ভারতের দলিত এবং আমেরিকার আফ্রো আমেরিকান দাসের ইতিহাস প্রায় এক। এবং বর্তমান স্টাটাস তথা টার্ময়েল অনেকটাই এক খাতে বইছে।
মুশকিল হচ্ছে, ইতিহাসের সব আর্শীর্বাদ এবং অভিশাপ মার্কেট মহারাজের ইচ্ছা মাত্র। আমেরিকাতে দাসত্ব টেকানোর পেছনে মূল কারন ছিল দক্ষিনের রাজ্যগুলির কটন ট্রেড। আবার সেই দাসত্ব ধ্বংসের পেছনেও ছিল উত্তর আমেরিকার শিল্পে শ্রমিকের চাহিদা। আমেরিকাতে দাসত্ব মুক্তির ইতিহাসে মেয়েদের ভূমিকা এবং সদ্য সংগঠিত মহিলা শ্রমিকদের অবদান ছিল সর্বাধিক। নারীমুক্তির কান্ডারী আর্নেস্টাইন রোজ, লুসেটিয়া মট, আবে কেলী ফস্টার -এরা সবাই দাসমুক্তি সপক্ষেও সমান বেগে জনমত সংগঠিত করেছেন। ইনফ্যাক্ট ফেমিনিস্ট এবং আবোলোশনিস্ট ( দাস প্রথা বিলুপ্ত করার আন্দোলন ) আন্দোলন একসময় ( ১৮৪০-১৮৭০) অবিচ্ছেদ্দ ছিল।
আমি এই ইতিহাস টুকু এই জন্যেই আনলাম যে একটু ভেবে দেখা দরকার ভারতে দলিত প্রথা এখনো কেন দূর করা গেল না। আমেরিকার উত্তরের রাজ্যের লোকেরা যেভাবে দাসপ্রথা বিলোপের জন্য রক্ত পর্যন্ত দিল, ভারতে সেই ধরনের এনলাইটমেন্ট এল না কেন? উচ্চর্বনের লোকেরা দলিতদের জন্য রক্ত দেওয়া ত দূরের কথা, মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে চাইল না!
ইতিহাস পড়ে আমার এটাই মনে হল-ভারতে সাম্প্রদায়িকতা এবং দলিত অপ্রেশনের মূল কারন , নারীবাদি আন্দোলনের অনুপস্থিতি। ইন জেনারেল যেকোন দেশের নারীবাদি আন্দোলন একটা প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের অংশ। ভারতে সে অর্থে কোন প্রগ্রেসিভ আন্দোলন হয় নি- ত নারীবাদি আন্দোলন আসবে কোত্থেকে ? এই দেশের মেইন স্ট্রিম বামেরা, মানে সিপিএমও আরেক অর্থে চূড়ান্ত রিগ্রেসিভ পুরুষতান্ত্রিক পকেটপন্থী পার্টি ছাড়া কিছু ছিল না। আরো একটা ব্যপার হচ্ছে আমেরিকাতে প্রগ্রেসিভ ওই আন্দোলনটা কিন্ত বামপন্থী ছিল না-সেটাও ছিল শিল্পবিপ্লবের ফলে একটি "মার্কেট চাহিদা"। ভারতে শিল্প বিপ্লবও ঠিক ঠাক করে হয় নি--বেসিক্যালি সামন্ততন্ত্রটাই এক্সটেন্ড করে চলেছে। ভারতে শিল্প বিপ্লব এবং ক্যাপিটালিজম ঠিক ঠাক করে না এলে-প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের চাহিদাটাই ঠিক করে তৈরী হবে না। সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোতে চে গুয়েভেরা পার্টি খুললেও, তা আদতেই রিগ্রেসিভই থাকবে।
মুশকিল হচ্ছে, ইতিহাসের সব আর্শীর্বাদ এবং অভিশাপ মার্কেট মহারাজের ইচ্ছা মাত্র। আমেরিকাতে দাসত্ব টেকানোর পেছনে মূল কারন ছিল দক্ষিনের রাজ্যগুলির কটন ট্রেড। আবার সেই দাসত্ব ধ্বংসের পেছনেও ছিল উত্তর আমেরিকার শিল্পে শ্রমিকের চাহিদা। আমেরিকাতে দাসত্ব মুক্তির ইতিহাসে মেয়েদের ভূমিকা এবং সদ্য সংগঠিত মহিলা শ্রমিকদের অবদান ছিল সর্বাধিক। নারীমুক্তির কান্ডারী আর্নেস্টাইন রোজ, লুসেটিয়া মট, আবে কেলী ফস্টার -এরা সবাই দাসমুক্তি সপক্ষেও সমান বেগে জনমত সংগঠিত করেছেন। ইনফ্যাক্ট ফেমিনিস্ট এবং আবোলোশনিস্ট ( দাস প্রথা বিলুপ্ত করার আন্দোলন ) আন্দোলন একসময় ( ১৮৪০-১৮৭০) অবিচ্ছেদ্দ ছিল।
আমি এই ইতিহাস টুকু এই জন্যেই আনলাম যে একটু ভেবে দেখা দরকার ভারতে দলিত প্রথা এখনো কেন দূর করা গেল না। আমেরিকার উত্তরের রাজ্যের লোকেরা যেভাবে দাসপ্রথা বিলোপের জন্য রক্ত পর্যন্ত দিল, ভারতে সেই ধরনের এনলাইটমেন্ট এল না কেন? উচ্চর্বনের লোকেরা দলিতদের জন্য রক্ত দেওয়া ত দূরের কথা, মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে চাইল না!
ইতিহাস পড়ে আমার এটাই মনে হল-ভারতে সাম্প্রদায়িকতা এবং দলিত অপ্রেশনের মূল কারন , নারীবাদি আন্দোলনের অনুপস্থিতি। ইন জেনারেল যেকোন দেশের নারীবাদি আন্দোলন একটা প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের অংশ। ভারতে সে অর্থে কোন প্রগ্রেসিভ আন্দোলন হয় নি- ত নারীবাদি আন্দোলন আসবে কোত্থেকে ? এই দেশের মেইন স্ট্রিম বামেরা, মানে সিপিএমও আরেক অর্থে চূড়ান্ত রিগ্রেসিভ পুরুষতান্ত্রিক পকেটপন্থী পার্টি ছাড়া কিছু ছিল না। আরো একটা ব্যপার হচ্ছে আমেরিকাতে প্রগ্রেসিভ ওই আন্দোলনটা কিন্ত বামপন্থী ছিল না-সেটাও ছিল শিল্পবিপ্লবের ফলে একটি "মার্কেট চাহিদা"। ভারতে শিল্প বিপ্লবও ঠিক ঠাক করে হয় নি--বেসিক্যালি সামন্ততন্ত্রটাই এক্সটেন্ড করে চলেছে। ভারতে শিল্প বিপ্লব এবং ক্যাপিটালিজম ঠিক ঠাক করে না এলে-প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের চাহিদাটাই ঠিক করে তৈরী হবে না। সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোতে চে গুয়েভেরা পার্টি খুললেও, তা আদতেই রিগ্রেসিভই থাকবে।
No comments:
Post a Comment