আরেকটা সর্বনাশা বন্ধ ডেকেছে বামপন্থীরা। জানিনা এই ধরনের "ডাইনোসরাস" টাইপের পুরাতন বামপন্থার অভিশাপ আর কতদিন বইতে হবে বাংলার মানুষকে।
প্রথমেই বলে রাখি মাসিক মাইনা নুন্যতম ১৮,০০০ টাকা করা উত্তম প্রস্তাব। কিন্ত কোলকাতার কটা ছোট ব্যবসায় মাসের শেষে মালিক নিজে ওই টাকা নিজের ঘরে নিতে পারে?
আরো একটা প্রশ্ন তুলি। বেসরকারি স্কুল বা কলেজে সরকারি স্কেলে শিক্ষকদের মাইনে দেওয়ার কথা। কোলকাতার কটা স্কুলে এই সরকারি আইন মেনে মাইনে দেওয়া হয়? এই নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অনেক আন্দোলন করেছেন । কিন্ত আল্টিমেট ফল কি? সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও স্কুল কলেজের মালিকরা কি আইন মাফিক মাইনে দিয়েছেন? না সিপিএম সেই চোট্টামোর বিরুদ্ধে কোনদিন কোন আন্দোলন করেছে? করেনি। কারন প্রাইভেট বেসিক বা বিএড কলেজের মালিক পক্ষের মধ্যে একটা বড় অংশই সিপিএমের লালে লাল হওয়া নেতাদের ছেলে ভাইপোরা।
নুন্যতম বেতনের আইন এখনো আছে। কিন্ত আইন করে লাভ কি যদি আইনের এনফোর্সমেন্টই না থাকে কোথাও? নুন্যতম মজুরীর এনফোর্সমেন্ট নিয়ে সিপিএম কোনদিন আন্দোলন করেছে? করে নি। কারন সেটা করতে গেলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেড়োবে। সিপিএমের এই ধরনের ধাপ্পাবাজি জাস্ট লিমিটলেস।
শ্রমিকদের মাইনে ওই ভাবে আন্দোলন করে কেউ কোনদিন বাড়াতে পারে নি। যেখানেই ওইসব ট্রেড ইউনিয়ান ঢুকেছে, সেখানেই শিল্প ধ্বংশ। পেনসিলভেনিয়াতে একদা ছিল ইউ এস স্টীল। তৎকালীন বৃহত্তম স্টীল ফ্যাক্টরী। এখন যখন ওই ফ্যাক্টরির পাশ দিয়ে প্রায় ড্রাইভ করে আসতে হয়, একটা গোটা কঙ্কালসার শহর, তার পরিতক্ত বাড়িঘরদোরের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসি। এই ইউ এস স্টীল ধ্বংশ হয়েছিল শ্রমিক ধর্মঘটে। ঘাবরাবেন না । শুধু পশ্চিম বঙ্গ না। শিল্পের ধ্বংশাবশেষ আরো বেশী দেখেছি পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে। এবং সেখানও কারন জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়ান মূলত।
আমেরিকার ইতিহাসে শ্রমিকদের মজুরী বাড়ানোর আন্দোলন সব থেকে তীব্র হয়েছে ১৮৮০-১৯১০ সালে। প্রায় ত্রিশ হাজার ধর্মঘট। মেশিনগানের গুলি থেকে বোমা-সেনা নামানো সব কিছু হয়েছে এই সময়। কিন্ত ইনফ্লেশন এডজাস্ট করলে এই ত্রিশ বছরে আমেরিকান শ্রমিকদের মাইনে বেড়েছিল মোটে ৩%। যা কিছুই না।
কিন্ত আমেরিকান শ্রমিকদের মাইনে বহুগুন বাড়ে ১৯৪০-১৯৭০ সালের মধ্যে। এর মূল কারন দুটো। প্রথমটা হচ্ছে ব্যবসার মনোপলি ধ্বংস করা। দ্বিতীয়ত অটোমেশনের ফলে জনপ্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি।
বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরে একজন গৃহকর্মী হেঁসেখেলে মাস গেলে কুড়ি হাজারটাকা উপায় করে। আর কোলকাতায় একজন এম কম পাশ একাউন্টান্ট মাসে চার হাজারটাকাও পায় না।
কারন কোলকাতায় ব্যবসা নেই। ব্যবসা বাণিজ্য এবং মনোপলি মার্কেটের ধ্বংস করে কম্পিটিটিভ মার্কেট ছাড়া কোন আন্দোলন বা ম্যাজিকের সাহায্যে শ্রমিকদের মাইনে বাড়ানো সম্ভব না। কৃত্রিম ভাবে চাপ দিলে ব্যবসা বানিজ্য শিল্প সব ধ্বংস হবে। আমাদের সৌভাগ্য এটা বঙ্গবাসী বুঝেছে বলেই সিপিএমকে আস্তাকুঁড়েতে ফেলেছে। পরের নির্বাচনে ওই প্রাচীনপন্থী বামপন্থা সম্পূর্ন ধ্বংশ হবে।
এছাড়া ভবিষ্যত ও দেখতে হবে। ওর্গানাইজড সেক্টর বলতে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে এখনই অটোমেশনের জন্য কাজের লোকের চাহিদা আস্তে আস্তে কমবে। সার্ভিস সেক্টরেও ব্যপক হারে অটোমেশন আসবে। সুতরাং স্কিলড লেবারের চাহিদা ও মাইনে বাড়তেই থাকবে। তারজন্যে আন্দোলনের দরকার নেই। দরকার শিক্ষাখাতে সরকারের খরচ বাড়ানো। সরকারের তরফ থেকে অনেক বেশী স্কিল্ড মিশন চলুক।
জুট বা চায়ের শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী বেঁধে কিস্যু হবে না। এগুলো প্রমানিত। দরকার, তাদেরকে নতুন ট্রেনিং দেওয়া যেমন মোবাইল বা কম্পিউটার সাড়ানো।
কমরেড জ্যোতিবোস বা অশোক মিত্র মোটেও কোন বুদ্ধিমান কেউ ছিলেন না। মধ্যমমেধার এই লোকগুলিই ছিল পশ্চিম বঙ্গের নেতা। এদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ছিল কালিদাসি কাটারি নিয়ে মগডালে বসে নিজের মগডালটা কাটা। যারা জ্যোতিবোস বা অশোক মিত্রর মতন নির্বোধকে জাতির নেতা বানালে, যা হাল হতে পারে বাঙালি নিজে দেখেছে।
বাংলার শ্রমিকদের মাইনে সত্যি বাড়াতে চান? তাহলে সবার আগে বাংলাকে শিল্পবান্ধব করুন। ধর্মঘট শুন্য, ইনফ্রাস্টকাচার সমৃদ্ধ বাংলা আনুন। এখানে ভাল ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ুন। শিল্প এমনিতেই আসবে। লোকের মাইনেও বাড়বে।
আমি আগের ভোটের আগে দ্বিধাহীন ভাষায় মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। এবং সেখানে পরস্কার ভাবে লিখেছিলাম, দিদিকে সর্মথন করি কারুন উনি উনার জমানায় একটাও বন্ধ হতে দেন নি যেটা বাংলায় শিল্প স্থাপনের প্রথম ধাপ। আশা করি উনি উনার রেকর্ড বজায় রাখবেন। উনি চেষ্টা করছেন আপ্রান দেখছি পাচ্ছি। আশা করব, বাংলার মানুষ বাংলার উন্নতিতে উনার পাশে থাকবেন। এবং বামেদের আত্মহত্যামূলক প্ররোচনায় পা দেবেন না।
প্রথমেই বলে রাখি মাসিক মাইনা নুন্যতম ১৮,০০০ টাকা করা উত্তম প্রস্তাব। কিন্ত কোলকাতার কটা ছোট ব্যবসায় মাসের শেষে মালিক নিজে ওই টাকা নিজের ঘরে নিতে পারে?
আরো একটা প্রশ্ন তুলি। বেসরকারি স্কুল বা কলেজে সরকারি স্কেলে শিক্ষকদের মাইনে দেওয়ার কথা। কোলকাতার কটা স্কুলে এই সরকারি আইন মেনে মাইনে দেওয়া হয়? এই নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অনেক আন্দোলন করেছেন । কিন্ত আল্টিমেট ফল কি? সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও স্কুল কলেজের মালিকরা কি আইন মাফিক মাইনে দিয়েছেন? না সিপিএম সেই চোট্টামোর বিরুদ্ধে কোনদিন কোন আন্দোলন করেছে? করেনি। কারন প্রাইভেট বেসিক বা বিএড কলেজের মালিক পক্ষের মধ্যে একটা বড় অংশই সিপিএমের লালে লাল হওয়া নেতাদের ছেলে ভাইপোরা।
নুন্যতম বেতনের আইন এখনো আছে। কিন্ত আইন করে লাভ কি যদি আইনের এনফোর্সমেন্টই না থাকে কোথাও? নুন্যতম মজুরীর এনফোর্সমেন্ট নিয়ে সিপিএম কোনদিন আন্দোলন করেছে? করে নি। কারন সেটা করতে গেলে কেঁচো খুড়তে সাপ বেড়োবে। সিপিএমের এই ধরনের ধাপ্পাবাজি জাস্ট লিমিটলেস।
শ্রমিকদের মাইনে ওই ভাবে আন্দোলন করে কেউ কোনদিন বাড়াতে পারে নি। যেখানেই ওইসব ট্রেড ইউনিয়ান ঢুকেছে, সেখানেই শিল্প ধ্বংশ। পেনসিলভেনিয়াতে একদা ছিল ইউ এস স্টীল। তৎকালীন বৃহত্তম স্টীল ফ্যাক্টরী। এখন যখন ওই ফ্যাক্টরির পাশ দিয়ে প্রায় ড্রাইভ করে আসতে হয়, একটা গোটা কঙ্কালসার শহর, তার পরিতক্ত বাড়িঘরদোরের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসি। এই ইউ এস স্টীল ধ্বংশ হয়েছিল শ্রমিক ধর্মঘটে। ঘাবরাবেন না । শুধু পশ্চিম বঙ্গ না। শিল্পের ধ্বংশাবশেষ আরো বেশী দেখেছি পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে। এবং সেখানও কারন জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়ান মূলত।
আমেরিকার ইতিহাসে শ্রমিকদের মজুরী বাড়ানোর আন্দোলন সব থেকে তীব্র হয়েছে ১৮৮০-১৯১০ সালে। প্রায় ত্রিশ হাজার ধর্মঘট। মেশিনগানের গুলি থেকে বোমা-সেনা নামানো সব কিছু হয়েছে এই সময়। কিন্ত ইনফ্লেশন এডজাস্ট করলে এই ত্রিশ বছরে আমেরিকান শ্রমিকদের মাইনে বেড়েছিল মোটে ৩%। যা কিছুই না।
কিন্ত আমেরিকান শ্রমিকদের মাইনে বহুগুন বাড়ে ১৯৪০-১৯৭০ সালের মধ্যে। এর মূল কারন দুটো। প্রথমটা হচ্ছে ব্যবসার মনোপলি ধ্বংস করা। দ্বিতীয়ত অটোমেশনের ফলে জনপ্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি।
বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরে একজন গৃহকর্মী হেঁসেখেলে মাস গেলে কুড়ি হাজারটাকা উপায় করে। আর কোলকাতায় একজন এম কম পাশ একাউন্টান্ট মাসে চার হাজারটাকাও পায় না।
কারন কোলকাতায় ব্যবসা নেই। ব্যবসা বাণিজ্য এবং মনোপলি মার্কেটের ধ্বংস করে কম্পিটিটিভ মার্কেট ছাড়া কোন আন্দোলন বা ম্যাজিকের সাহায্যে শ্রমিকদের মাইনে বাড়ানো সম্ভব না। কৃত্রিম ভাবে চাপ দিলে ব্যবসা বানিজ্য শিল্প সব ধ্বংস হবে। আমাদের সৌভাগ্য এটা বঙ্গবাসী বুঝেছে বলেই সিপিএমকে আস্তাকুঁড়েতে ফেলেছে। পরের নির্বাচনে ওই প্রাচীনপন্থী বামপন্থা সম্পূর্ন ধ্বংশ হবে।
এছাড়া ভবিষ্যত ও দেখতে হবে। ওর্গানাইজড সেক্টর বলতে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে এখনই অটোমেশনের জন্য কাজের লোকের চাহিদা আস্তে আস্তে কমবে। সার্ভিস সেক্টরেও ব্যপক হারে অটোমেশন আসবে। সুতরাং স্কিলড লেবারের চাহিদা ও মাইনে বাড়তেই থাকবে। তারজন্যে আন্দোলনের দরকার নেই। দরকার শিক্ষাখাতে সরকারের খরচ বাড়ানো। সরকারের তরফ থেকে অনেক বেশী স্কিল্ড মিশন চলুক।
জুট বা চায়ের শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী বেঁধে কিস্যু হবে না। এগুলো প্রমানিত। দরকার, তাদেরকে নতুন ট্রেনিং দেওয়া যেমন মোবাইল বা কম্পিউটার সাড়ানো।
কমরেড জ্যোতিবোস বা অশোক মিত্র মোটেও কোন বুদ্ধিমান কেউ ছিলেন না। মধ্যমমেধার এই লোকগুলিই ছিল পশ্চিম বঙ্গের নেতা। এদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ছিল কালিদাসি কাটারি নিয়ে মগডালে বসে নিজের মগডালটা কাটা। যারা জ্যোতিবোস বা অশোক মিত্রর মতন নির্বোধকে জাতির নেতা বানালে, যা হাল হতে পারে বাঙালি নিজে দেখেছে।
বাংলার শ্রমিকদের মাইনে সত্যি বাড়াতে চান? তাহলে সবার আগে বাংলাকে শিল্পবান্ধব করুন। ধর্মঘট শুন্য, ইনফ্রাস্টকাচার সমৃদ্ধ বাংলা আনুন। এখানে ভাল ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ুন। শিল্প এমনিতেই আসবে। লোকের মাইনেও বাড়বে।
আমি আগের ভোটের আগে দ্বিধাহীন ভাষায় মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। এবং সেখানে পরস্কার ভাবে লিখেছিলাম, দিদিকে সর্মথন করি কারুন উনি উনার জমানায় একটাও বন্ধ হতে দেন নি যেটা বাংলায় শিল্প স্থাপনের প্রথম ধাপ। আশা করি উনি উনার রেকর্ড বজায় রাখবেন। উনি চেষ্টা করছেন আপ্রান দেখছি পাচ্ছি। আশা করব, বাংলার মানুষ বাংলার উন্নতিতে উনার পাশে থাকবেন। এবং বামেদের আত্মহত্যামূলক প্ররোচনায় পা দেবেন না।
1 comment:
ভাল লিখেছেন
Post a Comment