমাত্র কাজ এই লুঠপাটকে ঢাকতে, কখনো আচ্ছেদিনের মিথ, কখনো শশী থারুরের গ্ল্যামারাস আত্মঘাতি বৌ এর প্রেতাত্মার পোষ্টমর্টেমের গপ্পো, কখনো রাহুল গান্ধীর খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির এনালাইসিস। কিন্ত আমাকে সত্যি যেটা দুঃখ দিয়েছে, সেটা হচ্ছে সায়ন্তনী, ইপ্সিতা এরা গত চারদিন ধরে অনশনের সংবাদ স্যোশাল মিডিয়ায় চারিদিকে ছড়িয়েছে। কিন্ত রেসপন্স লিউকওয়ার্ম। গুরুচন্ডালীর মতন একটা রাজনীতি সচেতন ফোরামেও মেম্বারদের ভ্রুক্ষেপ নেই -বরং তাচ্ছিল্য আছে, উপেক্ষা আছে। ইনারা সবাই ভুলে যাচ্ছেন গণতন্ত্র বা শাসক শ্রেনী নিজের ইচ্ছায় ভাল হয় না । শাসক শ্রেনীর বিরুদ্ধে আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়েই একমাত্র উন্নত শাসক শ্রেনী আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে যাদবপুরের ছাত্ররা আপনাদের একটা সুন্দর এবং শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে শাসক শ্রেনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। আপনারা যাদবপুরের ছাত্রদের পেছনে দাঁড়াতে ব্যর্থ হলে , পশ্চিম বঙ্গে ব্যর্থ রাজনীতির দায়, মমতার থেকে আপনার ওপর বর্তাবে বেশী।
No comments:
Post a Comment