নেট নিউট্রালিটি নিয়ে বাজারে প্রচুর আওয়াজ! মজার ব্যপার হলো, বর্তমান ইন্টারনেটেই নেট নিউট্রালিটি নেই । না সব বাইট ইক্যুয়াল না । গুগল বা আমাজনের বাইট -আপনি সবার আগে পাবেন। কারন কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক, পেয়ারিং, ডিস্ট্রিবিউটেড প্রসেসিং এবং ডেটাবেসের দৌলতে-বা এদের কম্বাইন্ড এফেক্টে গুগল, ফেসবুক, আমাজন এদের বাইট সবার আগে আসবে আপনার কাছে-যদি চান অফকর্স। সব থেকে বড় কথা-এই যে ফেবুকার এক্টিভিস্ট গুলো এত বড় বড় কথা বলছে -ফেসবুকের বাইটকে অগ্রাধিকার না দিলে বা তার ব্যবস্থা না করলে -এই যে রিয়াল টাইমে ডিসকাসন , চ্যাটিং-সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রেমিকাকে একটা চুমু দেওয়ার পরে, তার চ্যাট মেসেজ আসতে দশ মিনিট দেরী হলে, আপনি কি ফেসবুককে আর ভালোবাসবেন ?
গুগল, ফেবুক, আমাজন যা পারফর্মান্স দেয়-সেটা ওই ইউটোপিয়ান নেট নিউট্রালিটি মডেলে সম্ভব না -টেকনিক্যালি পসিবল না ।
বেসিক্যালি সমস্যাটা সেখানে না । টেলিকম বিজনেসের একটা স্যাড, খুব দুঃখজনক দিক থেকে এই নয়েজটা আসছে। এই যে ধরুন আপনি মাসে ১০০০ টাকা ইন্টারনেট বিল দিচ্ছেন- বা ১২০০ টাকাতে ডেটাপ্ল্যান নিয়েছেন-এই টাকাটা কে পায়? এটা কি ভারতে এয়ারটেল আর আমেরিকাতে ভ্যরাইজেন পাচ্ছে? ওপর থেকে সেটা দেখতে মনে হয় কারন-টাকাটা ওরাই নিচ্ছে। কিন্ত বাস্তবে ওই টাকার বড় অংশ চলে যায় ফাইবার অপ্টিক্সে রিয়ালস্টেট ফি, স্পেক্ট্রাম লাইসেন্স ফি দিতে। ফলে ক্যারিয়ারা বিজনেস বাড়াতে পারছে না খুব বেশী। এতে ইকুইপমেন্ট ম্যানুফাকচারারা পাতি শুয়ে গেছে। আমি আমার চাকরি জীবনের ৭০% এই টেলিকম ইকুইপমেন্টে কাটিয়েছি। বর্তমানে সেখানে আবিস্কারের গতি একদম থেমে গেছে।
অথচ পৃথিবীতে গত দুই দশকে সব থেকে চমকপ্রদ আবিস্কার এবং প্রগতি হয়েছে টেলিকমে যার দরুন পৃথিবীটাই বদলে গেছে। কিন্ত যাদের আবিস্কার এবং গবেষনার জন্য এগুলো সম্ভব হল, তারা এর থেকে কিস্যু পায় নি। টাকা লুঠেছে এবং লুঠছে যারা মাটির মধ্যে ফাইবার অপটিকের কেবল পুঁতেছে। আর গুগল, ফেসবুকের মতন কোম্পানী যারা এই ইন্টারনেট পরিশেবা ব্যবহার করে বিশাল হয়েছে। টেলিকম ক্যারিয়াররা নামেই রেভিনিউ বাড়িয়েছে। লাভ খুব বেশী হয় না ক্যারিয়ার বিজনেস থেকে।
অনেকের ধারনা, তারা ইন্টারনেটের বিল পে করেন -এতেব ইন্টারনেটের বাইট বহনের সব খরচ, তারাই বহন করেন। এটা বিরাট ভুল ধারনা। তারা শুধু বাইটটির লাস্ট মাইলের বিল পে করেন। ইনফ্যাক্ট একটা সার্ভার থেকে একটা বাইট যখন আপনার কম্পিঊটারে পৌছাচ্ছে, আপনি তার ২০% বিল মোটে পে করছেন। বাইটগুলো লংডিসটান্স ট্রাভেলের বিলটি কিন্ত সেই ফেসবুক বা ওয়েবসাইটটিই পে করছে। ব্যাপারটা এমন -একটা প্যাকেট মুম্বাই থেকে মেমারীতে আসছে। মুম্বাই থেকে কোলকতার ফেয়ারটা বিক্রেতা কোম্পানী দিচ্ছে। বাকীটা দিচ্ছে ক্রেতা।
ফলে টেলিকম ক্যারিয়াররা লবি করবেই-যাতে তারা আরোবেশী করে লিগ্যালি আরো সহজে আমাজন বা ফেসবুকের মতন ফাস্ট লেইন তৈরী করতে পারে। আমার মতে সেটা ভাল । কারন সেক্ষেত্রে বরং আমাজন বা গুগলকে প্রতিযোগিতা দেওয়ার মতন কোম্পানী তৈরী হবে। নেট নিউট্রালিটি বেসিক্যালি গুগল বা ফেসবুকের মতন কোম্পানীগুলো দাবী করে। কারন এতে তাদের সুবিধা। তারা অনেক কম খরচে বেশী বাইট পাঠাতে পারছে। লাস্ট মাইলে। নেট নিউট্রালিটি উঠে গেলে, ইউটিউব সবার আগে বন্ধ হবে। কারন ইউটিউব প্রায় সর্বত্র ব্যান্ডউইথের ৭৫% খায়, অথচ তার জন্য গুগলকে এক্সট্রা পে করতে হয় না । এতে অন্যান্য পরিশেবার ক্ষতি হয়। বর্তমানে আই ও টি আসছে। এই ভেঙে পড়া ইন্টারনেট ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ওপরে মেশিন ডাটা জুরে দিলে, সব কিছু বসে যাবার চান্স আরো প্রবল। কারন মেশিন ডাটা হিউমান জেনারেট ডেটার থেকে আরো বেশী হবে।
প্রযুক্তির মধ্যে রাজনীতি ঢোকানো উচিত না । এতে প্রগতির আরো দুর্গতি হবে।
গুগল, ফেবুক, আমাজন যা পারফর্মান্স দেয়-সেটা ওই ইউটোপিয়ান নেট নিউট্রালিটি মডেলে সম্ভব না -টেকনিক্যালি পসিবল না ।
বেসিক্যালি সমস্যাটা সেখানে না । টেলিকম বিজনেসের একটা স্যাড, খুব দুঃখজনক দিক থেকে এই নয়েজটা আসছে। এই যে ধরুন আপনি মাসে ১০০০ টাকা ইন্টারনেট বিল দিচ্ছেন- বা ১২০০ টাকাতে ডেটাপ্ল্যান নিয়েছেন-এই টাকাটা কে পায়? এটা কি ভারতে এয়ারটেল আর আমেরিকাতে ভ্যরাইজেন পাচ্ছে? ওপর থেকে সেটা দেখতে মনে হয় কারন-টাকাটা ওরাই নিচ্ছে। কিন্ত বাস্তবে ওই টাকার বড় অংশ চলে যায় ফাইবার অপ্টিক্সে রিয়ালস্টেট ফি, স্পেক্ট্রাম লাইসেন্স ফি দিতে। ফলে ক্যারিয়ারা বিজনেস বাড়াতে পারছে না খুব বেশী। এতে ইকুইপমেন্ট ম্যানুফাকচারারা পাতি শুয়ে গেছে। আমি আমার চাকরি জীবনের ৭০% এই টেলিকম ইকুইপমেন্টে কাটিয়েছি। বর্তমানে সেখানে আবিস্কারের গতি একদম থেমে গেছে।
অথচ পৃথিবীতে গত দুই দশকে সব থেকে চমকপ্রদ আবিস্কার এবং প্রগতি হয়েছে টেলিকমে যার দরুন পৃথিবীটাই বদলে গেছে। কিন্ত যাদের আবিস্কার এবং গবেষনার জন্য এগুলো সম্ভব হল, তারা এর থেকে কিস্যু পায় নি। টাকা লুঠেছে এবং লুঠছে যারা মাটির মধ্যে ফাইবার অপটিকের কেবল পুঁতেছে। আর গুগল, ফেসবুকের মতন কোম্পানী যারা এই ইন্টারনেট পরিশেবা ব্যবহার করে বিশাল হয়েছে। টেলিকম ক্যারিয়াররা নামেই রেভিনিউ বাড়িয়েছে। লাভ খুব বেশী হয় না ক্যারিয়ার বিজনেস থেকে।
অনেকের ধারনা, তারা ইন্টারনেটের বিল পে করেন -এতেব ইন্টারনেটের বাইট বহনের সব খরচ, তারাই বহন করেন। এটা বিরাট ভুল ধারনা। তারা শুধু বাইটটির লাস্ট মাইলের বিল পে করেন। ইনফ্যাক্ট একটা সার্ভার থেকে একটা বাইট যখন আপনার কম্পিঊটারে পৌছাচ্ছে, আপনি তার ২০% বিল মোটে পে করছেন। বাইটগুলো লংডিসটান্স ট্রাভেলের বিলটি কিন্ত সেই ফেসবুক বা ওয়েবসাইটটিই পে করছে। ব্যাপারটা এমন -একটা প্যাকেট মুম্বাই থেকে মেমারীতে আসছে। মুম্বাই থেকে কোলকতার ফেয়ারটা বিক্রেতা কোম্পানী দিচ্ছে। বাকীটা দিচ্ছে ক্রেতা।
ফলে টেলিকম ক্যারিয়াররা লবি করবেই-যাতে তারা আরোবেশী করে লিগ্যালি আরো সহজে আমাজন বা ফেসবুকের মতন ফাস্ট লেইন তৈরী করতে পারে। আমার মতে সেটা ভাল । কারন সেক্ষেত্রে বরং আমাজন বা গুগলকে প্রতিযোগিতা দেওয়ার মতন কোম্পানী তৈরী হবে। নেট নিউট্রালিটি বেসিক্যালি গুগল বা ফেসবুকের মতন কোম্পানীগুলো দাবী করে। কারন এতে তাদের সুবিধা। তারা অনেক কম খরচে বেশী বাইট পাঠাতে পারছে। লাস্ট মাইলে। নেট নিউট্রালিটি উঠে গেলে, ইউটিউব সবার আগে বন্ধ হবে। কারন ইউটিউব প্রায় সর্বত্র ব্যান্ডউইথের ৭৫% খায়, অথচ তার জন্য গুগলকে এক্সট্রা পে করতে হয় না । এতে অন্যান্য পরিশেবার ক্ষতি হয়। বর্তমানে আই ও টি আসছে। এই ভেঙে পড়া ইন্টারনেট ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ওপরে মেশিন ডাটা জুরে দিলে, সব কিছু বসে যাবার চান্স আরো প্রবল। কারন মেশিন ডাটা হিউমান জেনারেট ডেটার থেকে আরো বেশী হবে।
প্রযুক্তির মধ্যে রাজনীতি ঢোকানো উচিত না । এতে প্রগতির আরো দুর্গতি হবে।
No comments:
Post a Comment