Thursday, September 22, 2016

হাল্লার রাজা চলেছে যুদ্ধে

ভারত-পাকিস্থানে আবার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার আবহ। প্রতিবারের ম ত এবারও! ভারতের পার্লামেন্ট আক্রমন করার পরেও যেখানে, কিস্যু হয় নি, বা ভার‍ত কিছু করে উঠতে পারে নি, কিছু সৈনিকের মৃত্যুতে কি আর হবে! দুদিন বাদে সবাই ক্রিকেট বলিউডেই ব্যাক করবে।

 পাকিস্তানের প্রতি পররাষ্ট্রনীতির ব্যপারে কংগ্রেস সম্পূর্ন ব্যর্থ। মোদিও যুদ্ধংদেহী ভাবে ভুল দিকে খেলছেন।

  সান জু, আর্ট অব ওয়ারে লিখছেন, সেই সেনাপতিই শ্রেষ্ট যিনি একটি তীর খরচ না করে, একটুও রক্তপাত না ঘটিয়ে বিজয়ে সমর্থ হৌন।

 উদাহরন ? রোনাল্ড রেগন। আমেরিকা কিভাবে জিতল ঠান্ডা যুদ্ধে? একটাও মিসাইল ছুঁড়তে হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ান ভাংতে? কিভাবে রেগান সমর্থ হলেন প্রতিদ্বন্দিকে ভেঙে দিতে?

  সবটাই প্ল্যানিং।  কমিনিউজমের প্রতি সাধারন মানুষের রাগ ত ছিলই-সেটাকে রেগান বাড়িয়ে দিলেন আমেরিকাতে কত কিছু আছে, আর সোভিয়েতের জীবনে কিছুই নেই। কমিনিউজমে সোভিয়েতের লোকেরা ভিখিরি। এমন একটা জনমত খুবই সতর্ক ভাবে তৈরী করতে সমর্থ হয় সিয়া। এর সাথে বাকী সোভিয়েত রাজ্যগুলোর স্বাধীনতার আকাঙ্খা ছিল বহুদিনের।

সোজা কথায় পাকিস্তান একটা কৃত্রিম রাষ্ট্র। এটকে একবার ভাঙা হয়েছে, আরেকবার পাঁচ টুকরো করে দিতে হবে।

 পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু-অথচ এর কোন রাজ্যের মাতৃভাষা উর্দু না। বালুচ, পুশতুন, পাঞ্জাবী, সিন্ধি-সবার ওপরেই জোর করে চাপানো হয়েছে উর্দুর অত্যাচার। এটা একটা মিলিটারী স্টেট। যে রাষ্ট্রের বাজেটের সিংহভাগ যায় মিলিটারী বাজেটে। শিক্ষা আর স্বাস্থ্য খাতে ১% ও খরচ করে না পাকিস্তান। পাঞ্জাবী আর মোহাজির ( যেসব মুসলমানরা ভারত থেকে এসেছিল)  রাষ্ট্রের, সেনার মাথায় বসে আছে। বালুচ, পুস্তুন, সিন্ধ্রিরা চাকর বাকর স্বভূমিতে।

 এই মুহুর্তে আমেরিকার দরকার নেই পাকিস্তানের। ফলে আজ নইলে কাল, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদি রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষনা করবে আমেরিকা। এই মুহুর্তে পাকিস্তানের সব থেকে ভাল দোস্ত চীন। কারন চীনের কোম্পানীগুলো পাকিস্তানের সব কাজের বরাত পাচ্ছে। পাকিস্তানের খনিগুলোকে, যার অধিকাংশই বালুচিস্তানে অবাধে লুঠ করার পারমিশন পেয়েছে চীনা কোম্পানীগুলি। যারে কয় প্রোটেকশন মানি।

 ফলে পাকিস্তানকে ভাংতে এই চীনা ইন্টারেস্টকে নিউট্রিলাইজ করতে হবে। কূটনীতিতে তা সম্ভব না-কারন চীন এখন মহাশক্তিধর। একমাত্র ওয়ে আউট- বিক্ষুব্ধ,  বালুচ সিন্ধ্রিদের সাহায্য করা যাতে চৈনিক কোম্পানীগুলির বিরুদ্ধে তারা প্রতিরোধ গড়তে পারে এবং চৈনিক কোম্পানীগুলি ভয়ে পালায়। একবার চীন বিজনেস ইন্টারেস্ট হারালে, পাকিস্তানকে তারা লাই দেবে না। কারন পাকিস্তানের তালিবান সন্ত্রাসবাদি  চীনের জিংসাং এবং গাঙসু রাজ্যের মুসলিম সন্ত্রাসীদের মধ্যেও আছে।

 পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধদেহী ভাব একদম বর্জন করা উচিত। তাহলে দেশ হিসাবে আবার পাকিস্তানিরা ঐক্যবদ্ধ হবে। বরং ভারত থেকে বিদ্রোহি বালুচিস্তান, সিন্ধ, পুস্তুনদের প্রতি অর্থ এবং অস্ত্র দেওয়া হৌক। ওইসব দেশের এক্সাইল সরকার, ভারতে থেকেই শুরু হৌক।

 যুদ্ধ বুদ্ধিমানদের পথ না-এটাও সান জুর কথা। যুদ্ধ ছাড়াই পাকিস্তানকে সোভিয়েত ইউনিয়ানের মতন শুইয়ে দেওয়া সম্ভব। ভারতের সেই পথেই হাঁটা উচিত।








No comments: