কমিউনিজম, হিন্দুত্ববাদ, জামাতি ইসলাম ইত্যাদি আদর্শে কেন তরুন তরুনীদের মগঝ ধোলাই হয়, এটা নিয়ে ভেবে কিছু সিদ্ধান্তে এসেছি।
মূলে যেটা আছে - "সমস্যা" বনাম "সমাধান" এই দুটো শব্দকে আলাদা করতে ব্যর্থ হওয়া। তার কারন হচ্ছে, মূলত যারা হাতে সমাধান আছে বলে দাবী করে-তারাই এই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করে। বাকীরা করে না। আমি উদাহরণ দিয়ে বোঝাচ্ছি।
ধরুন মালিকদের হাতে শ্রমিকদের শোষন। বা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী। বা আয়ের বৈষম্য । এগুলো কিন্ত সমস্যা। এবং বাস্তব সমস্যা। এগুলোকে অস্বীকার কেওই করবে না।
কিন্ত মুশকিল হচ্ছে এই সমস্যার সমাধানের জন্য যখন কেও দাবী করবে- লেনিনিজম হচ্ছে একমাত্র পথ। বা জঙ্গী ট্রেড ইউনিয়ান একমাত্র পথ। আরো মুশকিল ইতিহাসটা কেও ডিটেলেস পড়তে চায় না। লেনিনিজম এবং ট্রেড ইউনিয়ানের ইতিহাস ভালো করে জানলে দুমিনিট লাগে বুঝতে লেনিনিজম এবং ট্রেড ইউনিয়ানিজম শ্রমিকদের জন্য কোনদিন কিছু দিতে পারে নি। লেনিনিজম দিয়েছে পার্টির নেতাদের প্রতি দাসত্ব, আর ট্রেড ইউনিয়ানিজমের চোটে কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিকদের রুটি রোজগার বন্ধ হয়েছে। এগুলো অস্বীকার করবে কোন মূর্খ?
আপনি বলবেন তাহলে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজের অধিকার, নুন্যতম মজুরী এগুলো কোত্থেকে এল ? হে মার্কেটে ঘটনা বা কমিনিউস্ট ইন্টারন্যাশানাল কোন ভূমিকা রাখে নি ? কারন ১৮৭০ সাল থেকেই ত এই দাবী গুলো তোলা হচ্ছিল?
ইতিহাস পড়লে জানবেন শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির পেছনে-বা এই যে ১৯৩০-৫০ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে নুন্যতম মজুরী বা চল্লিশ ঘন্টার কাজের সপ্তাহ এল-তার পেছনে শ্রমিক আন্দোলনের ভূমিকা খুব সামান্যই। হে মার্কেটের ঘটনার তিন বছর বাদে আমেরিকাতেই পেনসিলভেনিয়াতে হোমস্টেড স্টীল ফ্যাক্টরী ( যা কার্নেগী স্টিল অধিগ্রহণ করে ), কাজের সময় সপ্তাহে ৫০ ঘন্টা থেকে ৬০ ঘন্টা বৃদ্ধি করে। মজুরী কমিয়ে দেয়। শুধু তাই না, হে মার্কেটের ঘটনা, যার থেকে মহান মে দিবসের রূপকথা রচিত-তার পরের ত্রিশ বছর আমেরিকাতে শ্রমিকদের অধিকার কমেছে, বাড়ে নি। কারন ১৯১০ সাল নাগাদ রকাফেলার, মর্গান এবং কার্নেগীদের একচেটিয়া ব্যবসা শীর্ষে পৌঁছায়। এরা নতুন কারখানা অধিগ্রহণ করতেন, শ্রমিক ছাঁটাই করে, বাকী শ্রমিকদের আরো বেশী ঘন্টা খাটিয়ে আরো বেশী লাভ দিয়েছেন শেয়ার হোল্ডারদের। এবং এগুলো হয়েছে এবং বেশ সুবৃদ্ধি হয়েছে হে মার্কেটের রূপকথার মে দিবসের পরের ত্রিশ দশকেই। হেমার্কেটের ঘটনা শ্রমিকদের কোন অধিকার দিতে পারে নি-সেটা হে মার্কেটের পরের ত্রিশ বছর আমেরিকাতে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস পড়লেই পরিস্কার হয়।
তাহলে শ্রমিকদের বর্তমান অধিকার এলো কোত্থেকে ? আমেরিকার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে এর পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল রুজভেল্টের। কারন তিনি রকাফেলার, মর্গান এদের মনোপলি বন্ধ করে, কড়া আন্টিট্রাস্ট আইন আনেন। যাতে ছোট ছোট ব্যবসাগুলি বড় ব্যাবসার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে সমর্থ হয়। এবং এর পেছনে মূল কারন ছিল, রুজভেল্ট নিজে ওই ছোট বিজনেস লবীর লোক ছিলেন।
ইনফ্যাক্ট ভারতের দিকে তাকালেও সেটা বোঝা যাবে। আজকে যে আই টি শিল্পের ওপর নির্ভর করে, ভারতের তরুন তরুনীরা এত ভাল স্যালারী পাচ্ছে- সেটা কি কোন শ্রমিক আন্দোলনের ফল? শ্রমিক আন্দোলন টাটা বিড়লা বা অন্য গোষ্টির কারাখানার শ্রমিকদের এত ভালো স্যালারী দিতে পেরেছে যা আই টি শিল্প পারছে?
আই টি শিল্পে ভাল স্যালারীর কারন এখানে কোন মনোপলী নেই-অসংখ্য হাজারে হাজারে কোম্পানী। আর এই কোম্পানীগুলোর টিকে থাকতে দক্ষ শ্রমিক দরকার। ফলে শ্রমিকরা দড়াদড়ির সুযোগ পাচ্ছে- মানে তাদের হাতে চয়েস বেড়েছে। অর্থাৎ "লেবার মার্কেটে" একটা প্রতিযোগিতা আনতে পেরেছে আই টি শিল্প। এখন আই টি শিল্পে যদি শুধু টিসিএস আর ইনফোসিস থাকত-আজকে যারা টিসিএসে মাসে দুলাখ মাইনে পাচ্ছে, তারা ত্রিশ হাহার টাকাও পেত না। এই জন্য টাটারা আই টিতে মাসে দুলাখ টাকা বেতন দিলেও, তাদের বেয়ারিং কোম্পানীতে শ্রমিকদের ১৫ হাজার টাকা বেতন ও দেয় না।
মোদ্দা কথা শ্রমিক এবং মালিক-এই দুটি দিকেরই ব্যালান্সড বাজার দরকার। একজন শ্রমিকের ১০০০ জন মালিকের একজনকে সিলেক্ট করার চয়েস থাকতে হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন কড়া আন্টিট্রাস্ট বা মনোপলী বিরোধি আইন থাকবে-মার্কেটকে প্রতিযোগী করার জন্য।
এগুলোর জন্য খুব যে বেশী পড়াশোনা করতে হয় -তাও না। চোখ কান খোলা রাখলেই বোঝা যায় ট্রেড ইউনিয়ানিস্ট লেনিনিস্ট বামেদের চিন্তা ভাবনার অসাড়তা।
হিন্দুত্ব বাদিদের ও এক ইস্যু।
ইসলামিক আইডিওলজি এবং তার থেকে উদ্ভুত সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই সমস্যা। বাস্তব সমস্যা। কিন্ত তার সমাধান কি গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করে? ইনফ্যাক্ট এখানেও মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা বাড়ালে, আরো দাঙ্গা করলে-সেই বঞ্ছনা থেকে আরো অনেক মুসলিম সন্ত্রাসবাদির জন্ম হবে। ট্রেড ইউনিয়ান যেমন শ্রমিকদের ভাল করার নামে, তাদের ধ্বংস করে, হিন্দুত্ববাদি ঘৃণা, দাঙ্গাও ইসলামিক মৌলবাদের সমস্যাকে আরো বাড়াবে।
যেখানে দরকার ছিল মুসলমানদের আরো বেশী বাজার অর্থনীতির সাথে জড়ানো-এবং তার জন্যে তাদের যা শিক্ষা বা স্কিল দরকার সেগুলো সরকার থেকে আরো বেশী করে খরচ করা-তারা যাতে আর বেশী করে ভাল চাকরী পায়-উচ্চ শিক্ষা পায়-এগুলোকে নিশ্চিত করা-এগুলো না করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ছড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের আগুনে ঘি ঢালছে হিন্দুত্ববাদিরা।
জামাতিরাও এক ইল্যুউশনে ভোগে। জাস্টিস- চাই জাস্টিস। কোথাও জাস্টিস নেই-চারিদিকে অবিচার-তাই ইসলামই নাকি একমাত্র জাস্টিস বা সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে!! চারিদিকে অবিচার এটা ঘটনা-কিন্ত তার সমাধান ইসলাম এটা তারা ধরে নিয়েছেন-কারন হাদিস এবং সুন্নতের অসংখ্য রূপকথা গিলিয়ে এদের মাথায় খাইয়েছে লোকজন। ৫১ টা মুসলিম দেশের কোন দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত? এই কটা দেশ পৃথিবীর জঘন্যতম দেশ মানবাধিকারের দিক দিয়ে।
জাস্টিস চাইতে গেলে লিব্যারাল ডেমোক্রাসি ছাড়া উপায় নেই। কারন জাস্টিস সিস্টেম বরাবর ক্ষমতাশীন টাকাপয়সাআলা লোকেদের হাতে আগেও ছিল-এখনো আছে। এগুলোর সমাধানের উপায় আরো ভাল গণতন্ত্র। ইসলামিক একনায়কতন্ত্র মানে সেই কিছু ঘুঘুদের হাতেই ক্ষমতা যাবে-এটা কে বোঝাবে মাথামোটা জামাতিগুলোকে ?
অনেকে বলেন আমিও মার্কেট মৌলবাদে বিশ্বাস করি! আমি তাদের প্রশ্ন করি-আচ্ছা মার্কেট মানে মার্কিন সম্রাজ্যবাদ গুলিয়ে ফেলেন নি ত?
মার্কেটে মৌলবাদ বলে কিছু হয় না। মানুষ যা চাইছে-সেই চাহিদা থেকেই বাজার তৈরী। এখানে কোন কিছুর জোর চলে না-লোকে যা চায় সেটাই চলে। যেমন ধরুন এডিসন যখন ইলেক্ট্রিক বাল্ব তৈরী করলেন-তখন আমেরিকার সব থেকে বড় ধনী রকাফেলার। উনার টাকার উৎস ছিল -কেরোসিন। যা দিয়ে ল্যাম্প জ্বলত। এডিশনের আবিস্কারে ব্যবসা লাটে উঠবে দেখে রকাফেলার সমস্ত নিউজ পেপারে প্রচুর টাকা ঢালেন লোকজন কে বিভ্রান্ত করতে যে ইলেক্ট্রিসিটিতে লোকে শক খেয়ে মারা যেতে পারে। কিন্ত ইলেক্ট্রিসিটি আটকাতে পেরেছিলেন কি আমেরিকার সব থেকে বড় ধনী হওয়া সত্বেও? এডিশন ও একই চেষ্টা করেছিলেন টেসলার এসি কারেন্ট আটকাতে। পারেন নি। কারন মার্কেটে ঔ ভাবে কোন কিছু স্থায়ী চাহিদা নেই। জনগণ নিজের জন্য যা ভাল-সেটা চাওয়া এবং কেনার স্বাধীনতাই বাজার।
সুতরাং যারা বাজারকে মৌলবাদি বলেন তারা অশিক্ষিত বামপন্থী। এজ ইউজুয়াল।
মূলে যেটা আছে - "সমস্যা" বনাম "সমাধান" এই দুটো শব্দকে আলাদা করতে ব্যর্থ হওয়া। তার কারন হচ্ছে, মূলত যারা হাতে সমাধান আছে বলে দাবী করে-তারাই এই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করে। বাকীরা করে না। আমি উদাহরণ দিয়ে বোঝাচ্ছি।
ধরুন মালিকদের হাতে শ্রমিকদের শোষন। বা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী। বা আয়ের বৈষম্য । এগুলো কিন্ত সমস্যা। এবং বাস্তব সমস্যা। এগুলোকে অস্বীকার কেওই করবে না।
কিন্ত মুশকিল হচ্ছে এই সমস্যার সমাধানের জন্য যখন কেও দাবী করবে- লেনিনিজম হচ্ছে একমাত্র পথ। বা জঙ্গী ট্রেড ইউনিয়ান একমাত্র পথ। আরো মুশকিল ইতিহাসটা কেও ডিটেলেস পড়তে চায় না। লেনিনিজম এবং ট্রেড ইউনিয়ানের ইতিহাস ভালো করে জানলে দুমিনিট লাগে বুঝতে লেনিনিজম এবং ট্রেড ইউনিয়ানিজম শ্রমিকদের জন্য কোনদিন কিছু দিতে পারে নি। লেনিনিজম দিয়েছে পার্টির নেতাদের প্রতি দাসত্ব, আর ট্রেড ইউনিয়ানিজমের চোটে কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিকদের রুটি রোজগার বন্ধ হয়েছে। এগুলো অস্বীকার করবে কোন মূর্খ?
আপনি বলবেন তাহলে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজের অধিকার, নুন্যতম মজুরী এগুলো কোত্থেকে এল ? হে মার্কেটে ঘটনা বা কমিনিউস্ট ইন্টারন্যাশানাল কোন ভূমিকা রাখে নি ? কারন ১৮৭০ সাল থেকেই ত এই দাবী গুলো তোলা হচ্ছিল?
ইতিহাস পড়লে জানবেন শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির পেছনে-বা এই যে ১৯৩০-৫০ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে নুন্যতম মজুরী বা চল্লিশ ঘন্টার কাজের সপ্তাহ এল-তার পেছনে শ্রমিক আন্দোলনের ভূমিকা খুব সামান্যই। হে মার্কেটের ঘটনার তিন বছর বাদে আমেরিকাতেই পেনসিলভেনিয়াতে হোমস্টেড স্টীল ফ্যাক্টরী ( যা কার্নেগী স্টিল অধিগ্রহণ করে ), কাজের সময় সপ্তাহে ৫০ ঘন্টা থেকে ৬০ ঘন্টা বৃদ্ধি করে। মজুরী কমিয়ে দেয়। শুধু তাই না, হে মার্কেটের ঘটনা, যার থেকে মহান মে দিবসের রূপকথা রচিত-তার পরের ত্রিশ বছর আমেরিকাতে শ্রমিকদের অধিকার কমেছে, বাড়ে নি। কারন ১৯১০ সাল নাগাদ রকাফেলার, মর্গান এবং কার্নেগীদের একচেটিয়া ব্যবসা শীর্ষে পৌঁছায়। এরা নতুন কারখানা অধিগ্রহণ করতেন, শ্রমিক ছাঁটাই করে, বাকী শ্রমিকদের আরো বেশী ঘন্টা খাটিয়ে আরো বেশী লাভ দিয়েছেন শেয়ার হোল্ডারদের। এবং এগুলো হয়েছে এবং বেশ সুবৃদ্ধি হয়েছে হে মার্কেটের রূপকথার মে দিবসের পরের ত্রিশ দশকেই। হেমার্কেটের ঘটনা শ্রমিকদের কোন অধিকার দিতে পারে নি-সেটা হে মার্কেটের পরের ত্রিশ বছর আমেরিকাতে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস পড়লেই পরিস্কার হয়।
তাহলে শ্রমিকদের বর্তমান অধিকার এলো কোত্থেকে ? আমেরিকার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে এর পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল রুজভেল্টের। কারন তিনি রকাফেলার, মর্গান এদের মনোপলি বন্ধ করে, কড়া আন্টিট্রাস্ট আইন আনেন। যাতে ছোট ছোট ব্যবসাগুলি বড় ব্যাবসার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে সমর্থ হয়। এবং এর পেছনে মূল কারন ছিল, রুজভেল্ট নিজে ওই ছোট বিজনেস লবীর লোক ছিলেন।
ইনফ্যাক্ট ভারতের দিকে তাকালেও সেটা বোঝা যাবে। আজকে যে আই টি শিল্পের ওপর নির্ভর করে, ভারতের তরুন তরুনীরা এত ভাল স্যালারী পাচ্ছে- সেটা কি কোন শ্রমিক আন্দোলনের ফল? শ্রমিক আন্দোলন টাটা বিড়লা বা অন্য গোষ্টির কারাখানার শ্রমিকদের এত ভালো স্যালারী দিতে পেরেছে যা আই টি শিল্প পারছে?
আই টি শিল্পে ভাল স্যালারীর কারন এখানে কোন মনোপলী নেই-অসংখ্য হাজারে হাজারে কোম্পানী। আর এই কোম্পানীগুলোর টিকে থাকতে দক্ষ শ্রমিক দরকার। ফলে শ্রমিকরা দড়াদড়ির সুযোগ পাচ্ছে- মানে তাদের হাতে চয়েস বেড়েছে। অর্থাৎ "লেবার মার্কেটে" একটা প্রতিযোগিতা আনতে পেরেছে আই টি শিল্প। এখন আই টি শিল্পে যদি শুধু টিসিএস আর ইনফোসিস থাকত-আজকে যারা টিসিএসে মাসে দুলাখ মাইনে পাচ্ছে, তারা ত্রিশ হাহার টাকাও পেত না। এই জন্য টাটারা আই টিতে মাসে দুলাখ টাকা বেতন দিলেও, তাদের বেয়ারিং কোম্পানীতে শ্রমিকদের ১৫ হাজার টাকা বেতন ও দেয় না।
মোদ্দা কথা শ্রমিক এবং মালিক-এই দুটি দিকেরই ব্যালান্সড বাজার দরকার। একজন শ্রমিকের ১০০০ জন মালিকের একজনকে সিলেক্ট করার চয়েস থাকতে হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন কড়া আন্টিট্রাস্ট বা মনোপলী বিরোধি আইন থাকবে-মার্কেটকে প্রতিযোগী করার জন্য।
এগুলোর জন্য খুব যে বেশী পড়াশোনা করতে হয় -তাও না। চোখ কান খোলা রাখলেই বোঝা যায় ট্রেড ইউনিয়ানিস্ট লেনিনিস্ট বামেদের চিন্তা ভাবনার অসাড়তা।
হিন্দুত্ব বাদিদের ও এক ইস্যু।
ইসলামিক আইডিওলজি এবং তার থেকে উদ্ভুত সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই সমস্যা। বাস্তব সমস্যা। কিন্ত তার সমাধান কি গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করে? ইনফ্যাক্ট এখানেও মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা বাড়ালে, আরো দাঙ্গা করলে-সেই বঞ্ছনা থেকে আরো অনেক মুসলিম সন্ত্রাসবাদির জন্ম হবে। ট্রেড ইউনিয়ান যেমন শ্রমিকদের ভাল করার নামে, তাদের ধ্বংস করে, হিন্দুত্ববাদি ঘৃণা, দাঙ্গাও ইসলামিক মৌলবাদের সমস্যাকে আরো বাড়াবে।
যেখানে দরকার ছিল মুসলমানদের আরো বেশী বাজার অর্থনীতির সাথে জড়ানো-এবং তার জন্যে তাদের যা শিক্ষা বা স্কিল দরকার সেগুলো সরকার থেকে আরো বেশী করে খরচ করা-তারা যাতে আর বেশী করে ভাল চাকরী পায়-উচ্চ শিক্ষা পায়-এগুলোকে নিশ্চিত করা-এগুলো না করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ছড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের আগুনে ঘি ঢালছে হিন্দুত্ববাদিরা।
জামাতিরাও এক ইল্যুউশনে ভোগে। জাস্টিস- চাই জাস্টিস। কোথাও জাস্টিস নেই-চারিদিকে অবিচার-তাই ইসলামই নাকি একমাত্র জাস্টিস বা সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে!! চারিদিকে অবিচার এটা ঘটনা-কিন্ত তার সমাধান ইসলাম এটা তারা ধরে নিয়েছেন-কারন হাদিস এবং সুন্নতের অসংখ্য রূপকথা গিলিয়ে এদের মাথায় খাইয়েছে লোকজন। ৫১ টা মুসলিম দেশের কোন দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত? এই কটা দেশ পৃথিবীর জঘন্যতম দেশ মানবাধিকারের দিক দিয়ে।
জাস্টিস চাইতে গেলে লিব্যারাল ডেমোক্রাসি ছাড়া উপায় নেই। কারন জাস্টিস সিস্টেম বরাবর ক্ষমতাশীন টাকাপয়সাআলা লোকেদের হাতে আগেও ছিল-এখনো আছে। এগুলোর সমাধানের উপায় আরো ভাল গণতন্ত্র। ইসলামিক একনায়কতন্ত্র মানে সেই কিছু ঘুঘুদের হাতেই ক্ষমতা যাবে-এটা কে বোঝাবে মাথামোটা জামাতিগুলোকে ?
অনেকে বলেন আমিও মার্কেট মৌলবাদে বিশ্বাস করি! আমি তাদের প্রশ্ন করি-আচ্ছা মার্কেট মানে মার্কিন সম্রাজ্যবাদ গুলিয়ে ফেলেন নি ত?
মার্কেটে মৌলবাদ বলে কিছু হয় না। মানুষ যা চাইছে-সেই চাহিদা থেকেই বাজার তৈরী। এখানে কোন কিছুর জোর চলে না-লোকে যা চায় সেটাই চলে। যেমন ধরুন এডিসন যখন ইলেক্ট্রিক বাল্ব তৈরী করলেন-তখন আমেরিকার সব থেকে বড় ধনী রকাফেলার। উনার টাকার উৎস ছিল -কেরোসিন। যা দিয়ে ল্যাম্প জ্বলত। এডিশনের আবিস্কারে ব্যবসা লাটে উঠবে দেখে রকাফেলার সমস্ত নিউজ পেপারে প্রচুর টাকা ঢালেন লোকজন কে বিভ্রান্ত করতে যে ইলেক্ট্রিসিটিতে লোকে শক খেয়ে মারা যেতে পারে। কিন্ত ইলেক্ট্রিসিটি আটকাতে পেরেছিলেন কি আমেরিকার সব থেকে বড় ধনী হওয়া সত্বেও? এডিশন ও একই চেষ্টা করেছিলেন টেসলার এসি কারেন্ট আটকাতে। পারেন নি। কারন মার্কেটে ঔ ভাবে কোন কিছু স্থায়ী চাহিদা নেই। জনগণ নিজের জন্য যা ভাল-সেটা চাওয়া এবং কেনার স্বাধীনতাই বাজার।
সুতরাং যারা বাজারকে মৌলবাদি বলেন তারা অশিক্ষিত বামপন্থী। এজ ইউজুয়াল।
No comments:
Post a Comment