নরেন্দ্রপুরের রেজাল্ট বারবার আলোচনাতে আসছে। এগুলো অর্থহীন কারন নরেন্দ্রপুরে মাধ্যমিকে সেরারা ভর্তি হয়, তাই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। কিন্ত যদি নরেন্দ্রপুরের কিছু আলোচনাতে আসা উচিত-সেটা হচ্ছে সেখানে কি করে একজন অন্যজনের কাছ থেকে শেখে। দেখলাম একজন ইন্টারভিউতে লিখেছে- সহযোগিতাই আসল প্রতিযোগিতা নরেন্দ্রপুরে। নরেন্দ্রপুর জীবনে যে শিক্ষা সব থেকে বেশী কাজে এসেছে-সেটা হচ্ছে ওই বাকীদের কাছ থেকে শেখা। সবাই সবার কাছ থেকে শেখে। আমি কারুর কাছে কেমিস্ট্রির জন্য গেলাম ত সে আমার কাছে একটা ফিজিক্সের প্রবলেম নিয়ে এল। আমরা সবাই ছিলাম একাধারে শিক্ষক এবং ছাত্র-এবং শেখার স্কোপ থাকে এই দ্বৈত ভূমিকাতেই।
একটা ছোট্ট গল্প না বললেই না। নরেন্দ্রপুরে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার পরে প্রথম দুই মাস সবাই গাঁতাতে বসে যায়। চাপা টেনশন থাকে-প্রথম বাই মান্থলিতে এতগুলো ভাল ছেলের মধ্যে কে কি করবে। আর পরীক্ষার প্রশ্নের মান মুলত জে ই ই ধাঁচের হয়। ত আমার ক্ষেত্রে যেটা হল, এত কিছু পড়েও , প্রথম বাই-মান্থলিতে অঙ্কতে ধেরালাম। পরিস্কার মনে আছে ৫০ এ ২২ কি ২৩ পেয়েছিলাম। অঙ্ক ছিল আমার ফেভারিট সাবজেক্ট। খুব ঘাবরে গিয়ে ভাবলাম দেখি যারা ৪৫+ পেয়েছে তারা কি করে করল। এদের মধ্যে একজন ছিল সৌম্য জানা। যে কোনদিন সারাদিন এক ঘন্টার বেশী পড়ত না। ফুটবল খেলত। আমরা না খেলে জে ই ই এর জন্য গাঁতাতাম। ও সামান্য মাত্র চর্চা করেই পুরো ক্রাক করল -এদিকে আমি গাড্ডা খেলাম ( ইনফ্যাক্ট ৯০% ছেলেই আমার কাতারে বাজে করেছিল প্রথম বাই-মান্থলিতে) -এটা বেশ লাগছিল।
আমাদের একটা বড় স্টাডিরুম ছিল। ওখানে সৌম্য ফুটবল খেলে আটটার সময় পড়তে বসত। আমি ঠিক করলাম দেখি ওর পড়ার পদ্ধতিটা কি । সেই মোতাবেক ওর পেছনের বেঞ্চে বসে আমি লক্ষ্য করতে থাকলাম ও আসলে কি করছে! দেখালাম খুব সাধারন একটা অঙ্কের বই নিয়ে ও প্রতিটা ধাপের রেজাল্ট গুলো লিখে যাচ্ছে-মানে আমরা যেটা খাতায় করি-ও মনের মধ্যে সেটা করে নিয়ে শুধু উত্তর গুলো লিখে মিলিয়ে নিচ্ছে-আর অধিকাংশ সময় ভাবনার জগতে আছে। মোটেও খাতা পেনের সাথে লড়াই করছে না। কিছু না মিললে থিওরীর বেসিকে ফিরে যাচ্ছে।
সৌম্য আমাদের ব্যাচে আই আই টিতে অলইন্ডিয়াতে ১৪ র্যঙ্ক করেছিল-পশ্চিম বঙ্গ থেকে ওটাই ছিল হায়েস্ট।
আমি বুঝলাম, আমার শেখার পদ্ধতিতে বিরাট গলদ আছে। পুরো প্রসেসটা মুভির মতন মাথায় থাকা উচিত-এবং ধাপগুলোর প্রসেসিং ও মাথায় না হয়ে খাতায় হয়ে খুব বেশী লাভ হয় না।এর পর থেকে আমিও গাঁতানো ছেড়ে দিলাম-এবং আমাকেও দিনে দুঘন্টার বেশী আর কোনদিন পড়তে হয় নি। নরেন্দ্রপুরে সহপাঠীদের কাছ থেকে এই ছোট ছোট শেখাগুলো একটা গোটা জীবন বদলে দিতে পারে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে দিয়েছিল। রেজাল্টে জীবন অতটা পালটায় না-যতটা পালটায় এই ছোট ছোট শেখাগুলিতে।
একটা ছোট্ট গল্প না বললেই না। নরেন্দ্রপুরে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার পরে প্রথম দুই মাস সবাই গাঁতাতে বসে যায়। চাপা টেনশন থাকে-প্রথম বাই মান্থলিতে এতগুলো ভাল ছেলের মধ্যে কে কি করবে। আর পরীক্ষার প্রশ্নের মান মুলত জে ই ই ধাঁচের হয়। ত আমার ক্ষেত্রে যেটা হল, এত কিছু পড়েও , প্রথম বাই-মান্থলিতে অঙ্কতে ধেরালাম। পরিস্কার মনে আছে ৫০ এ ২২ কি ২৩ পেয়েছিলাম। অঙ্ক ছিল আমার ফেভারিট সাবজেক্ট। খুব ঘাবরে গিয়ে ভাবলাম দেখি যারা ৪৫+ পেয়েছে তারা কি করে করল। এদের মধ্যে একজন ছিল সৌম্য জানা। যে কোনদিন সারাদিন এক ঘন্টার বেশী পড়ত না। ফুটবল খেলত। আমরা না খেলে জে ই ই এর জন্য গাঁতাতাম। ও সামান্য মাত্র চর্চা করেই পুরো ক্রাক করল -এদিকে আমি গাড্ডা খেলাম ( ইনফ্যাক্ট ৯০% ছেলেই আমার কাতারে বাজে করেছিল প্রথম বাই-মান্থলিতে) -এটা বেশ লাগছিল।
আমাদের একটা বড় স্টাডিরুম ছিল। ওখানে সৌম্য ফুটবল খেলে আটটার সময় পড়তে বসত। আমি ঠিক করলাম দেখি ওর পড়ার পদ্ধতিটা কি । সেই মোতাবেক ওর পেছনের বেঞ্চে বসে আমি লক্ষ্য করতে থাকলাম ও আসলে কি করছে! দেখালাম খুব সাধারন একটা অঙ্কের বই নিয়ে ও প্রতিটা ধাপের রেজাল্ট গুলো লিখে যাচ্ছে-মানে আমরা যেটা খাতায় করি-ও মনের মধ্যে সেটা করে নিয়ে শুধু উত্তর গুলো লিখে মিলিয়ে নিচ্ছে-আর অধিকাংশ সময় ভাবনার জগতে আছে। মোটেও খাতা পেনের সাথে লড়াই করছে না। কিছু না মিললে থিওরীর বেসিকে ফিরে যাচ্ছে।
সৌম্য আমাদের ব্যাচে আই আই টিতে অলইন্ডিয়াতে ১৪ র্যঙ্ক করেছিল-পশ্চিম বঙ্গ থেকে ওটাই ছিল হায়েস্ট।
আমি বুঝলাম, আমার শেখার পদ্ধতিতে বিরাট গলদ আছে। পুরো প্রসেসটা মুভির মতন মাথায় থাকা উচিত-এবং ধাপগুলোর প্রসেসিং ও মাথায় না হয়ে খাতায় হয়ে খুব বেশী লাভ হয় না।এর পর থেকে আমিও গাঁতানো ছেড়ে দিলাম-এবং আমাকেও দিনে দুঘন্টার বেশী আর কোনদিন পড়তে হয় নি। নরেন্দ্রপুরে সহপাঠীদের কাছ থেকে এই ছোট ছোট শেখাগুলো একটা গোটা জীবন বদলে দিতে পারে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে দিয়েছিল। রেজাল্টে জীবন অতটা পালটায় না-যতটা পালটায় এই ছোট ছোট শেখাগুলিতে।
No comments:
Post a Comment