সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসলাম বা মুসলমানদের সম্পর্ক কি ?
ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটলেই সোশ্যাল মিডিয়া এই ডিবেটে মজে । কিছু মুসলিম, বামেরা মিলে প্রাণপনে প্রমানের চেষ্টা করে-এর সাথে ইসলামের বা মুসলমানদের সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে ইসলাম বিরোধিরা জল খেয়ে ঘাটে নামে কোরানের আয়াত ধরে-ইসলাম আর মুসলমান মাত্রই পচা ডিম। আর এই ডিবেটের ধোঁয়াশায় হারিয়ে যায় সন্ত্রাসবাদের আসল কারনগুলো।
প্রথমত কারুর কি কোন সন্দেহ আছে যে আল্লাহু আকবর বলে যারা প্রেক্ষাগৃহে ১৫০ জনকে মারল, নিজেরাও আত্মঘাতি হল, তারা ইসলামিক আইডিওলজিতে উদবুদ্ধ না?
এখন প্রশ্ন উঠবে কোরান হিংসা স্যাংশন করে কি না! কোরানের সঠিক ব্যাখ্যা কি!!
এগুলো বোকা বোকা প্রশ্ন। কারন প্রথমত ধর্মের বই গুলো-যাকে আমরা ধর্মগ্রন্থ বলি-সেগুলো বহুদিন আগে খুব দুর্বল দুর্বোধ্য বাক্যে লেখা-যার একাধিক মানে হয়। কোরান যখন লেখা হয়- আরব ভাষাটা তখন ও ঠিক ঠাক ভাবে তৈরী হয় নি। আরবের লিপিও ছিল না। সিরামিক লিপিতে আরবের লোকেরা ব্যবসা করত।
লিঙ্গুইস্টিকে একে বলে উইক টেক্সট। যেমন বিজ্ঞানের পেপার লেখার সময় ল্যাঙ্গুয়েজ এমন হওয়া দরকার, যাতে একটাই মানে হয়। তাই বিজ্ঞানের টেকনিক্যাল টেক্সট হচ্ছে স্ট্রং টেক্সট। কিন্ত ধর্মের ক্ষেত্রে তা হয় না। বাইবেল বা গীতা কোরানের থেকে আরো কঠিন ভাষাতে হিংসাকে অনুপ্রেনিত করে। এবং যার জন্য মধ্যযুগে আমরা ক্রুসেডের দেখা পায়। সুতরাং কোরান সুন্নতে হিংসা আছে, তাই মুসলমানরা হিংস্র এগুলো অতিসরলিকরন।
এই জন্যেই সঠিক ধর্ম, বেঠিক ধর্ম বলে কিছু নেই। ১৮০ কোটি মুসলমানের প্রত্যেকের নিজস্ব ইসলাম ধর্ম আছে। কোন ধর্মই মনোলিথিক না। ওসামা বিন লাদেন ও মুসলমান, আগাখানের মতন দানবীর ও মুসলমান। কে ঠিক মুসলমান, কে ভুল-এই বিতর্কগুলো অর্থহীন। কারন সব ধর্মেই ভাল খারাপ, উগ্রপন্থী আছে। এবং সেই উগ্রপন্থীগুলো খুব পরিস্কার ভাবেই সেই ধর্মেরই সদস্য। সুতরাং খুব পরিস্কার ভাবেই আগা খানের ইসলাম ও ইসলাম, ওসামার বিধর্মী মারার ইসলাম ও ইসলাম।
সমস্যা এই যে ইসলামিক উগ্রপন্থীদের পলিটিকাল স্পনসর আছে, যারা টাকা বন্দুক দেয়। খালিস্তান ত এই ভাবেই তৈরী হয়েছিল। ইসলামিক উগ্রপন্থীরা আরব, আমেরিকা সহ অনেকের কাছ থেকেই টাকা পেয়েছে। যেকোন ধর্মের উগ্রপন্থীদের পেছনে টাকা আর অস্ত্র দিলেই সন্ত্রাসবাদি তৈরী হবে-এই ইতিহাস পৃথিবী বহুবার দেখেছে।
মুশকিল হচ্ছে তাতে মুসলমানদের দোষ কি? তারা ত এসব পছন্দ করে না। সমস্যাটা এখানেই । আমিও ত আমেরিকার বিদেশ নীতি পছন্দ করি না। কিন্ত সেই নীতির পাপের কোন হিস্যাই কি আমার নেই? অবশ্যই আছে। আমি এখানে টাকা কামাতে এসেছি-ফলে আমেরিকান রাজনীতিতে শান্তিবাদিদের আন্দোলনে খুব কমই গেছি। অধিকাংশ মুসলমানদের ও এক অবস্থা। তারাও দিন আনে দিন খাই পাবলিক । তারপরে একঘরে হবার ভয়ে নিজের ধর্মকে দোষ দেওয়া থেকে দূরে থাকে। আবার ধর্মভীরুও বটে। ফলে ইসলাম উগ্রপন্থীদের হাতে ছিনতাই হয়েই গেছে।
এখন সঠিক আর বেঠিক ইসলামে গল্প শোনালে কেউ শুনবে?
আরো পরিস্কার ভাবে বললে-ইসলাম হচ্ছে এবং ছিল আরব সম্রাজ্যবাদের সাংস্কৃতিক রূপ। খ্রীষ্ঠান ধর্ম যেমন রোমান সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজনে বড় হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের সৈনিক পাওয়ার জন্য, ওমন মরাল সুপিরিয়ার মিথের দরকার হয়। যেমন এখন আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের মরাল মিথ- গনতন্ত্র এবং স্বাধীনতা। আসলে কিন্ত ব্যপারটা তলায় তলায় সব-এক। জমি আর সম্পতি দখলের খেলা। সেটাকে সিদ্ধ করার জন্য বড় বড় মরাল জাস্টিফিকেশন দিতে ইসলাম, খ্রীষ্টান ধর্ম এবং বর্তমানে " গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার" মরাল সার্কাস। এবং এই সব মরাল সার্কাসে বিশ্বাসী অনেক সৈনিক এবং তাদের স্পনসর ও আছে। যারা এইসব সন্ত্রাসবাদের ঘটনা থেকে প্রচুর লাভ করে।
মোদ্দা কথা এখানে কতগুলি সাম্রাজ্যবাদি শক্তি খেলছে। সাধারন মানুষ মুর্গী হচ্ছে। এটাই মরাল স্টোরী। বা সামারী।
ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটলেই সোশ্যাল মিডিয়া এই ডিবেটে মজে । কিছু মুসলিম, বামেরা মিলে প্রাণপনে প্রমানের চেষ্টা করে-এর সাথে ইসলামের বা মুসলমানদের সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে ইসলাম বিরোধিরা জল খেয়ে ঘাটে নামে কোরানের আয়াত ধরে-ইসলাম আর মুসলমান মাত্রই পচা ডিম। আর এই ডিবেটের ধোঁয়াশায় হারিয়ে যায় সন্ত্রাসবাদের আসল কারনগুলো।
প্রথমত কারুর কি কোন সন্দেহ আছে যে আল্লাহু আকবর বলে যারা প্রেক্ষাগৃহে ১৫০ জনকে মারল, নিজেরাও আত্মঘাতি হল, তারা ইসলামিক আইডিওলজিতে উদবুদ্ধ না?
এখন প্রশ্ন উঠবে কোরান হিংসা স্যাংশন করে কি না! কোরানের সঠিক ব্যাখ্যা কি!!
এগুলো বোকা বোকা প্রশ্ন। কারন প্রথমত ধর্মের বই গুলো-যাকে আমরা ধর্মগ্রন্থ বলি-সেগুলো বহুদিন আগে খুব দুর্বল দুর্বোধ্য বাক্যে লেখা-যার একাধিক মানে হয়। কোরান যখন লেখা হয়- আরব ভাষাটা তখন ও ঠিক ঠাক ভাবে তৈরী হয় নি। আরবের লিপিও ছিল না। সিরামিক লিপিতে আরবের লোকেরা ব্যবসা করত।
লিঙ্গুইস্টিকে একে বলে উইক টেক্সট। যেমন বিজ্ঞানের পেপার লেখার সময় ল্যাঙ্গুয়েজ এমন হওয়া দরকার, যাতে একটাই মানে হয়। তাই বিজ্ঞানের টেকনিক্যাল টেক্সট হচ্ছে স্ট্রং টেক্সট। কিন্ত ধর্মের ক্ষেত্রে তা হয় না। বাইবেল বা গীতা কোরানের থেকে আরো কঠিন ভাষাতে হিংসাকে অনুপ্রেনিত করে। এবং যার জন্য মধ্যযুগে আমরা ক্রুসেডের দেখা পায়। সুতরাং কোরান সুন্নতে হিংসা আছে, তাই মুসলমানরা হিংস্র এগুলো অতিসরলিকরন।
এই জন্যেই সঠিক ধর্ম, বেঠিক ধর্ম বলে কিছু নেই। ১৮০ কোটি মুসলমানের প্রত্যেকের নিজস্ব ইসলাম ধর্ম আছে। কোন ধর্মই মনোলিথিক না। ওসামা বিন লাদেন ও মুসলমান, আগাখানের মতন দানবীর ও মুসলমান। কে ঠিক মুসলমান, কে ভুল-এই বিতর্কগুলো অর্থহীন। কারন সব ধর্মেই ভাল খারাপ, উগ্রপন্থী আছে। এবং সেই উগ্রপন্থীগুলো খুব পরিস্কার ভাবেই সেই ধর্মেরই সদস্য। সুতরাং খুব পরিস্কার ভাবেই আগা খানের ইসলাম ও ইসলাম, ওসামার বিধর্মী মারার ইসলাম ও ইসলাম।
সমস্যা এই যে ইসলামিক উগ্রপন্থীদের পলিটিকাল স্পনসর আছে, যারা টাকা বন্দুক দেয়। খালিস্তান ত এই ভাবেই তৈরী হয়েছিল। ইসলামিক উগ্রপন্থীরা আরব, আমেরিকা সহ অনেকের কাছ থেকেই টাকা পেয়েছে। যেকোন ধর্মের উগ্রপন্থীদের পেছনে টাকা আর অস্ত্র দিলেই সন্ত্রাসবাদি তৈরী হবে-এই ইতিহাস পৃথিবী বহুবার দেখেছে।
মুশকিল হচ্ছে তাতে মুসলমানদের দোষ কি? তারা ত এসব পছন্দ করে না। সমস্যাটা এখানেই । আমিও ত আমেরিকার বিদেশ নীতি পছন্দ করি না। কিন্ত সেই নীতির পাপের কোন হিস্যাই কি আমার নেই? অবশ্যই আছে। আমি এখানে টাকা কামাতে এসেছি-ফলে আমেরিকান রাজনীতিতে শান্তিবাদিদের আন্দোলনে খুব কমই গেছি। অধিকাংশ মুসলমানদের ও এক অবস্থা। তারাও দিন আনে দিন খাই পাবলিক । তারপরে একঘরে হবার ভয়ে নিজের ধর্মকে দোষ দেওয়া থেকে দূরে থাকে। আবার ধর্মভীরুও বটে। ফলে ইসলাম উগ্রপন্থীদের হাতে ছিনতাই হয়েই গেছে।
এখন সঠিক আর বেঠিক ইসলামে গল্প শোনালে কেউ শুনবে?
আরো পরিস্কার ভাবে বললে-ইসলাম হচ্ছে এবং ছিল আরব সম্রাজ্যবাদের সাংস্কৃতিক রূপ। খ্রীষ্ঠান ধর্ম যেমন রোমান সাম্রাজ্যবাদের প্রয়োজনে বড় হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের সৈনিক পাওয়ার জন্য, ওমন মরাল সুপিরিয়ার মিথের দরকার হয়। যেমন এখন আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের মরাল মিথ- গনতন্ত্র এবং স্বাধীনতা। আসলে কিন্ত ব্যপারটা তলায় তলায় সব-এক। জমি আর সম্পতি দখলের খেলা। সেটাকে সিদ্ধ করার জন্য বড় বড় মরাল জাস্টিফিকেশন দিতে ইসলাম, খ্রীষ্টান ধর্ম এবং বর্তমানে " গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার" মরাল সার্কাস। এবং এই সব মরাল সার্কাসে বিশ্বাসী অনেক সৈনিক এবং তাদের স্পনসর ও আছে। যারা এইসব সন্ত্রাসবাদের ঘটনা থেকে প্রচুর লাভ করে।
মোদ্দা কথা এখানে কতগুলি সাম্রাজ্যবাদি শক্তি খেলছে। সাধারন মানুষ মুর্গী হচ্ছে। এটাই মরাল স্টোরী। বা সামারী।
No comments:
Post a Comment