জীবনে সফল হওয়া বলতে কি বোঝায় তা অবশ্যই বিতর্কিত-কারন জীবনের পরম উদ্দেশ্য বলতে কিছু নেই । সুতরাং সফল হওয়ার সংজ্ঞা আপেক্ষিক এবং সাবজেক্টিভ। আমি যেটাকে সফল হওয়া ভাবব-সেটাকে অন্যরা সফলতার সংজ্ঞা নাও ভাবতে পারে। আপাতত একটা সহজ সংজ্ঞা দিই-জীবনে যে যেটা চেয়েছে-সেটা কতটুকু পেয়েছে-আপাতত চলুন সেটাকেই সাফল্যের মাপকাঠি হিসাবে ভাবি।
সেই সাফল্যের মাপকাঠিতে মমতা সফল-বুদ্ধদেব বা জ্যোতিবাসুরা ব্যার্থ। মমতার একটাই লক্ষ্য ছিল-সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস- বাংলা থেকে সিপিএম হটাও, রাইটার্সের দখল। বুদ্ধরা বামপন্থা, সমাজতন্ত্র, কমিনিউজম, শিল্পায়ন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা অনেক কিছু মাড়িয়েছেন-এবং সবখানেই ছড়িয়েছেন। এর মূল কারন সাফল্য পেতে গেলে সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস থাকতে হয়। মমতার একটাই ফোকাস ছিল-যেকোন মূল্যে সিপিএম বিরোধিতা। যে কারনে অরভিন্দ কেজরিওয়াল সফল হচ্ছেন এবং আরো হবেন। একটা জায়গায় ফোকাসটাকে ধরে রাখা।
ব্যাক্তির জীবনেও সেটা দরকারী। আমি দেখেছি আই আই টির অনেক ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র পরবর্তীকালে আমেরিকাতে এসে ক্যারিয়ারে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারে নি। অথচ আঁতপাতি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ররা অনেকেই এখানে এসেছে আই আইটির ছাত্রদের থেকে ক্যারিয়ারের দিক দিয়ে অনেক ভাল করেছে। যেসব আই আই টির ছাত্ররা আমেরিকাতে ক্যারিয়ারে ধেরিয়েছে, তাদের ঘাঁটালে দেখা যাবে এদের অধিকাংশর ফোকাসে অভাব ছিল। এবং সেই অভাবটা তাদের জীবনে এসেছে আইডেন্টি ক্রাইসিস থেকে। নিজেদের অন্যরকম ভাবে বলে, অন্যরকম কাজ, জীবিকা সিলেক্ট করতে গেছে-এবং ছড়িয়েছে। সেই সিপিএমের মতন সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাসের অভাব।
ইনফ্যাক্ট আমার আশেপাশে এত লোক, এত ছাত্রকে উঠতে নামতে দেখেছি-সব কিছুর বিশ্লেষন করে একটাই নির্যাস উঠে আসে। সাফল্য পেতে গেলে একটা পয়েন্ট ফোকাস রাখতে হবে। আমি এক্টিভিস্ট হিসাবে সফল হতে চাইলাম-এদিকে প্রাক্টিক্যালি এক্টভিজমের নামে অনেক এন জি ও খুলে, গোটা দশেক প্রেম করে, মিডিয়া ইন্টারভিঊ দিলাম-এদিকে কাজের নামে লবডঙ্কা-সেখানেও কিন্ত শুভঙ্করের ফাঁকি কেও এড়াতে পারবে না । ব্যবসা, চাকরী, প্রেম, লেখা-কোথাও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না । সমরেশ বসু প্রতিদিন নিয়ম করে আটঘণ্টা ধরে লিখতেন। অথচ, আজকাল কেও কটা কবিতা লিখে, তারপরে ফেসবুক কবিতাগুলো গায়েব করে দিয়েছে বলে নিউজ বার করে বিখ্যাত লেখক হতে চান!! কত যে প্রতিভাবান খেলোয়ার তলিয়ে গেছে-একটু খেলায় নাম ডাক হওয়ার পরে মেয়েদের হাতছানি এড়াতে না পেরে! ছাত্র জীবনে অনেক ট্যালেন্টেড ফিজিসিস্ট বা ম্যাথেমেটিশিয়ান দেখেছি-কিন্ত নামী পদার্থবিদ হয়েছে তারাই যারা ফিজিক্স, পলিটিক্স, কবিতা, প্রেম নিয়ে একসাথে হামাগুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করে নি। ফিজিক্সে সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস রেখেছে দীর্ঘদীন। আমার এক জুনিয়ারের কথা মনে এলে-ছেলেটা দারুন প্রতিভাবান ছিল-প্রিন্সটনে ফিজিক্সে পি এই চ ডি করার পরে, প্রেমে পড়ে সেই ওয়ালস্ট্রীটে হারিয়ে গেল! নোবেল প্রাইজের স্বপ্নের পরিসমাপ্তি !
সুতরাং সব দিক দেখার পর আমার মনে হয়েছে সাফল্যের জন্য প্রতিভা এবং পরিশ্রম অবশ্যই দরকার। সাথে সাথে সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস সব থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন।
সেই সাফল্যের মাপকাঠিতে মমতা সফল-বুদ্ধদেব বা জ্যোতিবাসুরা ব্যার্থ। মমতার একটাই লক্ষ্য ছিল-সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস- বাংলা থেকে সিপিএম হটাও, রাইটার্সের দখল। বুদ্ধরা বামপন্থা, সমাজতন্ত্র, কমিনিউজম, শিল্পায়ন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা অনেক কিছু মাড়িয়েছেন-এবং সবখানেই ছড়িয়েছেন। এর মূল কারন সাফল্য পেতে গেলে সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস থাকতে হয়। মমতার একটাই ফোকাস ছিল-যেকোন মূল্যে সিপিএম বিরোধিতা। যে কারনে অরভিন্দ কেজরিওয়াল সফল হচ্ছেন এবং আরো হবেন। একটা জায়গায় ফোকাসটাকে ধরে রাখা।
ব্যাক্তির জীবনেও সেটা দরকারী। আমি দেখেছি আই আই টির অনেক ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র পরবর্তীকালে আমেরিকাতে এসে ক্যারিয়ারে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারে নি। অথচ আঁতপাতি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ররা অনেকেই এখানে এসেছে আই আইটির ছাত্রদের থেকে ক্যারিয়ারের দিক দিয়ে অনেক ভাল করেছে। যেসব আই আই টির ছাত্ররা আমেরিকাতে ক্যারিয়ারে ধেরিয়েছে, তাদের ঘাঁটালে দেখা যাবে এদের অধিকাংশর ফোকাসে অভাব ছিল। এবং সেই অভাবটা তাদের জীবনে এসেছে আইডেন্টি ক্রাইসিস থেকে। নিজেদের অন্যরকম ভাবে বলে, অন্যরকম কাজ, জীবিকা সিলেক্ট করতে গেছে-এবং ছড়িয়েছে। সেই সিপিএমের মতন সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাসের অভাব।
ইনফ্যাক্ট আমার আশেপাশে এত লোক, এত ছাত্রকে উঠতে নামতে দেখেছি-সব কিছুর বিশ্লেষন করে একটাই নির্যাস উঠে আসে। সাফল্য পেতে গেলে একটা পয়েন্ট ফোকাস রাখতে হবে। আমি এক্টিভিস্ট হিসাবে সফল হতে চাইলাম-এদিকে প্রাক্টিক্যালি এক্টভিজমের নামে অনেক এন জি ও খুলে, গোটা দশেক প্রেম করে, মিডিয়া ইন্টারভিঊ দিলাম-এদিকে কাজের নামে লবডঙ্কা-সেখানেও কিন্ত শুভঙ্করের ফাঁকি কেও এড়াতে পারবে না । ব্যবসা, চাকরী, প্রেম, লেখা-কোথাও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না । সমরেশ বসু প্রতিদিন নিয়ম করে আটঘণ্টা ধরে লিখতেন। অথচ, আজকাল কেও কটা কবিতা লিখে, তারপরে ফেসবুক কবিতাগুলো গায়েব করে দিয়েছে বলে নিউজ বার করে বিখ্যাত লেখক হতে চান!! কত যে প্রতিভাবান খেলোয়ার তলিয়ে গেছে-একটু খেলায় নাম ডাক হওয়ার পরে মেয়েদের হাতছানি এড়াতে না পেরে! ছাত্র জীবনে অনেক ট্যালেন্টেড ফিজিসিস্ট বা ম্যাথেমেটিশিয়ান দেখেছি-কিন্ত নামী পদার্থবিদ হয়েছে তারাই যারা ফিজিক্স, পলিটিক্স, কবিতা, প্রেম নিয়ে একসাথে হামাগুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করে নি। ফিজিক্সে সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস রেখেছে দীর্ঘদীন। আমার এক জুনিয়ারের কথা মনে এলে-ছেলেটা দারুন প্রতিভাবান ছিল-প্রিন্সটনে ফিজিক্সে পি এই চ ডি করার পরে, প্রেমে পড়ে সেই ওয়ালস্ট্রীটে হারিয়ে গেল! নোবেল প্রাইজের স্বপ্নের পরিসমাপ্তি !
সুতরাং সব দিক দেখার পর আমার মনে হয়েছে সাফল্যের জন্য প্রতিভা এবং পরিশ্রম অবশ্যই দরকার। সাথে সাথে সিঙ্গল পয়েন্ট ফোকাস সব থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন।
No comments:
Post a Comment