প্রখ্যাত বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা একবার বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন-সবই ব্যাদে আছে! মানে বেদে আছে!! কারন কোন এক তর্কালঙ্কার পন্ডিত তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন তড়িৎচুম্বক বল থেকে নিউক্লিয়ার বল-সব কিছুই নাকি মহাভারতের যুগে পন্ডিতরা আবিস্কার করে বসে ছিল! মেঘনাদ সাহা গবেষনা করে কি আর বিশেষ ছিড়ছেন-এই হচ্ছে বক্তব্য!!
নরেন্দ্র মোদি কোন তর্কালঙ্কার পন্ডিত নন । তিনি ভারতের ক্রান্তিবীর ছাপ্পানো ইঞ্চি প্রধানমন্ত্রী। তিনিও জনসভায় দাবী করেছেন ভারতের শল্যবিদ্যা এমন উন্নত ছিল যে কাটা মাথা দেহের সাথে লাগাত শল্যচিকিৎসকরা। রেফারেন্স -গনেশ মামা।
কোরান বেদ মহাভারতে বিজ্ঞান খুজে পাওয়াতে সরকারি স্টাম্প বসানো খুব ডেঞ্জারাস। কারনটা বলি। সৌদি আরব একবার বিলিয়ান ডলারের বেশী খরচ করেছিল, পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীদের ঘুশ দিয়ে ভিডিও তুলতে যাতে তারা কোরানে বিজ্ঞান আছে বলে জয়গান করেন। ইউটিউবে এই সব ভিডিও মুসলমানদের মধ্যে ভয়ানক জনপ্রিয়। যা মুসলমানদের মধ্যে আরো অজ্ঞতা এবং মৌলবাদ বৃদ্ধি করেছে। সমস্ত মুসলিম দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরানে বিজ্ঞান খুঁজতে একাডেমিক গ্রান্ট দেওয়া হয়। আসলে ক্ষতিটা এখানেই হয়েছে মুসলিম দেশগুলোতে- যে যাদের বিজ্ঞানগবেষনায় ওপরের চেয়ারে নিয়ে আসা হয়েছে -তাদের ওই কোরানে বিজ্ঞান আছে টাইপের বিজ্ঞানী হতে হবে!! আর কোরানে বিজ্ঞান আছে টাইপের বিজ্ঞানীরা কি টাইপের কুলাঙ্গার এবং অপদার্থ সেটা সবাই জানেন।
ভারতে আগেরবার বিজেপি শাসনে সেই দিকেই ঘটনাক্রম এগিয়েছে। আই আই টিতে বৈদিক ম্যাথ ইত্যাদি চালানোর চেষ্টা হয়। খেলা এক। সেই হিন্দু ধর্মে কত বিজ্ঞান আছে সেসব প্রমান করার জন্য বিজ্ঞানী নামের কিছু কলঙ্ককে হিন্দুগ্রন্থে বিজ্ঞান খুঁজতে পাঠানো হয়।
আদি ভারতে জ্ঞান বিজ্ঞানে- বৈদিক বা বৈদজ্ঞ বা ব্রাহ্মন্য ধর্মের বা বর্তমানে যেটাকে হিন্দু ধর্ম বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাদের অবদান কি?
তাদের অবদান শুন্য। প্রাচীন ভারতে যারা বিজ্ঞান চর্চা করেছেন- চরক, বরাহ মিহির, আর্য্যভট্ট- এদের সবাই বৌদ্ধ ছিলেন। হিন্দু বা বৈদিকরা লিখতে পর্যন্ত জানত না । প্রাচীন ভারতে লেখা বা লিপিটাও এসেছে বৌদ্ধদের কাছ থেকে। বেসিক্যালি আদি ভারতে শিক্ষিত ছিল বৌদ্ধ আর জৈনরা। তারাই জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করত। আদিভারতে অশিক্ষিত দাঙ্গাবাজ ছিল হিন্দুরা। সেই ট্রাডিশন আজো চলছে। মধ্যেখানে মুসলিম এবং ইংরেজ শাসনে হিন্দু ধর্মে উন্নতি আসে। কারন হিন্দু ধর্ম তখন রাজনৈতিক ক্ষমতাহীন। ফলে ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমেই হিন্দু ধর্মকে মানবিক দিয়ে উন্নত করেন চৈতন্য বা মীরাবাই। রাজনৈতিক ক্ষমতা হিন্দু ধর্মের হাতে থাকলে, ওইটুকু সংস্কার হত না ।
বেসিক্যালি বৈদিক ধর্মটা ভারতের বাইরে থেকেই আসুক বা ভেতর থেকেই তৈরী হৌক-তা মোটেও কোন উন্নত সভ্যতার দান না । এগুলো ছিল যুদ্ধবাজ আদিবাসীদের ধর্ম। এরপর বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের প্রভাবে ক্রমশ হিন্দু ধর্মে একটা ইন্টেলেকচুয়াল ট্রাডিশন আসে। যা ক্রমশ উপনিশদ বলে খ্যাত হয় এবং উপনিষদের সারবত্তা গীতাতে সংকলিত হয়। গীতা দুর্বল মানুষকে বা মানুষের দুর্বল মুহুর্তে শক্তি, অনুপ্রেরনা দেয়। সেটাই গীতার কাজ। কিন্ত এই সব বেদ উপনিষদের মধ্যে বিজ্ঞান খোঁজা ধর্মান্ধতা এবং উজবুকামি ছাড়া কিছুই না ।
নরেন্দ্র মোদি কোন তর্কালঙ্কার পন্ডিত নন । তিনি ভারতের ক্রান্তিবীর ছাপ্পানো ইঞ্চি প্রধানমন্ত্রী। তিনিও জনসভায় দাবী করেছেন ভারতের শল্যবিদ্যা এমন উন্নত ছিল যে কাটা মাথা দেহের সাথে লাগাত শল্যচিকিৎসকরা। রেফারেন্স -গনেশ মামা।
কোরান বেদ মহাভারতে বিজ্ঞান খুজে পাওয়াতে সরকারি স্টাম্প বসানো খুব ডেঞ্জারাস। কারনটা বলি। সৌদি আরব একবার বিলিয়ান ডলারের বেশী খরচ করেছিল, পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানীদের ঘুশ দিয়ে ভিডিও তুলতে যাতে তারা কোরানে বিজ্ঞান আছে বলে জয়গান করেন। ইউটিউবে এই সব ভিডিও মুসলমানদের মধ্যে ভয়ানক জনপ্রিয়। যা মুসলমানদের মধ্যে আরো অজ্ঞতা এবং মৌলবাদ বৃদ্ধি করেছে। সমস্ত মুসলিম দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরানে বিজ্ঞান খুঁজতে একাডেমিক গ্রান্ট দেওয়া হয়। আসলে ক্ষতিটা এখানেই হয়েছে মুসলিম দেশগুলোতে- যে যাদের বিজ্ঞানগবেষনায় ওপরের চেয়ারে নিয়ে আসা হয়েছে -তাদের ওই কোরানে বিজ্ঞান আছে টাইপের বিজ্ঞানী হতে হবে!! আর কোরানে বিজ্ঞান আছে টাইপের বিজ্ঞানীরা কি টাইপের কুলাঙ্গার এবং অপদার্থ সেটা সবাই জানেন।
ভারতে আগেরবার বিজেপি শাসনে সেই দিকেই ঘটনাক্রম এগিয়েছে। আই আই টিতে বৈদিক ম্যাথ ইত্যাদি চালানোর চেষ্টা হয়। খেলা এক। সেই হিন্দু ধর্মে কত বিজ্ঞান আছে সেসব প্রমান করার জন্য বিজ্ঞানী নামের কিছু কলঙ্ককে হিন্দুগ্রন্থে বিজ্ঞান খুঁজতে পাঠানো হয়।
আদি ভারতে জ্ঞান বিজ্ঞানে- বৈদিক বা বৈদজ্ঞ বা ব্রাহ্মন্য ধর্মের বা বর্তমানে যেটাকে হিন্দু ধর্ম বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাদের অবদান কি?
তাদের অবদান শুন্য। প্রাচীন ভারতে যারা বিজ্ঞান চর্চা করেছেন- চরক, বরাহ মিহির, আর্য্যভট্ট- এদের সবাই বৌদ্ধ ছিলেন। হিন্দু বা বৈদিকরা লিখতে পর্যন্ত জানত না । প্রাচীন ভারতে লেখা বা লিপিটাও এসেছে বৌদ্ধদের কাছ থেকে। বেসিক্যালি আদি ভারতে শিক্ষিত ছিল বৌদ্ধ আর জৈনরা। তারাই জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করত। আদিভারতে অশিক্ষিত দাঙ্গাবাজ ছিল হিন্দুরা। সেই ট্রাডিশন আজো চলছে। মধ্যেখানে মুসলিম এবং ইংরেজ শাসনে হিন্দু ধর্মে উন্নতি আসে। কারন হিন্দু ধর্ম তখন রাজনৈতিক ক্ষমতাহীন। ফলে ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমেই হিন্দু ধর্মকে মানবিক দিয়ে উন্নত করেন চৈতন্য বা মীরাবাই। রাজনৈতিক ক্ষমতা হিন্দু ধর্মের হাতে থাকলে, ওইটুকু সংস্কার হত না ।
বেসিক্যালি বৈদিক ধর্মটা ভারতের বাইরে থেকেই আসুক বা ভেতর থেকেই তৈরী হৌক-তা মোটেও কোন উন্নত সভ্যতার দান না । এগুলো ছিল যুদ্ধবাজ আদিবাসীদের ধর্ম। এরপর বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের প্রভাবে ক্রমশ হিন্দু ধর্মে একটা ইন্টেলেকচুয়াল ট্রাডিশন আসে। যা ক্রমশ উপনিশদ বলে খ্যাত হয় এবং উপনিষদের সারবত্তা গীতাতে সংকলিত হয়। গীতা দুর্বল মানুষকে বা মানুষের দুর্বল মুহুর্তে শক্তি, অনুপ্রেরনা দেয়। সেটাই গীতার কাজ। কিন্ত এই সব বেদ উপনিষদের মধ্যে বিজ্ঞান খোঁজা ধর্মান্ধতা এবং উজবুকামি ছাড়া কিছুই না ।
No comments:
Post a Comment