মোদি এবং তার সুযোগ্য সেনারা কি ভাবেন জনগণকে যা খুশী খাওয়ানো যায় মিডিয়া ক্যাম্পেইন দিয়ে? লোকে কিছু বুঝবে না?
মোদির এই উত্থানের পেছনে, লোকজনের "আশার" ভূমিকা ছিল সর্বাধিক। যে দেশে কিছুই হয় না- সব না এর দেশে যদি লোকটা কিছু করতে পারে! এবার ত দেখা যাচ্ছে উনি করার থেকে দেশের ক্ষতি করে দিলেন বেশী!
শিক্ষা এবং গবেষনা হচ্ছে একটা জাতির মেরুদন্ড। শুনলাম মোদির পেয়াদারা ঘোষনা করেছেন এবার থেকে রিসার্চের টাকা ল্যাবেটরীগুলিকে নিজেদেরই জোগার করতে হবে! সি এস আই আর কে দেওয়া অনুদানের পরিমান অর্ধেক করা হচ্ছে! যাদের নেট নেই, তারা ফেলোশিপ পাবে না!
প্রথম কথা হচ্ছে এগুলো আমেরিকাতে সম্ভব কারন এখানে প্রতিটা ফেডারেল এজেন্সি তাদের বাজেটের ৩% গবেষনা এবং নতুন প্রজেক্টের জন্য ছোট কোম্পানী গুলিকে দিতে বাধ্য। এটাকে এস বি আই আর গ্রান্ট বলে যা আমেরিকার অনেক গবেষককে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখানেও প্রাইভেট রিসার্চ গ্র্যান্ট খুব কম- অধ্যাপকদের নানান ফেডারেল এজেন্সি থেকেই গ্র্যান্ট আনতে হয়। ভারতে ত এসব কিছুই নেই প্রায়। তাহলে অধ্যাপকরা নিজেদের গ্র্যান্ট পাবে কোত্থেকে? অধিকাংশই রিসার্চ বন্ধ করে দেবে। কারন ভারতে আমেরিকার মতন অধ্যাপকদের বাজে পারফর্মান্সের জন্য তাড়ানো হয় না। তারা ফালতু কষ্ট করে গ্র্যান্ট আনতে যাবেই বা কেন? মাঝ খান থেকে ভারতের গবেষনার বারোটা বাজবে।
ফালতু পেপার পাবলিকেশনের জন্য গবেশনা বন্ধ করে একাউন্টাবিলিটি আনা উচিত। এটা একদম ঠিক কথা। ভারতে ১৫০ টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অথচ ভারতের কৃষকদের জন্য তাদের বলার মতন কোন প্রোডাক্ট নেই-এই সব প্রশ্ন উঠুক। গবেষনাতে একাউন্টিবিলিটী বাড়ুক। যেসব অধ্যাপকরা শুধু পাবলিকেশনের জন্য গবেষনা করে, তাদের গ্র্যান্ট কেড়ে নেওয়া হৌক। গবেষনার টাকা ভারতের গরীব লোকেদের জন্য, ভারতের সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হৌক। এগুলোতে আপত্তি নেই। এটাই হওয়া উচিত। কিন্ত গবেষনার টাকা কমালে, গোটা জাতির সর্বনাশ হবে। কারন স্কিলড ম্যানপাওয়ার না তৈরী হলে, নতুন প্রযুক্তিতে শিক্ষিত ম্যানপাওয়ার না থাকলে- কোন বহুজাতিক আসবে ?
ভারত কেন আমেরিকাতেও শিল্প সংস্থাগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনাতে তেমন কিছু ইনভেস্ট করবে না। এর অনেক কারন আছে। কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন কিছু তৈরী করলে, শিল্প সংস্থাগুলি সেটিকে প্রোডাক্টাইজ করতে পারে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় লাভ করতে পারে। আমাদের এখানে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবছর প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার লাইসেন্স বেচেছে। কিন্ত এই একই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষনার জন্য সরকারি ফান্ডিং এর ওপর নির্ভরশীল বেশী।
রিসার্চ একাউন্টিবিলিটির যে মডেলটি উন্নত বিশ্বে প্রমানিত-সেটি হচ্ছে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টাকা দেবে। তবে হ্যা, সেই গ্র্যান্ট গুলিও কম্পিটিশনের মাধ্যমেই পেতে হবে। তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রযুক্তি বা জ্ঞান তৈরী করবে, যা ইন্ডাস্ট্রি কিনবে। তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা পাবে এবং কোন গবেষনা কত বেশী মার্কেটে গেছে, কত বেশী লোকের উপকারে এসেছে, সেটার ইতিহাস দেখে সরকার সফল গবেষক এবং গবেষনাগারগুলিকে আরো বেশী গ্রান্ট দেবে।
বেসিক্যালি মোদি সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করার লোক একদম নেই। সব দিকে ছড়াচ্ছে। ভারতের আরো ক্ষতি হচ্ছে এবং হবে। উনার উচিৎ পার্টির লোকগুলোকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বাড় করে পেশাদার লোকেদের এনে স্ট্রাটেজি তৈরী করা। কংগ্রেস কিন্ত সেটাই করত। পার্টির লোকদের শুধু রাস্তায় নামাত-আর দেশ চালানোর জন্য মনমোহনের মতন লোকেদের পেশাদার জগত থেকে আনা হত। আমার ত মনে হয়, সেই মডেলটা তাও চলছিল। বর্তমানে পার্টির লোকেদের দিয়ে কাজ চালাতে গিয়ে, মোদি যে উদ্দাম ছড়াচ্ছেন, তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
মোদির এই উত্থানের পেছনে, লোকজনের "আশার" ভূমিকা ছিল সর্বাধিক। যে দেশে কিছুই হয় না- সব না এর দেশে যদি লোকটা কিছু করতে পারে! এবার ত দেখা যাচ্ছে উনি করার থেকে দেশের ক্ষতি করে দিলেন বেশী!
শিক্ষা এবং গবেষনা হচ্ছে একটা জাতির মেরুদন্ড। শুনলাম মোদির পেয়াদারা ঘোষনা করেছেন এবার থেকে রিসার্চের টাকা ল্যাবেটরীগুলিকে নিজেদেরই জোগার করতে হবে! সি এস আই আর কে দেওয়া অনুদানের পরিমান অর্ধেক করা হচ্ছে! যাদের নেট নেই, তারা ফেলোশিপ পাবে না!
প্রথম কথা হচ্ছে এগুলো আমেরিকাতে সম্ভব কারন এখানে প্রতিটা ফেডারেল এজেন্সি তাদের বাজেটের ৩% গবেষনা এবং নতুন প্রজেক্টের জন্য ছোট কোম্পানী গুলিকে দিতে বাধ্য। এটাকে এস বি আই আর গ্রান্ট বলে যা আমেরিকার অনেক গবেষককে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখানেও প্রাইভেট রিসার্চ গ্র্যান্ট খুব কম- অধ্যাপকদের নানান ফেডারেল এজেন্সি থেকেই গ্র্যান্ট আনতে হয়। ভারতে ত এসব কিছুই নেই প্রায়। তাহলে অধ্যাপকরা নিজেদের গ্র্যান্ট পাবে কোত্থেকে? অধিকাংশই রিসার্চ বন্ধ করে দেবে। কারন ভারতে আমেরিকার মতন অধ্যাপকদের বাজে পারফর্মান্সের জন্য তাড়ানো হয় না। তারা ফালতু কষ্ট করে গ্র্যান্ট আনতে যাবেই বা কেন? মাঝ খান থেকে ভারতের গবেষনার বারোটা বাজবে।
ফালতু পেপার পাবলিকেশনের জন্য গবেশনা বন্ধ করে একাউন্টাবিলিটি আনা উচিত। এটা একদম ঠিক কথা। ভারতে ১৫০ টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অথচ ভারতের কৃষকদের জন্য তাদের বলার মতন কোন প্রোডাক্ট নেই-এই সব প্রশ্ন উঠুক। গবেষনাতে একাউন্টিবিলিটী বাড়ুক। যেসব অধ্যাপকরা শুধু পাবলিকেশনের জন্য গবেষনা করে, তাদের গ্র্যান্ট কেড়ে নেওয়া হৌক। গবেষনার টাকা ভারতের গরীব লোকেদের জন্য, ভারতের সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হৌক। এগুলোতে আপত্তি নেই। এটাই হওয়া উচিত। কিন্ত গবেষনার টাকা কমালে, গোটা জাতির সর্বনাশ হবে। কারন স্কিলড ম্যানপাওয়ার না তৈরী হলে, নতুন প্রযুক্তিতে শিক্ষিত ম্যানপাওয়ার না থাকলে- কোন বহুজাতিক আসবে ?
ভারত কেন আমেরিকাতেও শিল্প সংস্থাগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনাতে তেমন কিছু ইনভেস্ট করবে না। এর অনেক কারন আছে। কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন কিছু তৈরী করলে, শিল্প সংস্থাগুলি সেটিকে প্রোডাক্টাইজ করতে পারে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় লাভ করতে পারে। আমাদের এখানে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবছর প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার লাইসেন্স বেচেছে। কিন্ত এই একই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষনার জন্য সরকারি ফান্ডিং এর ওপর নির্ভরশীল বেশী।
রিসার্চ একাউন্টিবিলিটির যে মডেলটি উন্নত বিশ্বে প্রমানিত-সেটি হচ্ছে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টাকা দেবে। তবে হ্যা, সেই গ্র্যান্ট গুলিও কম্পিটিশনের মাধ্যমেই পেতে হবে। তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রযুক্তি বা জ্ঞান তৈরী করবে, যা ইন্ডাস্ট্রি কিনবে। তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা পাবে এবং কোন গবেষনা কত বেশী মার্কেটে গেছে, কত বেশী লোকের উপকারে এসেছে, সেটার ইতিহাস দেখে সরকার সফল গবেষক এবং গবেষনাগারগুলিকে আরো বেশী গ্রান্ট দেবে।
বেসিক্যালি মোদি সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করার লোক একদম নেই। সব দিকে ছড়াচ্ছে। ভারতের আরো ক্ষতি হচ্ছে এবং হবে। উনার উচিৎ পার্টির লোকগুলোকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বাড় করে পেশাদার লোকেদের এনে স্ট্রাটেজি তৈরী করা। কংগ্রেস কিন্ত সেটাই করত। পার্টির লোকদের শুধু রাস্তায় নামাত-আর দেশ চালানোর জন্য মনমোহনের মতন লোকেদের পেশাদার জগত থেকে আনা হত। আমার ত মনে হয়, সেই মডেলটা তাও চলছিল। বর্তমানে পার্টির লোকেদের দিয়ে কাজ চালাতে গিয়ে, মোদি যে উদ্দাম ছড়াচ্ছেন, তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
No comments:
Post a Comment