Sunday, November 1, 2015

কমিনিউস্ট ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিরতে এস্টোনিয়া কি রোল মডেল হতে পারে

টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট, আনন্দবাজারের রিপোর্টে কোলকাতায় বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে, তরুন ছেলে মেয়েদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমছে। ফার্টালিটি রেট নেগেটিভ-মানে পপুলেশন সাসটেইন করার ক্ষমতা নেই। সব থেকে উদ্বেগের কথা কোলকাতায় দম্পতিরা সন্তান নিতে চাইছেন না। না এটা চাইল্ডলেস বাই চয়েস লিবারলিজম না। এর কারন কোলকাতায় ওয়েল পেইং জব খুব কম। ফলে ফ্যাইনান্সিয়াল কারনেই এখানে কাপলরা সন্তান নিচ্ছেন না। আর যারা সক্ষম কর্মক্ষম তাদের বৃহত্তর অংশ অনেক আগেই কোলকাতা ছেড়েছে।

 গোটা শহরটাই এখন কাকু মাসীদের। এদের দেখার জন্য যুবক সম্প্রদায় প্রায় নেই।

 ৩৪ বছরের বামপন্থা বা ভ্রান্ত ভামপ্যান্টিদের ভোট দেওয়ার কুফল বইতেই হত। পাপের ফল কোন না কোনদিন ত ফলতই!

  কমিউনিজম যেখানেই যায়, সেই জাতিকে ধ্বংস করে। অতীতে ধ্বংস হয়েছে রাশিয়ান, রুমানিয়ান, হাঙ্গেরিয়ান, ইউক্রেনিয়ানরা।  ধ্বংস হয়েছে সমৃদ্ধশালী রাশিয়ান সাহিত্য।  এখন ধ্বংসের পথে বাঙালীরা, বিশেষত বাঙালী হিন্দুরা।  তবে আশার আলোও আছে। ইস্ট ইউরোপিয়ানরা খুব দ্রুতই আই টি এবং আধুনিক শিল্পের ওপর ভিত্তি করে, মার্কেটে ইকোনমির উইং এ ভর করে ফিরে এসেছে।  কমিনিউস্টদের হাতে ধ্বংস হওয়ার পরে ইস্টোনিয়া এখন আই টি হাব-স্কাইপ , কাজার জন্মস্থান। ওদের পার ক্যাপিটা জিডিপি এখন আটাশ হাজার ডলারের কাছাকাছি। যা উন্নত বিশ্বের কাছাকাছি। ২০২২ সালের মধ্যে এস্টোনিয়ার পার ক্যাপিটা জিডিপি জার্মানি, ইউকের সমান হবে। ফ্রান্স, ইটালিকে ছাড়িয়ে যাবে।

 এস্টোনিয়ার উদাহরন নিলাম এইজন্যে -যে এস্টোনিয়া বাঙালীদের কাছে রোল মডেল হতে পারে। ১৯৪০ সালে স্টালিন স্বাধীন  এস্তোনিয়া দখল করেন। এস্তোনিয়ার বুদ্ধিজীবি বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদ-এদের অধিকাংশই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় বাল্টিক দেশগুলিতে। সমৃদ্ধশালী দেশ এস্তোনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ানের আরেকটা ব্যর্থ পরাধীন প্রদেশ হয়ে কাটিয়েছে পঞ্চাশ বছর । কিন্ত ১৯৮৯ সালে কমিউনিজমের পতন হতেই প্রবাসী এস্তোনিয়ানরা দেশে ফিরতে শুরু করেন এবং সেখানে উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প স্থাপনে মন দেন। এই ভাবেই সেখানে জন্ম হয়ছে কাজা, স্কাইপের মতন কোম্পানী। বর্তমানে এই উদ্ভাবনী শিল্পের ওপর ভিত্তি করেই দ্রুত এগোচ্ছে ইস্টোনিয়া।

 বাঙালীদের ও এক হাল। কমিনিউসস্টদের ৩৪ বছরের রাজত্বে রাজ্য ছেড়েছে সমস্ত সক্ষম বাঙালীরা।  বলা যায় বাধ্য হয়েছে।  রাজ্যটাকে বামপন্থার ভাইরাসশুন্য করতে পারলে, শিল্পের পরিস্থিতি ফেরালে অনেক বাঙালীই ফিরতে পারে-রাজ্যে উদ্ভাবনী শিল্প স্থাপন করতে পারে।  কমিনিউস্ট ধ্বংসস্তুপ থেকে রাজ্যকে উদ্ধার করতে এস্টোনিয়া একটা মডেল হতে পারে। তবে তার জন্য দরকার এস্টোনিয়ার মতন প্রশাসন-যেখানে নাগরিক সুবিধা সব অক্ষুন্ন রেখেও মার্কেট ইকনোমিকে সব থেকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়।  যারা দেশে ফিরে শিল্প গড়তে চাইছে সরকার তাদের সব ধরনের সুবিধা দেয়। ইনফ্যাক্ট এস্তোনিয়া স্টার্ট আপের জন্য এখন আমেরিকার থেকেও বেশী সুবিধা দিচ্ছে।

সেই জন্য যখনই কোন বামপন্থীকে হেজাতে দেখবেন- তাদের মনে করিয়ে দেবেন, তারা  আসলেই মূর্খ কালিদাস। যে ডালে বসে আছি, সেই ডাল কেটে উন্নয়ন হয় না।

No comments: