দিল্লী থেকে মুজাফর নগর। গল্প একটাই । দাঙ্গা বাধানো হচ্ছে যাতে হিন্দু মুসলিম ভোটের পোলারাইজেশন হয়। প্যাটার্ন টাও এক-হয় কোন হিন্দু মেয়েকে মুসলমান ছেলে বিয়ে করেছে/টিটকারি মেরেছে সেই নিয়ে উত্তেজনা। নইলে নতুন মন্দির বিগ্রহ বসানো নিয়ে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া।
ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল নতুন কিছু না । ইসলাম এবং খৃষ্ঠান ধর্মের জন্মই হয়েছিল সেই জন্যে। ভারতের ইতিহাসে উদারতা যেমন আছে-ধর্মীয় বিবাদ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস অসংখ্য।
অর্থাৎ একটা মধ্যযুগীয় পুরাতন খেলা। মারা পড়বে কিছু গরীব মুসলমান বা হিন্দু যারা দিন আনে দিন খায়। লাভ কাদের? সব শ্রেনীর রাজনৈতিক দাদাদের-যারা নেতা মন্ত্রী হতেই শিল্পপতিদের চেক গুনবেন শিল্প স্থাপনে ছাড় দিয়ে। মধ্যেখানে অসহায় মধ্যবিত্ত। কিছু গরীব হিন্দু মুসলমান মেরে শিল্পপতিদের থেকে টাকা নিয়ে বড়লোক হবে খুনী রাজনৈতিকরা।
কেন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত অসহায়? কারন তারা ধর্মকে, ধর্মানুভুতিকে আঘাত করতে ভয় পায়। ফুকোর রাজনৈতিক ক্ষমতার তত্ত্বে একটা পরিস্কার দিক আছে। এটাকে বলে পাওয়ার বাই কনসেসসাস। হিন্দু ধর্ম ঠিক, ইসলাম ঠিক, শুধু লোকগুলো বাজে-এগুলো খাজা তত্ত্ব এবং ভুল স্ট্রাটেজি। কারন এতে হিন্দু ধর্ম এবং ইসলামের ক্ষমতাকে সংহত করা হচ্ছে। যেহেতু কনসেনসাস দাঁড়াচ্ছে ধর্মটা কিন্ত ঠিক। এগুলোতে দাঙ্গাবাজদের হাত শক্ত হবে কারন তাদের হাতিয়ার হচ্ছে ধর্ম। ধর্ম ঠিক, ধার্মিক ভুল-এগুলো অবাস্তব তত্ত্ব। ধার্মিক যা করে বেড়ায়, সেটাই ধর্ম। তার বাইরে কোন ধর্ম নেই ।
মধ্যবিত্ত ধর্মের ব্যপারে যত চুপচাপ বসে থাকবে- মিউ মিউ করে ধর্ম ভাল, ধার্মিক খারাপ মারাবে-ফুকোর তত্ত্ব অনুযায়ী ইসলাম আর হিন্দুধর্মের হাত আরো শক্ত হবে। দাঙ্গার ব্যবসায়ীদের হাত আরো শক্ত হবে।
No comments:
Post a Comment