অনেকের ধারনা ধর্ম বাজে। কারন তা মানুষে মানুষে বিভেদ বাধায়। দাঙ্গা লাগায়।
সেটা যেমন ঠিক-তেমনই এটাও মনে রাখতে হবে-বাজে দিকটার কারন ধর্মকে যখন ব্যক্তিগত উপলদ্ধি বা আধ্যাত্মিক উন্নতির যায়গায়, একটা ক্লাব বা অর্গানাইজড পার্টিতে পরিণত করা হয় তখন রাজনীতির কারনে এই সমস্যাগুলি আসে ।
নাস্তিক, আস্তিক, ভাল , বদমাইশ, গুন্ডা, বুদ্ধিমান-সবার ধর্ম আছে। বাঁচতে গেলে প্রত্যেককেই কিছু কিছু বিশ্বাস সম্বল করে বাঁচতে হয়। এর মধ্যে সব থেকে সহজ পথ হচ্ছে তার আশেপাশের সমাজ, পরিবার যে বিশ্বাসে বাঁচছে, লোকে সেই ভাবে বাঁচে। কারন সেই ভাবে বাঁচলে, সমাজবদ্ধ থাকতে তার সুবিধা হয়। যেমন আমাদের সমাজে লোকেদের বিশ্বাস -বিয়ে করে একসাথে থাকতে হবে-লিভ টুগেদার বাজে। এখন যদি কেও পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে লিভ টুগেদার করতে যায়-তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবে। ফলে যেপথে চাপ কম-লোকে সেই পথ-মানে বাপের, সমাজের ধর্মটাকেই নিজের ধর্ম বলে মেনে নেয়। এই ভাবে লোকে হিন্দু মুসলমান হয়।
আমার দশ বছরের ছেলে কালকে আমাকে জিজ্ঞেস করলো-আমাদের ধর্ম কি? বোধ হয় স্কুলে কেও জিজ্ঞেস করেছিল। আমি বল্লাম কেন? ও বললো আমিত ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা। ওটা মেক বিলিফ রূপকথা। তাহলে কি আমার ধর্ম নেই ?
আমি বল্লাম তা ঠিক না । ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলেও কিছু কিছু জিনিসে বিশ্বাস করতে হয় বাঁচার জন্য। আমি ইশ্বরে বিশ্বাসী না -কিন্ত আমার নিজস্ব কিছু বিশ্বাস আছে। শ্রেফ বাঁচার জন্য। ও জিজ্ঞেস করলো আমি কিসে কিসে বিশ্বাস করি। আমি বল্লাম, আমার তিনটে জিনিসে গভীর বিশ্বাস।
প্রথমটা হচ্ছে সৎ পথে থাকা-কথায় এবং কাজে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ন নিজের কাছে সৎ থাকা। অন্যের কাছে যাও বা অসৎ হওয়া যায়, নিজের কাছে সৎ না থাকলে নিজের ভুল গুলো ধরতে পারবে না । তাই উন্নতিও করতে পারবে না । সৎ থাকাটা ধর্মীয় গুন না -শ্রেফ বেঁচে থাকতে গেলে, শিখতে গেলে, উন্নতি করতে হলে, সততা ছাড়া উপায় নেই । আমি এটাকে সারভাইভাল স্কিল হিসাবে দেখি। নৈতিকতা বা ধর্মীয় উপদেশ হিসাবে না ।
আমার দ্বিতীয় বিশ্বাস-সর্বত্র বুদ্ধির ওপর ভরসা করা-আবেগকে প্রশয় না দিয়ে। ব্রেইন ওভার হার্ট। আমাদের বেশীর ভাগ ভুল হয় আবেগকে প্রশয় দিয়ে। কিন্ত যদি যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে আমরা সেটা দেখতাম, জীবনে ভুল অনেক কম হত। তাছাড়া পৃথিবী বদলাচ্ছে খুব দ্রুত। এখানে অভিযোজন দরকার টিকে থাকতে গেলে। সব সময় নতুন জিনিস শিখতে হবে। সুতরাং সর্বত্র মাথা খাটাতে হবে। এটাও আমার কাছে সারভাইভাল স্কিল!
তৃতীয়টা কঠিন পরিশ্রম করার ক্ষমতা । সময় না দিলে, কোথাও সস্তায় বাজিমাত হয় না । ট্যালেন্ট, বুদ্ধি-আমাকে সঠিক রাস্তা দেখাবে। কিন্ত রাস্তাটা হেঁটেই পার হতে হয়। বুদ্ধি খাটিয়ে তুমি তোমার সঠিক জীবন সঙ্গীকে নির্বাচন করতে পার-কিন্ত তাকে জিততে পরিশ্রম করতেই হবে। আবার জীবিকার জন্যও এটা সত্য। সঠিক জীবিকা নির্বাচন করলেই হবে না -সেখানে সফল হতে গেলে পরিশ্রম করতেই হবে।
এগুলো আমার বিশ্বাস। তাই এগুলোই আমার ধর্ম। এগুলো ঠিক হতে হবে মানে নেই । কিন্ত এগুলো মেনে জীবনে ভালোই আছি।
সেটা যেমন ঠিক-তেমনই এটাও মনে রাখতে হবে-বাজে দিকটার কারন ধর্মকে যখন ব্যক্তিগত উপলদ্ধি বা আধ্যাত্মিক উন্নতির যায়গায়, একটা ক্লাব বা অর্গানাইজড পার্টিতে পরিণত করা হয় তখন রাজনীতির কারনে এই সমস্যাগুলি আসে ।
নাস্তিক, আস্তিক, ভাল , বদমাইশ, গুন্ডা, বুদ্ধিমান-সবার ধর্ম আছে। বাঁচতে গেলে প্রত্যেককেই কিছু কিছু বিশ্বাস সম্বল করে বাঁচতে হয়। এর মধ্যে সব থেকে সহজ পথ হচ্ছে তার আশেপাশের সমাজ, পরিবার যে বিশ্বাসে বাঁচছে, লোকে সেই ভাবে বাঁচে। কারন সেই ভাবে বাঁচলে, সমাজবদ্ধ থাকতে তার সুবিধা হয়। যেমন আমাদের সমাজে লোকেদের বিশ্বাস -বিয়ে করে একসাথে থাকতে হবে-লিভ টুগেদার বাজে। এখন যদি কেও পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে লিভ টুগেদার করতে যায়-তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবে। ফলে যেপথে চাপ কম-লোকে সেই পথ-মানে বাপের, সমাজের ধর্মটাকেই নিজের ধর্ম বলে মেনে নেয়। এই ভাবে লোকে হিন্দু মুসলমান হয়।
আমার দশ বছরের ছেলে কালকে আমাকে জিজ্ঞেস করলো-আমাদের ধর্ম কি? বোধ হয় স্কুলে কেও জিজ্ঞেস করেছিল। আমি বল্লাম কেন? ও বললো আমিত ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা। ওটা মেক বিলিফ রূপকথা। তাহলে কি আমার ধর্ম নেই ?
আমি বল্লাম তা ঠিক না । ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলেও কিছু কিছু জিনিসে বিশ্বাস করতে হয় বাঁচার জন্য। আমি ইশ্বরে বিশ্বাসী না -কিন্ত আমার নিজস্ব কিছু বিশ্বাস আছে। শ্রেফ বাঁচার জন্য। ও জিজ্ঞেস করলো আমি কিসে কিসে বিশ্বাস করি। আমি বল্লাম, আমার তিনটে জিনিসে গভীর বিশ্বাস।
প্রথমটা হচ্ছে সৎ পথে থাকা-কথায় এবং কাজে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ন নিজের কাছে সৎ থাকা। অন্যের কাছে যাও বা অসৎ হওয়া যায়, নিজের কাছে সৎ না থাকলে নিজের ভুল গুলো ধরতে পারবে না । তাই উন্নতিও করতে পারবে না । সৎ থাকাটা ধর্মীয় গুন না -শ্রেফ বেঁচে থাকতে গেলে, শিখতে গেলে, উন্নতি করতে হলে, সততা ছাড়া উপায় নেই । আমি এটাকে সারভাইভাল স্কিল হিসাবে দেখি। নৈতিকতা বা ধর্মীয় উপদেশ হিসাবে না ।
আমার দ্বিতীয় বিশ্বাস-সর্বত্র বুদ্ধির ওপর ভরসা করা-আবেগকে প্রশয় না দিয়ে। ব্রেইন ওভার হার্ট। আমাদের বেশীর ভাগ ভুল হয় আবেগকে প্রশয় দিয়ে। কিন্ত যদি যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে আমরা সেটা দেখতাম, জীবনে ভুল অনেক কম হত। তাছাড়া পৃথিবী বদলাচ্ছে খুব দ্রুত। এখানে অভিযোজন দরকার টিকে থাকতে গেলে। সব সময় নতুন জিনিস শিখতে হবে। সুতরাং সর্বত্র মাথা খাটাতে হবে। এটাও আমার কাছে সারভাইভাল স্কিল!
তৃতীয়টা কঠিন পরিশ্রম করার ক্ষমতা । সময় না দিলে, কোথাও সস্তায় বাজিমাত হয় না । ট্যালেন্ট, বুদ্ধি-আমাকে সঠিক রাস্তা দেখাবে। কিন্ত রাস্তাটা হেঁটেই পার হতে হয়। বুদ্ধি খাটিয়ে তুমি তোমার সঠিক জীবন সঙ্গীকে নির্বাচন করতে পার-কিন্ত তাকে জিততে পরিশ্রম করতেই হবে। আবার জীবিকার জন্যও এটা সত্য। সঠিক জীবিকা নির্বাচন করলেই হবে না -সেখানে সফল হতে গেলে পরিশ্রম করতেই হবে।
এগুলো আমার বিশ্বাস। তাই এগুলোই আমার ধর্ম। এগুলো ঠিক হতে হবে মানে নেই । কিন্ত এগুলো মেনে জীবনে ভালোই আছি।
No comments:
Post a Comment