মানুষ এক সময় দলবদ্ধ ভাবে শিকার করে খেত। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্ত যেটা উপলদ্ধি করি না, হান্টার গ্যাদারার সমাজে বেঁচে থাকতে অনেক বেশী লড়াই করতে হত-এই সব তাত্বিক ঢপবাজি, ধর্ম, মাধ্যমিক, আই এস সি, আই আই টির সার্টিফিকেটের জোরে ক্ষুদা নিবৃত্তি হত না। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে শীত নামার আগে অনেক খাবার স্টক করতে হত । দীর্ঘ চার মাসের শীতে কিছুই জুটত না । ভেবে দেখুন। একটা পাহাড়ি হরিনকে দুঘন্টা ধরে তাড়া করে না মারতে পারলে, অভুক্ত থাকতে হত আমাদের পূর্ব পুরুষদের। সুতরাং তাদের মন প্রান হাত পা, সম্পূর্ন ফোকাসড থাকত খাবার জোটাতে। পশুপাখীদের হার মানানোতে। মাথাটা কাজ করত সব সময়।
দশ হাজার বছর আগে যখন মানুষ কৃষিকাজ শিখল-খাবারের নিরাপত্তা এল-তখন থেকে দুটো জিনিস পরিলক্ষিত (১) মানুষের ব্রেনের আকার আর বাড়ে নি-বা কেও কেও গবেষনাতে বলছেন কমেছে কারন মানুষকে প্রতিটা মুহুর্ত আর ব্রেইনকে কাজে লাগাতে হচ্ছে না-যা শিকারিদের করতে হত (২) তখন থেকেই সমাজ রাষ্ট্র রাজনীতি ভূত ভগবান বৈষমাই, ধর্ম, প্রফেটের জন্ম।
সুতরাং আজকের যে ধর্মান্ধ এবং ধর্মের সমস্যা আমরা দেখছি ( বা তাত্ত্বিক অন্ধদের ও আমরা দেখছি), সেটা দূর করতে শিকারি সমাজ বা প্যালিওলিথিক সমাজের দিকে আমাদের তাকাতে হবে। মূল সমস্যা হচ্ছে, যেহেতু খাদ্য এবং পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে ছোটবেলা থেকেই, বাচ্চা বয়স থেকে কৃষি সমাজে ছেলে মেয়েদের ব্রেইনটা শিকারী সমাজের তুলনায় অনেক অকার্যকর থাকছে । আমাদের ব্রেইনের ইলাস্টিসিটি খুব বেশী, তাকে যত ব্যবহার করা যায় সে তত দক্ষ হবে। বদ্ধ পুকুরের জলে যেমন শেওলা জমে, ঠিক তেমনি কৃষিভিত্তিক সমাজের শিশুদের জড় বুদ্ধিতে খুব সহজেই ধর্ম কমিনিউজম ন্যাশানালিজম গিলিয়ে দেওয়া যায়।
বর্তমানে সেই শিকারি সমাজের মতন সজাগ ব্রেইন লাগে একমাত্র তাদের যাদের দৈনন্দিন ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। শিকারি সমাজের মতন এখানেও কাস্টমার ফস্কালে খাদের নীচে । বড়ব্যবসায়ী শ্রেনীর কথা আলাদা। কিন্ত ছোট ছোট ব্যবসায়ী শ্রেনীটি শিকারি সমাজের মতন ছোট ছোট কাস্টমার ধরেই বেঁচে থাকে। এটাও ঠিক এই শ্রেনীটি যত বাস্তববাদি হয়, বিজ্ঞান/সাহিত্য/সংস্কৃতির চল এদের মধ্যে নেই । কিন্ত দেশপ্রেম, ধর্ম , সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ইজমের প্রশ্নে এই শ্রেনীটি দুধ এবং জল খুব সজজেই আলাদা করতে পারে নিজেদের অভিজ্ঞতায়।
এইজন্যে আমি মনে করি ধনতন্ত্র এবং মার্কেটের প্রসারের সাথে সাথে ধর্মের শেষের সেদিন আগত। মার্কেট হচ্ছে সেই আদি জঙ্গল। একজন মানুষকে যত সমাজ রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া নিজের বুদ্ধিতে বাঁচতে হবে, চাকরি বা নিশ্চিত ইনকাম থাকবে না-প্রতিটা মুহুর্ত তাকে পরিস্থিতির বাস্তব বিশ্লেষন করে পেটে ক্ষুদা নিবৃত্তি করতে হবে, ধর্ম সহ বিজাতীয় ইজমের কুপ্রভাব মানুষ মন থেকে এমনিতেই দূর হবে।
ধর্ম দেশপ্রেম কমিনিউজম এগুলি পরজীবি শ্রেনীর ইউটোপিয়ান বিলাস। সেই জন্যে কমিনিউস্ট পার্টিতে শ্রেমিক কৃষকের স্থলে সেই পরজীবি শ্রেনীদের উৎপাত। ধর্ম সহ সব আইডিওলজির ধারক এবং বাহক এই পরজীবি বুদ্ধিজীবিরা।
দশ হাজার বছর আগে যখন মানুষ কৃষিকাজ শিখল-খাবারের নিরাপত্তা এল-তখন থেকে দুটো জিনিস পরিলক্ষিত (১) মানুষের ব্রেনের আকার আর বাড়ে নি-বা কেও কেও গবেষনাতে বলছেন কমেছে কারন মানুষকে প্রতিটা মুহুর্ত আর ব্রেইনকে কাজে লাগাতে হচ্ছে না-যা শিকারিদের করতে হত (২) তখন থেকেই সমাজ রাষ্ট্র রাজনীতি ভূত ভগবান বৈষমাই, ধর্ম, প্রফেটের জন্ম।
সুতরাং আজকের যে ধর্মান্ধ এবং ধর্মের সমস্যা আমরা দেখছি ( বা তাত্ত্বিক অন্ধদের ও আমরা দেখছি), সেটা দূর করতে শিকারি সমাজ বা প্যালিওলিথিক সমাজের দিকে আমাদের তাকাতে হবে। মূল সমস্যা হচ্ছে, যেহেতু খাদ্য এবং পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে ছোটবেলা থেকেই, বাচ্চা বয়স থেকে কৃষি সমাজে ছেলে মেয়েদের ব্রেইনটা শিকারী সমাজের তুলনায় অনেক অকার্যকর থাকছে । আমাদের ব্রেইনের ইলাস্টিসিটি খুব বেশী, তাকে যত ব্যবহার করা যায় সে তত দক্ষ হবে। বদ্ধ পুকুরের জলে যেমন শেওলা জমে, ঠিক তেমনি কৃষিভিত্তিক সমাজের শিশুদের জড় বুদ্ধিতে খুব সহজেই ধর্ম কমিনিউজম ন্যাশানালিজম গিলিয়ে দেওয়া যায়।
বর্তমানে সেই শিকারি সমাজের মতন সজাগ ব্রেইন লাগে একমাত্র তাদের যাদের দৈনন্দিন ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। শিকারি সমাজের মতন এখানেও কাস্টমার ফস্কালে খাদের নীচে । বড়ব্যবসায়ী শ্রেনীর কথা আলাদা। কিন্ত ছোট ছোট ব্যবসায়ী শ্রেনীটি শিকারি সমাজের মতন ছোট ছোট কাস্টমার ধরেই বেঁচে থাকে। এটাও ঠিক এই শ্রেনীটি যত বাস্তববাদি হয়, বিজ্ঞান/সাহিত্য/সংস্কৃতির চল এদের মধ্যে নেই । কিন্ত দেশপ্রেম, ধর্ম , সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ইজমের প্রশ্নে এই শ্রেনীটি দুধ এবং জল খুব সজজেই আলাদা করতে পারে নিজেদের অভিজ্ঞতায়।
এইজন্যে আমি মনে করি ধনতন্ত্র এবং মার্কেটের প্রসারের সাথে সাথে ধর্মের শেষের সেদিন আগত। মার্কেট হচ্ছে সেই আদি জঙ্গল। একজন মানুষকে যত সমাজ রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া নিজের বুদ্ধিতে বাঁচতে হবে, চাকরি বা নিশ্চিত ইনকাম থাকবে না-প্রতিটা মুহুর্ত তাকে পরিস্থিতির বাস্তব বিশ্লেষন করে পেটে ক্ষুদা নিবৃত্তি করতে হবে, ধর্ম সহ বিজাতীয় ইজমের কুপ্রভাব মানুষ মন থেকে এমনিতেই দূর হবে।
ধর্ম দেশপ্রেম কমিনিউজম এগুলি পরজীবি শ্রেনীর ইউটোপিয়ান বিলাস। সেই জন্যে কমিনিউস্ট পার্টিতে শ্রেমিক কৃষকের স্থলে সেই পরজীবি শ্রেনীদের উৎপাত। ধর্ম সহ সব আইডিওলজির ধারক এবং বাহক এই পরজীবি বুদ্ধিজীবিরা।
No comments:
Post a Comment