আজ পয়লা বৈশাখ। ছোটবেলায় আমাদের হালখাতার দিন। বাংলার দোকানীদের ওল্ড ক্রেডিট সিস্টেম। ক্রেডিট কার্ড ছিল না ত কি হয়েছে? ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে ছোট ছোট শহরগুলিতে ছিল আত্মীয়তার সম্পর্ক। বাড়ি তৈরীর জিনিস থেকে মুদিখানার বাজার-সব জায়গাতেই খাতা থাকত বাবার মতন মাস্টার মশাইদের। দুই তিন মাসের বাড়ির বাজার ধারে দিতেন তারা। ওই লোক্যাল ক্রেডিট সিস্টেম না থাকলে মাস্টারমশাইদের সংসার টানা কঠিনই হোত আজ থেকে ত্রিশ চল্লিশ বছর আগে। সেই আশি নব্বই এর দশকে শিক্ষকদের মাস মাইনে ত্রিশ চল্লিশ হাজার হয় নি। বেশ মনে আছে তখন একজন রাজমিস্ত্রি বা ভাল ছুতোর মিস্ত্রির থেকে খুব বেশী ইনকাম করতেন না স্কুলের মাস্টারমশাইরা। সরকার সেকালেও ডেফিসিটে রান করত। ডিসেম্বরেই সরকারের হাঁড়িতে মা ভবানি। জানুয়ারী থেকে মার্চ মাসে শিক্ষকদের মাইনে হত না । এপ্রিলে গিয়ে এক্কেবারে তিনমাসের মাইনে দিত সরকার। ওই তিনমাস শিক্ষক ফ্যামিলিগুলির কষ্টেই দিন কাটত। ভরসা ছিল লোক্যাল ক্রেডিট সিস্টেম-বা খাতায় লিখে নেওয়া। পয়লা বৈশাখে সেই ধারের কিছুটা শোধ করার রীতি। কারন ওই দিন পুরাতন খাতা ছেড়ে নতুন খাতায় হিসাব তুলত দোকানীরা।
বিকেল চারটের সময় বাবার হাত ধরে বেড়িয়ে পড়তাম। বড় দোকানগুলোতে শুধু মিষ্টিমুখই হোত না -একটা না একটা মিস্টির আইটেমে চমক থাকত। সাথে নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার। মধ্যবিত্তর রংখসা দেওয়ালের শিল্পকলা। চার পাঁচটা দোকান ঘুরতেই পেট ভরপুর। বিকেল পাঁচটা বাজতেই আকাশ আস্তে আস্তে কালো মেঘে মন্দ্রিত -কালবৈশাখী হয়নি এমন পয়লা বৈশাখ গেছে বলে মনে নেই ।
এখনত আস্তে আস্তে সব ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। সব পস বা পয়েন্ট অব সেল সিস্টেম-সেলস ট্রান্সকাশন খুব ছোটদোকানেও আজকাল চলে যাচ্ছে কম্পিউটারে। আর ক্রেডিটকার্ডের বদৌলতে সেই লোকাল ক্রেডিট সিস্টেম ও আস্তে আস্তে অস্তাচলে। ক্রেতা বিক্রেতা এখন দুই ভিন্নগ্রহের বাসিন্দা। ছোটবেলায় বাবারা কিনতেন পাড়ার অমুক কাকুর দোকান থেকে-যিনি কিনা আমাদের সাহা পাড়াতে থাকা একটা মানুষ -প্রতিদিন আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েই দোকানে যেতেন। যাওয়ার পথে দু চারটে কথাও হত।
আর আমরা কিনি ওয়ালমার্ট টার্গেট থেকে। কোন বিক্রেতা দোকানী নেই -আছে শুধু কর্পরেট রিটেল আর ক্রেডিট কার্ড।
মানুষের পৃথিবীগুলো যেন কেমন আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে। চারিদিকে যন্ত্র কর্পরেট ক্রেডিট অটোমেশন । তাদের সাথে কথা বলা যায় না , ছোঁয়া যায় না -তারা আমাদের সুঃখ দুঃখের ভাগীদার ও না । এই মানুষ বিহীন পৃথিবীই কি আমাদের ভবিষ্যত? আরো উন্নত ভাবে বাঁচতে গিয়ে বাঁচাটাকেই আমরা হারিয়ে ফেলছি না ত ?
বিকেল চারটের সময় বাবার হাত ধরে বেড়িয়ে পড়তাম। বড় দোকানগুলোতে শুধু মিষ্টিমুখই হোত না -একটা না একটা মিস্টির আইটেমে চমক থাকত। সাথে নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার। মধ্যবিত্তর রংখসা দেওয়ালের শিল্পকলা। চার পাঁচটা দোকান ঘুরতেই পেট ভরপুর। বিকেল পাঁচটা বাজতেই আকাশ আস্তে আস্তে কালো মেঘে মন্দ্রিত -কালবৈশাখী হয়নি এমন পয়লা বৈশাখ গেছে বলে মনে নেই ।
এখনত আস্তে আস্তে সব ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। সব পস বা পয়েন্ট অব সেল সিস্টেম-সেলস ট্রান্সকাশন খুব ছোটদোকানেও আজকাল চলে যাচ্ছে কম্পিউটারে। আর ক্রেডিটকার্ডের বদৌলতে সেই লোকাল ক্রেডিট সিস্টেম ও আস্তে আস্তে অস্তাচলে। ক্রেতা বিক্রেতা এখন দুই ভিন্নগ্রহের বাসিন্দা। ছোটবেলায় বাবারা কিনতেন পাড়ার অমুক কাকুর দোকান থেকে-যিনি কিনা আমাদের সাহা পাড়াতে থাকা একটা মানুষ -প্রতিদিন আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েই দোকানে যেতেন। যাওয়ার পথে দু চারটে কথাও হত।
আর আমরা কিনি ওয়ালমার্ট টার্গেট থেকে। কোন বিক্রেতা দোকানী নেই -আছে শুধু কর্পরেট রিটেল আর ক্রেডিট কার্ড।
মানুষের পৃথিবীগুলো যেন কেমন আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে। চারিদিকে যন্ত্র কর্পরেট ক্রেডিট অটোমেশন । তাদের সাথে কথা বলা যায় না , ছোঁয়া যায় না -তারা আমাদের সুঃখ দুঃখের ভাগীদার ও না । এই মানুষ বিহীন পৃথিবীই কি আমাদের ভবিষ্যত? আরো উন্নত ভাবে বাঁচতে গিয়ে বাঁচাটাকেই আমরা হারিয়ে ফেলছি না ত ?
No comments:
Post a Comment