আজ ভূত চতুর্দশী। আমাদের বর্তমান আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ভোটার লিস্টে ভূত খোঁজার জন্য বাজারে বাঘা বাঘা উকিল নামিয়েছেন। কিন্ত তেনাদের দেখা নেই। সে ভোটার ভুতেদের সময় ছিল এককালে । প্রাক ইলেকশন মেশিনযুগে। বিপুল বিক্রমে তখন সিপিএম। যেকোন বুথে ভূত, মানুষ, শিশু, বালক -সবাই একসাথে ভোট দিত পার্টির দাপটে। টিএন শেষন ওঝা হয়ে না এলে, ভূতেদের দাপটে এদ্দিন ভারতে গণতন্ত্র টিকত কি না কে জানে!
ভূত কোথায় নেই? পুলিশ, মিউনিসিপালিটি, সরকারি অফিস, হাসপাতাল, ব্যাঙ্কে ভূতেদের দাপটই বেশী। ভারতে ভূতেরাই সরকারি অফিস চালায়। আর আমেরিকাতে ভূতেরা চালায় সরকার । দুইগণতন্ত্রেই মানুষ গৌণ। ভূতেরাই সব।
কোথায় গণতন্ত্র? আমি ত চারিদিকে ভূততন্ত্রই দেখি!
শুধু গণতন্ত্র কেন, এই গোটা মহাবিশ্বেই চলছে ভূতের কারবার। উনিভার্সের ৮৫% হচ্ছে ভূতুরে ডার্কম্যাটার। তাদের ধরা ছোঁয়া যায় না, টেলিস্কোপে দেখা যায় না- কিন্ত বোঝা যায় তেনারা আছেন-নইলে গ্রহ নক্ষত্রদের যাত্রাপথের ব্যখ্যা মেলেনা।
যেদিকেই তাকাবেন, সেদিকেই ভূত। প্রেমে ভূত, জলে ভূত, দুধে ভূত, ওষুধে ভুত, অঙ্কে ভূত, বিজ্ঞানে ভূত! ভূত ছাড়া, জীবনের কোন অঙ্কই আসলে মেলে না।
সুতরাং ভুতেদের ইগনোর করে কোন শালা? এই নশ্বর জীবনে ভুতেদের না মানলে, কোনদিন নিজেরাই ভুত হয়ে যাব, টের ও পাব না!
No comments:
Post a Comment