নদীয়ার কালীগঞ্জের দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আবার সাম্প্রদায়িক উত্তাপ ছড়াচ্ছে ফেসবুকে।
দাঙ্গার সময় আমরা ব্ল্যাঙ্কেটলি ধর্মীয় মৌলবাদ, উগ্রতা ইত্যাদিকে দায়ী করি। প্রশ্ন হচ্ছে সেটা কি সত্যিই বস্তুবাদি বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা?
পরিসংখ্যান অন্যকথা বলবে। ভারতে রাজনৈতিক দাঙ্গায় সব থেকে বেশী লোক মরেছে পশ্চিমবঙ্গে। এই ব্যপারে রাজ্যটি বেশ ধারাবাহিক । নক্সাল, কংসাল, তিনো থেকে সিপিএম সবাই এই সুমহান নাম্বার ওয়ান পজিশন ধরে রেখেছেন।
জাতি এবং ধর্মীয় দাঙ্গা নিয়ে যত বৈজ্ঞানিক কাজ হয়েছে [Pandey, Gyanendra (2006). The Construction of Communalism in Colonial North India. Oxford India, ] তার অধিকাংশ কিন্ত বলছে দাঙ্গার কারন বস্তুবাদি। দক্ষিন এশিয়াতে এর মূল কারন মাথাপিছু সম্পদের অপ্রতুলতা । কেশপুরের দাঙ্গা দিয়েই আমরা কেসস্টাডি করতে পারি । দেখা যাবে কেশপুর সহ অধিকাংশ স্থলে মূল সমস্যা হল- গ্রামে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর অভাবে মাথাপিছু জমি কমেছে। ১৯৮০ সাল নাগাদ, মাথাপিছু ২-৩ বিঘা থাকলে একজন কৃষকের সারা বছর চলে যেত। একটা ছ সাত জনের ফ্যামিলির জন্য পনেরো ষোল বিঘা যথেষ্ট ছিল। বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গে সংখ্যলঘু প্রধান এলাকাতে, মাথাপিছু জমির পরিমান একবিঘার কমে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে দুটো জিনিস দেখা গেছে (১) মুসলিম ফ্যামিলিগুলি থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় ছেলেরা কেরালা, গুজরাটে মাইগ্রেট করেছে (২) প্রতিবেশী হিন্দু প্রধান গ্রামগুলি থেকে জমি কিনে সামাল দিতে হচ্ছে। জমি কেনার টাকা আসছে বিদেশে বসবাসকারী ছেলেদের কাছ থেকে। পশ্চিম বঙ্গে তিন ফসলি জমির দাম অস্বাভাবিক বেশী। সেই ক্ষেত্রে যদি দাঙ্গা লাগিয়ে হিন্দুদের তাড়ানো যায়, তাহলে জমি কিছুটা না অনেকটা সস্তায় পাওয়া যায়। আমার নিজের কাকু মুর্শিদাবাদের গ্রামে মুসলিমদের উপদ্রব সামলাতে না পেরে জলের দামে জমি বিক্রি করে শহরে এসে উঠেছিল। মুসলিম প্রধান এলাকাতে হিন্দুদের প্রোটেকশন দিতে পুলিশ বা রাজনীতিবিদ কেওই সক্ষম না । এসব এলাকাতে যেসব সংখ্যালঘু হিন্দুরা থাকে, তাদের প্রোটেকশন দেয় সহৃদয় প্রতিবেশী মুসলিম ফ্যামিলিগুলি। কিন্ত ইদানিং আরবের টাকায় এবং বাংলাদেশী জামাতিদের অনুপ্রবেশে এইসব গ্রামে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ( যেমন জলে ফলিডল দেওয়া, গাছ কেটে নেওয়া) এত বেড়েছে, সহানুভূতিশীল মুসলমানরাই হিন্দু বন্ধুদের বলছেন গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে।
ইনফ্যাক্ট পশ্চিমবঙ্গে জীবিকার সুরাহা না হলে দাঙ্গার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
ইজিপ্ট থেকে সিরিয়া, বাল্টিমোর থেকে নাইজেরিয়া-সর্বত্রই দাঙ্গার মূল কারন সম্পদের অপ্রতুলতার জন্য, চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়ার কারনে- নিজের জীবন বা অন্যের জীবনকে অতটা গুরুত্বপূর্ন বলে এরা মনে করে না । ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে সেই ক্ষোভের বারুদে আগুন জ্বালানো।
এই মুহুর্তে দুটো কাজ দরকার দ্রুত। গ্রামের দিকে ফ্যমিলি প্ল্যানিং। কৃষক মনে করে সন্তান মানে এক্সট্রা লেবার। ফলে চাষীরা ফ্যামিলি প্ল্যানিং এ বিশ্বাসী না । যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটা করতে ব্যর্থ হয়, রাজ্যটা গাধার ঘারে যাবেই। দ্বিতীয়টা হচ্ছে গ্রামে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ। যেটা পশ্চিম বঙ্গে একদম হয় নি-পুঁজির অভাবে এবং বামপন্থী সুলভ লেবার প্রবলেমের জন্য। ফলে সম্পদের অপ্রতুলতা আরো তীব্র হয়েছে। এটাই মূল কারন পশ্চিমবঙ্গ রাজনৈতিক দাঙ্গা এবং হত্যায় শীর্ষে।
ধর্মীয় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এগুলো কোন রোগ না -রোগের লক্ষন । আসল কারন গ্রামের দিকে জনসংখ্যা অনুপাতে জীবিকার অভাব।
দাঙ্গার সময় আমরা ব্ল্যাঙ্কেটলি ধর্মীয় মৌলবাদ, উগ্রতা ইত্যাদিকে দায়ী করি। প্রশ্ন হচ্ছে সেটা কি সত্যিই বস্তুবাদি বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা?
পরিসংখ্যান অন্যকথা বলবে। ভারতে রাজনৈতিক দাঙ্গায় সব থেকে বেশী লোক মরেছে পশ্চিমবঙ্গে। এই ব্যপারে রাজ্যটি বেশ ধারাবাহিক । নক্সাল, কংসাল, তিনো থেকে সিপিএম সবাই এই সুমহান নাম্বার ওয়ান পজিশন ধরে রেখেছেন।
জাতি এবং ধর্মীয় দাঙ্গা নিয়ে যত বৈজ্ঞানিক কাজ হয়েছে [Pandey, Gyanendra (2006). The Construction of Communalism in Colonial North India. Oxford India, ] তার অধিকাংশ কিন্ত বলছে দাঙ্গার কারন বস্তুবাদি। দক্ষিন এশিয়াতে এর মূল কারন মাথাপিছু সম্পদের অপ্রতুলতা । কেশপুরের দাঙ্গা দিয়েই আমরা কেসস্টাডি করতে পারি । দেখা যাবে কেশপুর সহ অধিকাংশ স্থলে মূল সমস্যা হল- গ্রামে ফ্যামিলি প্ল্যানিং এর অভাবে মাথাপিছু জমি কমেছে। ১৯৮০ সাল নাগাদ, মাথাপিছু ২-৩ বিঘা থাকলে একজন কৃষকের সারা বছর চলে যেত। একটা ছ সাত জনের ফ্যামিলির জন্য পনেরো ষোল বিঘা যথেষ্ট ছিল। বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গে সংখ্যলঘু প্রধান এলাকাতে, মাথাপিছু জমির পরিমান একবিঘার কমে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে পশ্চিম বঙ্গের গ্রামে দুটো জিনিস দেখা গেছে (১) মুসলিম ফ্যামিলিগুলি থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় ছেলেরা কেরালা, গুজরাটে মাইগ্রেট করেছে (২) প্রতিবেশী হিন্দু প্রধান গ্রামগুলি থেকে জমি কিনে সামাল দিতে হচ্ছে। জমি কেনার টাকা আসছে বিদেশে বসবাসকারী ছেলেদের কাছ থেকে। পশ্চিম বঙ্গে তিন ফসলি জমির দাম অস্বাভাবিক বেশী। সেই ক্ষেত্রে যদি দাঙ্গা লাগিয়ে হিন্দুদের তাড়ানো যায়, তাহলে জমি কিছুটা না অনেকটা সস্তায় পাওয়া যায়। আমার নিজের কাকু মুর্শিদাবাদের গ্রামে মুসলিমদের উপদ্রব সামলাতে না পেরে জলের দামে জমি বিক্রি করে শহরে এসে উঠেছিল। মুসলিম প্রধান এলাকাতে হিন্দুদের প্রোটেকশন দিতে পুলিশ বা রাজনীতিবিদ কেওই সক্ষম না । এসব এলাকাতে যেসব সংখ্যালঘু হিন্দুরা থাকে, তাদের প্রোটেকশন দেয় সহৃদয় প্রতিবেশী মুসলিম ফ্যামিলিগুলি। কিন্ত ইদানিং আরবের টাকায় এবং বাংলাদেশী জামাতিদের অনুপ্রবেশে এইসব গ্রামে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ( যেমন জলে ফলিডল দেওয়া, গাছ কেটে নেওয়া) এত বেড়েছে, সহানুভূতিশীল মুসলমানরাই হিন্দু বন্ধুদের বলছেন গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে।
ইনফ্যাক্ট পশ্চিমবঙ্গে জীবিকার সুরাহা না হলে দাঙ্গার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
ইজিপ্ট থেকে সিরিয়া, বাল্টিমোর থেকে নাইজেরিয়া-সর্বত্রই দাঙ্গার মূল কারন সম্পদের অপ্রতুলতার জন্য, চূড়ান্ত দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়ার কারনে- নিজের জীবন বা অন্যের জীবনকে অতটা গুরুত্বপূর্ন বলে এরা মনে করে না । ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে সেই ক্ষোভের বারুদে আগুন জ্বালানো।
এই মুহুর্তে দুটো কাজ দরকার দ্রুত। গ্রামের দিকে ফ্যমিলি প্ল্যানিং। কৃষক মনে করে সন্তান মানে এক্সট্রা লেবার। ফলে চাষীরা ফ্যামিলি প্ল্যানিং এ বিশ্বাসী না । যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটা করতে ব্যর্থ হয়, রাজ্যটা গাধার ঘারে যাবেই। দ্বিতীয়টা হচ্ছে গ্রামে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ। যেটা পশ্চিম বঙ্গে একদম হয় নি-পুঁজির অভাবে এবং বামপন্থী সুলভ লেবার প্রবলেমের জন্য। ফলে সম্পদের অপ্রতুলতা আরো তীব্র হয়েছে। এটাই মূল কারন পশ্চিমবঙ্গ রাজনৈতিক দাঙ্গা এবং হত্যায় শীর্ষে।
ধর্মীয় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এগুলো কোন রোগ না -রোগের লক্ষন । আসল কারন গ্রামের দিকে জনসংখ্যা অনুপাতে জীবিকার অভাব।
No comments:
Post a Comment