Thursday, October 15, 2015

দূর্গাপূজো এবং অপচয়

দূর্গাপূজো আসতেই ফেসবুকে বিজ্ঞের বীচিদের বিতর্ক- কত অপচয় ভার্সেস কত আনন্দ। ফালতু খরচ-ভার্সেস গরীবদের এই টাকা দিয়ে দেওয়া যায় কি না। ফর্দ এবং ফরমাস দুটোই লম্বা।

  আরে বাবা, জীবনের কোন পরম উদ্দেশ্য নাই-যতই ভাবার চেষ্টা কর আছে-কিন্ত আসলে নাই। কিন্ত তাও আছে-কারন তা না হলে, বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই হারাবে।

  দূর্গাপূজো প্যাগান সংস্কৃতি। উৎসবের অঙ্গ। এই ধরনের প্যাগান সংস্কৃতির আবাহমানকাল থেকে-মানে যদ্দিনের যদ্দুরের ইতিহাস দেখা যায়-সেই সুমেরীয় সভ্যতা থেকে গ্রীক সভ্যতার ব্যপ্তির দিনে- আসলেই যৌন মিলনের উৎসব।  সোজা কথা-নরনারীর মিলনের একটা সুযোগ করে দেওয়া। এর মধ্যে ভক্তিভাব ভব কিস্যু নাই!  সবটাই যৌনতার সেলিব্রেশন।

সুমেরীয় সভ্যতার লোকেরা প্রথম ট্যাবলেট পুড়িয়ে লেখা শিখেছিল। সেই জন্য চার পাঁচ হাজার বছর আগে সুমেরিয়রা কেন পূজো করত বা পূজো উপলক্ষে তাদের যেসব উৎসব-তার বিশদ বর্ণনার কিছু পুঁথি আজ ও পাওয়া যায়।  সেটা এমন এক সময়, যখন বাচ্চার জন্ম দিতে গিয়ে মারা যেত অধিকাংশ মহিলা। অথচ শিশু মৃত্যুর জন্য সমাজে চাহিদা মহিলা পিছু এটলিস্ট ছটি বাচ্চা-নইলে পপুলেশন গ্রোথ নেগেটিভ! ফলে ব্রোঞ্জ যুগে মেয়েরাও জানত যেহেতু জীবনের কোন গ্যারান্টি নেই-যেকটা দিন বেঁচে থাকা, চুটিয়ে আনন্দ করে নেওয়াই ভাল। ছেলেরাও মারা যেত যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে-কারন তখনকার দিনে কোন প্রফেশনাল আর্মি ছিল না। সব সমর্থ যুবককেই যুদ্ধে যেতে হত। ফলে অমন সমাজে নরনারীর মেলামেশা না করলে বাচ্চা জন্মাবে কোত্থেকে?  আর বাচ্চা না জন্মালে শিশুমৃত্যু এবং যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু থেকে সমাজকে বাঁচাবে কে? ফলে প্যাগান সংস্কৃতি এবং উৎসব বরাবরের জন্যই যৌনতার সেলিব্রেশন। নেহাৎ আধুনিক কালে উন্নত মেডিক্যাল প্রযুক্তির জন্য শিশুমৃত্যু নাই-ফলে মেয়েদের ওপর গর্ভধারনের ও চাপ নেই-এই জন্য খুল্লাম খুল্লা যৌনতার সেলিব্রেশন করতে সমাজ লজ্জা পায়।  সেই মার্কেট-ডিমান্ড সাপ্লাই এর খেলা! নইলে সুমেরীয় সভ্যতায়, কমিউনিটি পূজা অর্চনা মানে পাতি গ্রুপ সেক্স। গ্যাং ব্যাং। সেখানে আজকের দূর্গাপূজো মানে খুব বেশী হলে ঝাড়ি মারা!

 সুতরাং পূজোকে কেন্দ্র করে যৌনতার উৎসব অবশ্যই দরকার- নইলে গ্রুপ ডেটিং সুযোগ তৈরী হবে কি করে? আফটাল আল জীবনের মূলেই আছে যৌনতা।  জীবনে সেক্স ড্রাইভ  না থাকলে ঢোঁড়া সাপের মতন শীতঘুমে সারাজীবন কাটিয়েই বা কি লাভ?

        আর যৌনতা সবার দরকার। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে।



  

No comments: