বর্ধমান বোমাকান্ডে ধৃত রাজিয়া বিবির খবরে ভিরমি খাওয়ার জোগার। পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকানো মামুলি-কিন্ত স্বামী রক্তাত্ব, মৃত-সেই অবস্থায় সম্পূর্ন অনুতাপহীন, ভাবলেশহীন অবস্থায় জিহাদের জ্যোতি এগিয়ে নিয়ে যেতে এক ছেলেকে কোলে নিয়ে স্বামীর রক্তাত্ব দেহ লুকানো, প্রতিবেশীকে ভয় দেখানো-এবং তারপরেও পুলিশের কাছে নিরুত্তাপ যে তার স্বামী ইসলামের কাজে শহিদ, তাই সে গর্বিত!! নিজের দেশ প্রতিবেশী ছেড়েই দিলাম-সে নিজেকে ইসলামের সৈনিক হিসাবে এতটাই গর্বিত, নিজের বাচ্চা ছেলেমেয়েরা কি করবে সেই নিয়েও ভাবিত না। অর্থাৎ মাতৃসুলভ বায়োলজিক্যাল ড্রাইভ, যা আমাদের অস্তিত্বকে আচ্ছন্ন করে রাখে, তার ওপরেও সে একটা ধর্মীয় মিথে, রূপকথার গল্পে আচ্ছন্ন?
এটি গভীর অস্তিত্ববাদি সমস্যা। জীবনের ত কোন পরম উদ্দেশ্য নেই -এবার ধর্মের ছলে ব্রেইন ওয়াশ করিয়ে এরকম একটা পরম উদ্দেশ্য মাথায় ঢোকাতে পারলেই পুতুল নাচের কীর্তনীয়াদের কেল্লা ফতে। ফলে যা্রা ধরা পড়েছে তাদের সবাই দিনে পাঁচ বার করে নামাজ পরা মুসলমান-অতিধার্মিক বলে পরিচিত। এই ব্যপারে কারুর কোন সন্দেহই থাকা উচিত না -যে ধার্মিক হওয়াটাই তাদের অস্তিত্ববাদি সংকটে ফেলেছে। নইলে কেও মাতৃধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্মের সেবা করে? এতটা কান্ডজ্ঞানহীন হওয়াটা একমাত্র অতি-ধার্মিকদের পক্ষেই সম্ভব।
রাজিয়া বিবির ওপর মোটেও কোন ধর্মীয় অত্যাচার হয় নি কোনদিন। সে করিমপুর থানার বারবাকপুর গ্রামের মেয়ে। আমি নিজেও করিমপুরেই বড় হয়েছি-ওই এলাকাতে কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় নি। যদিও আরবের টাকায় ওয়াহাবি ইসলামের প্রচার ওখানে শুরু হয়েছে নব্বই এর দশক থেকে। এলাকার সব রাজনীতিবিদ, পুলিশ জানে ওইসব মাদ্রাসাতে কি হয়। মুসলমান ভোটের টানে কেও মাথা গলায় নি। আর বিশ্বাস ছিল, যে নিজেদের সেফটি ভালভ রাখতে ওরা বোমা ওখানে বাঁধলেও, ফাটাবে হয়ত বাংলাদেশে! আজকে খবরে বেড়োচ্ছে বেলেডাঙাতে আই ডি তৈরীর ফ্যাক্টরি ছিল? আরে মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে ওই ধরনের বোমা ফ্যাক্টরি আছে। আমার মনে আছে সেই ৯৭ সালে একবার পেটের রোগে ভুগে প্রায় মাস খানেক করিমপুরের বাড়িতে থাকতে হয়েছিল। হঠাৎ একদিন রাতে নদীর ওপার থেকে -বহুদুর থেকে দুটো বোমা ফাটার আওয়াজ। পরের দিন সকালে বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলাম-আরে তোরা কেও শুনিস নি? ওরা বললো দূর-ওগুলো সব বোমা টেস্টিং । ওটা রোজ হয়! তবে ওরা নাকি লোক্যালি ফাটায় না। বাংলাদেশ আর বিহারে এসব বোমের চাহিদা বেশী! কি মারাত্মক-পুলিশ সব জানে কিন্ত মুসলিম এলাকা বলে ঢুকতে সাহস পায় না ! তাছারা সিপিএম ছিলও অদ্ভুত পার্টি। তেলে জলে সবাইকে ধরে রেখেছিল বলে, গন্ডোগল সামনে আসত না -কিন্ত ভেতরটা গিয়েছিল পচে।
আর্থ সামাজিক বিশ্লেষন-হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতা এইসব দিয়ে থিওরী বানানো কাঁচাগোল্লা ছাড়া কিছু না এই ক্ষেত্রে। আশির দশকে করিমপুর এলাকার মুসলিম অধ্যুসিত গ্রামগুলিতে ঢুকতে আমার কোনদিন ভয় লাগত না। আমাদের ওদিকের মুসলমানরা ভীষন অতিথি বৎসল। তাছারা গ্রামের লোকেরা একটু গায়ে পড়েই কথা বলতে এগিয়ে আসে। নব্বই এর দশকে সব পালটে গেছিল। আমার নিজের ওই সব জায়গায় ঢুকতে ভয় লাগত-চারিদিকে সব অদ্ভুত চাউনি। আগে অধিকাংশ গ্রামে মসজিদই ছিল না। মাদ্রাসাও ছিল না । ভাঙাচোরা মুঘল আমলের মসজিদ সব। নব্বই এর দশকে আরবের টাকায় সব বদলে গেল। ব্যাঙের ছাতার মতন মসজিদ আর মাদ্রাসা গজিয়েছে। সিপিএমের নেতারা সেসব উদ্বোধন ও করেছেন। ইদানিং শুনছি তাহাই তৃণমূলের ঘাঁটি।
পশ্চিম বঙ্গ সম্পূর্ন বারুদের ওপর বসে। বিস্ফোরন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
এটি গভীর অস্তিত্ববাদি সমস্যা। জীবনের ত কোন পরম উদ্দেশ্য নেই -এবার ধর্মের ছলে ব্রেইন ওয়াশ করিয়ে এরকম একটা পরম উদ্দেশ্য মাথায় ঢোকাতে পারলেই পুতুল নাচের কীর্তনীয়াদের কেল্লা ফতে। ফলে যা্রা ধরা পড়েছে তাদের সবাই দিনে পাঁচ বার করে নামাজ পরা মুসলমান-অতিধার্মিক বলে পরিচিত। এই ব্যপারে কারুর কোন সন্দেহই থাকা উচিত না -যে ধার্মিক হওয়াটাই তাদের অস্তিত্ববাদি সংকটে ফেলেছে। নইলে কেও মাতৃধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্মের সেবা করে? এতটা কান্ডজ্ঞানহীন হওয়াটা একমাত্র অতি-ধার্মিকদের পক্ষেই সম্ভব।
রাজিয়া বিবির ওপর মোটেও কোন ধর্মীয় অত্যাচার হয় নি কোনদিন। সে করিমপুর থানার বারবাকপুর গ্রামের মেয়ে। আমি নিজেও করিমপুরেই বড় হয়েছি-ওই এলাকাতে কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় নি। যদিও আরবের টাকায় ওয়াহাবি ইসলামের প্রচার ওখানে শুরু হয়েছে নব্বই এর দশক থেকে। এলাকার সব রাজনীতিবিদ, পুলিশ জানে ওইসব মাদ্রাসাতে কি হয়। মুসলমান ভোটের টানে কেও মাথা গলায় নি। আর বিশ্বাস ছিল, যে নিজেদের সেফটি ভালভ রাখতে ওরা বোমা ওখানে বাঁধলেও, ফাটাবে হয়ত বাংলাদেশে! আজকে খবরে বেড়োচ্ছে বেলেডাঙাতে আই ডি তৈরীর ফ্যাক্টরি ছিল? আরে মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে ওই ধরনের বোমা ফ্যাক্টরি আছে। আমার মনে আছে সেই ৯৭ সালে একবার পেটের রোগে ভুগে প্রায় মাস খানেক করিমপুরের বাড়িতে থাকতে হয়েছিল। হঠাৎ একদিন রাতে নদীর ওপার থেকে -বহুদুর থেকে দুটো বোমা ফাটার আওয়াজ। পরের দিন সকালে বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলাম-আরে তোরা কেও শুনিস নি? ওরা বললো দূর-ওগুলো সব বোমা টেস্টিং । ওটা রোজ হয়! তবে ওরা নাকি লোক্যালি ফাটায় না। বাংলাদেশ আর বিহারে এসব বোমের চাহিদা বেশী! কি মারাত্মক-পুলিশ সব জানে কিন্ত মুসলিম এলাকা বলে ঢুকতে সাহস পায় না ! তাছারা সিপিএম ছিলও অদ্ভুত পার্টি। তেলে জলে সবাইকে ধরে রেখেছিল বলে, গন্ডোগল সামনে আসত না -কিন্ত ভেতরটা গিয়েছিল পচে।
আর্থ সামাজিক বিশ্লেষন-হিন্দুদের সাম্প্রদায়িকতা এইসব দিয়ে থিওরী বানানো কাঁচাগোল্লা ছাড়া কিছু না এই ক্ষেত্রে। আশির দশকে করিমপুর এলাকার মুসলিম অধ্যুসিত গ্রামগুলিতে ঢুকতে আমার কোনদিন ভয় লাগত না। আমাদের ওদিকের মুসলমানরা ভীষন অতিথি বৎসল। তাছারা গ্রামের লোকেরা একটু গায়ে পড়েই কথা বলতে এগিয়ে আসে। নব্বই এর দশকে সব পালটে গেছিল। আমার নিজের ওই সব জায়গায় ঢুকতে ভয় লাগত-চারিদিকে সব অদ্ভুত চাউনি। আগে অধিকাংশ গ্রামে মসজিদই ছিল না। মাদ্রাসাও ছিল না । ভাঙাচোরা মুঘল আমলের মসজিদ সব। নব্বই এর দশকে আরবের টাকায় সব বদলে গেল। ব্যাঙের ছাতার মতন মসজিদ আর মাদ্রাসা গজিয়েছে। সিপিএমের নেতারা সেসব উদ্বোধন ও করেছেন। ইদানিং শুনছি তাহাই তৃণমূলের ঘাঁটি।
পশ্চিম বঙ্গ সম্পূর্ন বারুদের ওপর বসে। বিস্ফোরন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
No comments:
Post a Comment