সৌদিরাজ আবদুল্লার মৃত্যুতে দিল্লী এবং ওয়াশিংটনের আদিখ্যেতা দেখে আমিও আহ্লাদিত। আমোদিত। এই সেই রাজা যিনি তার চার মেয়েকে গৃহবন্দী করে রেখেছেন, তারা সৌদি আরবে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল বলে। এই সেই রাজা, যার রাজত্বে নাস্তিক এবং ইসলামিস্ট-সবাই সন্ত্রাসবাদি- রাজতন্ত্রের সমালোচনা করলেই গারদে! সাথে ৮০ বেতের ঘা। অথবা রাজপথে সবার সামনে শিরোচ্ছেদ। এই সেই রাজত্ব, যেখানে আই সিসের সন্ত্রাসবাদী ইসলামিক রাজ্যের সব আইন বহুদিন থেকেই বলবৎ তবুও তিনি আমেরিকা এবং ভারতের বন্ধু-কিন্ত আই সি সিসের মোল্লারা সন্ত্রাসবাদি!! তিনি আমেরিকার পরম বন্ধু। রিজার্ভ কারেন্সি হিসাবে ডলারকে টেকাতে তিনিই পরম ত্রাতা! সুতরাং গণতন্ত্রের হত্তাকত্তা এবং রপ্তানীবিধাতা আমেরিকার ভরসাস্থল কিং আবদুল্লার মধ্যযুগী রাজতন্ত্র। গণতন্ত্রকামী সৌদি আরব নেমকহারাম । যতবার ওপেকে ডলারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে, রাজা আমেরিকার প্রতি তার আনুগত্য দেখাতে ভেটো দিয়েছেন। প্রতিটি আমেরিকানের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত কিং আবদুল্লার প্রতি। ডলার রিজার্ভ কারেন্সি না হলে আমাদের এই সুপার ডুপার লাইফস্টাইলের কি হত কে জানে! আর আমেরিকা না থাকলে পরের দিন ব্যাঙ্গালোরটাও নিশ্চিন্দিপুর হয়ে যেত!!
সো লং লিভ কিং আবদুল্লা!!
রিয়াধে আরবদের সাথে ব্যবসা সূত্রে অনেক কথায় হয়। লোকগুলো ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। পুলিশ স্টেট। সব ব্যবসা রাজপরিবাদের তিন হাজার সদস্যের হাতে । তাদের ভাগ না দিয়ে কোন বড় ব্যবসা চলে না সৌদিতে। তবে রাষ্ট্র থেকে অনেক সুবিধা তারা পায় । একই সাথে রাজতন্ত্র এবং তেলেরা টাকায় ওয়েলফেয়ার স্টেট। তেলের দাম যেদিন থাকবে না -তাদের ঘরের মতন ভাংবে সৌদি আরব। আরব বসন্তের গণতন্ত্রের ফুল সেদিন ফুটবে।
সো লং লিভ কিং আবদুল্লা!!
রিয়াধে আরবদের সাথে ব্যবসা সূত্রে অনেক কথায় হয়। লোকগুলো ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। পুলিশ স্টেট। সব ব্যবসা রাজপরিবাদের তিন হাজার সদস্যের হাতে । তাদের ভাগ না দিয়ে কোন বড় ব্যবসা চলে না সৌদিতে। তবে রাষ্ট্র থেকে অনেক সুবিধা তারা পায় । একই সাথে রাজতন্ত্র এবং তেলেরা টাকায় ওয়েলফেয়ার স্টেট। তেলের দাম যেদিন থাকবে না -তাদের ঘরের মতন ভাংবে সৌদি আরব। আরব বসন্তের গণতন্ত্রের ফুল সেদিন ফুটবে।
No comments:
Post a Comment