আজ দিল্লীতে ভোট। বিজেপি আপের থেকে যদি হাজার গুনে ভালোও হয়, তাও এই নির্বাচনে আপের জেতা ভারতীয় গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য জরুরী। শক্তিশালী শাসক দল না -শক্তিশালী বিরোধি শক্তিই গণতন্ত্রের সাফল্য এবং অস্তিত্বের মূল চাবিকাঠি।
পৃথিবীর প্রথম গণতন্ত্র আসে খৃষ্টজন্মের পাঁচশো বছর আগে নগর রাষ্ট্র এথেন্সে। সেই এথেনিয়ান ডেমোক্রাসি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আজো। ওই গণতন্ত্রেই প্রথম ইদিওটেস ( গ্রীক ) বা ইডিয়ট শব্দটির উৎপত্তি। এথেন্সে যারা ভোট দিত না, রাজনীতিতে উৎসাহ দেখাত না তাদের বলত "ইদিওতেস"
"We do not say that a man who takes no interest in politics is a man who minds his own business; we say that he has no business here at all-Pericles"
এথেন্সের গণতন্ত্র আরো একটা গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা দিয়েছিল ভবিষ্যতের সমস্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে। পার্শিয়ার বিরুদ্ধে সালামির নৌযুদ্ধে , এথেন্সকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন জেনারেল থেমিস্টকল। সালামি এবং প্লাটিয়ার যুদ্ধে সাফল্যের কারনে উনি হয়ে উঠলেন এথেন্সের সব থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। কিন্ত এই থেমিস্টেকলকেই তাড়িয়েছিল এথেনিয়ান গণতন্ত্র-তাদের ভয় ছিল, জনপ্রিয়তার কারনে একদিন স্বৈরাচারী হয়ে উঠবেন থেমিস্টিকল!
ঠিক এক কারনে ব্রুটাস হত্যা করেছিলেন রোমান মহানায়ক জুলিয়াস সিজারকে। ব্রুটাস ক্যাম্পের দীক্ষাগুরু কাটো চান নি, কোন একজনের হাতে এত ক্ষমতা তুলে দিতে যাতে রোমান গণতন্ত্রটাই ধ্বংস হয়।
আজ ভারতের গণতন্ত্রেও সেই অবস্থা। পরিস্কার ভাবেই বিজেপির সুসংগঠন এবং স্ট্রাটেজির সামনে বিরোধি পক্ষ দিশেহারা। কংগ্রেস রাহুলের কাঁধে চেপে সক্ষাত সলিলে। সিপিএম সোভিয়েতের শবসাধনায় বাস্তবকে অস্বীকার করে এখন পশ্চিম বঙ্গ রাজনীতিতেও অপ্রাসঙ্গিক। মমতা জয়ললিতা এতটাই পপুলিস্ট এবং কোরাপ্ট এরা রাজ্য রাজনীতিতে টিকবেন -কিন্ত রাজ্যের বাইরে এদের কেও পুঁছবে না । মুলায়েম মায়াবতীর জাতপাত ধর্মের গুন্ডামোর রাজনীতির চেয়ে উত্তর প্রদেশে লোকে বিজেপিকেই চাইছে। জীতন রাম মঞ্জি মুখ্যমন্ত্রীত্ব বাঁচাতে আমিত শাহের পায়ে পড়ে গেছেন! এই অবস্থায়, ভারতে বিজেপির বর্তমান অবস্থান অপ্রতিরোধ্য।
বিজেপি ভাল না খারাপ এই বিতর্কে না গিয়েও, এটা পরিস্কার ভাবে বলা যায়-একচ্ছত্র নিরঙ্কুশ ক্ষমতাই সব দুর্নীতির উৎস। স্বৈরাচারের সূতিকাগৃহ। কোন গণতন্ত্রেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কোন ব্যক্তিকে বা দলকে দেওয়া উচিত না । সেটা হবে গণতন্ত্রের আত্মহত্যা। শুধু এই কারনেই আজ আআপের জেতা বিশেষ জরুরী।
পৃথিবীর প্রথম গণতন্ত্র আসে খৃষ্টজন্মের পাঁচশো বছর আগে নগর রাষ্ট্র এথেন্সে। সেই এথেনিয়ান ডেমোক্রাসি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আজো। ওই গণতন্ত্রেই প্রথম ইদিওটেস ( গ্রীক ) বা ইডিয়ট শব্দটির উৎপত্তি। এথেন্সে যারা ভোট দিত না, রাজনীতিতে উৎসাহ দেখাত না তাদের বলত "ইদিওতেস"
"We do not say that a man who takes no interest in politics is a man who minds his own business; we say that he has no business here at all-Pericles"
এথেন্সের গণতন্ত্র আরো একটা গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা দিয়েছিল ভবিষ্যতের সমস্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে। পার্শিয়ার বিরুদ্ধে সালামির নৌযুদ্ধে , এথেন্সকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন জেনারেল থেমিস্টকল। সালামি এবং প্লাটিয়ার যুদ্ধে সাফল্যের কারনে উনি হয়ে উঠলেন এথেন্সের সব থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। কিন্ত এই থেমিস্টেকলকেই তাড়িয়েছিল এথেনিয়ান গণতন্ত্র-তাদের ভয় ছিল, জনপ্রিয়তার কারনে একদিন স্বৈরাচারী হয়ে উঠবেন থেমিস্টিকল!
ঠিক এক কারনে ব্রুটাস হত্যা করেছিলেন রোমান মহানায়ক জুলিয়াস সিজারকে। ব্রুটাস ক্যাম্পের দীক্ষাগুরু কাটো চান নি, কোন একজনের হাতে এত ক্ষমতা তুলে দিতে যাতে রোমান গণতন্ত্রটাই ধ্বংস হয়।
আজ ভারতের গণতন্ত্রেও সেই অবস্থা। পরিস্কার ভাবেই বিজেপির সুসংগঠন এবং স্ট্রাটেজির সামনে বিরোধি পক্ষ দিশেহারা। কংগ্রেস রাহুলের কাঁধে চেপে সক্ষাত সলিলে। সিপিএম সোভিয়েতের শবসাধনায় বাস্তবকে অস্বীকার করে এখন পশ্চিম বঙ্গ রাজনীতিতেও অপ্রাসঙ্গিক। মমতা জয়ললিতা এতটাই পপুলিস্ট এবং কোরাপ্ট এরা রাজ্য রাজনীতিতে টিকবেন -কিন্ত রাজ্যের বাইরে এদের কেও পুঁছবে না । মুলায়েম মায়াবতীর জাতপাত ধর্মের গুন্ডামোর রাজনীতির চেয়ে উত্তর প্রদেশে লোকে বিজেপিকেই চাইছে। জীতন রাম মঞ্জি মুখ্যমন্ত্রীত্ব বাঁচাতে আমিত শাহের পায়ে পড়ে গেছেন! এই অবস্থায়, ভারতে বিজেপির বর্তমান অবস্থান অপ্রতিরোধ্য।
বিজেপি ভাল না খারাপ এই বিতর্কে না গিয়েও, এটা পরিস্কার ভাবে বলা যায়-একচ্ছত্র নিরঙ্কুশ ক্ষমতাই সব দুর্নীতির উৎস। স্বৈরাচারের সূতিকাগৃহ। কোন গণতন্ত্রেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কোন ব্যক্তিকে বা দলকে দেওয়া উচিত না । সেটা হবে গণতন্ত্রের আত্মহত্যা। শুধু এই কারনেই আজ আআপের জেতা বিশেষ জরুরী।
No comments:
Post a Comment