ন্যাপকিন আন্দোলন থেকে নাস্তিকদের উপদ্রব-সর্বত্র রক্ষণশীলদের "চাপা" চাপাতির ভাষ্য এক-সমাজের পরিকাঠামোর মধ্যে রয়েসয়ে থাকোনা বাপু! কি দরকার মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করার? আর মানুষের অনুভূতিকি একটি? ধর্মানুভূতি, জবানুভূতি, কাস্টানুভুতি, ক্লাবানুভূতি, রাজনৈতিক দলদাসানুভূতি, দেশানুভূতি, রাজ্যানুভূতি, শহরানুভূতি, সাহিত্যানুভূতি, সিনেমানুভূতি- বিভূতির লিস্ট বড়ই লম্বা! নিউটন বিদেশী বিজ্ঞানী, তাই পাঠ্য বইতে তার স্থান হবে না অথবা কোরান বা গীতা " বিজ্ঞান সম্মত" ধর্মগ্রন্থ-এইসব উদ্ভট অশিক্ষিত জ্ঞান এবং তথ্য দিয়ে ছোটবেলা থেকে আপনার ছেলেমেয়ের ব্রেইন ওয়াশ করা হবে। তাদের ভবিষ্যতকে জাহান্নামে পাঠানো হবে। আর এই অশিক্ষা, কুশিক্ষা এবং অত্যন্ত ক্ষতিকর রাজনীতির সমালোচনা করলে-আপনার প্রতি "মডারেটদের" উপদেশ-কেন বাপু-সমাজ যা চায়, সেই ভাবে মানিয়ে চল না ??
সমস্যা হচ্ছে এক অদ্ভুত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা। যেদিন হিন্দুত্ববাদিদের কাছ থেকে নিউটনকে সরানোর বালখিল্যতা শুনতে হল-সেদিনই জানলাম নাসার নতুন ম্যাগনেটো প্লাজমা রকেটে চেপে মাত্র ৩৯ দিনে মানুষ মঙ্গল গ্রহে যেতে সক্ষম হবে। ভারতীয় উপমহাদেশে মৌলবাদিরা উটের পিঠে চেপে, কেও বা গরুর বাঁট ধরে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়ার পাঁয়তারা কষছে। আর এই তথাকথিত মডারেটদের ভূমিকা-কেন বাপু-এদের সাথে একটু কম্প্রোমাইজ করে নাও না ?
নিৎসে যারা পড়েছেন- তারা বিলক্ষন বুঝবেন, মানুষের নির্মানের মূলে "ভয়"। "মডারেট" বলে ছাপোষা শ্রেনীটির এহেন আচরনের কারন ও ওই ভয়। কারন মৌলবাদিরা চাপাতি চালাতে পারে। লিব্যারালরা বড়জোর ছাগু বা হনু বলে গাল দেবে। ফলে নিজেদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত জলে যাচ্ছে দেখেও তারা পেছন বাঁচাতে মৌলবাদিদের প্রশয় দেবেন- একটু কম্প্রোমাইজ করে নাও।
ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ এত গ্রাস করেছে, আর পিছু হটলেই দেশগুলো গৃহযুদ্ধের এবং খাদ্য সংকটের সামনে পড়বে।
মুল সমস্যা হচ্ছে মৌলবাদের বিরুদ্ধে কোন শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি তৈরী হচ্ছে না । এই উপমহাদেশের কমিনিউস্ট বা বামপন্থীরা লেনিন থেকে বেড়োতে রাজী না । সেটা আরেক ধরনের ধর্মীয় মৌলবাদ-যা ভাতে মারবে-অর্থনীতি ধ্বংস করবে, দেশটাকেই জেলখানা বানাবে। কংগ্রেস বা আওয়ামী লীগের মতন লিব্যারাল ডেমোক্রাটিক শক্তিগুলি নেতৃত্বর লক্ষ্য চুরি চামরি করে নিজেদের আখের গোছানো। তারজন্য পপুলিজম, মৌলবাদের তোষণ সবকিছুই তারা করবে। আপ আশা জাগিয়ে এল বটে-কিন্ত যেভাবে তারা পার্টির মধ্যে ইন্ট্রাপলিটিক্স হ্যান্ডল করতে ব্যর্থ হল-তাতে, সেই আশাও নিভু নিবু।
আমরা নিরশ্বরবাদিরা একটু আধটু লিখি এইসব মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে। ফলে ধবলকার বা অভিজিত রায়দের লাশ পরে রাজপথে। মডারেটরা বলে-কেন লেখ বাপু সমাজের নর্মের বাইরে? স্বীকার করে নিলেই ত ভাল যে কোরান বা গীতা মহান গ্রন্থ-তাতে আজ পর্যন্ত যা কিছু আবিস্কার হয়েছে তা ত আছেই-যা আবিস্কার হয় নি-তাও আছে-আর যেসব আবিস্কার ভুল বলে প্রমানিত হবে-সেসব ও থাকবে!! কি দরকার গবেষনাতে টাকা ঢেলে? কোরান আর গীতার পন্ডিতদের টাকা দিলে, তারাই ওসব ধর্মগ্রন্থ খুঁজে মঙ্গল গ্রহে রকেটটাকে ৩৯ দিনে পাঠিয়ে দেবেন!! দেশের বিদ্যায়াতন গুলি ছাগল আর হনু তৈরীর কারখানা হলেই ত দেশের মঙ্গল নাকি?
আসলে ইতিহাস বলছে নিৎসেই ঠিক। মানুষকে ভয় দেখালে সে আস্তিক থেকে নাস্তিকে দুদিনে চেঞ্জ করবে। সোভিয়েত ইউনিয়ানের ইতিহাস তাই বলে। মৌলবাদি থেকে একমাসে লিব্যারাল হবে। কিন্ত লিব্যারালিজমের অভ্যেসের মূলে আছে যুক্তি আর মানবিকতা । সেখানে কল্লা কাটার ভয় দেখানো নেই । তাই আমি সিউর নই । লিব্যারাল ভ্যালুগুলো, যা আসলেই শিল্প সভ্যতার উন্নত উৎপাদনের ফলে আমাদের সমাজে এসেছে- তা টিকবে কি না । কারন এই ভ্যালুগুলো মানুষের মধ্যে ভয় দেখিয়ে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয় না । ইতিহাসের রায় এই ব্যাপারে খুব করুন। যে, বা যেসব গোষ্ঠি ভয় দেখাতে সক্ষম হবে, বিবর্তনের খেলায়, তারাই জিতবে। গণতান্ত্রিক কাঠামোতে তা আরো সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এতেব ন্যাপিকেনে ন্যাপি বা চুমু-চুহা আন্দোলনের কোন ভবিষ্যত নেই । যদ্দিনরা লিব্যারালরা তুরস্কের মতন মৌলবাদের বিরুদ্ধে আইন করে তাদের পাইকেরী হারে ক্রস ফায়ারে মারতে পারবে- লিব্যারাল ভ্যালুগুলোকে বাঁচানো যাবে না । গণতন্ত্র দিয়ে ঠেকানো যাবে না। সরি ইতিহাসে মানবিকতাবাদি কোন সংস্কৃতি জেতে নি। যারা রাজত্ব করেছে, বা আজো করছে, তারা কব্জির জোরেই টিকেছে। মানবিকতা বা যুক্তি বা লিব্যালার ভ্যালুগুলি লিখে টেকানো অসম্ভব। অসির থেকে মসীর জোর বেশী-এগুলো শ্রেফ রোম্যান্টিসিজম। মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে এই ধরনের রোমান্টিসিজম থেকে মুক্ত হওয়াই শ্রেয়।
সমস্যা হচ্ছে এক অদ্ভুত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা। যেদিন হিন্দুত্ববাদিদের কাছ থেকে নিউটনকে সরানোর বালখিল্যতা শুনতে হল-সেদিনই জানলাম নাসার নতুন ম্যাগনেটো প্লাজমা রকেটে চেপে মাত্র ৩৯ দিনে মানুষ মঙ্গল গ্রহে যেতে সক্ষম হবে। ভারতীয় উপমহাদেশে মৌলবাদিরা উটের পিঠে চেপে, কেও বা গরুর বাঁট ধরে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়ার পাঁয়তারা কষছে। আর এই তথাকথিত মডারেটদের ভূমিকা-কেন বাপু-এদের সাথে একটু কম্প্রোমাইজ করে নাও না ?
নিৎসে যারা পড়েছেন- তারা বিলক্ষন বুঝবেন, মানুষের নির্মানের মূলে "ভয়"। "মডারেট" বলে ছাপোষা শ্রেনীটির এহেন আচরনের কারন ও ওই ভয়। কারন মৌলবাদিরা চাপাতি চালাতে পারে। লিব্যারালরা বড়জোর ছাগু বা হনু বলে গাল দেবে। ফলে নিজেদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত জলে যাচ্ছে দেখেও তারা পেছন বাঁচাতে মৌলবাদিদের প্রশয় দেবেন- একটু কম্প্রোমাইজ করে নাও।
ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ এত গ্রাস করেছে, আর পিছু হটলেই দেশগুলো গৃহযুদ্ধের এবং খাদ্য সংকটের সামনে পড়বে।
মুল সমস্যা হচ্ছে মৌলবাদের বিরুদ্ধে কোন শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি তৈরী হচ্ছে না । এই উপমহাদেশের কমিনিউস্ট বা বামপন্থীরা লেনিন থেকে বেড়োতে রাজী না । সেটা আরেক ধরনের ধর্মীয় মৌলবাদ-যা ভাতে মারবে-অর্থনীতি ধ্বংস করবে, দেশটাকেই জেলখানা বানাবে। কংগ্রেস বা আওয়ামী লীগের মতন লিব্যারাল ডেমোক্রাটিক শক্তিগুলি নেতৃত্বর লক্ষ্য চুরি চামরি করে নিজেদের আখের গোছানো। তারজন্য পপুলিজম, মৌলবাদের তোষণ সবকিছুই তারা করবে। আপ আশা জাগিয়ে এল বটে-কিন্ত যেভাবে তারা পার্টির মধ্যে ইন্ট্রাপলিটিক্স হ্যান্ডল করতে ব্যর্থ হল-তাতে, সেই আশাও নিভু নিবু।
আমরা নিরশ্বরবাদিরা একটু আধটু লিখি এইসব মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে। ফলে ধবলকার বা অভিজিত রায়দের লাশ পরে রাজপথে। মডারেটরা বলে-কেন লেখ বাপু সমাজের নর্মের বাইরে? স্বীকার করে নিলেই ত ভাল যে কোরান বা গীতা মহান গ্রন্থ-তাতে আজ পর্যন্ত যা কিছু আবিস্কার হয়েছে তা ত আছেই-যা আবিস্কার হয় নি-তাও আছে-আর যেসব আবিস্কার ভুল বলে প্রমানিত হবে-সেসব ও থাকবে!! কি দরকার গবেষনাতে টাকা ঢেলে? কোরান আর গীতার পন্ডিতদের টাকা দিলে, তারাই ওসব ধর্মগ্রন্থ খুঁজে মঙ্গল গ্রহে রকেটটাকে ৩৯ দিনে পাঠিয়ে দেবেন!! দেশের বিদ্যায়াতন গুলি ছাগল আর হনু তৈরীর কারখানা হলেই ত দেশের মঙ্গল নাকি?
আসলে ইতিহাস বলছে নিৎসেই ঠিক। মানুষকে ভয় দেখালে সে আস্তিক থেকে নাস্তিকে দুদিনে চেঞ্জ করবে। সোভিয়েত ইউনিয়ানের ইতিহাস তাই বলে। মৌলবাদি থেকে একমাসে লিব্যারাল হবে। কিন্ত লিব্যারালিজমের অভ্যেসের মূলে আছে যুক্তি আর মানবিকতা । সেখানে কল্লা কাটার ভয় দেখানো নেই । তাই আমি সিউর নই । লিব্যারাল ভ্যালুগুলো, যা আসলেই শিল্প সভ্যতার উন্নত উৎপাদনের ফলে আমাদের সমাজে এসেছে- তা টিকবে কি না । কারন এই ভ্যালুগুলো মানুষের মধ্যে ভয় দেখিয়ে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয় না । ইতিহাসের রায় এই ব্যাপারে খুব করুন। যে, বা যেসব গোষ্ঠি ভয় দেখাতে সক্ষম হবে, বিবর্তনের খেলায়, তারাই জিতবে। গণতান্ত্রিক কাঠামোতে তা আরো সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এতেব ন্যাপিকেনে ন্যাপি বা চুমু-চুহা আন্দোলনের কোন ভবিষ্যত নেই । যদ্দিনরা লিব্যারালরা তুরস্কের মতন মৌলবাদের বিরুদ্ধে আইন করে তাদের পাইকেরী হারে ক্রস ফায়ারে মারতে পারবে- লিব্যারাল ভ্যালুগুলোকে বাঁচানো যাবে না । গণতন্ত্র দিয়ে ঠেকানো যাবে না। সরি ইতিহাসে মানবিকতাবাদি কোন সংস্কৃতি জেতে নি। যারা রাজত্ব করেছে, বা আজো করছে, তারা কব্জির জোরেই টিকেছে। মানবিকতা বা যুক্তি বা লিব্যালার ভ্যালুগুলি লিখে টেকানো অসম্ভব। অসির থেকে মসীর জোর বেশী-এগুলো শ্রেফ রোম্যান্টিসিজম। মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে এই ধরনের রোমান্টিসিজম থেকে মুক্ত হওয়াই শ্রেয়।
No comments:
Post a Comment