Saturday, January 17, 2015

কমিউনিটি স্কুল

প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে কিছু পড়াশোনা হচ্ছে আজকাল ? যে প্রোডাক্টগুলো বেড়োয় তাতে মনে হয় না কিছু হয় বলে। নেহাত ভারতের আই টি সেক্টরে ডুকতে, পড়াশোনা লাগে না, ইংরেজি জানলেই চলে। যদি এটা হয়, ভারতে আই টি কর্মীর চাহিদা আছে, তাহলে পশ্চিম বঙ্গের  সরকারি কলেজ গুলোতেই  আই টিতে বি টেক ডিগ্রি চালু করা হচ্ছে না কেন?  কেন সেখানে ইতিহাস দর্শন পড়ানো  হচ্ছে? বেসিক্যালি আই টিতে ঢুকতে তিনটে জিনিস শেখালেই হয়-একটু ভাল জাভা প্রোগ্রামিং, ওপারেটিং সিস্টেম,  ইংরেজি কম্যুনিকেশন আর কি করে গুগল করে ফোরাম থেকে কোড টুকে ঝাড়তে হয়।  এই টুকু ঠিকঠাক করে সরকারি কলেজে পড়ানো যেতেই পারে। টিচারে ত এখন ঘাটতি নেই । বাজেটে ঘাটতি থাকলে ইতিহাস বাংলার শিক্ষক কমিয়ে সেখানে আই টির শিক্ষক আনুক সরকার। আমেরিকাতে আমি এক কেস দেখেছি। বুশের আমলে কমিউনিটি কলেজ গুলোতে অনুদান কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল-এতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো রমরমা করে  আই টি শিক্ষা, নার্সিং এর ব্যবসা করছিল। সেখান থেকে পাশ করে কেও চাকরি পাচ্ছিল না । ওবামা এসেই সরকারি কলেজ গুলোতেই আই টি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেন। বেসরকারি কলেজের ১০% টাকায় এখন সরকারি কলেজে আই টির ডিগ্রি দিচ্ছে কমিউনিটি কলেজ গুলোতে। ফলে আমেরিকাতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলি যারা এই আইটির ডিগ্রির ব্যবসা করত তাদের ব্যবসা কমেছে ৮০%। ভারতে হচ্ছে ঠিক উলটো।

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে বেসরকারিকরন চলে না । আবার ফুল সরকারি মডেল ও ঠিক না । আমেরিকাতে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সরকার বা প্রাইভেট কারুর হাতেই থাকা উচিত না । থাকা উচিত কমিউনিটির হাতে। কারন, তারাই এর ক্রেতা।  যেমন আমাদের এখানে স্কুল, কলেজ বা হাসপাতাল কাউন্টি বা জেলার হাতে।  এতে এই সব সংস্থায় আমরা যারা এর ক্রেতা-মানে ধরুন আমার ছেলে এই স্কুলে পড়ছে, তাদের সরাসরি অংশগ্রহনের স্কোপ থাকে।

 ভারতে সরকারি না চললে বেসরকারি শিক্ষা-এই ভুল ধারনার বৃত্ত থেকে বেড়োতে হবে। বেসরকারিকরন সব সমস্যার সমাধান না -শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ত নয় ই । আমার আমেরিকান বা ভারতীয় অভিজ্ঞতা দুটোই দেখাচ্ছে শিক্ষার বেসরকারিকরন না -কমিউনিটিকরন হৌক।

No comments: