কোলকাতাকে বিশ্বের লোকেরা চেনে মাদার টেরেসার নামেই। এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা। ইউরোপ আমেরিকাতে যেখানেই গেছি-কোলকাতা বললে, দেখেছি সবাই চেনে মাদারের নামেই।
মাদারের নেম এবং ফেমের দৌলতে কোলকাতা মানেই বস্তি, গরীব, যক্ষা লেপ্রোসি। সোজা কথায় স্লাম অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। কলকাতা মানে বিশ্বের বস্তি যেখানে মাদার টেরেসা ত্রাতা! এটাই বিশ্ববাজারে কোলকাতার ব্রান্ডিং।
অনেক কোলকাতাবাসীর তা পছন্দ না। তাদের কাছে কোলকাতা মানে অনেক কিছু-কবিতা, পেইন্টিং, গান, সিনেমা সংস্কৃতি। সেসব বাদ দিয়ে মাদারের দৌলতে কোলকাতার এমন "গরীব ব্রান্ডিং" অনেকের নাপসন্দ।
মাদার ভাল না খারাপ, সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। মাদারের কাছাকাছি যারা এসেছেন, যেমন আরভিন্দ কেজরিওয়াল সহ অনেকেই মাদার টেরেসার আকুন্ঠ প্রসংশা করেছেন। তারা কাছাকাছি কেউ কিন্ত মাদারের নিখাদ ভালোবাসার সমালোচনা করে নি। মাদারের সমালোচনা যারা করছেন, তাদের কেউ কোনদিন রাস্তার ভিখিরিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে খাইয়েছেন বলে জানা নেই। দূর থেকে এত সহজে এমন ব্যক্তিত্বদের চেনা যায় না। অরভিন্দ কেজরিওয়াল মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের সাথে কাজ করেছেন এবং তার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন। ভালোবাসার ক্ষমতার সাথে আসলে আমরা অনেকেই পরিচিত না। অধিকাংশ মানুষের মতন আমরা মূলত লোভ, ক্ষোভ, স্বার্থ দিয়েই চালিত বেশী। আমাদের হৃদয় যদ্দিন না অতটুকু প্রসারিত না হবে, যে রাস্তার ভিখিরিদের ঘরে ডেকে খাওয়াতে পারব, বা তাদের সেবার করতে পারব, তদ্দিন সম্ভব না মাদারকে বোঝা আরাম কেদারায় বসে।
রামকৃষ্ণ মিশনের ও অনেক সমালোচনা দেখি স্যোশাল মিডিয়াতে। কিন্ত রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু কিছু সন্ন্যাসীদের কাছ থেকে দেখেছি। স্বামী সূপর্নানন্দ ( সত্যদা) যিনি এখন গোলপার্কের সেক্ট্রেটারী-যখন আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, নিজের হাতে ঝাড়ু নিয়ে কলেজ পরিস্কার করতেন। উনি এখনো বদলান নি। কিছুদিন আগে উনার কাছে গেলাম বহুদিন বাদে। কিছু কর্মচারী ব্রেকফাস্ট রান্না করছিল। উনি নিজেই তাদের সাথে হাত লাগিয়ে, কাজ নিজে শেষ করলেন। ওই লেভেলে আধ্যাত্মিক উত্তোরন না হলে, শুধু উনাদের মত ও পথ, কত অবৈজ্ঞানিক, কত পুরুষতান্ত্রিক তা নিয়ে সমালোচনা করে লাভ নেই।
বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদই আমাদের কাম্য-কিন্ত তা যদি মাদার টেরেসার মতন একটা হৃদয় তৈরী করতে না পারে, বিজ্ঞান যুক্তিবাদের সাথে সাথে মানবিকতার পাঠ কিন্ত আমাদের মাদার টেরেসা বা রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই নিতে হবে। সেইন্ট হুডের অলৌকিকতা অবশ্যই সমর্থন করি না-কিন্ত যদ্দিন রাস্তার গরীব দুঃস্থদের জন্য নিজে, নিজে হাতে কিছু না করতে পারছি, আমি মনে করিনা মাদারের কাজকর্ম বোঝার মতন অবস্থায় আমি আসব। সত্যদাকে দেখে বুঝেছি সব কিছু এইসব কূটতর্ক যুক্তির আধারে হয় না-জীবনে ওদের মতন করে ভালবাসতে শেখা সত্যিই খুব দূরহ পথ। আমরাত স্বার্থের কারাগারে বন্দি ক্ষুদ্রতম মন সব। এদের মহানুভবতা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখলে নিজেকে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র লাগে।
অতবড় না হয়, নাই হতে পারলাম-কিন্ত এটুকু অবশ্যই সম্ভব যে আরাম চেয়ারে বসে এদের সমালোচনা করার বদভ্যেসটা ছাড়তেই পারি। হ্যা যেদিন এদের মতন পথে নেমে আর্তের সেবা করতে পারব-সেদিন হয়ত কিছুটা সমালোচনা করার অধিকার জন্মাবে। তবে মনে হয় না সেদিন মনটা এত ছোট থাকবে, যে সমালোচনা করতে মন চাইবে!
মাদারের নেম এবং ফেমের দৌলতে কোলকাতা মানেই বস্তি, গরীব, যক্ষা লেপ্রোসি। সোজা কথায় স্লাম অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। কলকাতা মানে বিশ্বের বস্তি যেখানে মাদার টেরেসা ত্রাতা! এটাই বিশ্ববাজারে কোলকাতার ব্রান্ডিং।
অনেক কোলকাতাবাসীর তা পছন্দ না। তাদের কাছে কোলকাতা মানে অনেক কিছু-কবিতা, পেইন্টিং, গান, সিনেমা সংস্কৃতি। সেসব বাদ দিয়ে মাদারের দৌলতে কোলকাতার এমন "গরীব ব্রান্ডিং" অনেকের নাপসন্দ।
মাদার ভাল না খারাপ, সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। মাদারের কাছাকাছি যারা এসেছেন, যেমন আরভিন্দ কেজরিওয়াল সহ অনেকেই মাদার টেরেসার আকুন্ঠ প্রসংশা করেছেন। তারা কাছাকাছি কেউ কিন্ত মাদারের নিখাদ ভালোবাসার সমালোচনা করে নি। মাদারের সমালোচনা যারা করছেন, তাদের কেউ কোনদিন রাস্তার ভিখিরিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে খাইয়েছেন বলে জানা নেই। দূর থেকে এত সহজে এমন ব্যক্তিত্বদের চেনা যায় না। অরভিন্দ কেজরিওয়াল মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের সাথে কাজ করেছেন এবং তার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন। ভালোবাসার ক্ষমতার সাথে আসলে আমরা অনেকেই পরিচিত না। অধিকাংশ মানুষের মতন আমরা মূলত লোভ, ক্ষোভ, স্বার্থ দিয়েই চালিত বেশী। আমাদের হৃদয় যদ্দিন না অতটুকু প্রসারিত না হবে, যে রাস্তার ভিখিরিদের ঘরে ডেকে খাওয়াতে পারব, বা তাদের সেবার করতে পারব, তদ্দিন সম্ভব না মাদারকে বোঝা আরাম কেদারায় বসে।
রামকৃষ্ণ মিশনের ও অনেক সমালোচনা দেখি স্যোশাল মিডিয়াতে। কিন্ত রামকৃষ্ণ মিশনের কিছু কিছু সন্ন্যাসীদের কাছ থেকে দেখেছি। স্বামী সূপর্নানন্দ ( সত্যদা) যিনি এখন গোলপার্কের সেক্ট্রেটারী-যখন আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, নিজের হাতে ঝাড়ু নিয়ে কলেজ পরিস্কার করতেন। উনি এখনো বদলান নি। কিছুদিন আগে উনার কাছে গেলাম বহুদিন বাদে। কিছু কর্মচারী ব্রেকফাস্ট রান্না করছিল। উনি নিজেই তাদের সাথে হাত লাগিয়ে, কাজ নিজে শেষ করলেন। ওই লেভেলে আধ্যাত্মিক উত্তোরন না হলে, শুধু উনাদের মত ও পথ, কত অবৈজ্ঞানিক, কত পুরুষতান্ত্রিক তা নিয়ে সমালোচনা করে লাভ নেই।
বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদই আমাদের কাম্য-কিন্ত তা যদি মাদার টেরেসার মতন একটা হৃদয় তৈরী করতে না পারে, বিজ্ঞান যুক্তিবাদের সাথে সাথে মানবিকতার পাঠ কিন্ত আমাদের মাদার টেরেসা বা রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই নিতে হবে। সেইন্ট হুডের অলৌকিকতা অবশ্যই সমর্থন করি না-কিন্ত যদ্দিন রাস্তার গরীব দুঃস্থদের জন্য নিজে, নিজে হাতে কিছু না করতে পারছি, আমি মনে করিনা মাদারের কাজকর্ম বোঝার মতন অবস্থায় আমি আসব। সত্যদাকে দেখে বুঝেছি সব কিছু এইসব কূটতর্ক যুক্তির আধারে হয় না-জীবনে ওদের মতন করে ভালবাসতে শেখা সত্যিই খুব দূরহ পথ। আমরাত স্বার্থের কারাগারে বন্দি ক্ষুদ্রতম মন সব। এদের মহানুভবতা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখলে নিজেকে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র লাগে।
অতবড় না হয়, নাই হতে পারলাম-কিন্ত এটুকু অবশ্যই সম্ভব যে আরাম চেয়ারে বসে এদের সমালোচনা করার বদভ্যেসটা ছাড়তেই পারি। হ্যা যেদিন এদের মতন পথে নেমে আর্তের সেবা করতে পারব-সেদিন হয়ত কিছুটা সমালোচনা করার অধিকার জন্মাবে। তবে মনে হয় না সেদিন মনটা এত ছোট থাকবে, যে সমালোচনা করতে মন চাইবে!
No comments:
Post a Comment